গ্রামেগঞ্জে পদযাত্রা করে নৈরাজ্য-সন্ত্রাস ছড়াতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গ্রামেগঞ্জে পদযাত্রা করে নৈরাজ্য-সন্ত্রাস ছড়াতে চায় বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

গ্রামেগঞ্জে পদযাত্রা করে নৈরাজ্য-সন্ত্রাস ছড়াতে চায় বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপির উদ্দেশ্য শুভ নয়। তারা বিভিন্ন গ্রামেগঞ্জে পদযাত্রা করে তাদের নৈরাজ্য সন্ত্রাস গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এটা হতে দেবে না এবং আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে।'

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত বাজুস ফেয়ারে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, 'আগে বিএনপি বিভিন্ন শহরে পদযাত্রা করেছে। এখন তারা ইউনিয়ন-ইউনিয়নে পদযাত্রা করবে বলেছে। শহরে যখন তারা পদযাত্রা করেছে, বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। তাদের উদ্দেশ্য শুভ নয়।'

তিনি বলেন, 'বিএনপি বিভিন্ন ইউনিয়নে অর্থাৎ গ্রামেগঞ্জে পদযাত্রা করে তাদের যে নৈরাজ্য সন্ত্রাস, সেটি গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ এটা হতে দেবে না। আমাদের দল সতর্ক পাহারায় থাকবে। তারা যদি গ্রামেগঞ্জে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা চালায়, জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে।'

বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত একজন আসামি। তিনি এখন জেলেই থাকার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদয় হয়ে তার প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে আসামির বয়স ও নানা সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে তাকে ঘরে থাকার অনুমতি দিয়েছেন। এ জন্য বিএনপি মহাসচিবের উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেওয়া।'

তথ্যমন্ত্রী এর আগে 'সেলিব্রিটিদের গহনা ভাবনা' সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, আমাদের রপ্তানি ঝুড়ি প্রায় পুরোটাই গার্মেন্টস শিল্পনির্ভর হয়ে গেছে। রপ্তানির শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগই তৈরি পোষাক। বাণিজ্যে বহুমুখিতা প্রয়োজন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এতে যুক্ত হয়েছে। জুয়েলারি শিল্প একটি বড় আঙ্গিকে রপ্তানিতে যুক্ত হতে পারে।

ড. হাছান বলেন, 'আমাদের দেশে ভাল কারিগর আছে। এখন থেকে প্রস্তুতি নিলে আগামীতে আমরা বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলারের জুয়েলারি রফতানি করতে সক্ষম হবো।'

সেমিনারে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন-বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের ধারণকৃত বক্তব্য প্রচারিত হয়। বাজুসের সাবেক সভাপতি দিলীপ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলনের সঞ্চালনায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, এফবিসিসিআই সহসভাপতি আমিন হেলালী, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন, অপু বিশ্বাস প্রমুখ সেমিনারে বক্তব্য দেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিতদের সাথে নিয়ে বাজুস প্রকাশিত 'সম্ভাবনার স্বর্ণদুয়ার' সাময়িকীর মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী।

রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার চান রওশন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ

সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো নাগরিক তার দেশের সম্পদ এভাবে ক্ষতি করতে পারে না, যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তারা দেশের শত্রু। তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (রওশন) চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

শনিবার (২৭ জুলাই) আন্দোলনকারীদের আগুনে বিধ্বস্ত সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজার ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনকালে এমন মন্তব্য করেন। সেতু ভবনের সামনে গাড়িতে বসেই ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখেন। এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতর পরিদর্শন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান।

১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দফায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয় সেতু ভবনে। এই হামলায় ৫৫টি গাড়ি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। এছাড়া ভবনের নিচতলায় বঙ্গবন্ধু কর্নার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, মিলনায়তন, ডে-কেয়ার সেন্টার পুড়ে গেছে পুরোপুরি। নিচ থেকে ৭ তলা পর্যন্ত ক্ষতচিহ্ন জ্বল জ্বল করছে। নিচতলা ও সামনের পার্কিং এরিয়া অনেকটা ভাগাড়ের মতো দেখাচ্ছে। ভবনের দক্ষিণ দিকে পার্কিং এলাকায় থাকা সবগুলো গাড়ি পুড়ে বিবর্ণ আকার ধারণ করেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর বৃষ্টিতে এরইমধ্যে মরিচার আস্তরণ পড়েছে। এতে করে বুঝবার উপায় নেই কয়েকদিন আগে গাড়িগুলো সচল ছিল, মনে হচ্ছে কতকাল আগে ডাম্প করা।

সেতু ভবনের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করে হাতের বামে ভবনের সিঁড়ির গোড়ায় যাত্রী নামিয়ে একটু এগিয়ে গিয়ে ডানে টার্ন নিয়ে পার্কিং অথবা বেরিয়ে যাওয়ার পথ। সেই পথটুকু শুধু ফাঁকা ছিল। সেই গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পথে অস্থায়ী তাবু টানিয়ে চলছে সেতু বিভাগের কাজকর্ম। অন্যদিকে ১৯ জুলাই শুক্রবার দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২৩টি গাড়ি পুড়ে যায়। ভাঙচুর করা হয় আরও ২৮টি গাড়ি।

রওশন এরশাদ বলেন, সন্ত্রাসীরা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তার নিন্দা জানানোর ভাষাও আমি হারিয়ে ফেলেছি। মিডিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ছবি দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তাই আজকে নিজে চোখে দেখতে এসেছি। এই ক্ষতি হয়তো পুষিয়ে উঠতে সরকারের কষ্ট হবে, কিন্তু মনের ক্ষত আমরা মুছতে পারবো না।

তিনি বলেন, কোমলমতি ছাত্র সমাজ ন্যায় সঙ্গত কিছু দাবি জানিয়েছিল, আমরাও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ছাত্রদের দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে চক্রান্তকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটায় আন্দোলনে সহিংসতা দেখা যায়। তার জন্য অনেক ছাত্রের অমূল্য জীবন হারিয়ে যায়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য প্রাণ হারিয়েছে। এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়।

আমি সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি ও যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। নিহতদের পরিববার পরিজনকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান রওশন এরশাদ।

;

নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার হবে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরপরাধ কেউ হয়রানির শিকার হবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচারবিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে। সংঘটিত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্তের বাইরে থাকবে না। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণকে মির্জা ফখরুল ইসলাম গণ-গ্রেফতার হিসেবে অভিহিত করে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এখানে কোনো গণ-গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্ত্রাস, সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রবঞ্চনামূলক অপকৌশল গ্রহণ করছেন। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা সশস্ত্র হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন এবং তা জনসাধারণের মনে দগদগে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। বিএনপি-জামায়াত ও তার দোসররা কোনো ভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালানোর গভীর চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছিল।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম নিয়ে এই হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবিলা করা হয়েছে। সরকার কোনোভাবেই চায়নি কারও প্রাণহানি ঘটুক। বিপরীত দিকে বিএনপি-জামায়াত, ছাত্রদল-শিবিরের টার্গেটই ছিল লাশের রাজনীতি। এদের সশস্ত্র ক্যাডারদের মোকাবিলার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নিরস্ত্র নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থায় ছিল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াতের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের মিশনে সারাদেশ থেকে ঢাকায় এসে জড়ো হয়েছিল। এই সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশ টেলিভিশন-বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, বিআরটিএ ভবন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, থানা ও পুলিশ বক্সসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। হত্যা-গুপ্তহত্যা ও নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা আবার ছড়িয়ে পড়েছে। এই সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর রয়েছে।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিচারবিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে। সংঘটিত কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্তের বাইরে থাকবে না। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণকে মির্জা ফখরুল ইসলাম গণ-গ্রেপ্তার হিসেবে অভিহিত করে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে। এখানে কোনো গণ-গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। নিরপরাধী কেউ কোনো প্রকার হয়রানির শিকার হবে না। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা আইনের সর্বোচ্চ সুষ্ঠু প্রয়োগ করবো। কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জাতীয় ঐক্যের আহ্বান হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধবিরোধী এবং দেশবিরোধী অপশক্তির ঐক্য! উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের ঐক্য! জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়ে বিএনপি আবার প্রমাণ করল জামায়াত-বিএনপির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই বিএনপির দোসর। এই ঐক্যের ডাক এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে এদের প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছি।

;

দুঃস্থদের মাঝে কৃষক লীগের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গরীব ও দু:স্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী কৃষক লীগ।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আওয়ামী লীগের আদর্শ হচ্ছে অসহায় ও দু:স্থদের পাশে দাঁড়ানো। সেই আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশ কৃষকলীগ আজকে সারা দেশের সহিংস তান্ডবের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে এই খাদ্য সামগ্রী উৎসর্গ করা হচ্ছে। বিএনপি জামাতের অপশক্তি তৎপরতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য কৃষক লীগের সকল নেতাকর্মীদেরকে তিনি আহবান জানিয়েছেন।

এসময় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি সঞ্চালনায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, শামীমা আকতার, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী জসীমউদ্দিন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, নুরে আলম সিদ্দিকী হক, দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শত্রু-মিত্র চিনতে ভুল করেছে আওয়ামী লীগ: বিচারপতি মানিক



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিগত দিনে ‘শত্রু-মিত্র’ চিনতে ভুল করেছে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, দলটিতে আমূল সংস্কার দরকার। দলে ভেতরে থাকা আগাছাদের বের করে দেওয়া প্রয়োজন।

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে নজিরবিহীন নাশকতা ও হতাহতের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে আসার সমালোচনায় এই মন্তব্য করেন তিনি। অবসর জীবনে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবিধানিক আইন বিষয়ে অধ্যাপনা ছাড়াও বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধের বিচারসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন তিনি।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি মানিক সমাকালীন বিষয়ে গণমাধ্যমে আলোচক ও কলামিস্ট হিসেবেও সরব রয়েছেন। সাম্প্রতিক বিষয়াবলী নিয়ে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বার্তা২৪.কম এর পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম

বার্তা২৪.কম: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশজুড়ে নজিরবিহীন নাশকতা ও হতাহতের ঘটনার পর এটি প্রতিরোধে ব্যর্থতা প্রশ্নে কাঠগড়ায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সাংগঠনিক বিস্তার সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলটির নেতারা সেইভাবে মাঠে থাকেননি-এমন অভিযোগও উঠছে। আত্মসমালোচনার জায়গা থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষ হিসেবে আপনি বিষয়টি কিভাবে দেখেন?

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: এ বিষয়ে বলতে হবে, শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করতে ভুল হয়েছে। কারা শত্রু, কারা মিত্র-এটা হয় আইডেন্টিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছি, অথবা ইচ্ছা করে আইডেন্টিফাই করিনি। দলের (আওয়ামী লীগ) ভেতরে সেইসব মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হযেছে যারা আসলেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে। যাদের বংশ পরিচয় ঘাটলে দেখা যাবে এদের পূর্বপূরুষরা আসলেই রাজাকার-আলবদর ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ছিল। যারা মূলতঃ শিবির-জামায়াত এবং বিএনপির পক্ষের মানুষ। তাদের আমরা ফ্রি এন্ট্রি দিয়ে দিয়েছি...যে যেমন ইচ্ছা আমাদের দলে ঢুকো। এখানে কিন্তু দুর্নীতিও কাজ করেছে। অনেকে কিন্তু পয়সার বিনিময়েও পদবী দেওয়া হয়েছে। এগুলো অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে তাদের আওয়ামী লীগের নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। আমরা বাছ-বিচার করিনি। তারপরে প্রশাসনে ও পুলিশে এমন অনেক লোক রয়েছেন যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে। সেগুলো আমরা খেয়াল করিনি। আমরা ঢালাও ভাবে তাদের ক্ষমতা প্রদান করেছি। যারা মজ্জাগতভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ...দুঃখজনকভাবে পূর্বপুরুষদের খোঁজখবর কিন্তু যেভাবে করা উচিত ছিল সেভাবে করা হয়নি। কিছু কিছু প্রজন্ম আছে যারা মনে করেছে, তাদের পূর্বপুরুষরা ভুল করেছে। নতুন যারা, যাদের পূর্বপুরুষরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, তাদেরও কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাগুলো সেভাবে ব্যক্ত করতে পারিনি। পাকিস্তানিরা কি ধরণের যুদ্ধাপরাধ করেছে, কি অত্যাচার করেছে সাধারণ মানুষ ও নারীদের উপর।

বার্তা২৪.কম: মতাদর্শেরতো নবায়নের প্রয়োজনীয়তা আছে? আওয়ামী লীগ কি তা অনুভব করেনি?

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: তা তো আছেই। কিন্তু তাদের (মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মকে) তো বলতে হবে। তাদের ডকুমেন্টসহ বলতে হবে, শুধু মুখে বললেই হবে না। ডকুমেন্ট দিয়ে দেখাতে হবে যে একাত্তরে পাকিস্তানি সৈন্যরা এবং তাদের সমর্থক আল-বদর, আল-শামস-রাজাকাররা কিভাবে আমাদের দেশে গণমানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছে, এগুলো তাদের বোঝাতে হবে। গত তিন দিন আগে ইতিহাসের এক অধ্যাপিকা, তিনি আমাকে একটি মেইল পাঠিয়ে জানিয়েছেন, তাদের সময়ে কখনো একাত্তরের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে জামায়াত-শিবিরের লোকেরা কিন্তু কন্টিনিউয়াস সেই একাত্তর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তাদের আদর্শের কথা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে আসছে। তাদের নারীরা বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে জামায়াতের আদর্শ প্রচার করে আসছে। যার ফলে এদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। তারা কখনো চায়নি পাকিস্তান নামক একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র ভেঙে একটি ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হোক। সেখানে আমাদের ব্যর্থতা রয়েছে। আমরা (মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষরা) ভেবেছি মানুষ এমনিতেই সব জেনে যাবে। কিন্তু সেটি তো কথা নয়। আমাদের মধ্যেও এমন অনেকে ঢুকে আছে, যারা আছেন তারাও যে পুতপবিত্র তা কিন্তু নয়। এমন মানুষ অনেক আছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যারা রাজাকারদের আদর্শই বহন করে। সেই সংখ্যাও কম নয় কিন্তু। ওরা বিভিন্ন জায়গায়..শক্তিশালী অবস্থানে থেকে তাদের যে মতাদর্শ তা কাজে লাগাচ্ছে।

বার্তা২৪.কম: কিন্তু দেড় দশক টানা সরকার ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ কেন এই আদর্শ ও চেতনাকে সাধারণের মাঝে বিকশিত করতে পারলো না?

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: কারণ, তারা ভুলে গেছে। তারা এখন নিজেদের স্বার্থ নিয়েই বেশি ব্যস্ত বলে আমি মনে করি। যে আদর্শ নিয়ে তারা একাত্তরে যুদ্ধ করেছিল সে আদর্শ তারা ভুলেই গেছে। তারা ভাবছে যে, এটা এমনিতেই চলবে। তারা অনেকে তাদের সন্তানদেরও মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে খুব বেশি একটা শিখিয়েছে বলে মনে হয় না। মনে হলে এ ধরণের ঘটনা ঘটতো না।

বার্তা২৪.কম: আন্দোলনটি শুরুতেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত আলোচনার মাধ্যমে এই আলোচনাটিও বিভিন্ন মহলে গুরুত্ব পাচ্ছে। আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন...

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: যারা এটা বলছেন, তারা রাবিশ কথা বলছেন। বলছি এজন্য যে, দেখুন ওরা (কোটা আন্দোলনকারীরা) যেটা চায়- সরকার তো সেটাই চেয়ে আসছে। সরকার কোটা সংস্কার চায় বলেই তো হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করল। সুতরাং সেই অর্থে এদের পথে নামাটা প্রয়োজনই ছিল না। তারা কিন্তু অন্য উদ্দেশ্যে নেমেছে। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী বুঝতে পারেনি বিষয়টা। তাদের চালানো হয়েছে। আসলে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কিন্তু প্রথম থেকেই এর পেছনে ছিল। তারাই পরিচালিত করেছে। জামায়াত ও শিবিরের নীলনকশা, অবশ্য নতুন কিছু নয়-বহু পুরনো। প্রথম কয়েক দিন চুপিসারে ছিল, আত্মপ্রকাশ করেনি। দেখেছে ছাত্রদের আন্দোলন, সুযোগমত তারা ঢুকে পড়েছে। সময় মতো তারা মুখোশ খুলেছে। তারা পেছনে না থাকলে ছাত্রদের আন্দোলন এমন পরিণতি পেত না। যেখানে সরকার তাদের পক্ষে কথা বলছে। আন্দোলন যে দিন নামলো সেদিন থেকেই কোন প্রয়োজনই ছিল না। সরকার পরিষ্কারভাবে বলেছে, বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারে। এটা সত্য। দেশ তো সংবিধান দ্বারা পরিচালিত হয়। সরকারের কোন ক্ষমতা ছিল না আপিল বিভাগের রায় উপেক্ষা করে অন্য কিছু করার। তাহলে সেটা তো সংবিধান নষ্ট করে দেওয়া একটি সরকার হয়ে যেত। সেটা তো গণতান্ত্রিক সরকার হতো না।

বার্তা২৪.কম: শুরুতে আন্দোলনটি শান্তিপূর্ণই ছিল। সেটি সহিংসতায় গড়াল কিভাবে? 

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: সহিংসতা ছাত্র-ছাত্রীরা বোঝেনি, তাদের উল্টা বোঝানো হয়েছে। শিবির-বিএনপি-জামায়াত, এরাই বুঝিয়েছে। কোটার বিষয়ে তাদের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না, তাদের একটাই উদ্দেশ্য রাস্তায় নেমে এই সরকারের পতন ঘটানো। এটা প্রথম দিন থেকেই তারা করে আসছে। যদি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হতো তাহলে তো এটা হতো না। দু’দিন পর থেকেই তো অশান্তির আন্দোলন হয়ে গেছে এটা। রাস্তা ব্লক করে দেওয়াকে কি আপনি শান্তিপূর্ণ বলবেন? গাড়ি চলাচল বন্ধ..কোন ব্যাখ্যাতেই এটাকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বলা যায় না। আমি তো বলব, পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। শান্তি রক্ষা করা, মানুষের জীবন-সম্পদ রক্ষা করা তো পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পুরোপুরি পালনের অর্থ তো এদেরকে প্রতিহত করা। কিন্তু পুলিশ ও র‌্যাব বাহিনী অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। প্রথম দিকে তো তারা তেমন অ্যাকশনে যায়নি। যেখানে রাস্তা বন্ধ করে সমস্ত দেশ অচল করে দিল। সেখানে পুলিশ যদি অ্যাকশনে যেত তা অবশ্যই সমর্থনযোগ্য হতো। ব্যাপারটা হলো যারা এগুলো করছে তারা জানতো তারা কি চায়? মোটেও কোটা বিষয়ে তাদের কোন ব্যাপার না, তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথা, ‘সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হবে না’।-অর্থাৎ উদ্দেশ্য পরিষ্কার। কি চায় তারা। রিজভী, সাকী, যাদু মিয়ার মেয়েরা-সব রাজাকারের বংশধরেরা যা বলে যাচ্ছে তা অত্যন্ত পরিষ্কার। কত বড় নির্লজ্জ কথা, ‘তুমি কে আমি, রাজাকার রাজাকার/বাংলাদেশের মাটি রাজাকারের ঘাঁটি’। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে অসহনীয় কথা তারা বলে যাচ্ছে তা কোন অবস্থায় আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের মানুষ সহ্য করতে পারি না।

বার্তা২৪.কম: চলমান এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কি? জনগণের মাঝেও পুরো বিষয় নিয়ে এক ধরণের বিভ্রান্তি দেখছি...

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: বিভ্রান্তি শুরু হয়েছিল, আপিল বিভাগের রায়ের মধ্য দিয়ে তা কেটে গেছে। আপিল বিভাগের রায়ের পর সবাই বুঝতে পারছে, এটা সরকারের কাছে ছিল না। জনগণ কিন্তু অসচেতন নয়। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমরা মেট্রো রেলের দিকে তাকিয়ে ছিলাম কত বছর ধরে। মেট্রো রেল হবে, ঢাকা শহরের যানজট দূর হবে। সব ধ্বংস করে দিল। বিটিভিকে ধ্বংস করে দিল। আরও কত কিছু ধ্বংস করলো। এই ক্ষতি কিভাবে পোষাবে, মানুষ কিন্তু বুঝতে শুরু করেছে। সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও বিজিবির অ্যাকশনকে কিন্তু ওয়েলকাম করছে মানুষ। তারা এখন বুঝতে পেরেছে, দেশের শত্রু কারা? তাদেরই দাবি কিন্তু এদের রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে বিচার করা হোক। সাধারণ মানুষ কিন্তু এই দিকেই এগুচ্ছে। সুতরাং সাধারণ মানুষকে যে ভুলটা বোঝানো হয়েছিল সেগুলো আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে এবং কেটে যাবে। সাধারণ ছাত্ররাও কিন্তু ঘরে ফিরে গেছে। তারা বুঝতে পেরেছে যে তাদের ব্যবহার করেছেন নেতারা। যাদের পকেট ফুলে গেছে। বিদেশ থেকে বহু টাকা এসেছে। কোটি কোটি টাকা এসেছে। এদেশেরও কিছু ব্যবসায়ী টাকা দিয়েছে। এই টাকা পেয়ে কিছু পয়সা তারা আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের পেছনে খরচ করেছে। বাকীটা কিন্তু তাদের পকেটেই গেছে।

বার্তা২৪.কম: তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের এক ধরণের দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবারে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের একটি সভাতেও তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। অরাজকতা সৃষ্টির পেছনে কি এই শূন্যতা কোন ভূমিকা রেখেছে?

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক: আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সর্বপুরাতন রাজনৈতিক দল। বিএনপি’র যেমন সামরিক ছাউনী থেকে জন্ম আওয়ামী লীগের কিন্তু তা নয়। জামায়ত তো একটি ধর্মান্ধ গোষ্ঠী, ধর্মান্ধদের দল। শিবিরও তাই। কিন্তু আওয়ামী লীগের যে ঐতিহ্য জনগণের দল হিসাবে সেটি কিন্তু অনেকখানি অবক্ষয়ের দিকে চলে গেছে। এখন বহু লোক আছে যাদের সঙ্গে জনগণের কোন সম্পৃক্ততাই নেই। অনেক রাজনীতিবিদ আছেন। এর থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে আওয়ামীলীগের আমূল সংস্কার; সোজা কথা, দলে ভেতরে থাকা আগাছাদের বের করে দেওয়া।

;