নির্বাচন প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনও হয়নি: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা এবং জোট প্রশ্নে আবারও সময় হলেই সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, দেশ, জনগণ ও পার্টির জন্য যা ভালো হয় সেই সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রেসিডিয়ামের পর কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটিও নির্বাচন এবং জোট প্রশ্নে জিএম কাদেরকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করলো। তারই জবাবে এমন মন্তব্য করেন জিএম কাদের। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) আইডিইবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির নির্বাহী কমিটি ও জেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এমন মন্তব্য করেছেন বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।

সভায় জি এম কাদের বলেন, ‘‘জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে কি না তা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে নানাভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাই, তখনই পিছুটান আসে কিন্তু সরকার দল ভাঙতে পারছে না। আমার অনুরোধ, যে সিদ্ধান্ত নেব, সবাই সে সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন হয়তো সবার মতামতের প্রতিফলন নাও হতে পারে। রাজনীতিতে আবেগের মূল্য দিলে পথভ্রষ্ট হতে হবে, বাস্তবতাকে মূল্য দিতে হবে।”

রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে জেলা পর্যায়ের প্রায় ৬৫ জনের মতো নেতা বক্তব্য রাখেন। তারা প্রায় সকলেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট না করার পক্ষে কথা বলেন। তারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেনি। আওয়ামী লীগ কোন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি, তাদের বিশ্বাস করা যায় না। বেশ কয়েকজন নেতা সরাসরি বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনের পক্ষেও মত দিয়েছেন।

জেলা নেতাদের বক্তব্যের পর জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি বলেছেন, আজকে দেশ একটি জটিল সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না! নির্বাচনে অংশ নিলে কোনো জোটে যোগ দেবে কিনা। এসব প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আপনারা কি পার্টির চেয়ারম্যানকে ক্ষমতা দিতে চান? জবাবে সকলেই হাত উঁচিয়ে সমর্থন জানান বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, জিএম কাদের তার বক্তৃতায় কোন সিদ্ধান্ত জানাননি। সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য আরও সময় নিয়েছেন। সময় হলেই পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত জানাতে চেয়েছেন। বক্তৃতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের চিঠির প্রসঙ্গে তুলেছেন। সেই চিঠিতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে ভিসানীতি প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। আমরা কি সেই দায় নেবো!

জিএম কাদের তার বক্তৃতায় নির্বাচনে গেলে কি হবে। না গেলে কি হবে এমন প্রশ্ন রেখেছেন নেতাদের কাছে। তখন অনেকেই স্লোগান দেন, দালালি না রাজপথ? অন্যরাও জবাব দেন স্লোগান গলা মেলান, রাজপথ, রাজপথ। জিএম কাদের সংলাপে বেশি জোর দিয়েছেন।

পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সভাপতিত্ব রূদ্ধদ্বার সভাটি বেলা সোয়া ১১টায় শুরু হয়, শেষ হয় বিকেল সোয়া ৫টায়। সিনিয়র নেতারা প্রায় সকলেই উপস্থিত হন। তবে পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও তার পুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদকে অনুপস্থিত থেকেছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দোদুল্যমান অবস্থার মধ্যেই জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় পার্টিতে মোটা দাগে দু’টি ধারা বিদ্যমান, একটি অংশে রয়েছেন যারা নিয়মিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন হচ্ছেন। ভবিষ্যতেও প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরেকটি বড় অংশ রয়েছে যারা জেলা, উপজেলাসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বে রয়েছেন। তৃণমূলের নেতারা অনেকেই বঞ্চিত কেউ কেউ নানাভাবে হয়রানির শিকারও হয়েছেন। তাদের ভাবনা এক রকম। আবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের ভাবনা অন্য রকম, তারা জয় পরাজয়ের হিসেব কষে সিদ্ধান্ত নেন। কোন জোটে গেলে কি হতে পারে সেটিও মাথায় রেখে ছক কষেন। এমনও অনেকে রয়েছেন যারা ২০১৪ এবং ২০১৮ কোন ফর্মুলায় নির্বাচনেই বেশি আগ্রহী। যাতে তাদের জয় সহজ হয়।

২০১৪ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করার পর হঠাৎ করেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু বড় একটি অংশ এরশাদের নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনে থেকে যান। এবারও সে রকম দৃশ্য চিত্রায়ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। যে কারণে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে চান জিএম কাদের।

যে কোনো দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আসতে পারে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট তত্বাবধায়কের দাবিতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। দাবি আদায়ে হরতাল অবরোধসহ টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল এখন পর্যন্ত অবস্থান পরিষ্কার করেনি।

৪ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আমরা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। আমরা এখনও জানি না দেশের পরিস্থিতি কি হবে। তবে সময় এলে সিদ্ধান্ত নেবো, নির্বাচনে অংশ নেবো কিনা। যতক্ষণ ঘোষণা না দিয়েছি, ততক্ষণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আছি।

জাতীয় পার্টির নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছর। নির্ধারিত সময়ে কাউন্সিল করতে না পারায় দুই দফায় সময় নেওয়া হয়েছে ইলেকশন কমিশন থেকে। বিশাল আকারের নির্বাহী কমিটির একটি মাত্র বর্ধিত সভা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর প্রথম পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

   

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;

সরকার উৎখাতের দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না: মির্জা আব্বাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার বা রাখার দায়-দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে , তখন এই সরকারকে লাথি দিয়ে ফেলে দিবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

গ্রেফতার করে পৃথিবীর কোন আন্দোলন, কোন স্বৈরশাসক থামাতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না এমন মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, একদিন না একদিন এই স্বৈরশাসকের পতন ঘটবেই জনরোষের মুখে। এটাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

তিনি বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সে নির্বাচন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই। এখন একটি কাজ করতে পারেন রাজতন্ত্র কায়েম করতে পারেন। নির্বাচনের কথা আপনাদের (সরকার) মুখে মানায় না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, কাদের সাহেব বললেন, জেলে কোন রাজবন্দী নেই। কি সুন্দর কথা বললেন কাদের সাহেব, আমার খুব হাসি পায়। কাদের সাহেব আপনি যখন ওয়ান-ইলেভেনে জেলে ছিলেন। আপনি কি চোর হয়ে সেদিন জেলে গিয়েছিলেন? না, রাজবন্দী হয়ে জেলে গিয়েছিলেন, আমি জানতে চাই। এক - এগারোর সময় আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী উনিও জেলে গিয়েছিলেন। উনি কি হয়ে জেলে গিয়েছিলেন? আমি জানতে চাই।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

;

প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গণতন্ত্র, সুশাসনের আবহাওয়া তৈরি করতে সর্বশেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করে বিএন‌পির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করবো। কিন্তু আমাদের গায়ে যদি লাঠির আঘাত আসে তাহলে কতদিন শান্তিপূর্ণ থাকবো। প্রতিবাদ আর প্রতিরোধ একসঙ্গে চালাতে হবে। না হলে আরও অনেককে কারাগার যেতে হবে।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট আওয়ামী লীগ, পুলিশ আওয়ামী লীগ, প্রশাসনের ডিসি এসপিরা ছাত্রলীগ। এরকম একটা পরিবেশে মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোন ন্যায় বিচার নেই। মানুষ আদালতে যায় প্রতিকার পাওয়ার জন্য সেটাও নেই।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুদিন ধরেই বলছেন তাকে নাকি কিছু রাজনৈতিক দল উৎখাতের চেষ্টা করছে। আমার কথা হচ্ছে রাজনৈতিক দল উৎখাতে চেষ্টা করবে কেন? আপনি (শেখ হাসিনা) আপনার সরকার উৎখাত হোক এটা তো জনগণ চাচ্ছে। আর ক্ষমতায় আসা না আসা এটা কোন রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে জনগণের ওপর। আপনি জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছেন, ভোটার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন। আপনার ক্ষমতা চলে যাক এটা জনগণ চায়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ১৯৭৮, ৭৯ সাল থেকে গণতন্ত্র নাকি ধ্বংস করা হয়েছে। ওনি নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমরা গণতন্ত্র, রাষ্ট্র, সরকারের আভিধানিক অর্থ জানি। কিন্তু শেখ হাসিনার যে কথাবার্তা চিন্তা ধারা সেটা জানতে হলে আলাদা একটা ডিকশনারি খুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের কথা বলে। একটা প্রবাদ আছে অন্ধের হাতি দর্শন শেখ হাসিনার উন্নয়ন। মানুষ অভুক্ত, খেতে পারছে না তারপরও শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলতে হবে। আলু, পেঁয়াজ, বোরো চাষ করার জন্য কৃষকরা ৫০০০ টাকা ঋণ নেয়, সেই ঋণ শোধ করতে না পারলে কৃষকদেরকে জেলে যেতে হয়। আর হাজার হাজার কোটি টাকা যারা ঋণ নিয়েছে তারা হচ্ছে ক্ষমতার ঘনিষ্ঠ। তারা প্রকাশ্য আলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা শেখ হাসিনার সুশাসনের নমুনা।

;