রাষ্ট্রপতি হতে আগ্রহী নই: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের
এখন গণমুখী উন্নয়ন হচ্ছে না, উন্নয়নের নামে মুষ্টিমেয় মানুষ আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষ এই উন্নয়নের স্বাদ পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
বুধবার (২২ মার্চ) আইডিইবি মিলনায়তনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জিএম কাদের এমন মন্তব্য করেন ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত উন্নয়ন হচ্ছে সকল মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন। এটি শুধু এরশাদের দেশ পরিচালনার সময়ে হয়েছিলো। দেশকে যদি দেহ ধরা হয় তাহলে বর্তমানে উন্নয়নের নামে রক্তশূন্য দেশে গয়না পরানো হচ্ছে। অথচ, দেশের জীবনীশক্তি শুষে খাওয়া হচ্ছে।
সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রচুর অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপচয় এর প্রমাণ বেরিয়ে আসবে। সাধারণ মানুষ বর্তমান উন্নয়নের স্বাদ পাচ্ছে না। প্রতিদিন দেশের মানুষ দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হচ্ছে। দেশের মানুষ উন্নয়নের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওর্য়াল্ড ব্যাংকের তথ্যমতে দেশের ১ শ টাকা আয় হলে ধনিক শ্রেণির আয় হয় ২৮ টাকা। আর শতকরা ৫ ভাগ নিম্ন শ্রেণির আয় হয় মাত্র ২৩ পয়সা। উন্নয়নের নামে দেশে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এটাকে আমরা উন্নয়ন বলতে পারি না বলে মন্তব্য করেন তিনি ।
তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিলো হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। উন্নততর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিলো তার । কল্যাণমুখী উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন। কাঠামোগত ও সংস্কারগত উন্নয়ন করেছেন। সারাদেশে কাঠামোগত উন্নয়ন করেছেন যা এখনো মানুষের চোখে পড়ে। যমুনা বহুমুখী সেতু হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম মেগা প্রকল্প। যেটি বঙ্গবন্ধু ব্রিজ নামে পরিচিত। ওর্য়াল্ড ব্যাংক থেকে শুরু করে সবাই যমুনা সেতুকে অসম্ভব বলেছিলেন।
তিনি বলেন, ৩২ বছর ক্ষমতা রাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে টিকে আছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন এরশাদ। তাই প্রতিপক্ষরা তাকে নানান অপবাদ দিয়েও সফল হয়নি। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই সফল হয়নি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন।
জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বিচারপতি শাহাবুদ্দিন প্রতিশ্রুত ভঙ্গ করে এরশাদ সরকারের মন্ত্রী, এমপিসহ কারাগারে পাঠিয়েছিলেন। কোন অধিকার পায়নি জাতীয় পার্টি। এমন বাস্তবতায়ও দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলো জাতীয় পার্টি। জেলে অন্তরীণ অবস্থায় ৫টি করে আসনে যে নেতা বিজয়ী হন তাকে স্বৈরাচার বলা হয় কোন মুখে? ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের সময় তেলের দাম বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু তেলের দাম কমার সাথে সাথে দেশের তেলের দাম কমিয়ে দিয়েছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, যারা সেনাবাহিনী থেকে রাজনীতিতে এসেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়া আমি সবাইকে ঘৃণা করি। এরশাদ সাহেবকে শ্রদ্ধা করি ভালোবাসি শুধু এই কারণে, তিনি জেলে থেকেও ৫টি করে আসনে এমপি হয়েছেন দুই বার। আবার তার ছেড়ে দেয়া আসনে যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো তারাও বিজয়ী হয়েছে। অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন, অত্যন্ত সুন্দর মানুষ ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বঙ্গবন্ধুর পরেই আমি পল্লীবন্ধুকে ভালোবেসেছি।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির নেতারা জানেন না দেশের মানুষ কত ভালোবাসে জাতীয় পার্টিকে। তারা চায় জাতীয় পার্টি যেন রাজপথে নেমে আসে। বটগাছের নীচে দূর্বা ঘাসও জন্মে না। তাই রাজপথে নেমে জাতীয় পার্টিকে গায়ে রোদ লাগাতে হবে। রাজপথে নামলে জাতীয় পার্টির বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি জেপি মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেছেন, এরশাদ ছিলেন এক দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক। রাজনৈতিক দর্শন ছিলো তার। ৪৬০টি উপজেলা ও ৬৪টি জেলা সৃষ্টি করে প্রশানকে বিকেন্দ্রীকরণ করেছিলেন। জীবন ও মৃত্যুর মাঝে এরশাদ সাহেব অসংখ্য র্কীতি গড়েছেন।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে লুটপাটের রাজনীতি কায়েম করেছে। কম বাজেটে গণমানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে এরশাদ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেই রেকর্ড এখনো কেউ ভাঙতে পারেনি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে কি হয়েছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। এখন কী হচ্ছে তা দেশের মানুষ দেখছেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, জাতীয় পার্টির কো - চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুব সংহতির আহবায়ক এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, মহিলা পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হেনা খান পন্নী, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, কৃষক পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, শ্রমিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংস্কৃতিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদ, মৎস্যজীবী পার্টির সদস্য সচিব মীর সামসুল আলম লিপ্টন, জাতীয় যুব মহিলা পার্টির আহ্বায়ক নাজনীন সুলতানা। জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু ও যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম সঞ্চালনা করেন ।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, রাজনীতিতে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নাই। আমাদের পরিশ্রমী কর্মীবাহিনী দরকার। ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া পদ সর্বস্ব রাজনীতির দিন শেষ। এখন জেগে উঠার সময়। জনবিচ্ছিন্ন এবং নিষ্প্রভ কর্মীবাহিনী আমাদের কাম্য না।
তিনি বলেন, আমাদের কাম্য সেই কর্মীবাহিনী যারা নদীর মোহনা থেকে সাগর ডেকে এনে জনসমুদ্রতে রূপান্তরিত করবে। আমি বিশ্বাস করি, আজকের কর্মীরাই আমাদের আগামীর নেতৃত্ব। কাজেই, নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন কর্মীবাহিনী আমাদের আজকের প্রত্যাশা।
বুধবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, ওসমানী হল মাঠ, তেজগাঁও আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত ২৪, ২৫ (পূর্ব), ২৫ (পশ্চিম), ২৬, ২৭, ৩৫, ৩৬ ও ৯৯ নং ওয়ার্ডের ইউনিটসমূহের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, ধিক্কার জানাই বিএনপি নামক ওই তথাকথিত বিরোধী দলকে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের সাথে আঁতাত ও আপোস করে তাদের হাতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অপমান করেছিল। এই তাদের আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া। বিএনপি যদি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসে ওরা এবার যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিবে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর চড়াও হওয়ার জন্য। আজকে অনেকে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে।
শেখ পরশ বলেন, আমার প্রশ্ন ১৯৭১ সালে যখন রাজাকার, আলবদর, আল-সামস বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা ও অগ্নিসন্ত্রাস করেছে তখন এই সকল সমালোচকদের ভূমিকা কি ছিল, তখন কি তারা গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন তুলেছিল? বা প্রতিবাদ করেছিল? আমি সেটা জানতে চাই। এমনকি ২০০১ সালেও ওই জামায়াত-বিএনপি সরকার যখন সেই পাকিস্তানি কায়দায় যখন আমাদের হিন্দু ভোটারদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে তাদেরকে উৎখাত করেছিল, তখনো কি এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারক এবং বাহকের প্রশ্ন তুলেছিলেন? বাংলাদেশে প্রায় এক যুগের বেশি সময় যে অগণতান্ত্রিক মিলিটারি শাসকদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছিল, সে ব্যাপারে এবং সেই সময়ও কি তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের রক্ষক হিসাবে সরব ছিল? ১৫ই আগস্টে যখন নারী-শিশু হত্যা করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া ছিল কিনা, আমার বড্ড জানতে ইচ্ছে করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যুবলীগ আজ অনেক পরিশুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সম্মেলন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন নেতৃত্ব চাই, যাদের বিরুদ্ধে কোন মাদকের অভিযোগ নেই। যারা ডাক দিলে নেতা-কর্মীতে ভরে যাবে। তেমন দক্ষ নেতৃত্ব আশা করছি। তেজগাঁও অঞ্চল আওয়ামী লীগের দুর্গ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
ছাত্রলীগের পঁচা গলিত অংশ সার্জারি করতে হবে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কাউকে নেতা বানানো যাবে না। এদের বিরুদ্ধে শুধু সাংগঠনিক না প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার (২২ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার অভিমুখে। নেত্রী অনেক আশা করে, বাছ-বিচার করে ছাত্রলীগের কমিটিগুলো করেছে। তোমরা (ছাত্রলীগ) তাকে হতাশ করো না। খারাপ ছেলেমেয়েদের আমাদের কোনো দরকার নেই। যারা খারাপ সংশোধিত না হলে তাদের বের করে দাও। যাদের নামে বদনাম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, সিট বাণিজ্য ও মাদকের মানসিকতা যাদের তাদের পরিহার করতে হবে। অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কাউকে নেতা বানানো যাবে না। এদের বিরুদ্ধে শুধু সাংগঠনিক না প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ছাত্রলীগের কাছে আমরা অনেক আশা করি। আমরা মনে করি এই কমিটি কিছু করবে। আমাদের হতাশ করো না।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সালে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার লাভ করেছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতারা চেয়েছিলেন একজন সামরিক কর্মকর্তা ঘোষণা দিলে বাঙালি উজ্জীবিত হবে। কাজেই তাকে খুঁজে এনে চট্টগ্রাম কালুরঘাটে ঘোষণা দিতে বলা হয়। সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ইতিহাস মুছে দেয়ার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিশুপার্ক বানিয়েছিল। ৭ মার্চ, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ও টুঙ্গিপাড়া নিষিদ্ধ করেছিল। গণতন্ত্রকে তোমরা (বিএনপি) হত্যা করেছো, সমাহিত করেছো। বিএনপির আন্দোলন এখন চোরাবালিতে আটকে গেছে।
তিনি আরও বলেন, পিতাকে দিয়ে স্বাধীনতা, কন্যাকে দিয়ে মুক্তি। শেখ হাসিনা আজ মুক্তির সংগ্রামের কান্ডারি। দশ দফা ভুয়া, সাতাশ দফা ভুয়া, বিক্ষোভ মিছিল ভুয়া আর নেতাও ভুয়া। আমরা পালিয়েছি? তোমার (বিএনপি) নেতা ফখরুলই মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছে। বিএনপি ধ্বংস করেছে, শেখ হাসিনা মেরামত করেন।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
বিএনপি থেকে বহিষ্কার শওকত মাহমুদ
দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
দলটির সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগেও শওকত মাহমুদকে দুবার শোকজ করেছিল বিএনপি। এবার তাকে দলের সব ধরনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
২০১৬ সালে ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ পেয়েছিলেন শওকত মাহমুদ। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতিও ছিলেন।