বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় রোড মার্চে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের ঈশ্বরগঞ্জ এলাকায় গাড়িবহরে পাল্টাপাল্টি হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেয়।
রবিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চর হোসেনপুর ভূইয়া ফিলিং স্টেশনের বিপরীত দিকে এঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক মশিউর রহমান কাঞ্চন বলেন, ‘উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ আমরা কয়েকজন চা পান করছিলাম। এমন সময় একটি পিকআপ ভ্যানে যাওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর ভাষায় গালাগাল করতে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘এর প্রতিবাদ জানালে আমাদের উপর পাথর নিক্ষেপ শুরু হয়। আমরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে শতাধিক গাড়ি থেকে একসঙ্গে লোকজন নেমে হামলা চালিয়ে আমাদের সাতটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে চলে যায়। যারা হামলা করেছে তাদের কাউকে চিনতে পারিনি। এ বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু জানান, ‘গাড়িবহরের পেছন থেকে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিরোধী সন্ত্রাসী দল। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের হামলায় তা আবারও প্রমাণ হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করছি। অন্যথায় রাজপথে এ ঘটনার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের রোডমার্চ থেকে যুবলীগ বা ছাত্রলীগের উপর কোন হামলা করেনি। উল্টো তারা ঈশ্বরগঞ্জ যুবদলের গাড়ীবহরে হামলা ও ভাংচুর করেছে। এসময় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সশস্ত্র হামলায় মোটরসাইকেলসহ ৭টি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ‘একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। এনিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’