নৌকার অপেক্ষায় গণফ্রন্ট



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জোটবদ্ধভাবে ভোট করতে নির্বাচনের কমিশনের ডাকে সঠিক সময়ে সাড়া দেয়নি গণফ্রন্ট। সময় শেষ হওয়ার একদিন পরে নিজেদের মাছ প্রতীকের পরিবর্তে জোটবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার আবেদন জানিয়েছে দলটি। ফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করে পার হতে অপেক্ষা করতে হবে গণফ্রণ্টের। এখন কোনো প্রতীকে ভোট করতে পারবে কি সে সিদ্ধান্ত নেবে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের গনপ্রতিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নিতে চাইলে তফসিল ঘোষণার তিনদিনের মধ্যে তা জানাতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। সে লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন। শনিবার (১৮ নভেম্বর) তা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে বলে জানানো হয়। সে অনুযায়ী, ৯টি নিবন্ধিত দল শেষদিন নৌকা প্রতীকে ভোট করার জন্য কমিশনকে চিঠি দেয়।

এদিকে নির্ধারিত সময়ে চিঠি দিতে না পেরে একদিন পর গণফ্রন্ট রোববার (১৯ নভেম্বর)) কমিশনে নৌকা প্রতীকে ভোট করতে আগ্রহ প্রকাশ করে দলটি।

এই পরিস্থিতিতে গণফ্রন্ট জোটবদ্ধভাবে নৌকা প্রতীকে ভোট করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে বার্তা২৪.কমকে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, চিঠি দেয়ার সময় শেষ হয়ে গেছে। আইনে সময় বাড়ানোর কথা উল্লেখ নেই। এ ক্ষেত্র চিঠিটি আমরা কমিশনে উপস্থাপন করবো। কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে এ ব্যাপারে। চাইলে কমিশন আমলে নিতে পারেন। নাও নিতে পারেন।

এদিকে গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের সাথে গণফ্রন্ট জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে পারে। সেক্ষেত্রে নৌকা ও মাছ প্রতীক ব্যবহার করা হবে। সে ক্ষেত্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ে যে ৯টি দল নৌকা প্রতীক চেয়েছে: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাশেদ খান মেনন নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টি, হাসানুল হক ইনু নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জেপি), দিলীপ বড়ুয়া নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দল, ব্যারিস্টার আরশ আলীর নেতৃত্বাধীন গণতন্ত্রী পার্টি (প্রতীক কবুতর), রওশন এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি, একিউএম বদরুদোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

   

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন সাবেক মন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পেয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছেন তিনি।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আনিছুর রহমান ও বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা পরিষদ ও বেলকুচি উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। পদত্যাগ পত্রটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাবর প্রেরণ করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আনিছুর রহমান।

বেলকুচি উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট থেকে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছে। এসময় সাবেকমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সঙ্গে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানুর বিশ্বাসসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ১৯৯৬-২০০১ ও ২০০৮-২০১৪ সালে দুই মেয়াদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মহাজোট সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পরে ২০১৫ সালের (৮ জানুয়ারি) সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন।

;

সজীব ওয়াজেদ জয়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সজীব ওয়াজেদ জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। 

সজীব ওয়াজেদ জয় ২০১৪ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত আছেন। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেয়া হয়।

এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম পদত্যাগ পত্র জমা দেন। একই সঙ্গে সেদিন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।

;

সংবিধান মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সংবিধান মেনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের নিজ বাসভবনে আবারও নৌকা প্রতীক মনোনয়ন পাওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে এবং তা যথা সময়ে সংবিধান মেনেই হবে। চাপ থাকতেই পারে যেহেতু সিইসি কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছে যে, সব রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করলে তারা খুশি হতেন, ভালো হতো। দুয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে হামলা করে গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করছে, আগুন দিচ্ছে, এসমস্ত কারণে হয়ত দুয়েকজন অস্বস্তি বোধ করতে পারে। কিন্তু তাতে নির্বাচন থেমে থাকবে না। নির্বাচন যথা সময়েই সংবিধান মেনে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমা হওয়ার পরেই বোঝা যাবে যে, নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগ দলই আছে না অন্য দলও আছে। ইতোমধ্যেই জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আমাদের জানামতে, প্রায় ২৮ থেকে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এসময় বিএনপি প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, বিএনপি এখন আর রাজনৈতিক দলে নেই। তাদের কর্মকাণ্ডে তারা এখন সাধারণ মানুষের কাছে সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে। এই সন্ত্রাসী দলের নেতারা কোথায় কোন আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে কি বক্তব্য দিচ্ছে সেটা নিয়ে আর আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।

এসময় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দি উপস্থিত ছিলেন।

;

‘সময়সীমা অতিক্রম করে তফসিল পরিবর্তন সমর্থন করবে না আ.লীগ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সংবিধানের সময়সীমা অতিক্রম করে তফসিল পরিবর্তন আওয়ামী লীগ সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের জন্য সংবিধানের মধ্যে একটা সময় সীমা আছে, সেই সময়সীমা অতিক্রম করে তফসিল পরিবর্তন আমরা কখনো সমর্থন করবো না। সময় সীমাকে অতিক্রম করবে এমন কোন পদক্ষেপ, এমন কোন পরিবর্তন আমরা সমর্থন করবো না।

তিনি আরও বলেন, একটি পক্ষ নিজেরাই নির্বাচনের বাহিরে আছে। কেউ তাদেরকে বাইরে রাখেনি। আমরা বারবার বলে যাচ্ছি, আমরা চাই না কেউ নির্বাচনে বাইরে থাকুক। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ইলেকশন চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দফতর সায়েম খান প্রমুখ।

;