সরকারের জন্য দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে: শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের জন্য দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

তিনি বলেন, সরকারের দিন শেষ হয়ে এসেছে। চারদিকে এই সরকারের পতনের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সরকারের জন্য দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। শেখ হাসিনার হুংকার আর কাজে আসবে না। এবারে আর যেন তেন নির্বাচন করতে পারবে না। 

রোববার (১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারবাড়ী শুভপুর বাস স্টেশন এলাকায় আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিএনপির রোড মার্চ কর্মসূচি সফল করার লক্ষে সদরঘাট থানা বিএনপির লিফলেট বিতরণ পরবর্তী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এ সময় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কদমতলী মোড়, পোড়া মসজিদের সামনে, শুভপুর বাস স্টেশন ও ট্রাঙ্ক রোড় এলাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন। 

শামীম বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কারণে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বেগম খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা সংসদে পাস করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই বিধানকে এক তরফাভাবে বাদ দিয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল, এমনকি আওয়ামী লীগও ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে পক্ষে ছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করে সেটাকে বাদ দিয়েছে শুধু আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন করার জন্য। যে নির্বাচনে আগের রাতে ভোটকেন্দ্র দখল করা হয়। কিন্তু আগামী নির্বাচনে সেটা আর সম্ভব হবে না। 

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের প্রতিটি সেক্টরে লুটপাট কায়েম করেছে। দে‌শের গণতন্ত্র, ভোটা‌ধিকার আজ আওয়ামী দুঃশাস‌নের কা‌ছে জি‌ম্মি। তারা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দূর্নীতি করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে ফেলেছে। এই দুঃশাস‌ন থে‌কে মু‌ক্তি পে‌তে ও মানুষের ভোটা‌ধিকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক‌্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হ‌বে।

সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সালাউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন বাবু'র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, সাবেক অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মশিউল আলম স্বপন, তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক মো. আলী।

   

সাতক্ষীরায় খুন, গুম, মিথ্যা মামলা ঠেকাতে বিএনপির মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় খুন, গুম, মিথ্যা মামলা, সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির দুটি গ্রুপ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) শহরের বাঙ্গালের মোড় ও বিকালে সংগীতা মোড়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির দুটি গ্রুপ এই মানববন্ধন করে।

সকালে বাঙ্গালের মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলীর নেতৃত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হবি, জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুল প্রমুখ অংশ নেন।

এছাড়া বিকালে সংগীতা মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি রায়ের নেতৃত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ তারিকুল হাসান, তালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক মো. আহসানুল কাদির স্বপন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান হাদি, পৌর কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টা প্রমুখ অংশ নেন।

;

আসন ভাগাভাগি নিয়ে রাতেই ১৪ দলের সাথে বসবে আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করতে শরিক ১৪ দলের সাথে বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের। সংসদ ভবন এলাকার এমপি হোস্টেল এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, রাতে আমরা আলোচনায় বসবো। আমরা আমাদের চাওয়ার কথা জানিয়েছি। আগের চেয়ে একটু বেশি আসন আমরা চাচ্ছি। আশা করি তারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের কথা শুনবে।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদে বর্তমানে আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দলীয় জোটের আটজন সংসদ সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৫-৬ আসনে ছাড়ের কথা বলা হচ্ছে।

;

‘যারা গাজায় যুদ্ধবিরতির বিরোধী, তাদের কাছে বিচার চেয়ে কী লাভ?’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যারা গাজায় যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাদের কাছে বিচার চেয়ে কী লাভ? বলে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

বিএনপির করা মানবাধিকার লঙ্ঘনে পশ্চিমাদের কাছে বিচার চাইবেন কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা গাজার সিজ ফায়ারের বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাদের কাছে বিচার চেয়ে কী লাভ? আমাদের একাত্তরকেও হার মানিয়েছে। এখন এদের কাছে বিচার চেয়ে কী লাভ বলুন?

১৪ দল ও জাতীয় পার্টির সাথে সমঝোতা বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সময়তো আছে, ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। সময় যখন আছে অস্থির হবার তো দরকার নেই। প্রার্থীরা তো প্রস্তুত হয়েই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। প্রত্যাহারের একটা সময় আছে না? সে সময় পর্যন্ত এডজাস্টমেন্ট, একুমুডেশন যদি প্রয়োজন হয় আমরা সময়মতো করব। এনিয়ে আপনাদের দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

৪২ দিন পর প্রকাশ্যে এলেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে। এরপর গত ৪২ দিনে ১০ দফায় বিএনপি হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করলেও চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে কোনো মিছিল-সমাবেশে দেখা যায়নি চট্টগ্রামের এই শীর্ষ নেতাকে।

এসময়ে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে কর্মীদের নিয়ে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের দ্বিতীয় সারির নেতারা। অবশেষে দীর্ঘ ৪২দিন পর প্রকাশ্যে কর্মসূচিতে এলেন ডা. শাহাদাতসহ প্রথম সারির কয়েকজন নেতা।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে চট্টগ্রামে ‘গুমের শিকার’ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বেলা ১১টার পর মানববন্ধন কর্মসূচিতে আসেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সিএমইউজে সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. জানে আলম সেলিম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, ইয়াছিন চৌধুরী, আবদুস সাত্তার, কাজী বেলাল ও এম এ মান্নান, নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম, নগর বিএনপি দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন, নুরুল আমিন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের পর থেকে সারা দেশে বিএনপির ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের কেউ বাসায় থাকতে পারছেন না। নামতে পারছেন না রাস্তায়। মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে সরকার। বিএনপি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভাত ও ভোটের অধিকারের কথা বলছে, এটাই অপরাধ।’

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানবতা ও মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই। আওয়ামী লীগ সরকার এখন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্বৈরাচারী শাসকে পরিণত হয়েছে। তারা দেশ থেকে ন্যায়বিচার দূর করে দিয়েছে। সরকার নিষ্ঠুর দমন পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন করার চেষ্টা করছে। তারা দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস শুধু একদিন নয়, সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারীদের জন্য এখন প্রতিদিনই মানবাধিকার দিবসে পরিণত হয়েছে।

শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকে গুম, খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা তাদের কথা বলতে পারে না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সরকার রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে এমনভাবে টিকে থাকতে চায় যাতে তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দও করতে না পারে। দেশের জনগণ, সব বিরোধী দলের বিরোধিতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান উপেক্ষা করে সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার আত্মঘাতী খেলায় মেতে উঠেছে। আওয়ামী লুটেরা চক্র এবং তাদের দোসররা এখন এমপি হওয়ার জন্য জনগণের কাছে নয়, গণভবনের দিকে ছুটছেন। এটা কোনো ইলেকশন নয়, বানরের পিঠা ভাগাভাগির সিলেকশন।

ডা. শাহাদাতসহ নগর বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের ৪২ দিন পর প্রকাশ্যে কর্মসূচিতে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একজন নেতা। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘২৮ অক্টোবর সর্বশেষ ঢাকার মহাসমাবেশে ডা. শাহাদাত ভাইসহ চট্টগ্রামের নেতারা যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এরপর সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেফতার শুরু হলে আমরা আড়ালে থেকে নেতা-কর্মীদের কর্মসূচির দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছি।’

;