সিলেটে বিএনপির ৪৩ নেতাকে ‘আজীবন বহিষ্কার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সোমবার (৫ জুন) রাতে দলটির দফতর সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভি স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা ‘বেঈমান’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘মীরজাফর’ হিসেবে চিহ্নিত থাকবেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বহিষ্কৃতদের মধ্যে একজন মেয়র প্রার্থী এবং ৩৮ জন পুরুষ কাউন্সিলর ও ৪ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।

বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

দলীয় সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষনা অনেক আগেই দিয়ে রেখেছে বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতেও অংশ নেয়নি দলটি। নির্বাচনে দলের কোন নেতাকর্মী প্রার্থী না হওয়ার কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ অমান্য করে কেউ প্রার্থী হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হবেন, দলের পক্ষ থেকে এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে গাজীপুরের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে সিলেটের প্রার্থীদের মধ্যেও একই আতঙ্ক ছিল। শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ৪৩ প্রার্থীর প্রাথমিক সদস্যপদ সহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এর আগে গত শনিবার তাদেরকে শোকজ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল।

আজীবন বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন মেয়র প্রার্থী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সালাউদ্দিন রিমন।

সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন তারা হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল হাদি (১নং ওয়ার্ড), মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম (৬নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম মুনিম (১৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল (১৮নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব তুহিন (২১নং ওয়ার্ড), মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ (২৫নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক উসমান হারুন পনির, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা কামাল, গউছ উদ্দিন পাখি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুফতি কমর উদ্দিন কামু (১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু (৩নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. কামাল মিয়া (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য খালেদ আকবর চৌধুরী (৫নং ওয়ার্ড), আমিনুর রহমান খোকন (৫নং ওয়ার্ড), শাহেদ সিরাজ (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান জুবের (১০নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম মতছির (১১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান (১৫নং ওয়ার্ড), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সালমান চৌধুরী শাম্মী, ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রহমান মামুন (২৩নং ওয়ার্ড), এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুল আজাদ রানা (২২নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির সুহিন (২৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সেলিম আহমদ রনি (২৬নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আব্বাস, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জাবেদ আমিন সেলিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাজু মিয়া, বরইকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সানর মিয়া, টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেদায়েত হোসেন তানবীর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দুলাল আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন জয়, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল হাছিব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ সিকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা সাহেদ খান স্বপন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা ইউনুস মিয়া বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম মাসুম।

এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন- জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, মহানগর মহিলা দলের সহসভাপতি রুহেনা বেগম মুক্তা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি কামরুন নাহার তান্নি (সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৬)।

   

‘অক্টোবরে খেলা শুরু- নভেম্বরে সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তলে তলে আপস হয়ে গেছে: কাদের

তলে তলে আপস হয়ে গেছে: কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসানীতি, তলে তলে সব আপস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, নির্বাচন হবে, খেলা হবে। অক্টোবর থেকে খেলা শুরু। আগামী মাসে সেমিফাইনাল, জানুয়ারিতে ফাইনাল। খালেদা জিয়া ছাড়া নাকি বিএনপি নির্বাচন করবে না, না করুক।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সাভারের আমিন বাজারে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। আমাদের সঙ্গেও দিল্লি আছে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব আমাদের। কারো সঙ্গে আওয়ামী লীগের শত্রুতা নেই। আর কোনো চিন্তা নাই।

আওয়ামী লীগ কখনো হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‌বেগম জিয়াকে একবারও কি কেউ হত্যা করতে গেছে? কারণ আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী না, বিএনপি হত্যার রাজনীতি করে বলেই শেখ হাসিনাকে ২০ বার হত্যার চেষ্টা হয়েছে।

দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের উন্নয়নে আস্থা রেখেছে দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া এ দেশের জনগণ আর কিছু চায় না, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জরিপই বলছে শতকরা ৭০ জন মানুষ নৌকায় ভোট দেবে।

নির্বাচন আয়োজন বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনের দম ফুরিয়ে গেছে, তারা যত ষড়যন্ত্র করুক না কেন যথাসময়েই নির্বাচন বাংলাদেশে হবেই। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতির পরোয়া আমরা করি না।

এসময় তিনি দেশের মানুষ নিত্যপণ্যের দামের কারণে কষ্টে আছে উল্লেখ করে বলেন, জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি, এটা সারা দুনিয়াতেই বেশি। তবে নির্বাচনের আগে তা কমে আসবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

;

খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা নজিরবিহীন: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করেছেন। সেই চরম প্রতিহিংসা ও জিঘাংসা পরায়ণ বেগম জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়ে চলেছেন তা নজিরবিহীন।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়েশন অভ বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পূর্বে সাংবাদিকদের মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দিনে নিজের মিথ্যা জন্মদিন পালন করে কেক কেটেছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মদদ দিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনভাবেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। আর তারা যদি তা মনে করে তাহলে তো আদালতে যেতে পারে। আর বেগম জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার কি পরিমান দম্ভ, অহমিকা, যে তার পুত্রবিয়োগে সমবেদনা জানাতে তার বাড়ির দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি দরজা খোলেননি। তার আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করা হয়েছিলো, আমাদের সরকার তো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করে নাই। তার বিরুদ্ধে সবগুলো মামলা সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। সেই সব মামলার বিচার হচ্ছে, তাতেই তিনি সাজা খাটছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু তাই নয়, বেগম জিয়ার নির্দেশে এফবিআইয়ের এজেন্ট লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করার পরিকল্পনা হয়েছিলো। পরে চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়, সেই এজেন্টের এখন বিচার হচ্ছে। বেগম জিয়ার আমলে নেদারল্যান্ডের একটি কোম্পানির কাছ থেকে কিছু কম্পিউটার কেনার চুক্তি হয়েছিলো, সেই কোম্পানির নাম কেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার কন্যা “টিউলিপ” নামের সাথে মিল, সে জন্য সেই চুক্তি তারা বাতিল করেছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে যারা হত্যা করেছে, জিয়াউর রহমানের পথ ধরে বেগম খালেদা জিয়াও তাদেরকে আবার পুনর্বাসিত করেছেন।

তিনি আরও, বেগম খালেদা জিয়া এতো প্রতিহিংসা দেখিয়েছেন, এতো জিঘাংসা দেখিয়েছেন কিন্তু তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে নজিরবিহীন মহানুভবতা দেখিয়ে যাচ্ছেন, সেটি কি তারা কখনো করতো’ প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।

 

;

‘বেগম খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠুন, এটা আমরা চাই’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠুন, এটা আমরা চাই। বিএনপি বা বেগম খালেদা জিয়ার যারা চিকিৎসকবৃন্দ আছেন তারা যদি মনে করেন তার বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন আছে তাহলে যেহেতু বেগম খালেদা দন্ডপ্রাপ্ত কয়েদি সেই হিসেবে তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, জাতি খুব দুর্ভাগ্যের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, বিএনপি প্রায় প্রতিদিনই সভা সামাবেশ করে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছেন। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য আইনি যে প্রক্রিয়া সেটার মধ্যে যাচ্ছে না। এতে জাতির মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয় বিএনপি আসলে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করতে চায়, চিকিৎসা করাতে চায় না।

বিএনপি ধরেই নিয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করলে রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়া যাবে। সে কারণেই তাদের এই প্রক্রিয়া। না হলে তারা এতোদিনে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতো, গেলে হয়তো একটা সমাধান আসতো।

হানিফ আরো বলেন, আমি আশা করি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি না করে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যাপারে সমাধান করবেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, মার্কিন রাষ্টদূতের বিষয়ে মির্জা ফখরুল সাহেবকে যে মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে এটা আমাদের জাতি অবশ্য জানে না। একজন রাষ্টদূতের পক্ষ হয়ে যখন একটি দলের মহাসচিব কথা বলেন, তখন জাতির মধ্যে এটা নিয়ে একটা সন্দেহ হয়।

বর্তমান সরকারের অধীনে এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, যেহেতু বিএনপি কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হাটে নাই, যার কারণে তাদের কাছে এটা অসম্ভব বলেই মনে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগই আছে যারা সুষ্ঠু নির্বাচন করে, নির্বাচনে পরাজিত হবার পর একেবারে শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলো ২০০১ সালে। আর বিএনপি তো নির্বাচনে কখনো বিশ্বাসী না। যার ফলে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এটা তাদের কাছে একটা কাল্পনিক ব্যাপার বলেই মনে হয়, তারা ভাবতেই পারে। কিন্তু এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে সংবিধান অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব।

এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, এডুকেয়ার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান মোজ্জামেল হক রাসেলসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

;

আমিনবাজারে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকার আমিনবাজারে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সাভারের আমিন বাজারে এ শান্তি সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সমাবেশে নেতারা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস ও দেশকে নৈরাজ্য করার যে পায়তারা তার বিরুদ্ধে আমাদের এ শান্তি সমাবেশ। আজকের সমাবেশ থেকে আমরা শপথ নিচ্ছি, আমরা আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জনগণের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজয়ী করে আনবো।

প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে রয়েছে ৭ অক্টোবর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন, ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুর উদ্বোধন, ২৩ অক্টোবর মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশ উদ্বোধন এবং ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশ।

;