যে কারণে বিএনপির 'আন্দোলন' রূপ নিল 'বিচ্ছিন্ন নাশকতা'য়



লুৎফে আলি মহব্বত, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যে কারণে বিএনপির 'আন্দোলন' রূপ নিল 'বিচ্ছিন্ন নাশকতা'য়

যে কারণে বিএনপির 'আন্দোলন' রূপ নিল 'বিচ্ছিন্ন নাশকতা'য়

  • Font increase
  • Font Decrease

২৮ অক্টোবরের স্মরণকালের বিশাল জনসমাবেশের এক মাসের মাথায় বিএনপির 'আন্দোলন' রূপ নিয়েছে জনসম্পৃক্তি বিহীন 'বিচ্ছিন্ন নাশকতা'য়। আন্দোলন থেকে ছিটকে পড়ছেন নেতাকর্মীরা। কল্যাণ পার্টির জেনারেল ইবরাহিমের মতো তীক্ত ও বাস্তব স্বীকারোক্তি প্রকাশ্যে অনেকেই না দিলেও, মাঠের বাস্তবতায় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো 'আন্দোলনে কুলাতে' পারছে না। কেন বিএনপির 'আন্দোলন' রূপ নিল 'বিচ্ছিন্ন নাশকতা'য়, এই প্রশ্নের মুখোমুখি না হয়ে এবং আত্মসমালোচনা না করে আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) থেকে আবারও বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর সপ্তম দফার অবরোধ শুরু করেছে।

গত এক মাসে থেমে থেমে দেওয়া শ্লথগতির আন্দোলনে বিএনপি হাতিয়ার হিসাবে যে অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি প্রয়োগ করেছে, তাতে তারা তাদের দাবি আদায়ের পথে বিন্দুমাত্র অগ্রসর হতে পারেনি। সরকার ন্যূনতম চাপ বোধ করেনি। নির্বাচনের পথে নির্বিঘ্নে এগিয়ে চলেছে। জনগণের পক্ষ থেকেও অবরোধ বা হরতালের পক্ষে সামান্যতম অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হয় নি। সবকিছুই চলছে স্বাভাবিক গতিতে।

পক্ষান্তরে, খোদ বিএনপি পড়েছে বেকায়দায়। আন্দোলনে তাদের লাভ হচ্ছে না। সরকার আন্দোলনের গায়ে বিচ্ছিন্ন নাশকতার লেবেল দিয়েছে। ফলে দলের ওপর বাড়ছে নানামুখী চাপ। যেমন:

১. ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দলটির একডজন শীর্ষ নেতাসহ ১৫ সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার হয়েছে একমাসে।

২. গ্রেফতারের পর কর্মী ও নেতাদের দফায় দফায় নেয়া হচ্ছে রিমান্ডে।

৩. দীর্ঘ এক মাস ধরে অব্যাহতভাবে বাসায় বাসায় চলছে পুলিশি অভিযান। নেতাদের না পেয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে পরিবারের স্বজন, ব্যক্তিগত সহকারী, গাড়িচালককে।

৪. জেলায় জেলায় নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চলছে। সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বিএনপির জনশক্তি।

৫. একই সাথে পুরনো রাজনৈতিক মামলায় দেয়া হচ্ছে সাজা। যারা আগামীতে সংসদ নির্বাচন করবেন কিংবা মাঠে কর্মীদের ওপর প্রভাব রয়েছে- এমন নেতাদের টার্গেট করা হচ্ছে।

৬. গত এক সপ্তাহে বিএনপি’র ৪ শতাধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে দেয়া হয়েছে কারাদণ্ড।

৭. টার্গেট করা হয়েছে বিএনপি’র নিষ্ক্রিয়, বহিষ্কৃত ও দলছুট নেতাদেরও। তাদের দেয়া হচ্ছে নানা প্রলোভন ও নির্বাচনে যাওয়ার টোপ। অনেককে করা হচ্ছে তল্লাশি-হয়রানি।

সরকারের চাপের মুখে বিএনপি’র দলছুট ও নিষ্ক্রিয় কিছু নেতা ইতিমধ্যে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা জোটের দুই-একটি দলও একই ঘোষণা দিয়েছে।

বস্তুতপক্ষে, দীর্ঘবছর ক্ষমতায় থাকা একটি দলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যে শক্তি ও প্রস্তুতি থাকা দরকার ছিল, বিএনপি তা কার্যক্ষেত্রে দেখাতে পারে নি। হুঙ্কার দিয়ে চুপসে যাওয়া বিএনপি এখন রয়েছে কঠিন বিপদে। দলটি না পারছে আন্দোলন চালিয়ে যেত, না পারছে আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে আসতে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে:

১. কেন আন্দোলনে বিএনপি দৃশ্যত ব্যর্থ হলো?

২. বিএনপির তাৎপর্যহীন আন্দোলনের শেষ পরিণতি কী হতে পারে?

এসব প্রশ্নের প্রধান কারণ নিহিত রয়েছে খোদ বিএনপির মধ্যেই। কারণ, বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে সরব হতে পারঙ্গম। অতীতে সবসময়ই দল না চাইলেও বহু নেতা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। বিএনপি তার নির্বাচনমুখী জনশক্তিকে আন্দোলনমুখী করতে পারে নি।

দলের শীর্ষ নেতারাও বড় বড় কথা বললেও আন্দোলনের কৃতিত্ব দেখাতে পারেন নি। তারা কেউই মাঠ, ময়দান বা মিছিল থেকে গ্রেফতার হন নি। পালিয়ে গিয়ে বাড়ি থেকে বা আত্মগোপনে থাকতে থাকতে এক পর্যায়ে পুলিশের জালে আটক হয়েছেন। নেতাদের এই শিক্ষা গ্রহণ করেছে কর্মীরা। তারাও অধিকাংশ চলে গেছেন আত্মগোপনে। ফলে মাঠেময়দানে বিএনপির আন্দোলন চালানোর মতো জনশক্তির উপস্থিতি নেই। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটছে বটে। তবে সেগুলো আন্দোলন নাকি নাশকতা, তা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে।

ফলশ্রুতিতে ২৮ অক্টোবর হতে ২০ নভেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত ২৪ দিনে উচ্ছৃঙ্খল জনতার দেওয়া আগুনে ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি গাজীপুরে, উপজেলা হিসেবে বগুড়া সদরে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এগুলোকে সরকারের পক্ষে জনবিচ্ছিন্ন নাশকতার তকমা দেওয়া হচ্ছে।

গত এক মাসের আন্দোলনের ফলাফল পর্যালোচনায় বিএনপির কী লাভ হলো তা দৃশ্যমান নয়। বিএনপি দাবি আদায়ের পথে একচুল পরিমাণ এগিয়েছে বলা যাবে না। দলটি যেখানে ছিল, তারচেয়ে আরও কোণঠাসা হয়েছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। তারপরেও সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি গভীর চিন্তিত হয়ে পর্যালোচনা করছে বলে মনে হয় না। ফলহীন হবে জেনেও আবার আরেক দফা অবরোধ দিয়েছে দলটি। বিএনপির সাথে সমমনা জোটের শীর্ষ নেতারাও আছেন। তারা হয়ত মনে করছেন, কিছু লোক দল ছেড়ে চলে গেলেও চলমান আন্দোলনে তেমন প্রভাব পড়বে না। এ ছাড়া এসব দল নির্বাচনে অংশ নিলেও সরকার বৈধতা পাবে না। বিএনপি’র সঙ্গে থাকা সমমনা শরিক দল ও জোটগুলো যুগপৎভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এ ছাড়া যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৩৬টি দলের বাইরে থাকা জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী দলও নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকলে বিএনপির জন্য ভালো হতো নাকি একতরফা আন্দোলন করতে করতে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাওয়া ভালো হয়েছে, সে প্রশ্নের উপর এখনই পাওয়া যাবে না। সামনের দিনগুলোতে এসব প্রশ্নের মীমাংসা হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতি ও বিএনপির রাজনৈতিক ভাগ্যও নির্ধারিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আসন্ন দিনগুলোতে।

   

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাসায় ফিরছেন খালেদা

বাসায় ফিরছেন খালেদা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

এর আগে গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে। 

;

বিএনপি শ্রমিকদের বন্দুকের জোরে জিম্মি করে রেখেছিল: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককেও হত্যা করেছে তারা।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে বন্দুকের জোরে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে মন্তব্য করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো দিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি।

তিনি বলেন, তারা আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। শ্রমজীবী মানুষসহ সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ লাখ ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।

;

সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আররের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

;

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানার উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।

তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।

দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।

পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

;