আমরা এখনও নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা এখনও নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। পার্টির যারা নির্বাচন করতে চান ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি রচিত ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র সোনার পাথরবাটি’ দ্বিতীয় খণ্ড ও MISERIES OF MISCONCEIVED DEMOCRACY Volume-2 বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখনও জানি না দেশের পরিস্থিতি কি হবে। তবে সময় এলে সিদ্ধান্ত নেবো, নির্বাচনে অংশ নেবো কিনা। দেশের অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তখন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে। যতক্ষণ ঘোষণা না দিয়েছি, ততক্ষণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আছি। নেতাকর্মী প্রস্তুত থাকতে হবে।

জিএম কাদের বলেন, সরকার প্রধান হবেন কেয়ারটেকারের মতো, ভালো না লাগলে সমালোচনা করা যাবে। দেশের মালিক জনগণের হাতে থাকবে পরিবর্তনের ক্ষমতা, সমালোচনা করার অধিকারকে ভুলন্ঠিত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য কাজ করছেন, ওনি ভুল করলে আমরা বলতে পারবো না! আমার কথা ভুল হলে আপনি নাকচ করে দেবেন। কিন্তু প্রশ্ন করার অধিকার দিতে হবে। বাংলাদেশে এই অধিকার নেই।

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষ আসা করে সুশাসন। সুশাসন মানে হচ্ছে আইনের শাসন, সবার জন্য আইন সমান হবে। আর হবে ন্যায়ভিত্তিক বিচার ব্যবস্থা।জনগণ যাকে ক্ষমতা দেবে, তার জবাবদিহি থাকতে হবে। গণতন্ত্র ছাড়া সুশাসন সম্ভব না। একজনের হাতে সর্বোচ্চ ক্ষমতা মানে হচ্ছে আর গণতন্ত্র থাকলো না। স্বৈরতন্ত্র কোনদিন সুশাসন দিতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে। বর্তমান সরকারের কৃত্রিমভাবে বৈষম্যের সৃষ্টি করছে। যা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সরকার।

বলা হয় স্থিতিশীল সরকার, যেখানে একনায়ক সরকার থাকে সেখানে এসব কথা বলা হয়। এমন একটি সিস্টেম চালু করতে পারি, যেখানে সরকার প্রধান পরিবর্তন হলেও কোন ধরনের প্রভাব না হবে, সেটাই হবে স্থিতিশীল সরকার। বেশিদিন এক সরকার থাকলে অস্থিতিশীলতার বীজ আর বেশি বিস্তৃত হয়। অস্থিতিশীলতার বীজ আমরা শরীরে বহন করে চলছি। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারী আসবে না। ভারত রয়েছে, জাপান, কোরিয়া, সরকার পরিবর্তন হলে অর্থনীতিতে কোন প্রভাব দেখা যায় না।

বই প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, চিন্তা ধারার থেকে যা মাথায় এসেছে তাই লিখেছি। সত্যমিথ্যা যাচাই করার ভার পাঠকের।প্রথমে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেশের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। দেশ জাতির কল্যাণে কাজ করতে গেলে রাজনীতি উপযুক্ত জায়গা, এখানে সাধারণ জনগণের জন্য অনেক কাজ করার আছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে কোন আয় নেই, এটির নাকি ব্যবহারকারি পাওয়া যাচ্ছে না। আরেকটি করা হচ্ছে কেনো। আমি সৈয়দপুরে মাসে একবার যাওয়ার জন্য প্লেন কিনবো! সম্ভাব্যতা যাচাই বলতে একটা শব্দ রয়েছে, এতে কি বুঝা যায় সম্ভাব্যতা হচ্ছে। দুর্নীতির সম্ভাব্যতা যাচাই করে হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি লেখক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, জাতীয় পার্টি নিয়ে নানান আলোচনা হয়, মানি আর না মানি, আওয়ামী লীগ বিএনপি প্রধান দুই শক্তি। জাতীয় পার্টি নিয়ে টানাটানি চলছে।

তিনি বলেন, আমি লিখেছিলাম বাংলাদেশের রাজনীতি সুবচন নির্বাসনে। আমি মনে করি অল্প কিছু ভদ্রলোক রয়েছে তার মধ্যে জিএম কাদের এক নম্বর। ওনি কথা ও কাজে প্রকৃত ভদ্রলোক, অনেকে আমার সঙ্গে একমত হন। আরও কেউ কেউ আছে, তাদেরকে দুই, তিন এভাবে সাজাতে চাই। বইটা ঘাটতে গিয়ে কবিতা আবিষ্কার করেছি, আমি জানতামনা ওনি কবিতা লেখেন। বাঙালি মানেই কবিতা, ছাত্র জীবন দুএক লাইন লেখার চেষ্টা করেনি। এমন লোক বিরল।

কবিতা রাজনীতি হাত ধরাধরি করে চললে, একমাত্র ভদ্রলোকের পক্ষে সম্ভব। আমি আশা করবো জিএম কাদের কাব্যচর্চা ধরে রাখুক। মানুষ যেনো ৫০ বছর পরেও বলতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন ভদ্রলোক ছিল।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, গত দুই বছরে ওনার কাছাকাছি থেকে আমরা বক্তৃতায় হাছামিছা মিলায়ে বলি। ওনি কথা বলেন, তথ্যবহুল এবং বাস্তবতার নিরিখে। রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করা হয়, ভালোটা কে, শিক্ষক সমিতির নামে কি হচ্ছে। মূল্যবোধের অবক্ষয় সব জায়গায় হয়েছে। আসেন সবাই ভালো হয়ে যাই।

বই নিয়ে আলোচনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোকাম্মেল এইচ ভূইয়া। তিনি বলেন, ওনার বই পড়তে গিয়ে ওনার সততার জায়গা আমি মুগ্ধ। চিন্তা ভাবনায় সৎ না হলে এভাবে লেখা সম্ভব হতো না। অনেক ভাবে কঠিন সত্যকথা তুলে এনেছেন। তার ইংরেজি বইটির নামকরণেও নতুনত্ব রয়েছে, ভাবানুবাদ করলে দাঁড়ায় "দৈন্যগ্রস্ত গণতন্ত্র।" ওনি এমন ব্যক্তিত্ব যাকে সামনে রেখে স্বপ্ন দেখা যায়।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, বাংলাদেশ একটি সংকটময় সময় পার করছে। জিএম কাদের একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

সিনিয়র সাংবাদিক শফিকুল করিম সাবু বলেন, জিএম কাদের একজন নিরেট ভদ্রলোক। ওনি যখন মন্ত্রী ছিলেন তখনও প্রমান দিয়েছেন। বক্তৃতাতেও যা বলেন লিখেছেন বিশ্বাস ও তাই করেন এটা তার সৌন্দর্য। প্রকাশক আবুল বাসার বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র সোনার পাথরবাটি বইটির মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে ২০১৩-২৩ সাল পর্যন্ত তার বক্তব্য ও লেখার সংকলন। তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে যে সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন তারই সংকলন।

জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপির সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদ।

   

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাসায় ফিরছেন খালেদা

বাসায় ফিরছেন খালেদা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

এর আগে গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে। 

;

বিএনপি শ্রমিকদের বন্দুকের জোরে জিম্মি করে রেখেছিল: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককেও হত্যা করেছে তারা।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে বন্দুকের জোরে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে মন্তব্য করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো দিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি।

তিনি বলেন, তারা আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। শ্রমজীবী মানুষসহ সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ লাখ ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।

;

সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আররের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

;

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানার উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।

তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।

দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।

পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

;