বরিশালে বিএনপির ২৭ নেতাকর্মী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে সদর ও কাউনিয়া এলাকার পৃথক স্থান ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিনসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ২৭ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের চৌমাথার সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, সদর রোডসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়।

আটক অন্য নেতারা হলেন- জেলা বিএনপির দফতার সম্পাদক মো: মন্টু খান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: কামরুল আহসান রতন, সহ-সভাপতি মো: সাজ্জাদ হোসেন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো: নাইমুল হাসান, যুগ্ম-সম্পাদক মো: শামসুল কবির ফরহাদ, চরকাউয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো: মাসুম হাওলাদার, চাঁদপুরা ইউনিয়ন সভাপতি আবুল খায়ের জলিল, বিএনপি নেতা মো: খালেদ হোসেন ও মো: জাকির হাওলাদারের নাম নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।

ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ক্যাম্পাসে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের স্ত্রী নাসিমা সরোয়ার গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় ছাত্রদল নেত্রী নাসরিনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

পরে পুলিশ সেখান থেকে নাসরিনসহ পাঁচ জনকে আটক করে। এছাড়া সদর রোডসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা বিএনপির দফতার সম্পাদক মন্টু খানসহ বাকি পাঁচ জনকে আটক করা হয়।

এছাড়াও কাউনিয়া থানাধীন এলাকা থেকে শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসুল হক মাঝি ও চরবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাহ আলম মেম্বারসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বিএনপির ১৩ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

   

‘উন্নয়ন হয়েছে ঠিক, কিন্তু একটা গোষ্ঠী সমগ্র অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, কিন্তু ক্ষুদ্র একটা ধনিক গোষ্ঠী, সামরিক-বেসামরিক আমলা তারা এখন সমগ্র অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে গণভবনে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৪ দল আমরা এক সাথে আন্দোলন, নির্বাচন ও সরকার গঠন করেছি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত কার্যকারভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার থেকে শুরু করে সব কিছুতেই ছিলাম। ২০১৮ সালে এসে দেখলাম ১৪ দলের সরকার হয়ে গেলো আওয়ামী লীগের সরকার। তাহলে ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা আর আওয়ামী লীগের কাছে নাই।

মেনন বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, এই সময়কালে রাজনৈতিকভাবে যখন সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ আসছে আমেরিকা ও মৌলবাদীদের পক্ষ থেকে সরকারের বিপক্ষে চাপ এসেছে আমরা ১৪ দল সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এমনকি ১/১১ এর সময় যখন মাইনাস টু ফর্মুলা আসছে তখন কিন্তু আপনার দলে বিভ্রান্তি আসছে কিন্তু আমরা আপনার পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা বলেছি যে, আপনারাই এখন বলুন ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা আছে কি নেই।

ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি বলেন, দেশে এখন উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছি কোন সন্দেহ নেই কিন্তু ক্ষুদ্র একটা ধনিক গোষ্ঠী, সামরিক-বেসামরিক আমলা গোষ্ঠী তারা এখন সমগ্র অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আজকে অর্থপাচার নিয়ে যদি না বলি তাহলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এখন আমরা একটা উচ্চ বৈষম্যের দেশে পরিণত হয়েছি। এখন বৈষম্যের বিচারে ৪.৯৯ যেখানে আগে ২.২ পয়েন্ট ছিল। আরেক পয়েন্ট বাড়লেই আমরা উচ্চ বৈষম্যের দেশে চলে যাবো।

মেনন বলেন, হেফাজতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এখন দেখা যাচ্ছে হেফাজত আওয়ামী লীগের মধ্যে চলে আসছে, আমাদের শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হচ্ছে। প্রাইমারি স্কুল থেকে ছেলেমেয়ে মাদরাসায় চলে যাচ্ছে।

মেনন আরও বলেন, ১৪ দল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই করছে। এখন ইনু সাহেব আগায়া আসছেন ঠিকই কিন্তু এদের মাথা থেকে লেনিনের ব্যাপারটা যায়নি।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা নিজেই আজকের বৈঠকে বঙ্গোপসাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘাঁটি গড়তে চাই বলে জানিয়েছেন। আজকে আমাদের রাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়ে ও ভূখণ্ডে যাতে সমস্যা হয় তারা সেই চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা নিয়ন্ত্রণ চায় বাংলাদেশে, আমরা তাদের সেই প্রস্তাবে রাজি নই। এটা প্রধানমন্ত্রীর কথা আমাদের না।

মেনন আরও বলেন, ১৪ দলকে দলগতভাবে জায়গা না দিলে ঐক্যবদ্ধ থাকা সম্ভব না। এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার কথাও বলেছেন জোট নেত্রী শেখ হাসিনা। বাইরের লোক মনে করে আমরা সরকারের সঙ্গে আছি ফলে আমাদের কথা সেভাবে গ্রহণযোগ্য হয় না। আমরা আমাদের মতো করে আমাদের জায়গা থেকে এই ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই তাহলে আমাদের ১৪ দলের ভারসাম্য জনগণের কাছে দৃশ্যম্যান হবে।

গত নির্বাচন সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট বক্তব্য রেখেছি, ১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাদের প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল রাজশাহীতে কিন্তু সেখানে এবার আওয়ামী লীগ নৌকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই করলো।

তিনি আরও বলেন, হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারা দাঁড়িয়ে তাকে হারানোর ব্যবস্থা করেছে, মাইজভান্ডারির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ১৪ দলের নেতাদের যদি পাশে না নেন তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম এবং ঐক্যবদ্ধ থেকেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

;

আজকের পর ১৪ দলে আর দূরত্ব থাকবে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে সাড়ে তিন ঘণ্টা তাদের বক্তব্য শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার যা বলার সবাই বিস্তারিত বলেছেন। এতে ১৪ দলের যে দূরত্বের কথাটা বলা হয় সেটা আর থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে গণভবনে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ১৪ দল নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে সমসাময়িক বিষয়ক এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ব্যাপারে সবাই ঐক্যমত হয়েছেন। ১৪ দলের সবাই গাইডলাইন চেয়েছেন। তাদের (১৪ দল) নিজেদের দলগুলোকে আরও সংগঠিত করা, জনগণের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ১৪ দলকে এই মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক মানবতাবোধকে এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

১৪ দলের সবাইকে নিজেদের দল গোছানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী গাইডলাইন দিয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের (১৪ দল) নিজেদের দলকে আরও সংগঠিত করার জন্য গাইডলাইন দিয়েছেন। ১৪ দলের নেতারা সমন্বিতভাবে আরও সুশৃঙ্খল ও সংগঠিত ঐক্য গড়ে তুলবেন এই ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছেন।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তালতলীতে বিএনপি নেতা বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
তালতলীতে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

তালতলীতে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃত মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক তালতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

বহিষ্কার করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে (মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা) নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো।

এ বিষয় মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি দলের নিবার্চন করি না, জনগণের নিবার্চন করি। তাই দল যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে।

এবিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেখেছি। দল যেটা ভালো মনে করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমারও সেটাকে সমর্থন করি। এর বাইরে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।

;

‘এমপি আনার অপরাধী হলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কেন আসলো না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম কোনো অপরাধে যুক্ত থাকলে তা সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কেন আসলো না বলে সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নবগঠিত যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সংসদ সদস্য কলকাতায় মারা গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইনভেস্টিগেশন সম্পন্ন হওয়ার আগে আমরা তো বলতে পারছি না। তবে আওয়ামী লীগের সে কি ছিল সেটা বড় কথা নয়, সে যে এলাকার প্রতিনিধি ছিল সে এলাকায় গিয়ে দেখবেন, তার জন্য কত শোকার্ত মানুষ। সে প্রতিনিয়ত সারা এলাকায় মোটরসাইকেলে করে ঘুরে বেড়াতো। তাকে আমরা নমিনেশন দিয়েছি তার জনপ্রিয়তার জন্য। এখন সে ভেতরে কোনো অপরাধ করে কি না.... প্রধানমন্ত্রী কিন্তু জিরো টলারেন্স। কোনো অন্যায়কারী, অপরাধী দলের লোক হলে তিনি কিন্তু ছাড় পাবে না। কিন্তু এটা তো নিশ্চিত হতে হবে।

সাংবাদিক উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা এখন বলছেন, কলকাতায় চোরাকারবারি... তো আমি সাংবাদিকদের বলি, তিন তিন বার জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হয়েছে। তখন আপনারা কি এতথ্যটা এনেছিলেন? এখন ভারতীয় সাংবাদিকরা কোনো তথ্য আনলো, সেটার উদ্ধৃতি দিচ্ছেন কেন? আপনারা তো এদেশের নাগরিক। সে যদি অপরাধী হয়, তাহলে সে কথা আপনাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে কেন আসলো না? এটা আমারও প্রশ্ন।

‘ছাত্রলীগ, যুবলীগ নাকি অর্থপাচার করে’ প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অর্থপাচারের জন্য আপনারা (বিএনপি) বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত অপরাধী। সিঙ্গাপুরে, আমেরিকায় অর্থপাচার কে করেছে? সে অর্থপাচারকারী তারেক রহমান এবং কুকু। এই দু’জনের পাচার করা অর্থের একটা অংশ সিঙ্গাপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এফবিআই ঢাকায় এসে তারেক রহমানের মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। তারা নিজেরা যে অপরাধের জন্য অপরাধী, সে দায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের উপর চাপাতে চায়। এটা যে কত বড় মিথ্যাচার।

বিএনপি মহাসচিবের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমি একটা প্রশ্ন করেছি, ১৫ আগস্টের সাথে যদি জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকে, তাহলে কিলারকে নিরাপদে বিদেশে কে পাঠয়েছে? বিভিন্ন দূতাবাসে খুনিদের চাকরি দিয়েছে। ৫ম সংশোধনীতে খুনিদের বিচার রোধ করার জন্য জিয়াউর রহমান সংবিধানের আইনে খুনিদের বিচার বন্ধ করলেন। কেন তিনি সেটা করতে গেলেন?

মেজর হাফিজের প্রতি প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, মেজর হাফিজ বড় বড় কথা বলেন, হাফিজ সাহেবকে বলি, আপনি যে বইটি স্বাধীনতার পরে লিখেছিলেন, প্রথম সংস্করণে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে তথ্য আপনি দিয়েছিলেন, বিএনপিতে যোগ দেওয়ার পর সে তথ্যটি কেন পাল্টে দিলেন? এর জবাব কি?

জিয়াউর রহমান বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেনাপ্রধান বাকশালে যোগ দেওয়া সঠিক ব্যক্তি, কিন্তু উপ-প্রধান কিন্তু বাকশালে যোগ দেওয়ার উপযুক্ত ছিলেন না। তিনি দরখাস্ত করে বঙ্গবন্ধুর কাছে, কাকুতি মিনতি করে বাকশালের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হয়েছিলেন, প্রমাণ আছে। এই জিনিসটিকেও তারা ধামাচাপা দিতে চায়। তিনি বাকশাল কমিটির ৭১ নাম্বার সদস্য ছিলেন।

;