বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জনগণ করে নাই: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বরিশালে ৫০ শতাংশের বেশি আর খুলনায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি ভোট কাস্ট হওয়ায় প্রমাণ হয়েছে, বিএনপি ভোট বর্জন করলেও জনগণ ভোট বর্জন করে নাই। আমি মনে করি, এ থেকে বিএনপির শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।’

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শিবুকান্তি দাশ রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস ‘মিলিটারি এলো গ্রামে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, প্রকাশক রেহেনা চৌধুরী মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সোমবার অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ নির্বিঘ্নে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট দিয়েছে। বিএনপি ভোট বর্জন করেছে, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে, তাদের দলীয়কর্মীদেরকে ভোটে অংশগ্রহণ করতেও নিষেধ করেছে। কিন্তু তাদের নেতাকর্মীরা দুটি সিটি কর্পোরেশনেই প্রার্থী হয়েছে। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি, নিজ বিবেচনায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ভবিষ্যতেও যদি বিএনপি ভোট বর্জন করে জনগণ কিন্তু ব্যাপকভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পার্টির বরিশাল ও খুলনায় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান ও রাজশাহী ও সিলেটে সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে কিন্তু দুই সিটি কর্পোরেশনেই বিজয়ীরা তাদের চেয়ে প্রায় তিনগুণ ভোট পেয়েছে। এতে তারা বুঝতে পেরেছে যে আগামী নির্বাচনেও তাদের কোনো ভরসা নাই। এ জন্য আগেভাগেই পাততাড়ি গুটিয়ে পরাজয়ের গøানি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই হয়তো তারা সেই ঘোষণা দিয়েছে।’

বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীকে পেছন থেকে একজন ঘুষি মারার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে বা যারাই এটি করেছে সেটি নির্বাচন কমিশন তদন্ত করছে, প্রশাসন তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সবকিছু ছাপিয়ে সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক যে অত্যন্ত সুন্দর শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিবৃতিকে নাকচ করে দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সমস্ত পত্রিকায় লিখেছে, সমস্ত টেলিভিশন রিপোর্ট করেছে, অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ভোট হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব এ ধরণের গৎবাঁধা কথা, একই টেপ-রেকর্ড থেকে বের হতে পারছেন না, এটা অত্যন্ত দু:খজনক। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক সময় সহিংসতা-গন্ডগোল হয়। সেই তুলনায় গতকাল একটি মডেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

   

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানার উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।

তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।

দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।

পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

;

চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় নেওয়া হচ্ছে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি।

এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে তার শরীরের বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।

;

সস্ত্রীক ওমরা পালনে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সস্ত্রীক পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন।

বৃহষ্পতিবার (২ মে) বিকেল সোয়া ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বেলা সাড়ে ৩টার ফ্লাইটে মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম পবিত্র ওমরা পালন করতে সৌদি আরব যাবেন।

পবিত্র ওমরা পালন করতে যাওয়ার আগে গতকাল বুধবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাক্ষাৎতে নিজের ও স্ত্রীর জন্য খালেদা জিয়ার কাছে দোয়া চান মির্জা ফখরুল। আর খালেদা জিয়াও তার নিজেরে শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া করতে বলেছেন।

;

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বুধবার (১ মে) রাতে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে ২-১ দিন হাসপাতালে থাকতে হবে।

এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক জরুরি কিছু পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা সাতটার অল্প সময় পর হাসপাতালে পৌঁছান বেগম জিয়া।

সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। দুইদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় ফেরেন।

অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন গত কয়েক বছর ধরে। এজন্য তাকে বিভিন্ন সময়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্টসহ নানা রোগে ভুগছেন।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।

;