আওয়ামী লীগ দেশকে শ্মশান করে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আওয়ামী লীগ গত ১৪-১৫ বছরে বাংলাদেশকে শ্মশান করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমি শেখ মুজিবের ভাষায় বলতে চাই, গত ১৪-১৫ বছরে তারা এই বাংলাদেশকে শ্মশান করে দিয়েছে। আমরা জিজ্ঞেস করতে চাই, বাংলাদেশ শ্মশান কেন? বাংলাদেশ আজকে শ্মশান কারণ এই ভয়াবহ দানব, এই আওয়ামী লীগের দানব, যারা আজকে আমাদের বুকের উপরে বসে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে বিদেশি পাচার করছে আর আমাদের মানুষকে গরিব করে রেখে যাচ্ছে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, পাঁচ নেতা হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের একটা প্রতিষ্ঠান, র‌্যাব- তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। র‌্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিলে তো হবে না। নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে হাসিনা সরকারকে। হাসিনা সরকারের নির্দেশে এসব ঘটনা ঘটেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, কাস্টুডিতে ট্রর্চার করে মেরে ফেলা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেল কিছুদিন আগে এসেছিলেন, তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন যে এখানে গুম হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্ট বেরিয়েছে কয়েকদিন আগে, ৭৪ পৃষ্ঠার রিপোর্ট বের হয়েছে। তারা বলেছে বাংলাদেশে মানবাধিকার নাই। এখানে গুম হয়, বিচারবর্হিত হত্যাকাণ্ড হয়, এমনকি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নাই। বেগম খালেদা জিয়াকে যে সাজা দিয়েছে এটি রাজনৈতিক সাজা বলেও রিপোর্টে উল্লেখ্য করেছে। রাজনীতি থেকে দূরে থাকার জন্য তাকে সাজা দিয়েছে। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।

পলোগ্রাউন্ড থেকে নতুন আন্দোলনের সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। আমাদের গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য, এই দেশকে মুক্ত করার জন্য, দেশকে আরেকবার পরাধীনতা দূর করার জন্য এই চট্টগ্রাম থেকে আমরা দ্বিতীয় দফার আন্দোলন শুরু করেছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন, আমাদের লাখো শহীদকে স্মরণ করার আন্দোলন, লাখো মানুষকে মুক্ত করার যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন আজ চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড থেকে সূচনা হলো।

দুইদিকে তাকিয়ে দেখবেন বড় বড় ব্যানারে আমাদের কয়েকজন ভাইয়ের ছবি আছে। এই ভাইরা কারা? যারা গণতন্ত্র মুক্ত করার জন্য, মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, জনগণকে অন্যায় অত্যাচার থেকে রক্ষা করার জন্য শহীদ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যখন জ্বালানি তেল আর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করি, ভোলাতে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিম প্রথম শহীদ হন। শহীদ হন ছাত্রদলের নূরে আলম। তারপরে শহীদ হন নারায়ণগঞ্জে আমাদের যুবদলের নেতা শাওন ৷ সর্বশেষ মুন্সিগঞ্জের শাওন। এরা কারা ছিলো? এরা সাধারণ মানুষ। এই ভাইয়েরা, যারা রক্ত দিয়েছে, প্রাণ দিয়েছে, তারা একেবারে সাধারণ মানুষ। মুন্সিগঞ্জের যে ভাই প্রাণ দিয়েছে, তার একেবারেই অল্প বয়স। অল্পদিন বিয়ে হয়েছে, একটা আট মাসের ছোট্ট শিশু আছে। নারায়ণগঞ্জের ভাইয়েরও একই অবস্থা। নূরে আলম, আব্দুর রহিম এদেরও একই অবস্থা। একজন চার্জার গাড়ি চালায়, আরেকজন ফ্যাক্টরিতে কাজ করে, আরেকজন খেতে কাজ করে। এরা সাধারণ মানুষ। এরা কেউ অনেক বিত্তের অধিকারী নয়, ধন সম্পদের মালিক নয়। কিন্তু এরা গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছে। তারা বলেছে, ‘মারো আমাকে, কিন্তু দেশকে আমি মুক্ত করতে চাই।

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা জ্বালানি তেলের দাম কমানোর জন্য আন্দোলন করছি। শেখ হাসিনা ১০ টাকা কেজিতে চাল দিবে বলেছিল, আজকে চালের দাম ৭০ টাকা। চাল, ডাল, তেল, লবণ, সবজি, ডিম, মাংস- সবকিছুর দাম এখন তিনগুণ, চারগুণ, পাঁচগুণ। আবার শুনতে পাচ্ছি, বিদ্যুতের দামও নাকি বাড়াবে। তিন চারবার বাড়ায় প্রত্যেক বছর, এখন নাকি আবার বাড়াবে। পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে, গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, পানির দামও বাড়িয়েছে। এখন আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াবে। কেন? এত দাম বাড়াতে হয়, কারণ একটাই। তারা লুট করে, চুরি করে, ডাকাতি করে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করে।

নির্বাচন কমিশনকে ডিসি-এসপিরা মানে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, কয়েকদিন আগে ডিসিরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছে-আমরা আপনার কথা মানি না। শেখ হাসিনার কথা মানি। এরকম নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনোভাবেই নির্বাচন নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। তাই আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা আন্দোলন শুরু করেছি।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশের সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর।

এসময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনর রশীদ প্রমুখ।

   

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাসায় ফিরছেন খালেদা

বাসায় ফিরছেন খালেদা

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

এর আগে গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে। 

;

বিএনপি শ্রমিকদের বন্দুকের জোরে জিম্মি করে রেখেছিল: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষককেও হত্যা করেছে তারা।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে বন্দুকের জোরে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলেন তিনি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিভ্রান্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে মন্তব্য করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনো দিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি।

তিনি বলেন, তারা আদমজী জুট মিলসহ বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। শ্রমজীবী মানুষসহ সকল মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উত্থিত রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সর্বদা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ লাখ ২৩ হাজার ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাট-তন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচ পাঁচ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল।

;

সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আররের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

;

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানার উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।

তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।

দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।

পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

;