কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের

কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে স্বাভাবিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, তবে কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে দলীয়করণ করে কর্তৃত্ববাদী সরকার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

সোমবার (২০ মার্চ ) জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিকৃতিতে ফুল দেন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিএম কাদের আরও বলেন, নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট ও প্রশাসনকে সরকার দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। এমন অবস্থায় বা এমন কাঠামোতে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়া বা না নেয়ার বিষয়ে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। কারণ, সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা এমনই রাখবে নাকি কিছু পরির্বতন করবে তা আমরা এখনই জানি না। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে নির্বাচনের আগে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক সংকট শুরু হয়ে গেছে। দুটি দল নিজের অবস্থানে অটল আছে। এমন অবস্থা থেকে তাদের বেরিয়ে আসার কোন উপায় নেই। দল দুটি মনে করছে, তারা ছাড় দিলে তারা ধংস হয়ে যাবে। তারা ভাবছে, ছাড় দিলে নির্বাচনে তারা টিকবে না এবং তাদের রাজনীতি টিকবে না। তাই, সামনের দিকে বাঁচার জন্য দুটি দল জীবনপণ লড়াই করবে। দেশে সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকে দেশ ধাবিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশ চালানো হচ্ছে গোঁজামিল দিয়ে। অগ্রগতির কথা বলে দেশকে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। অর্থের অভাবে দেশের স্বাভাবিক আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রবাসীদের আয় এবং রফতানি থেকে যে আয় হয় তার চেয়ে দেশের ব্যয় অনেক বেশি। দেশের রিজার্ভ আশংকাজনকভাবে কমে গেছে। এ কারণেই আমরা আমদানি করতে পারছি না, আমদানি অর্ধেক হয়ে গেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না, নিত্যপণের দাম বেড়ে গেছে। ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশের অভাবে অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একারণে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। একারণে, সরকার আমদানি কমিয়ে দিয়ে, ধার-কর্য করছে এবং বাকিতে মালামাল কিনছে। এটাকে আমারা গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালানো হচ্ছে বলে মনে করছি।

তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে আমরা যা দেখছি বিশাল বিশাল অবকাঠামো হচ্ছে, মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে। এর সুফল আমরা এখনো দেখিনি। গেলো বাজেটের সময় ঋনের ভার জনপ্রতি ছিলো প্রায় ১ লাখ টাকা। এখন ঋণের বোঝা আরো বাড়বে। সরকারের হাতে টাকা নেই। এমন বাস্তবতায় সরকার নতুন করে ১ লাখ কোটি টাকা ছাপাচ্ছে। এজন্য দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি ও মুদ্রাস্ফিতি হচ্ছে। ডলার সংকট চলছে। সরকার রিজার্ভের যে হিসাব দিচ্ছে তা আইএমএফ এর হিসেব অনুযায়ী অনেক কম। সরকার বলেছে রির্জাভ আছে ৩১ বিলিয়ন ডলার আছে। আইএমএফ বলছে এখানে অন্তত ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার নেই। এই টাকা বিভিন্ন জায়গায় ঋণ দেয়া হয়েছে এবং লগ্নি করা হয়েছে। সেই হিসেবে রির্জাভের পরিমাণ ২২ দশমিন ৫ বিলিয়ন ডলার থাকার কথা। কিন্তু, এবছর ঋণ ও আসল পরিশোধ করতে হবে ২৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। সরকারি হিসেবে বকেয়া ১৮ বিলিয়ন ডলার বেসরকারি এবং ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সরকারি খাতে এখনই শোধ করতে হবে। অতিতের বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসেবে সরকারের হাতে কোন টাকা থাকার কথা নয়। আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সহ বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা ঋণ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু, তারা আমাদের ঋণ না দিলে দেশ যে কোন মুহূর্তে দেউলিয়াত্বের মধ্যে চলে যেতে পারে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরোনের জন্য আমাদের সুপারিশমালা আছে আমরা তা সময় মত জানাবো। আমাদের সুপারিশমালা যদি গ্রহণ করার মত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তবেই আমরা সুপারিশমালা দেবো। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। অনেক শক্তিশালী এবং গ্রহণযোগ্য মানুষ প্রতিদিন জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, এসএম আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, উত্তরের আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু , এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আকতার এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, আতিকুর রহমান আতিক, জহিরুল ইসলাম জহির, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরিফা কাদের এমপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে- জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় মহিলা পার্টি, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি, জাতীয় শ্রমিক পার্টি, জাতীয় তরুণ পার্টি, জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টি, জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় হকার্স পার্টি, পল্লীবন্ধু পরিষদ , ফ্রান্স শাখা জাতীয় পার্টি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দূরভিসন্ধিমূলক: ১৪ দলীয় জোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দূরভিসন্ধিমূলক। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট মনে করে এ ভিসানীতি অনাকাঙ্ক্ষিত, যা কারও পক্ষে ব্যবহার করা হচ্ছে।

রোববার (৪ জুন) রাজধানীর ইস্কাটনস্থ আমির হোসেন আমুর নিজ বাসভবনে আয়োজিত কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, মার্কিন ভিসানীতি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনাহূতভাবে আসায় তা অত্যন্ত দূরভিসন্ধিমূলক মনে হচ্ছে। এটা কারও কারও পক্ষে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা মনে করি, বাঙালি জাতি সংবিধানের প্রত্যেকটি প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখতে ঐক্যবদ্ধ। সরকার সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ক্ষেত্রে অন্য কোনো হস্তক্ষেপ কামনা করি না।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, যারা নির্বাচনকে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে বানচাল করতে চায়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের জন্য এটা (ভিসানীতি) সহায়ক হতে পারে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা কথাগুলো বলতে চাই।

তিনি বলেন, এখানে যদি অন্য কোনো দেশের সন্দেহ থাকে, তাহলে তারা বসে এটা ঠিক করতে পারে যে, সংবিধানের ভেতরে কোথায় কোনো ফাঁকফোকর আছে, সেটা তারা বিবেচনা করুক। সেগুলো দেখুক, আলোচনা করুক। কিন্তু সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হতে হবে। সংবিধানে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, অন্য কোনো উপায়ে আঘাত আসুক এটা আমরা চাই না।

সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের জন্য ১৪ দলীয় জোট কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, বাঙালি জাতি সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোনো দলই জাতির বাইরে না, জনগণের বাইরে না, দেশের বাইরে না। জনগণের ওপর আস্থা থাকলে, সংবিধানভিত্তিক নির্বাচনে আস্থা থাকলে সবারই অংশগ্রহণ করা উচিত। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সব দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই। কোনো দলের পক্ষে জনস্রোত থাকলে, এই স্রোতের বাইরে প্রশাসনও যেতে পারে না। সেই দিকেই নির্বাচন ধাবিত হয়।

তিনি বলেনে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ১৪ দলের নেতারা। জোটের পক্ষ থেকে দ্রুত বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বাজেট নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, সরকার পড়াশোনার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নবম শ্রেণি পর্যন্ত বিনা পয়সায় বই বিতরণ করছেন। সবকিছু ঠিক আছে। সেই ক্ষেত্রে কলম ও কাগজের দাম বৃদ্ধি পড়াশোনার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। সংবাদপত্রের ওপর ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তাই আমরা মনে করি কাগজ-কলমের দাম কমানো উচিত। আরোপিত কর প্রত্যাহার করা উচিত।

বৈঠকে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার জন্য ১৪ দলীয় জোট সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এ প্রসঙ্গে আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব রকম চেষ্টা করছেন। আমাদের দেখতে হবে সরকার সচেতন কিনা, প্রচেষ্টা আছে কিনা। কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে থাকলে কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।

বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আগামী ৬ জুন বিকেলে রাজধানীতে একটি জনসভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

জোট সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি (একাংশ)-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

জাপার ভাইস-চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া চৌধুরীকে অব্যাহতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী কে পার্টি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে এই অব্যাহতি বলে দপ্তর সুত্র জানিয়েছে।

রোববার (৪ জুন) জাপার দপ্তর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ইয়াহইয়াকে আগে শোকজ হয়। তার জবাব সন্তোষজনক না হওয়া পার্টির মহাসচিব মুজিবুল চুন্নুর সুপারিশে তাকে অব্যাহতি দেয়া হলো।

পার্টি ‍সুত্র জানিয়েছে, সাবেক এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশনে আওয়ামী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেন। সিলেট সিটি নির্বাচনে জাপার দলীয় প্রার্থী থাকলেও তিনি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পক্ষে প্রকাশ্যে মঞ্চে নৌকার পক্ষে ভোট চান। এ কারণে ইয়াহইয়াকে প্রথমে শোকজ করা হয়েছিল।

;

বাকশালের আদলে দেশ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ প্লাস: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, বাকশালের আদলে দেশ চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ প্লাস। আওয়ামী লীগ প্লাসের মধ্যে আওয়ামী লীগ, প্রশাসন, পুলিশ, প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ সবাই রয়েছে।

রোববার (৪ জুন ) জাপার বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।

জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের এক শিক্ষিত ও মার্জিত নেতা যেভাবে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন, তাতে মনে হচ্ছে, বিচার বিভাগও আওয়ামী লীগ প্লাসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তারা এতটাই শক্তিশালী যে, আওয়ামী লীগ প্লাসের নির্দেশনা মেনে চলা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। কেউ না মানলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনও আওয়ামী লীগ প্লাসের সদস্য হয়েছে। এতে দেশের মানুষের জন্য স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা কারোই নেই।

তিনি বলেন, এমন বাস্তবতায় মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া বা মানবাধিকার রক্ষার জন্য কাজ করা আওয়ামী লীগ প্লাসের বাইরে চিন্তা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ প্লাসের বাইরে বের হতে না পারলে দেশে সঠিক রাজনীতি সম্ভব হবে না।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যে কাঠামোতে বাকশাল তৈরি করা হয়েছিল ঠিক তেমন করেই আওয়ামী লীগ প্লাস সৃষ্টি করা হয়েছে। সংবিধান সংশোধন করে বাকশাল করা হয়েছিল কিন্তু আওয়ামী লীগ প্লাস আইনগতভাবে করা হয়নি। যেমন বাকশালের জন্য কিছু আইন করা হয়েছিল যা আওয়ামী লীগ প্লাসের জন্য নেই। তাছাড়া সব সংস্থাই ঐ দলের সদস্যের মত কাজ করছেন। তারা যাকে যেখানে কাজ করতে বলবেন, সে সেখানেই কাজ করবেন। অথবা যাকে নির্বাচন করতে বলবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। এভাবেই আওয়ামী লীগ প্লাস একটি দল দাঁড়িয়ে গেছে। সদস্য হোক বা না হোক, ইচ্ছায় হোক আর না হোক, সবাই সেই দলের নিয়ন্ত্রণে যেতে বাধ্য হচ্ছে। প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দেয়ার কথা যিনি বলেছেন তিনি উচ্চ শিক্ষিত এবং ঠান্ডা মাথায় বলেছেন। এখন সবাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছেন, এর বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। এই ধরনের শাসন ব্যবস্থা কখনোই কল্যাণকর হতে পারে না। এমন বাস্তবতায় গণতন্ত্র আশা করা অসম্ভব।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, যখন সমস্ত কিছুই আওয়ামী লীগ প্লাস বা সেই দলের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নির্বাচনে ফলাফল অসম্ভব এবং তারা কখনোই পরাজিত হতে চাইবে না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমেরিকার ভিসা নীতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক হবে। যারা এই নীতি ঘোষণা করেছেন তারা কতটা কার্যকর করেন তার ওপর নির্ভর করবে সব কিছু।

;

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার: তথ্যমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ট সম্পর্ক করতে চাই।

রোববার (৪ জুন) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

২০ ঘণ্টা জার্নি করে আমেরিকা যাবো না, অন্য দেশ ও মহাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াবো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বা সরকার কি চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাক? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই নয়। আমাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা তাদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ট সম্পর্ক করতে চাই। এবং সে কারণে আপনারা দেখেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক যাতে আরও ঘনিষ্ট হয় সেজন্য পররাষ্ট্রসহ অন্যান্য বিষয়ে অনেক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ট সম্পর্ক চাই।

‘যারা মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা করার পর টেনশনে আছে তাদের টেনশন কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ওই কথা বলেছেন।’

তিনি বলেন, আমরা অন্যান্য দেশ, যেমন দক্ষিণ আমেরিকা, সেখানে আমরা বাণিজ্য খুব একটা বাড়াতে পারিনি। সেখানে আমরা বাড়াতে চাই। আমরা মাধ্যপ্রাচ্যে আমাদের বাণিজ্য, সেখানে শুধু শ্রমিক রপ্তানি করে থাকি। মধ্যপ্রাচ্যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, ফ্যাশন সচেতনতা বেড়েছে, সেখানেও আমাদের বাণিজ্য বাড়ানো প্রয়োজন। আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে আমাদের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রচুর। সেখানেও আমরা বাণিজ্য বাড়াতে চাই। ওশেনিয়া অঞ্চলে আমাদের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রচুর, সেখানেও আমরা বাড়াতে চাই, প্রধানমন্ত্রী সে কথাই বলেছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের লাফালাফি কমে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম সব সময় বক্তব্য রাখার সময় কয়েক সেন্টিমিটার লাফ দেন। এটি হয়তো উনার অভ্যাস, হতেই পারে। বিভিন্নজন বক্তৃতা করার সময় লাফ দেন, এটা হয়তো উনার অভ্যাস, দোষের কিছু নয়। তিনি বলেছেন, আজরাইল নাকি সরকারের পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। বেশি কথা বলে লাভ নেই। আজরাইল উনাদের পেছনেও আছে। উনাদের সঙ্গে শয়তানও আছে। এজন্য আজরাইল তাড়াতাড়ি ধারবে। পার্থক্যটা হচ্ছে সেখানে। কারণ উনি যে বিষয়কে ইঙ্গিত করে বলেছেন, সেটি যদি আজরাইল হয়, তাহলে সেই আজরাইল উনাদের অনেক বেশি কাছাকাছি আছে। আর আজরাইলের সঙ্গে উনাদের সঙ্গে শয়তান বহু আগে থেকেই আছে। সুতরাং যার সঙ্গে শয়তান থাকে, আজরাইল কিন্তু তার কাছে আগে পৌঁছায়।

‘এ ধরনের বক্তব্য রেখে আত্মতুষ্টি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আপনাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মাঠে মারা গেছে। সারা দুনিয়ার কোনো জায়গা থেকে সমর্থন পাননি।’

;