রংপুর মহানগর বিএনপির ৫ নেতার ১০ বছরের কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকুসহ ৫ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। রায়ে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। 

সোমবার (২০ নভেম্বব) দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক কৃষ্ণকান্ত এ রায় প্রদান করেন। রায় প্রদানের সময় মাহফুজ উন রবী ডন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম নয়ন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি তারেক হাসান সোহাগ ও যুবদলী কর্মী আরিফ হোসেন।

মামলায় অন্য দুই আসামি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টু মারা যাওয়ায় তাদেরককে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। 

রাষ্ট্রপক্ষের কুশলী আব্দুস সাত্তার জানান, ২০১৩ সালের ১৯ মে যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দলের হরতালের আগের রাতে রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট মাঠে ঢাকা কোচে  অগ্নিসংযোগের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এসময় পুলিশ আসামিদের হাতেনাতে গ্রেফতার করে। পরে তাদের কাছে থেকে ৫৬টি ককটেল বোমাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের গ্রেফতার পূর্বক তৎকালীন কোতয়ালী থানার এসআই চন্দন কুমার চক্রবর্তি মামলা করেন। ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ এবং জেরা শেষে তাদের বিরুদ্ধে এই রায় প্রদান করা হয়। রায়ে সন্তষ্ট হওয়ার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

আসামিপক্ষের আইনজীবি আফতাব হোসেন জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতে হয়ে এই রায়ে প্রদান করা হয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সরকার ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানান তিনি।

   

নির্বাচনে বাধা নিয়ে চুপ কেন ইউরোপ-আমেরিকা, প্রশ্ন কাদেরের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করছে বিএনপি। এখন নির্বাচনে বাধা নিয়ে চুপ কেন ইউরোপ-আমেরিকা প্রশ্ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের।

তিনি বলেন, নির্বাচনে বাধা প্রশ্নে তাদের (বিএনপি) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি হরতাল ডাকছে, অবরোধ ডাকছে। তারা প্রকাশ্যে হামলা করে পুলিশ হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছে। এসব কর্মকাণ্ড যারা করছে নির্বাচনকে বাধা দেওয়ার জন্য আমাদের সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ করছে। এটা কি আন্দোলন? এটা তো নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা। তাদের বিরুদ্ধে তো নিষেধাজ্ঞা আসার কথা।

;

মেরি আঙিনায় তোমহারা কিয়া কামহে, কাজী ফিরোজকে সাঈদ খোকন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম জমা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদকে উদ্দেশ করে সাঈদ খোকন বলেন, মেরি আঙিনায় তোমহারা কিয়া কাম হে (আমার আঙিনায় তোমার কি কাজ)।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আমাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রী। তিনি বাংলার মানুষকে যে কথা দিয়েছিল, দেশকে ডিজিটাল গড়ে তুলবে। সে কথা তিনি রেখেছেন। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

বাংলাদেশের এই উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশের যে রূপরেখা সেসব আমরা বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে তুলে ধরব এবং ভোট চাইব। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমার এলাকার মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য আমাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রীর হাতে এ দেশের কর্তৃত্ব তুলে দেবেন ইনশাআল্লাহ।

এ সময় গতবারের মহাজোটের প্রার্থী কাজী ফিরোজের বিষয়ে জানতে চাইলে এবং আবারও ঢাকা-৬ আসন মহাজোটের প্রার্থীকে দেওয়া হলে কি করবেন জানতে চাইলে কাজী ফিরোজকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমি একটি হিন্দি বাংলা গানের কথাই বলব ছোট বেলায় আমরা শুনতাম। মেরি আঙিনায় তোমহারা কিয়া কামহে। আর বেশি কিছু বলতে চাই না।

তবে দল যদি সিদ্ধান্ত নেয় ওই আসন জাতীয় পার্টি বা মহাজোটের প্রার্থীকে দিবেন সে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আওয়ামী লীগের জন্য নিরলসভাবে কাজ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

উল্লেখ, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসনটি দেওয়া হয়েছিলো জাতীয় পার্টি ও মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশিদকে। বর্তমানে সংসদ সদস্য হিসেবে সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

;

দেশব্যাপী অবরোধ ও হরতাল পালনের আহবান সুইডেন বিএনপির



জামান সরকার, হেলসিংকি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ডাকে সরকার পতনের একদফা দাবিতে দেশব্যাপী আগামী বুধবার অবরোধ ও বৃহস্পতিবার হরতাল পালনের আহবান জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল আবেদীন মোহন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী স্টোকহোমে সুইডেন বিএনপির এক সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে নাজমুল আবেদীন মোহন আরো বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার, আলবদরদের মতো গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতারা পুলিশ দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধীদের গ্রেফতার করাচ্ছে। বাবাকে না পেয়ে সন্তানকে, বড় ভাইকে না পেয়ে ছোট ভাইকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে এক অমানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ২৮শে অক্টোবরের পর বিরোধী দলসমূহের প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে পাশের দেশের তাঁবেদার সরকার গঠনের চেষ্টা চলছে। দেশের জনগণ তা মেনে নিবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে নিজেদের পরস্পরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখিয়ে যে সাজানো নির্বাচন করতে চাচ্ছেন এতে তার শেষ রক্ষা হবে না। জনগণের কাছে তাদের সকল ষড়যন্ত্রের মুখোশ ধরা পড়ে গেছে।

সুইডেন বিএনপির সিনিয়র নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টু বলেন, দু-একজন নীতিভ্রষ্ট মানুষ ছাড়া বিরোধী শিবিরের কাউকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে নিতে পারেনি। তাই সরকারের মধ্যে বিরাট হতাশা তৈরি হয়েছে। ভেবেছিলো বিএনপিকে ভেঙে খানখান করে দেবে। কথা বলে বিএনপি থেকে নেতা–কর্মীদের ভাগিয়ে আনবে। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।

সুইডেন বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদ হোসেন কচি বলেন, আন্তর্জাতিক মহল বারবার সতর্ক করার পরও সরকার গোঁড়ামি করে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত একপেশে নির্বাচন আয়োজন করার কারণে দেশ বড় ধরণের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়বে। জনগণকে বলবো, আপনারা রাস্তায় নামুন।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সুইডেন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোতাহার হোসেন জাহাঙ্গীর, আনোয়ার হোসেন পাঠান, নাজমূল ভূঁইয়া, আরশাদ খান টুটুল, শাহাদাত হোসেন কায়জার, হাসান খন্দকার, শরীফ খান, মেহরাব, রাইসুল ও রাজীব।

বক্তারা আওয়ামী সরকারের পেটোয়া বাহিনী ছাত্রলীগ কর্তৃক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার নিন্দা জানান।

 

 

;

ছাত্রলীগের ‘নৌকার জন্য ৩০ মিনিট’ ক্যাম্পেইন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যীগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘নৌকার জন্য ৩০ মিনিট’ ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সেক্রেটারি শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, নতুন ভোটার, তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং আওয়ামী লীগকে পুনরায় নির্বাচিত করতে দলটির এই আয়োজন। ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে নেতাকর্মীদের প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য ব্যয় করতে বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে নেতাকর্মীদের ৬টি নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

১. দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মসূচি প্রচার করবে।

২. Smart Bangladesh কর্মসূচি সম্পর্কে তুলে ধরবে।

৩. করোনা ও বৈশ্বিক যুদ্ধ মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার প্রেক্ষাপট আলোকপাত করবে।

৪. বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা বিরোধী গোষ্ঠী ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাবে।

৫. ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট, বিভিন্ন গ্রুপ, পেইজ প্রভৃতিতে উল্লিখিত বিষয়গুলো তুলে ধরবে।

৬. সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজের বক্তব্য লেখা, ভিডিওগ্রাফি, অ্যানিমেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অনলাইন পেইন্টিং ইত্যাদি মাধ্যমে প্রকাশ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাঙালির জীবন-কর্ম, নিরাপত্তা, মর্যাদা, সম্পদ-সমৃদ্ধি, স্বাধীনতার স্থায়ী ঠিকানা, অপ্রতিরোধ্য-উন্নত ও আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশের প্রতীক,গণতন্ত্র-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার রক্ষাকবচ, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, নতুন ভোটার, তরুণ প্রজন্ম ও ছাত্রসমাজের প্রত্যেক বন্ধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শেখ হাসিনার জন্য নিবেদন করবে।

 

আরো পড়ুন: মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ১৭৪ জনের, জমা ৯

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে সাধারণ জনতা, ছাত্রসমাজ, তরুণ প্রজন্ম ও নবীন ভোটার এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অঙ্গীকারবদ্ধ। তারা নিরলসভাবে দিন-রাত্রি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কাজ করে চলেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণার জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ক্রিয়াশীল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎপরতা বৃদ্ধি করার নির্দেশনাও দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি তাদের এই ক্লান্তিহীন পথচলায় 'নৌকার জন্য ৩০ মিনিট' ক্যাম্পেইন হবে সময়োপযোগী ও গতিনির্ধারক।

;