আমেরিকার ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সহায়ক হবে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, আমেরিকার ভিসা নীতি আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখছি। কারণ, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চান।

মঙ্গলবার (৩০ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত থাকেন অথবা নির্বাচন ব্যবস্থা প্রভাবিত করতে পারেন ইউরোপ ও আমেরিকায় তাদের স্বার্থ থাকে। তাদের কারো সন্তান লেখাপড়া করে আবার কেউ অবসরে ঐ সব দেশে বসবাস করতে চান। তাই কেউই চাইবেন না তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হন। এ কারণেই, নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে বা অনিয়ম করতে তারা দ্বিধাগ্রস্থ হবেন। আমেরিকার ভিসা নীতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। মনে হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমেরিকা যথেষ্ট আন্তরিক। আমেরিকার ভিসা নীতি কতটা বাস্তবায়ন হয় বা কার্যকর হয় তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সব রাজনৈতিক দল মনে করে সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করেছে। সবাই মনে করেন নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকার নির্বাচন করছেন। এতে অন্যকোন দলের কিছু করার ক্ষমতা নেই। সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত না হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। যারা বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তারা নির্বাচনে না এলেও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই সরকারের উচিত হবে নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের রাজনীতিতে বিদেশিদের প্রভাব অনেক বেশি। আমরা বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভরশীল। তাই বিদেশীদের প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ আছে। আবার, আমরা নিজেরা অনেক বিষয়ে সমাধানে আসতে পারি না। এমন অবস্থায়, আমাদের দেশে যাদের বিনিয়োগ আছে তারা তাদের স্বার্থেই প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করে। সেই সুযোগটা আমরাই তৈরী করে দিচ্ছি। আমরা নিজেরা মিমাংসা করতে পারলে কেউই মাথা ঘামানো প্রয়োজন মনে করবে না।

তিনি বলেন, জবাবদিহিতা মূলক সরকার হলে সবাই নিশ্চিত মনে কাজ করতে পারেন। জবাবদিহিতা থাকলে একটা আইন, শৃংখল ও নীতি থাকে। কে কী করতে পারবেন আর কী পারবে না তা নিশ্চিত করা থাকে। যখন জবাবদিহিতাহীন সরকার তৈরি হয় তখন কোন গাইডলাইন থাকে না। আমরা সবাই একমত হলে বিদেশিরা কখনোই নাক গলাতে চেষ্টা করতো না, আবার চেষ্টা করলেও কিছুই করতে পারতো না।

   

কৃষকলীগের মহাসমাবেশ শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে মহাসমাবেশ শুরু করেছে বাংলাদেশ কৃষক লীগ। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৫১ বছরে পর এই প্রথম রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।

এর আগে, দেশে বিরোধী পক্ষ যেনো কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে স্মরণকালের সেরা শোডাউন করার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।

জানা যায়, সারাদেশে থেকে প্রায় তিন লাখ কৃষক, কৃষাণী ও নেতাকর্মী জমায়েত করার প্রস্তুতি নিয়েছে সংগঠনটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কৃষক লীগের এটাই হবে সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ।

এ সমাবেশ থেকে বিএনপি–জামায়াতের শাসনামলে সার ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত করতে গিয়ে যেসব কৃষক শহীদ হয়েছেন তাদেরও স্মরণ করবে দলটি।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, তাদের সমাবেশ করার উদ্দেশ্যে হলো- সারা দেশের কৃষক সমাজ যাতে এক হয়ে সরকারের উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে। কোনো ষড়যন্ত্র এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। আগামীতেও শেখ হাসিনা সরকার থাকবে।

তারা আরও জানান, শেখ হাসিনাকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ হলো উন্নয়নের সরকার। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ উন্নত হবে। দেশে যাতে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় না আসতে পারে সেজন্য তারা সজাগ রয়েছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর নিদের্শে ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা হয়। এর পর থেকে সংগঠনটি আওয়ামী লীগের হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখে চলছে।

;

শর্তের বেড়াজালে আটকে খালেদা জিয়ার বিদেশ চিকিৎসা!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রায় দুই মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি। সকালে সিসিইউতে নেওয়া হচ্ছে তো বিকেলে কেবিনে এমনভাবেই হাসপাতালে দিন কাটছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। তবে কোনো শর্তে বিদেশ যেতে রাজি নয় খালেদা জিয়া বলে জানিয়েছে বিএনপির একটি সূত্র।

জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরে, থাইল্যান্ড নেওয়ার কথা বলা হলেও খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা সবচেয়ে ভালো মনে করছেন জার্মানিকে। এর পরপরই বিকল্প হিসেবে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কথা চিন্তা করছেন।

বিএনপি সূত্র জানায়, ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সরকার ইতিবাচক। এখন সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবার। ইতিবাচক কোনো সাড়া এলেই দ্রুত যাতে বিদেশ পাঠানো যায়, তেমন প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনটি আমার দফতরে এসেছে। এটি যাচাই-বাছাই করে রোববার মতামত জানাবো।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, খালেদা জিয়া শর্তযুক্তভাবে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে মুক্ত রয়েছেন। আইনের এই বিদ্যমান অবস্থানে সরকারের পক্ষে তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আরও কয়েকজন মন্ত্রীও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তারা আইনগত জটিলতার কথা বলে আসছিলেন।

এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে হলে আবার জেলে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছি, সেটি থেকে ফিরে এসে তাকে জেলে যেতে হবে, আদালতে যেতে হবে।

লিভার সিরোসিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কে কে যাবেন সে ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান ও দুইজন গৃহকর্মী সঙ্গে যেতে পারেন। এ ছাড়া লন্ডন থেকে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও জার্মানিতে আসতে পারেন।

গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তার স্বাস্থ্যের তেমন কোনো উন্নতি নেই। বরং দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। মাঝে-মধ্যেই তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। নিতে হচ্ছে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। গতকাল বিকালেও তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে তিন দফা তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

;

‘সরকার গদির লোভে দেশের মানুষের কথা ভুলে গেছে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গদি টিকিয়ে রাখতে সরকার যতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে, তার অর্ধেক সচেতন হলেও বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেত না। সরকার গদির লোভে দেশের মানুষের কথা ভুলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার নিকৃষ্ট রেকর্ড করেছে সরকার। কয়েক বছর ধরেই বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। তাই সম্প্রতি ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু একদিনও সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যে পণ্য বিক্রি করেনি খুচরা বিক্রেতারা। ডিম প্রতি পিছ ১২ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাজারে ১২ টাকার ডিম প্রতি পিছ ১২ টাকা ৫০ পয়সা, ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার আলু প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং ৬৪ থেকে ৬৫ টাকার পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাজার মনিটরিং বলতে কিছুই নেই। কারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে সরকার কেন তাদের ধরতে পারছে না? মজুদদার ও অসাধু সিন্ডিকেটের কাছে সরকার কী জিম্মি?

সরকার মানুষের কষ্ট বোঝে না। বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের ব্যর্থতার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চায় দেশের মানুষ। দেশের মানুষের কাছে নিত্যপণ্যের বাজার যেনো মূর্তিমান আতঙ্ক। অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম নির্মূল করে নিত্য পণ্যের মূল্য সহনীয় মাত্রায় রাখতে সরকারের প্রতি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

;

রাজনীতিতে ভালো মানুষের সংখ্যা কমছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতিতে ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে বড় কষ্ট লাগে, আমার দেশের রাজনীতি থেকে কেন যেন মনে হয় ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শাহজাহান কামালের মতো একজন ভালো মানুষ রাজনীতিতে বিরল। তাকে হারানো মানে, আমরা একজন ভালো মানুষকে হারালাম। রাজনীতিবিদ হিসেবে তার আদর্শ গুণাবলি আমরা মনে রাখব এবং অনুসরণ করব। আব্দুস সাত্তারও ভালো মানুষ ছিলেন। এই দুই নেতার মৃত্যুতে আমরা দুজন ভালো মানুষ হারালাম।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের ন্যাম ভবন প্রাঙ্গণে দুই এমপির মরদেহে শ্রদ্ধা শেষে এসব মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যক্তিগতভাবে শাহজাহান কামাল আমার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। তিনি ছাত্রনেতা থেকে পরে মন্ত্রী। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একজন সাচ্চা আদর্শবান মানুষ ছিলেন।

আব্দুস সাত্তারও একজন ভালো মানুষ হিসেবে তার এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, তিনি জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।

;