জাসদের ১৮১ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮১টি আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৮১টি আসনে প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে জাসদ। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আরও কিছু আসনের বিপরীতে দলের মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করবে বলে সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, মোহাম্মদ মহসীন, মির্জা মো. আনোয়ারুল হকসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

জাসদের ১৮১টি আসনে প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা-

পঞ্চগড়
পঞ্চগড়-১: মো. ফারুক আহম্মদ, পঞ্চগড়-২: অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম।

ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও-১: মো. খাদেমুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-২: অধ্যক্ষ রাজিউর রহমান বাবুল, ঠাকুরগাঁও-৩: মো. সোলায়মন ঢালী।

দিনাজপুর
দিনাজপুর-২: অ্যাডভোকেট ইমামুল ইসলাম, দিনাজপুর-৩: শহীদুল ইসলাম শহীদুল্লাহ, দিনাজপুর-৪: অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী, দিনাজপুর-৫: অধ্যাপক আতাউর রহমান, দিনাজপুর-৬: শাহ আলম বিশ্বাস।

নীলফামারী
নীলফামারী-১: মো. খায়রুল আলম (আনাম), নীলফামারী-২: জাবির হোসেন প্রামানিক, নীলফামারী-৩: অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম, নীলফামারী-৪: মো. আজিজুল হক।

লালমনিরহাট
লালমনিরহাট-১: ডা. হাবিব মো. ফারুক।

রংপুর
রংপুর-২: কুমারেশ রায়, রংপুর-৩: সাহীদুল ইসলাম।

কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রাম-২: নুরুল ইসলাম বখশী ঠান্ডা, কুড়িগ্রাম-৪: মো. গোলাম হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎ।

গাইবান্ধা
গাইবান্ধা-১: মো. গোলাম আহসান হাবিব মাসুদ, গাইবান্ধা-২: গোলাম মারুফ মনা, গাইবান্ধা-৩: এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদী, গাইবান্ধা-৫: ডা. একরাম হোসেন।

জয়পুরহাট
জয়পুরহাট-১: আবুল খায়ের মো. শাখাওয়াত হোসেন, জয়পুরহাট-২: আবুল খায়ের মো. শাখাওয়াত হোসেন।

বগুড়া
বগুড়া-১: অ্যাডভোকেট হাসান আকবর আফজল হারুন, বগুড়া-৩: আব্দুল মালেক সরকার/মো. ফেরদৌস স্বাধীন (ফিরোজ), বগুড়া-৪: এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন, বগুড়া-৫: রাসেল মাহমুদ, বগুড়া-৬: অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক ইমদাদ, বগুড়া-৭: মো. আব্দুর রাজ্জাক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: অধ্যাপক আবু বাক্কার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২: বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩: আব্দুল হামিদ রুনু।

নওগাঁ
নওগাঁ-১: বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান, নওগাঁ-২: বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, নওগাঁ-৩: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াজেদ আলী, নওগাঁ-৪: অ্যাডভোকেট মো. রিয়াজ উদ্দিন, নওগাঁ-৫: এস এম আজাদ হোসেন মুরাদ, নওগাঁ-৬: অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বুলবুল।

রাজশাহী
রাজশাহী-১: প্রদীপ মৃধা, রাজশাহী-২: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, রাজশাহী-৬: জুলফিকার মান্নান জামী।

নাটোর
নাটোর-১: মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, নাটোর-৪: অ্যাডভোকেট বিপ্লব কুমার রাম।

সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ-১: আব্দুল হাই তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-২: আবু বকর ভূঁইয়া, সিরাজগঞ্জ-৪: মোস্তফা কামাল বকুল, সিরাজগঞ্জ-৫: বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সিরাজগঞ্জ-৬: মোজাম্মেল হক।

পাবনা
পাবনা-১: শেখ আনিসুজ্জামান, পাবনা-২: মোছা: পারভীন খাতুন/শেখ আনিসুজ্জামান, পাবনা-৩: আবুল বাশার শেখ, পাবনা-৪: মো. আব্দুল খালেক, পাবনা-৫: আফজাল হোসেন রাজা।

মেহেরপুর
মেহেরপুর-১: মো. মাহাবুবুর রহমান (মাহবুব চান্দু), মেহেরপুর-২: ওমর আলী।

কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া-১: শরিফুল কবির স্বপন, কুষ্টিয়া-২: হাসানুল হক ইনু, কুষ্টিয়া-৩: গোলাম মোহসীন, কুষ্টিয়া-৪: রোকনুজ্জামান রোকন।

চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা-১: বীর মুক্তিযোদ্ধা সবেদ আলী, চুয়াডাঙ্গা-২: জুলফিকার হায়দার/অ্যাডভোকেট আকসিজুল ইসলাম রতন।

ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ-১: শরাফত ইসলাম, ঝিনাইদহ-২: চন্দন চক্রবর্তী, ঝিনাইদহ-৩: শামীম আকতার বাবু।

যশোর
যশোর-৩: অ্যাডভোকেট রবিউল আলম।

মাগুরা
মাগুরা-১: জাহিদুল আলম, মাগুরা-২: জাহিদুল আলম।

নড়াইল
নড়াইল-১: সাইফুজ্জামান বাদশা।

বাগেরহাট
বাগেরহাট-৩: শেখ নুরুজ্জামান মাসুম।

খুলনা
খুলনা-২: খালিদ হোসেন, খুলনা-৩: শেখ গোলাম মর্তুজা, খুলনা-৫: সুজিত মল্লিক।

সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা-১: শেখ মো. ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, সাতক্ষীরা-৪: অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।

বরগুনা
বরগুনা-১: আবু জাফর সূর্য।

পটুয়াখালী
পটুয়াখালী-১: কে এম আনোয়ারুজ্জামান মিয়া (চুন্নু), পটুয়াখালী-৪: বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু।

ভোলা
ভোলা-১: বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান।

বরিশাল
বরিশাল-২: সাজ্জাদ হোসেন, বরিশাল-৩: কাজী সিদ্দিকুর রহমান, বরিশাল-৪: অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই মাহবুব, চলমান-২, বরিশাল-৫: কে এম মনিরুল আলম (স্বপন খন্দকার), বরিশাল-৬: মোহাম্মদ মোহসীন।

পিরোজপুর
পিরোজপুর-১: সাইদুল ইসলাম ডালিম, পিরোজপুর-২: সিদ্ধার্থ মন্ডল, পিরোজপুর-৩: রণজিৎ কুমার হাওলাদার।

টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল-৪: ড. এস এম আবু মোস্তফা, টাঙ্গাইল-৬: সৈয়দ নাভেদ হোসেন, টাঙ্গাইল-৭: মো. মঞ্জুর রহমান মজনু, টাঙ্গাইল-৮: মো. রফিকুল ইসলাম।

জামালপুর
জামালপুর-৪: গোলাম মোস্তফা জিন্নাহ, জামালপুর-৫: অধ্যাপক খন্দকার মো. ইতিমুদ্দৌলা।

শেরপুর
শেরপুর-১: মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর-২: লাল মো. শাহজাহান কিবরিয়া, শেরপুর-৩, মিজানুর রহমান মিজান।

ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ-১: আমিনুল ইসলাম আমিন, ময়মনসিংহ-২, অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, ময়মনসিংহ-৩: আব্দুল আজিজ, ময়মনসিংহ-৪: অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, ময়মনসিংহ-৬: সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, ময়মনসিংহ-৭: রতন সরকার, ময়মনসিংহ-৯: অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, ময়মনসিংহ-১১: অ্যাডভোকেট সাদিক হোসেন।

নেত্রকোনা
নেত্রকোনা-২: মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির।

কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জ-১: শারফুদ্দিন সোহেল, কিশোরগঞ্জ-৩: মো. শওকত আলী, কিশোরগঞ্জ-৫: নন্দন শেঠ, কিশোরগঞ্জ-৬: রফিকুল ইসলাম রাজা, মানিকগঞ্জ-১: আফজাল হোসেন খান জকি।

মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ-২: মো. রফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী, মানিকগঞ্জ-৩: সৈয়দ সারোয়ার আলম চৌধুরী।

মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জ-১: অ্যাডভোকেট নাসিরুজ্জামান খান, ঢাকা-৫: মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা-৭: ইদ্রিস ব্যাপারি, ঢাকা-৯: অ্যাডভোকেট নিলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী), ঢাকা-১০: শওকত রায়হান, ঢাকা-১৩: অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ খান, ঢাকা-১৪: অ্যাডভোকেট আবু মো. হানিফ, ঢাকা-১৫: মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন, ঢাকা-১৬: মো. নুরুন্নবী।

গাজীপুর
গাজীপুর-১: অ্যাডভোকেট আব্দুর রফিক, গাজীপুর-২: একরামুল হক খান (সোহেল), গাজীপুর-৩: জহিরুল হক মন্ডল বাচ্চু, গাজীপুর-৫: মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম আকন্দ (লিটন)।

নরসিংদী
নরসিংদী-২: জায়েদুল কবীর, নরসিংদী-৪: মো. হুমায়ূন কবির সর্দার।

নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ-৫: মো. শাহজাহান।

রাজবাড়ী
রাজবাড়ী-২: আব্দুল মতিন মিয়া।

ফরিদপুর
ফরিদপুর-১: হারুন অর রশীদ রতন, ফরিদপুর-৪: নাজমুল কবির মনির।

গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ-১: মো. ফায়েকুজ্জামান, গোপালগঞ্জ-২: শেখ মাসুদুর রহমান।

মাদারীপুর
মাদারীপুর-২: সালাহউদ্দিন খান।

শরীয়তপুর
শরীয়তপুর-১: স ম আব্দুল মালেক, শরীয়তপুর-২: মো. ফিরোজ মিয়া (ফিরোজ শাহী)।

সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ-১: এ কে এম অহিদুল ইসলাম কবির, সুনামগঞ্জ-২: মো. আমিনুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ-৩: মো. নাজমুল হক, সুনামগঞ্জ-৪: আবু তাহের মো. রুহুল আমিন (তুহীন), সুনামগঞ্জ-৫: আলাউদ্দিন আহমেদ মুক্তা।

সিলেট
সিলেট-১: শামীম আখতার, সিলেট-২: লোকমান আহমেদ, সিলেট-৩: আব্দুল হাসিব চৌধুরী, সিলেট-৪: মো. নাজমুল ইসলাম, সিলেট-৫: লোকমান আহমেদ, সিলেট-৬: লোকমান আহমেদ।

মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার-১, এ এম মোনায়েম মনু, মৌলভীবাজার-২: অ্যাডভোকেট বদরুল হোসেন ইকবাল, মৌলভীবাজার-৩: আব্দুল মোসাব্বির, মৌলভীবাজার-৪: এলেমান কবির।

হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জ-১: মো. আব্দুল মান্নান, হবিগঞ্জ-২: আবু হেনা মোস্তফা কামাল, হবিগঞ্জ-৩: অ্যাডভোকেট তাজউদ্দিন আহমেদ সুফী, হবিগঞ্জ-৪: জিয়াউল হাসান তরফদার (মাহিন)।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: এস এম আলী আজম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: মো. আব্দুর রহমান খান (ওমর), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫: অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ।

কুমিল্লা
কুমিল্লা-১: ধীমন বড়ুয়া, কুমিল্লা-৫: ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা-৬: মনিরুল ইসলাম।

চাঁদপুর
চাঁদপুর-১: মো. সাইফুল ইসলাম সোহেল, চাঁদপুর-২: মো. হাছান আলী সিকদার/শহীদ আলমগীর, চাঁদপুর-৩: মুহাম্মদ মাসুদ হাছান, চাঁদপুর-৫: মনির হোসেন মজুমদার।

ফেনী
ফেনী-১: শিরীন আখতার।

নোয়াখালী
নোয়াখালী-১: মো. হারুন অর রশীদ সুমন, নোয়াখালী-২: নইমুল আহসান জুয়েল, নোয়াখালী-৪: এস এম রহিম উল্যাহ, নোয়াখালী-৫: মোহাম্মদ মোকসুদের রহমান মানিক, নোয়াখালী-৬: ইশরাজুর রহমান শামীম।

লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর-২: আমির হোসেন মোল্লা, লক্ষ্মীপুর-৩: অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম, লক্ষ্মীপুর-৪: মোশারেফ হোসেন।

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম-৩: নুরুল আখতার, চট্টগ্রাম-৮: শ্যামল বিশ্বাস, চট্টগ্রাম-১১: জসিম উদ্দিন বাবুল, চট্টগ্রাম-১৬: কামাল মোস্তফা চৌধুরী।

কক্সবাজার
কক্সবাজার-১: মো. নাজিম উদ্দিন, কক্সবাজার-৩: নাইমুল হক চৌধুরী টুটুল।

   

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাসায় ফিরছেন খালেদা

বাসায় ফিরছেন খালেদা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

এর আগে গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে। 

;

বিএনপি শ্রমিকদের বন্দুকের জোরে জিম্মি করে রেখেছিল: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককেও হত্যা করেছে তারা।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে বন্দুকের জোরে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে মন্তব্য করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো দিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি।

তিনি বলেন, তারা আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। শ্রমজীবী মানুষসহ সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ লাখ ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।

;

সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আররের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

;

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানার উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।

তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।

দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।

পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

;