আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, যেভাবে বাকশাল গঠন করা হয়েছিলো, সেভাবেই সরকার গঠন করা হয়েছে। আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (৩ জুন ) নরসিংদী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

জিএম কাদের বলেন, শাসন ব্যবস্থার সকল প্রতিষ্ঠান একটি দলের সদস্য হয়ে গেছে। দেশের বাকি মানুষ যেনো মানুষ নয়। সাধারণ মানুষ খেলো কি খেলো না, তা দেখার কেউ নেই। বাকশালের মত একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে স্থায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে। সামনের নির্বাচনে বাকশালের মত সরকারকে চির স্থায়ীত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। দেশে বাকশালের মত দল হয়েছে, এখানে সাধারণ মানুষের কোন স্থান নেই। সাধারণ মানুষ বিচার পায় না, সাধারণ মানুষের কথা গ্রাহ্য করা হয় না, সাধারণ মানুষ নির্বাচন করতে পারে না। সাধারণ মানুষ নির্বাচন করে জিততে পারবে না, এটাই বাস্তবতা।

তিনি বলেন, দেশে একটি দল আছে। সেই দল স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করছে। সেই দলের মধ্যে প্রশাসন, আর্মি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সবাই সদস্য। সংসদ ও সংসদের স্পিকার সেই দলের হয়েই কথা বলছেন। সবাইকে সেই দলই রক্ষা করছে। বিচার বিভাগ নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। কিছু দিন আগে সরকারি দলের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে আমরা নামিয়ে দিয়েছি। কে নামিয়ে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ নামিয়ে দিয়েছে। তার মানে বিচার বিভাগকেও ওই দলের সদস্য হতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন সবাই ওই দলের সদস্য হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের এবং তাদের নেতা একজন। সেই নেতা যা বলেন, সবাই তাই করেন। তাই নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু হবে? সেখানে দুর্নীতিবাজরা কিভাবে শাস্তি পাবে? কীভাবে মেধাবিরা চাকরি পাবে? সবাই দলীয় আস্তরনের মধ্যে আছে। যে নির্দেশ আসে সবাই সে নির্দেশ মেনে চলে।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করছি, আমরা নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসিনি। সরকারের কথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। একদলের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেশের মানুষ বেঁচে থাকার অবলম্বন পাবে। দেশকে মুক্ত করা না গেলে হাজার-হাজার কোটি টাকা আবারও বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। সরকারের বিপক্ষে সত্য কথা বললে কোন গণমাধ্যম প্রকাশ করতে পারে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে গণমাধ্যমের গলা টিপে রাখার জন্য। শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, আগামীতে ফাঁসির ব্যবস্থা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আইন করে, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে দেশে লুটপাটের ব্যবস্থা হচ্ছে। দেশকে বাঁচাতেই আমাদের রাজনীতি। বাজেটের কারণে সামনের দিনগুলো আরো কঠিন হয়ে উঠবে। সেজন্য সরকারের কোন প্রস্তুতি নেই। সরকার জান বাঁচাতে নির্বাচন পার করতে চাচ্ছে। তারপর তারা দেখিয়ে দেবে তারা কোথায় আর জনগণ কোথায়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সামনের দিনগুলো কেমন করে চলবে তা নিয়ে চিন্তিত সবাই। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে আয় দিয়ে সংসার চালাতে পারছে না। মধ্যবিত্তরা এখন নিম্নবিত্ত নয়, দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেট কখনোই জনবান্ধব হতে পারে না। যে ট্যাক্স বিদ্যমান আছে তাই দেশের মানুষ দিতে পারছে না। কিন্তু আরো ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে, জিনিস পত্রের দাম আরো বাড়বে। মানুষের আয় বাড়েনি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করে তারা চাকরি হারাচ্ছে। সরকার করোনা আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দোহাই দিয়ে জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়েছে। এখন আইএমএফের পরামর্শে আরেক দফা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে। সারাদেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে, এ দায় সরকারের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে কিন্তু আমাদের দেশের মত কোন দেশের মানুষ এত অসহায় নেই। মুল্যস্ফীতির কারণে মানুষ নিষ্পেষিত হচ্ছে, সামনের দিকে হয়তো অনেকেই না খেয়ে মারা যাবে।

তিনি বলেন, বেশির ভার কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে বিদ্যুতের অভাবে। শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে লাখ-কোটি টাকা তসরুপ করেছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছিলো দু‘শো ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বিদ্যুৎ দেওয়া নয়। সরকারের তেল, গ্যাস ও কয়লা কেনার পয়সা নেই। এখন হাতে পায়ে ধরে বাকিতে গ্যাস, তেল ও কয়লা কিনতে হচ্ছে। গোঁজামিল দিয়ে দেশ চলছে। সরকারের হাতে বৈদেশিক মূদ্রা নেই। বকেয়া ঋণ পরিশোধ করলে সরকারের হাতে আর টাকা থাকবে না। এ কারণে, বিদেশ থেকে মাল আনতে পারছে না সরকার। দেশের মানুষ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেননি কিন্তু সরকার কয়লার বিল বকেয়া রেখেছেন কেন? মানুষের দুর্দশার জন্য বর্তমান সরকার দায়ী। সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পেকা লুটর নামে লাখ-কোটি টাপাট করে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এ কারণেই বিদ্যুৎ দিতে পারছে না সরকার। কিছু কিছু কোম্পানির সাথে সরকার চুক্তি করেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন হোক বা না হোক ডলারে তাদের পেমেণ্ট করতে হবে। এলএনজি খালাস হোক বা না হোক প্রতিদিন খালাস করার জায়গার জন্য একলাখ ডলারের বেশি দিতে হচ্ছে। এসব কোম্পানি হচ্ছে সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু পরিবারের। আমরা পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার দেখেছি এখন ২২ হাজার পরিবার সৃষ্টি হয়েছে যারা সরকারের সহায়তায় লুটপাটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে।

জাতীয় পার্টি মহাসিচব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশের মানুষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ চায় ভোটাধিকার। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়। গ্রামের মানুষ দিনে ৩ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পায় না। দেশের মানুষ মুক্তি চায়। বিদ্যুতের নামে সরকার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। আবার বিএনপি বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছিলো। এই দুটি দলকে দেশের মানুষ আর চায় না।

নরসিংদী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব ফখরুল ইমাম এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোট । স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামীম রানা ভূঁইয়া, হাজী মো. নূরুল ইসলাম, আব্দুল কাদির কিবরিয়া, মো. দেলোয়ার হোসেন, এডভোকেট সারোয়ার মোল্লা, শফিকুল ইসলাম সুমন, এডভোকেট কামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল ইসলাম, আক্কাস আলী, মো. দেওয়ান আলী গাজী, মো. হাবিবুর রহমান, হারুন অর রশিদ হিরা, এডভোকেট আবুল হাসনাত মাসুম, মো. নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, জাকির হোসেন মৃধা।

   

আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্র বিলীন হয়ে যাবে: শাহাদাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম চট্টগ্রাম 
আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্র বিলীন হয়ে যাবে: শাহাদাত

আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্র বিলীন হয়ে যাবে: শাহাদাত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এতো বেশি অহংকারী হয়ে উঠেছেন যে, দেশের মানুষের অবস্থা চিন্তা করছেন না। বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি উদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে।’

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে নগরীর লাভ লেইনস্থ মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের হলে চট্টগ্রাম মহানগর জিয়া মঞ্চের ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির তিনি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলো বলছে যে, আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। তখন সেটা তিনি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে। কিন্তু এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারবে না। মা-বোনেরা ভোট দিতে পারে না।’ 

এর আগে জিয়া মঞ্চের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাজির দেউরী মোড় থেকে এক বর্নাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। 

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা সরকারকে বাধ্য করব পদত্যাগ করতে, সংসদ বিলুপ্ত করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে নতুন নির্বাচন দিতে। সেখানেই এই রাজনৈতিক সমাধানে একমাত্র পথ।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দি রেখে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। একটি মাত্র কারণ যে, সরকার জানে, বেগম খালেদা জিয়া যদি বাইরে থাকেন তাহলে আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যাবে।’

চট্টগ্রাম মহানগর জিয়া মঞ্চের আহবায়ক জহিরুল হাসান জীবনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কে এম শাহনুর সিদ্দিকী টিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. শাহ আলম, আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান প্রমূখ।

;

কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২০

কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২০

  • Font increase
  • Font Decrease

 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে।

শনিবারে(৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফুলবাড়ি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের অনেককে ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি’র বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে বিএনপি’র সমর্থক নেতা-কর্মীরা উপজেলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে। তারা বেলা তিনটা থেকে মহিলা ডিগ্রী কলেজ কদমতলা মোড়, কাচারি মাঠ, ফুলবাড়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও ব্র্যাকমোড়ে সমাবেত হতে থাকলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন সেখানে গিয়ে তাদেরকে শান্তিপূর্ন ভাবে কর্মসূচি পালন করার আহবান জানান।

পরক্ষণে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সমর্থকদের কয়েকটি অটোরিকশা উপজেলা শহরে প্রবেশ করে শ্লোগান দেওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে সমাবেশস্থল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সদরের তিনকোনা মোড়ে প্রবেশ করলে ছাত্রলীগের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে।

এতে উপজেলা ছাত্রলীগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল পোদ্দার, লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার ও বায়জিদ বোস্তামী বাঁধনসহ প্রায় ৮/১০ জন এবং বিএনপি’র উপজেলা সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন সরকার, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রেজাউল ইসলাম রেজা, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা, তোতা মিয়া, বিএনপি’র রেজাউল ইসলাম, আয়নাল, আলামিন, শফিকুল ইসলামসহ প্রায় ১০/১২ জনের মত আহত হয়। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে।

পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে উপজেলার মহিলা কলেজ সংলগ্ন কদমতলা মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করেন। এসময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের প্রায় ১০/১২ জনের মত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানান তিনি।

এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তিনকোনা মোড়ে সমাবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বক্তব্য রাখেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন জানান, তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি। তারপরও বিএনপির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। উপজেলা আওয়ামী লীগ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত আছে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল জানান, আমাদের শান্তিপূর্ন
মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০/১২ জন সক্রীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নাজমুস সাকিব সজীব জানান, ঘটনার সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। কেউ শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করলে তা দমন করা হবে।

;

‘প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ’ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে, প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা। শুধু প্রাণিসম্পদ খাতই নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়নেও তার বিকল্প নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সারাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে বিকশিত করতে চায়। শেখ হাসিনা না থাকলে এ খাতের বিকাশ হতো না। তিনি না থাকলে তৃণমূল মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য আয়ের উৎস হিসেবে গরু, ছাগল, ভেড়া বিনামূল্যে দেওয়া সম্ভব হতো না ‘

প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে, মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমান সরকারে সময়ে বিগত ১২ বছরে দুধের উৎপাদন প্রায় ৪ গুণের অধিক, মাংসের উৎপাদন প্রায় ৬ গুণ এবং ডিমের উৎপাদন প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু প্রাণিজ আমিষ গ্রহণের হারও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কোরবানির সময় প্রতিবেশী দেশ থেকে গবাদিপশু আনার প্রয়োজন হয় না। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন আমাদের থেকে মাংস নিতে চায়। তারা রোগমুক্ত ও নিরাপদ মাংস চায়। দেশের প্রাণিসম্পদ তথা গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি যাতে রোগাক্রান্ত না থাকে সেজন্য সরকার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের মাংসের চাহিদা মধ্যপ্রাচ্যের দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে রয়েছে। দেশে পিপিআর রোগের উপস্থিতি থাকায় বিদেশে মাংস রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে । এ রোগটি নির্মূল করতে পারলে মাংস রপ্তানির দ্বার উন্মোচিত হবে। বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায়  আজ থেকে আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে সারাদেশে প্রায় ২ কোটি ৯৫ লক্ষ ছাগল-ভেড়াকে পিপিআর ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এ ধারাবাহিকতায় আগামী বছর একইভাবে সারাদেশে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে পিপিআর রোগ নির্মূল করা আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন হলে বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থা হতে এ রোগ নির্মূলের সনদ পাওয়া যাবে।’

;

কৃষকলীগের মহাসমাবেশ শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে মহাসমাবেশ শুরু করেছে বাংলাদেশ কৃষক লীগ। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৫১ বছরে পর এই প্রথম রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।

এর আগে, দেশে বিরোধী পক্ষ যেনো কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে স্মরণকালের সেরা শোডাউন করার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।

জানা যায়, সারাদেশে থেকে প্রায় তিন লাখ কৃষক, কৃষাণী ও নেতাকর্মী জমায়েত করার প্রস্তুতি নিয়েছে সংগঠনটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কৃষক লীগের এটাই হবে সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ।

এ সমাবেশ থেকে বিএনপি–জামায়াতের শাসনামলে সার ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত করতে গিয়ে যেসব কৃষক শহীদ হয়েছেন তাদেরও স্মরণ করবে দলটি।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, তাদের সমাবেশ করার উদ্দেশ্যে হলো- সারা দেশের কৃষক সমাজ যাতে এক হয়ে সরকারের উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে। কোনো ষড়যন্ত্র এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। আগামীতেও শেখ হাসিনা সরকার থাকবে।

তারা আরও জানান, শেখ হাসিনাকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ হলো উন্নয়নের সরকার। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ উন্নত হবে। দেশে যাতে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় না আসতে পারে সেজন্য তারা সজাগ রয়েছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর নিদের্শে ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা হয়। এর পর থেকে সংগঠনটি আওয়ামী লীগের হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখে চলছে।

;