লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ১৩ ও ১৬ জুন মহানগরে বিএনপির রোডমার্চ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে দলের প্রতিবাদ জানানোর পর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে রাজধানীসহ দেশের মহানগরগুলোতে রোডমার্চ করবে বিএনপি।

শুক্রবার (৯ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটিসহ বিএনপির সব মহানগর ইউনিট ১৩ জুন মিছিল করবে এবং ১৬ জুন দলের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিট একই কর্মসূচি পালন করবে।

রাজধানীতে দলের ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিটগুলো মহাখালী বাসস্টেশন থেকে সোনারগাঁও মোড়ের সার্ক ফাউন্টেন অভিমুখে মিছিল করবে এবং ১৩ জুন দুপুর আড়াইটায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা রোড থেকে রায় সাহেব বাজার মোড়ের দিকে মিছিল করবে।

এছাড়া ১৬ জুন দুপুর আড়াইটায় বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা পল্লবী সিটি ক্লাব থেকে আগারগাঁও তালতলা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট আজিমপুরের স্যার সলিমুল্লাহ এতিমখানা থেকে আরমানি টোলা মাঠের দিকে যাত্রা করবে ১৬ জুন দুপুর আড়াইটায়।

রিজভী বলেন, ছয়-সাত ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছে। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। তাই বিদ্যুৎ খাতে অসহনীয় লোডশেডিং ও ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছি।

তিনি বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।

পাবনা, ফেনী ও ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বৃহস্পতিবারের অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি জমা দিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা । আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিদ্যুৎ বিভাগের সব জেলা কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবং বিদ্যুৎ খাতে চলমান লোডশেডিং ও 'দুর্নীতির' প্রতিবাদে স্মারকলিপি পেশ করে বিএনপি।

   

নির্বাচনী রাজনীতি, শান্তিপূর্ণ সমাধান ও নিরপেক্ষ নাগরিক সমাজ



ড. মাহফুজ পারভেজ
নির্বাচনী রাজনীতি, শান্তিপূর্ণ সমাধান ও নিরপেক্ষ নাগরিক সমাজ

নির্বাচনী রাজনীতি, শান্তিপূর্ণ সমাধান ও নিরপেক্ষ নাগরিক সমাজ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের রাজনীতি, বিশেষত আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে যে চাপা-উত্তেজনা ও সংঘাত-বান্ধব পরিস্থিতি চলছে, তার একটি অত্যন্ত হতাশাজনক বৈশিষ্ট্য হলো নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা রাজনৈতিক অনুমোদন বা দলীয় পরিচয়ের বাইরে বেরিয়ে শান্তি ও সমঝোতার জন্য কাজ করতে পারছেন না। তাত্ত্বিকভাবে যতই বলা হোক, শান্তিপূর্ণ সমাধানে নাগরিক সমাজকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে হবে, বাস্তবে তা অধরা। প্রায়-সবাই কথা বলছেন বিশেষ লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি সামনে রেখে। এতে দলীয় রাজনীতি প্রাধান্য পেলেও 'সামগ্রিক জনস্বার্থ' উপযুক্ত গুরুত্ব পাচ্ছে না। ফলে সংঘাতের আশঙ্কার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নাগরিক সমাজ, সিভিল সোসাইটি, এলিট ও বুদ্ধিজীবীদের মেরুকরণ, যা প্রকারান্তরে জনগণের মধ্যে বিভেদ, দূরত্ব ও উত্তেজনা বৃদ্ধিতে অনুঘটকের কাজ করছে।

বিদ্যমান এহেন পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে 'বাফার জোন' বা 'নিরপেক্ষ পরিসর' বলে কিছুই অবশিষ্ট নেই। ব্যক্তি, বক্তা, গোষ্ঠী ও পত্রিকার নাম শুনলেই আমজনতা চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারেন 'তারা কোন পক্ষের'। পক্ষপাতে আকীর্ণ পক্ষগুলোর কাছ থেকে নিরপেক্ষ বক্তব্য, সামগ্রিক বিবেচনা, প্রকৃত জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট আচরণ প্রত্যাশা করা যায় না। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় আশার আলো দেখাতে কেউই পারছেন না, এটাই রূঢ় বাস্তবতা।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেমন তাদের পক্ষে নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের একত্রিত করেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও উন্নয়ন সহযোগীগণও একই কাজ করছে। ফলে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলো তাদের সংকীর্ণ দলীয় পরিচয়ের ও গোষ্ঠীগত স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে সংঘাতের আশঙ্কায় সমস্যায় পড়া জনগণকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারছে না। এমন ব্যক্তিও অনুপস্থিত, যিনি শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রদানের জন্য সক্রিয় হতে পারেন, সকলের প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়াতে পারেন এবং শান্তি ও স্থিতি বেগবান করতে সাহায্য করতে পারবেন।

এটাই সবিশেষ দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, বাস্তবে এমন গ্রহণযোগ্য কাউকে দেখা যাচ্ছে না। বরং এই নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোই রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে, বিদ্বেষের বিষ ছড়াতে সাহায্য করছে। এর সাথে রয়েছে রাজনৈতিক ভণ্ডামি ও নির্লজ্জ দালালি। তাই সামনে মুক্তির কোনো রাস্তা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। ফলে সুপ্ত সংঘাতের শেষ কোথায়, কেউ জানে না।

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, কেবলমাত্র নিরপেক্ষ নেতৃত্ব এবং নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা থেকেই সম্পর্কের শীতল বরফ গলে জল হতে পারে। তবে বর্তমানে যা বাস্তব পরিস্থিতি, তাতে নেতৃত্বের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বস্ততার লেশমাত্র নেই। এজন্যই একটি বিকল্পের প্রয়োজন আছে। নিরপেক্ষ নাগরিক সমাজ হতে পারতো যথার্থ বিকল্প। তাদের উদ্যোগে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব ছিল। শান্তি ও সমঝোতার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সেই আশাও ক্রমে ক্রমে ফিকে হয়ে আসছে।

এদিকে, আসছে নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল আর জানুয়ারিতে ভোট, এমন জানা যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে। একই সাথে বিরাজমান রয়েছে নির্বাচন ঘিরে অচলায়তন। দলগুলোর মধ্যে যেমন সমঝোতা ও ঐকমত্য নেই, তেমনি নাগরিক পরিসর তথা সুশীল সমাজের কণ্ঠও উচ্চকিত নয়। বিভাজিত নাগরিক সমাজ জনগণকে সংগঠিত করে তাদের কথা বলার সুযোগ করে দিতে এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথকে কণ্টকমুক্ত করতেও পারছে না।

বাংলাদেশের মতো সম্ভাবনাময় দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র যদি না থাকে, সংসদ যদি বেশির ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্বশীল না হয়– তাহলে জনস্বার্থ ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাবে না। এজন্যই সকল বিরোধের মীমাংসা করে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকতে হবে। জনগণকে পছন্দ করতে দিতে হবে তাদের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার। শুধু সংবিধান নয়, জাতির স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে বাংলাদেশকে কোনো অবস্থাতেই দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থার মধ্যে ঠেলে দেওয়া যায় না। ক্ষুদ্র দলীয় রাজনৈতিক বিভেদের পঙ্কে সমগ্র দেশ ও জাতিকে নিমজ্জিত করাও যায় না।

গণতান্ত্রিক ও ন্যায্যতাভিত্তিক সমাজের জনবান্ধব-অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য নেতৃত্বে যারা আছেন বা আসতে চান, তাদের সবার আগে দেশের স্বার্থ দেখতে হবে এবং জনগণের কথা শুনতে হবে। একই সাথে গণতান্ত্রিক ব্যর্থতা তথা জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার না থাকার বিপদ থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণের পথকেও মসৃণ রাখতে হবে।

এসব কাজে গাফিলতি হলে রাজনৈতিক সঙ্কট আরও ঘণীভূত হওয়ার পাশাপাশি উন্নয়নে ব্যত্যয় ঘটবে, দারিদ্র বৃদ্ধি পাবে, মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন আরও ভঙ্গুর দশায় নিপতিত হবে। হত-দরিদ্র মানুষকে সুরক্ষা দেওয়াও তখন অসম্ভব হবে। বাড়বে ঋণের বোঝা, যা থেকে নতুন নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটও তৈরি হবে। বলা বাহুল্য, নির্বাচনের অনেক আগেই বাজার ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সমাজ ও বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতি বেড়েছে। এসবই অশনিসংকেত বিশেষ।

অতএব, সামাজিক স্থিতি ও সুষম উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের ধারাবাহিক উত্তরণ দরকার। আর সেটা সম্ভব হবে নির্বাচন ব্যবস্থায় সমঝোতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে। দেশের বিবদমান নির্বাচনী রাজনীতিকে তাই শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে সমঝোতায় আসতে হবে। এবং রাজনৈতিক দ্বৈরথ থামিয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচনের অনুকূল পরিস্থিতি সৃজনে নিরপেক্ষ নাগরিক সমাজকে শির উঁচিয়ে দাঁড়াতেই হবে।

ড. মাহফুজ পারভেজ, প্রফেসর, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম; নির্বাহী পরিচালক, চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ, বাংলাদেশ (সিসিআরএসবিডি)।

;

খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠালে গণভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠালে গণভবন ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছে রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি। 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এই হুমকি দেন তারা।

এ সময় বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে গনভবন ঘেরাও করা হবে। 

মহানগর আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর সদস্য সচিব সম্পাদক মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন। সমাবেশ ও মিছিলের কারণে প্রায় দেড়কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের তৈরি হয়।

 

;

কারও নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করি না: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী। কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মানি না। ৭১ সালে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের হারাতে পারেনি, আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করি না।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। ভেনিজুয়েলা, গ্যাবন, সুদান কেউ শোনেনি। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও প্রথম সারির মোড়ল অনেক দেশ মানে না। নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমরা পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেব। আস্তে আস্তে অন্ধকার কেটে যাবে, কুয়াশা কেটে যাবে। 

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কারও কাছে মাথা নত করবে না। বিএনপি কীভাবে ঢাকা দখল করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। লাল সবুজের পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সারা দেশ দখল করবে।

তিনি বলেন, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় বিএনপি। কি আশ্চর্য! মনে হয় আমেরিকা বিএনপিকে ভয় দেখানোর এজেন্ট দিয়েছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ক্যাপ্টেন (শেখ হাসিনা) আমেরিকায় আছেন, বাংলাদেশে আসলে খেলা হবে। মির্জা ফখরুল ইসলামের চোখে কত কান্না। সামনে আরও কান্না আছে। মির্জা আব্বাসসহ কিছু মানুষ চাঁদ রাতের স্বপ্ন দেখে। আপনাদের স্বপ্ন বেলুনের মতো চুপসে যাবে।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর গায়ে আঘাত করলে পাল্টা আঘাত করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। এবার ফাইনাল খেলা হবে। কেরানীগঞ্জের মানুষ সংগ্রাম করতে জানে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে ঘনঘন লোডশেডিং হতো। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু ৪৮ মিনিটও দাঁড়াতে পারেনি ফখরুল ইসলাম আলমগীররা। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার চেয়ে রাজনীতি করছে বেশি।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, খেলা হবে জোরদারভাবে। ফাইনাল খেলার জন্যে রেডি হয়ে যান। নভেম্বর প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হবে। 

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম, বিদুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি সাকুর হোসেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম ই মামুন, হাজি ইকবাল হোসেন প্রমুখ।  

;

ভূ-রাজনীতিতে বিএনপি ছাগলের তিন নম্বর ছানা: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভূ-রাজনীতিতে বিএনপি ছাগলের তিন নম্বর ছানা: তথ্যমন্ত্রী

ভূ-রাজনীতিতে বিএনপি ছাগলের তিন নম্বর ছানা: তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিএনপি ছাগলের তিন নম্বর ছানা।'

একইসাথে তিনি বলেন, 'দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা মনে করে, গণমাধ্যমের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল।'

মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী শহরের পাঠানপাড়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা ভাবছেন এভাবে লাফালাফি করে আপনারা ক্ষমতায় যেতে পারবেন! আজকে ভূ-রাজনীতিতে বিএনপি হচ্ছে ছাগলের তিন নম্বর ছানা। যারা বাতাস দিয়ে আপনাদেরকে লাফাতে দিচ্ছে তারা আপনাদের দুধ দেবে না। ছাগলের তিন নম্বর ছানা যেমন দুধ পায় না আপনারাও পাবেন না। সুতরাং এতো লাফালাফি করে লাভ নেই।'

'আগামী মাসে রাজনীতির ফাইনাল খেলায় আমরা আওয়ামী লীগ যাবো না, যুবলীগকে পাঠাবো' উল্লেখ করে হাছান বলেন, 'আমরা আমাদের ফার্স্ট টিম পাঠাবো না, সেকেন্ড টিম পাঠাবো। প্রয়োজনে মহিলা আওয়ামী লীগকেও পাঠাবো। বিএনপিকে বলবো, উনাদের সাথে আগে খেলেন। তারপর প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ আপনাদের সাথে খেলবে।'

সতর্কবাণী দিয়ে তিনি বলেন, 'তবে বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, ফাইনাল খেলার আগে আপনাদের খেলোয়াড়েরা দলে থাকে কি না, না কি দল বদল করে ফেলে, সেটি একটু খেয়াল রাখবেন। ফাইনাল খেলার আগেই যদি আপনাদের খেলোয়াড়েরা দল বদল করে ফেলে তাহলে ফাইনাল খেলতে পারবেন না।'

রাজশাহী অঞ্চল বিএনপি আমলে সন্ত্রাসের জনপদে রূপান্তরিত হয়েছিলো উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, 'এখানকার বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান পুরো দেশকে সন্ত্রাসের অভয়রাণ্যে রূপান্তরিত করেছিলো। ওরা বলে, বিএনপি-তারেক রহমান আবার আসবে। আর এলে তিনি কি করবেন, আবার হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন বানাবেন। আবার একযোগে ৫শ’ জায়গায় নয়, ৫ হাজার জায়গায় বোমা ফুটবে। আর সারাদেশে বাংলা ভাই সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তানের পর্যায়ে যাবে। আমরা সেটি হতে দিতে পারি না।'

;