‘সরকার বেশিদিন থাকলে দেশ স্থিতিশীল থাকে কথাটি টোটালি রঙ’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

একটি সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশ স্থিতিশীল থাকে কথাটি টোটালি রঙ। এতে আরও অস্থিতিশীলতার বীজ বপন হয়, যা আমরা বীজ বপন করছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন আয়োজিত যোগদান অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ ও শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০ জন আইনজীবী জাপায় যোগদান করেন।

জিএম কাদের আরও বলেন, মানুষ নানান কারণে ক্ষোভে ফুঁসছে। যে কোন সময়ে বড় কিছু ঘটতে পারে। যদি বড় কিছু ঘটে তাহলে কি হবে। তাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। এটা কি স্থিতিশীলতার লক্ষণ।

তিনি বলেন, আমরা সিলেকশন চাই না, আমরা ইলেকশন চাই, এখন সিলেকশন হচ্ছে এই নির্বাচনকে ইলেকশন বলতে পারি না। নির্বাচন কমিশন চাইলেও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। আগের বাংলাদেশ ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশের তালিকায় ছিল। জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র থেকে নামিয়ে স্বৈরশাসিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

উন্নয়ন ব্যাপকভাবে বলা হচ্ছে, যে অবকাঠামো উন্নয়ন, মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। সমাজে অসমতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, বৈষম্যকে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ১০ ভাগ লোককে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, অন্যদের নর্দমায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ একটি দেশের সভ্যতার প্রতীক, একে দিয়ে সভ্যতার মাপকাঠি বিচার করা হয়। আমরা কতটা সভ্য হয়েছি তা বিচার বিভাগ দিয়ে মূল্যায়ন করা যায়। রাজা আইনের ঊর্ধ্বে থাকেন, রাজতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র আইনের শাসন দিতে পারে না। একমাত্র গণতন্ত্র আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পারে। আমাদের দেশের যে অবস্থা তা দিয়ে বিচার করতে হবে, আমরা এখন গণতন্ত্রে আছি না কোথায় আছি! নিম্ন আদালত সরকারের নিন্ত্রয়ণে, সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে কোন রায় দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার প্রধানের হাতে নিম্ন আদালত সম্পূর্ণ এবং উচ্চ আদালতে ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রিত। আইনের কাঠামোর মধ্যমেই তাকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই কাঠামোর মধ্যে থেকে আইনের শাসন আশা করা যায় না।

গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি পরিবার চলতে পারে না। এটি দাসপ্রথার চেয়েও খারাপ অবস্থা, মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখবেন না! বলা হয় বেতন বাড়ালে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না বাংলাদেশ। তাহলে তাদের রেশন দিন, না হলে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দিন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, কবীর সুমনের কথা বলতে হয়, কেউ কথা রাখেনি। ৯০ সালে তিন জোটের অঙ্গীকার ছিল আমার ভোট আমি দেবো। কিন্তু তারা কোন কথা রাখেনি। তারা আবার দুই জোট হয়েছে, আবার এক দফা। এই জোটের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দেশের মানুষ ত্রাহি অবস্থা। মানুষ দল দুটির ওপর ত্যাক্ত বিরক্ত। দেশে আইনের শাসন নেই, আইনের শাসন না থাকলে সমাজ ধ্বংস হয়ে যায়। উচ্চ আদালতে যদি যোগ্য বিচারপতি না থাকে, সে সমাজে ন্যায় বিচার আশা করা ঠিক না।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে এক বিদেশির কথা হয়েছিল, তাকে আওয়ামী লীগ বলেছে নির্বাচনে নৌকার সঙ্গে জাপা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে ৫টির বেশি আসন পাবে না। আমি তাকে বলেছি, তারা তো বেশি বলেছে, এই অবস্থায় জাপা একটি আসনও পাবে না, আর যদি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে প্রধানমন্ত্রী করে কেবিনেট থাকে, তখন আমরা একক সরকার গঠন করবো। চ্যালেঞ্জ দিলাম যদি না পারি তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দিবো।

তিনি বলেন, নির্বাচন যদি ফেয়ার না হয়, আমরা ভোট পাবো না, আমাদের ভোটাররা নিরীহ। আওয়ামী লীগের লোকজন নিরীহ না, তারা পুলিশ নিয়ে এসে ভোট নিবো। যারা আমাদের খাটো করে দেখবে তাদের সঙ্গে প্রেম নেই। আগামী নির্বাচন যদি মিনিমাম ফেয়ার হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে
নিজের বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবেন। মারমুর খেতে হলে খাবো।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, অসম নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। আমার হাত-পা বেধে সাঁতরাতে বলেন আমিতো ডুবে মরবো। আর আপনি সাঁতরিয়ে পার হয়ে যাবেন। শেষ বয়সে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত হতে চাই না, কারো নির্বাচন বৈধতা দিতে পারি না। সিগন্যাল ডাইনে দিয়ে বায়ে যাবো না। অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। আমি আওয়ামী লীগের সঙ্গে শান্তি কমিটি করবো, যাকে একাত্তরে গুলি করে হত্যা করেছি। এবার সেই শান্তি কমিটিতে নাম লেখাবো। পৃথিবীর কোনো প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা নেই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো।

জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সভাপতি ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সেখ মো. সিরাজুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র বলা হয়। আর জিএম কাদের অদম্য ভূমিকা পালন করে গণতন্ত্রের বরপুত্র হিসেবে আর্বিভূত হয়েছেন। আপনারা একমত হলে তাকে এই উপাধিতে ভূষিত করতে চাই। অন্যরা হাত উচিয়ে সমর্থন জানান। আজ থেকে জিএম কাদের এই উপাধিতে ভূষিত হবেন। বাংলাদেশে এখন যারা রাজনীতি করেন তাদের মধ্যে বেস্ট হচ্ছেন জিএম কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, খেলা হবে। খেলতে গেলে দুটি দল লাগে। আপনি রেফারি, আপনি বিচারক আর বলবেন খেলা হবে। তা হয় না। আপনি যদি খেলতে চান, নিরপেক্ষ মাঠ তৈরি করুন।

যোগদানকারী সুলতান আহমেদ খান বলেন, কেন আমরা জাতীয় পার্টিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাইনি, অনেক জায়গায় ধর্না দিয়েছি কাউকে পাইনি। অনেক যোগ বিয়োগ করে ক্যালকুলেশন করে আবিষ্কার করেছি জাতীয় পার্টিকে, জিএম কাদেরকে।

যোগদানকারী শহীদুল ইসলাম মোল্লা বলেন, একদল ক্ষমতায় থাকার জন্য আরেকদল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য হানাহনিতে লিপ্ত। শুধুমাত্র জাতীয় পার্টি মানুষের কথা বলছে। অনুষ্ঠানে শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম।

   

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা বসবে শনিবার। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ফরম বিক্রি শুরু হয়ে ২৯ এপ্রিল বিকেল পর্যন্ত চলে। এসময়ের মধ্যে ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ২৫ জন।

শনিবারের সভায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ওই আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করবে।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ আসনে আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

;

জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন: ফারুক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেছেন, জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকালের সংবাদ সম্মেলনে একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বড় কথা বলা যায়। ক্ষমতায় থাকলে গ্রেফতারও করা যায়। ক্ষমতায় থাকলে বিনা কারণে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা যায়। কিন্তু জনগণ যখন রাস্তায় নেমে পড়বে তখন এ সকল কথায় কোন কাজ হবে না। তখন ক্ষমতা আপনাকে ছাড়তেই হবে। তাই বলবো, জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনটা পাস করে দিয়ে নিরবে বিদায় নেন।

শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে' আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশেটির আয়োজন করে স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, বিএনপির তো অস্তিত্বই নাই। বিএনপি নাকি টিকবে না, বিএনপি অসত্য কথা বলে। বিএনপি বাসে আগুন দেয় বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তাই বিএনপি'র অস্তিত্ব থাকতে পারে না। এই সকল কথাগুলো আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখ থেকে ১ টি বছর যাবত শুনে আসছি এবং এখনো শুনতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর একটি সংবাদ সম্মেলন পত্রিকায় এসেছে। যে দেশে মানবাধিকার এবং সংবিধান লুন্ঠিত হচ্ছে এমন একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন , আমাকে ছাড়া আর এদেশে কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে, কেইবা আছে। কিন্তু আমি বলব আপনাকে সরাবার ইচ্ছা আমাদের ছিল না। কারণ বিএনপি এমন একটি নেতার দল যে নেতা বাংলাদেশকে তলা বিহিন ঝুড়িতে রূপান্তরিত করেছে। তাই এমন নেতার দল কস্মিনকালেও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করতে পারে না।

ষড়যন্ত্র মূলত আওয়ামী লীগ করে এমন মন্তব্য করে জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, আপনারা যদি ষড়যন্ত্র না করতেন তাহলে ২০১৪ সালে কেন বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনে গেলেন। কেন ২০১৮ সালে বিএনপি'র সঙ্গে অঙ্গীকার করার পরও দিনের ভোট রাতে করলেন। কেন ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি ভাই ভাই ডামি ভোট করলেন। এ সকল কথার উত্তর আপনাকে একদিন দিতে হবে।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, বিএনপি আপনাকে এবং আপনার দল আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় এই কারণে যে জনগণ চায় না আপনারা আর ক্ষমতায় থাকেন। কারণ জনগণ চায় না তিন টাকার কলা ১৪ টাকায় কিনুক। দ্রব্যমূলের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আপনি বিরোধী দলের নেতাদেরকে যেভাবে বিনা কারণে জেলখানায় রাখছেন, তাতে জনগণ মনে করে আপনার দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব না। আর আপনার আমলে অর্থনৈতিক কোন কালেই চাঙ্গা হবে না। তাই জনগণ চাচ্ছে আপনি সরে যান। যার প্রমাণ জনগণ ৭ জানুয়ারির ভোটে দিয়েছে, কয়েক পার্সেন্টও ভোট পড়েনি।

জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বড় কথা বলা যায়। ক্ষমতায় থাকলে গ্রেফতারও করা যায়। ক্ষমতায় থাকলে বিনা কারণে খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা যায়। কিন্তু জনগণ যখন রাস্তায় নেমে পড়বে তখন এ সকল কথায় কোন কাজ হবে না। তখন ক্ষমতা আপনাকে ছাড়তেই হবে। তাই বলবো জনগণের কাছে হেরে যাওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনটা পাস করে দিয়ে নিরবে বিদায় নেন।

স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবীব, বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দীকী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, সাবেক ছাত্র দলের সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, মৎস্যজীবী দলের ইসমাইল হোসেন সিরাজী, আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

;

নওগাঁয় আ. লীগ নেতার নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ: ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত, বিল্লা ও সৌরভ - নওগাঁ পত্নীতলার ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত, বিল্লা ও সৌরভ - নওগাঁ পত্নীতলার ছাত্রদল নেতা

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর পত্নীতলায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ‘ঘোড়া’ মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরীর নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ করা হয়েছে।

আব্দুল খালেক চৌধুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বৃহস্পতিবার রাতে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

শোকজ পাওয়া ছাত্রদলের দুই নেতা হলেন, নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন সৌরভ ও নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক আবু হোরাইরা বিল্লা।

শোকজ নোটিসে উল্লেখ করা হয়, পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আপনি এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন। দল যেখানে নির্বাচন থেকে দূরে আছে, যা দলীয় শৃঙ্খলা, এমন অবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় কেন সাংগঠনিক চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি উপস্থিত হয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট লিখিত জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইলো৷ অন্যথায়, আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শোকজের বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা বিল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সবাই জানে যে, চৌধুরী সাহেবের সঙ্গে বেশি চলাফেরা। তার সঙ্গে থাকি। একটু ঘোরাঘুরি করেছি। সেজন্য জেলা থেকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে।

অন্যদিকে, আরেক ছাত্রদল নেতা আরিফ হোসেন সৌরভের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন বিন ইসলাম দোহা বলেন, নজিপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন সৌরভকে আমরা ভিডিওতে প্রচারণায় দেখতে পেয়েছি। এই জন্য আমরা তাকে বহিষ্কার করবো এবং নজিপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হোরাইরা বিল্লাকে ফোন করা হলে ‘পরবর্তীতে এমন ভুল হবে না’ জানিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

;

বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য বেগম জিয়ার বিচার প্রলম্বিত হচ্ছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য বেগম জিয়ার বিচার প্রলম্বিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় গ্রেফতার ও বন্দি হয়েছেন। আমি বলবো বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, বেগম জিয়া আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা, এক বছরের বিচার দশ বছরেও শেষ হয়নি এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী। রাজপথেও তারা মুক্তির দাবিতে দেখার মতাও বিক্ষোভ মিছিলও করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং শেখ হাসিনার উদারতার জন্য শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকা ও চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে চিকিৎসা করায় সহযোগীতা করেছে।

দেশি-বিদেশি চাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যুক্তিযুক্ত কতটা সেটা আমরা দেশ চালাচ্ছি, সেটা তো আমরা উপলব্ধি করি। কিভাবে আমাদের উপর চাপ দেয়া হয় সেটা আমরা দেশ শাসন করতে গিয়ে, দেশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই চাপগুলো আমরা অনুভব করি। নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে হুমকি, ধমকি ছিলো, নিষেধাজ্ঞার ভয় ছিলো। এগুলো তো প্রকাশ্যেই দেয়া হয়েছিলো। এখানে কোনো গোপনীয়তার বিষয় ছিলো বলে আমার জানা নেই। এখানে তো কোনো সিক্রেট বিষয় ছিলো না। এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্যও পরিষ্কার।

আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র কিভাবে মোকাবেলা করবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সুসংগঠিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৪ দলীয় জোটকেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে কাছে টানতে হবে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের নিজেদের সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন এর উপর নির্ভর করে আমরা বাস্তব কঠিন পরিস্থিতি কে মোকাবেলা করতে সক্ষম।

উপজেলা নির্বাচনে অনেকেই দলের নির্দেশনা মানেনি, তাদের বিষয়ে দল কি ব্যবস্থা নিবে এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেকেই এর মধ্যে প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। আমাদের কয়েকজন আগেই প্রত্যাহার করেছেন। আমাদের গোলাম দস্তগীরের ছেলে প্রত্যাহার করেছেন। আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার স্বজনও একজন উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্ন টা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কি না। আমি তার পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে কি না সেটাই সেটাই দেখার বিষয়। পার্টির কারো এর সঙ্গে কোন সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারো এর সঙ্গে কোন সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না। শেষ পর্যন্ত সরে যাবে না সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন সেটা আমি মুখে বলবো একটা আর কাজে করবো আরেকটা এটাই আমি বিশ্বাসী নই। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোন অবস্থাতেই প্রশ্রয় দিবো না।

স্বজন বলতে প্রধানমন্ত্রীর যে সংজ্ঞা সে বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার কথা হচ্ছে, ভাই হউক, স্বজন হউক আমি তাকে দাঁড় করিয়েছি কি না। আমি তার পক্ষে সমর্থন দিচ্ছি কি না, আমার দল সমর্থন দিচ্ছে কি না সেটা হচ্ছে বড় কথা। আমি বা আমার দল যদি পক্ষে না থাকে তাহলে কেউ বিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার বিষয়ে জড়িত নেই।

প্রধানমন্ত্রীর বলা পরিবারের মধ্যে যেনো সব কিছু কেন্দ্রীভূত না করে এমন বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বজনদের সব কিছু দেয়ার জন্য যদি সব কিছু কেন্দ্রীভূত করা হয় দলের দীর্ঘ দিনের ত্যাগী নেতারা যাবে কোথায়? একথা আমাদের সভাপতি বলেছেন। আমাদের সকলের বক্তব্য সেটাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;