জিয়া কখনই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি বলে জিয়া মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন। আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু সে কি স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলো? অবশ্যই তার কর্মকাণ্ডে সেটি প্রমাণ হয় না। যদি তিনি সত্যি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি আইন করে খুনিদের রক্ষা করতেন না। জিয়া যদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকে তাহলে তিনি খুনিদের বিচার কেন করেননি? তাদের বিচার করতে তার কি সমস্যা ছিলো? সে উল্টো তাদের পুরস্কৃত করেছিলো। তাদের রাষ্ট্রদূত বানিয়েছিলো।

সোমবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ আয়োজিত কেআইবি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হানিফ বলেন, বিএনপি জন্ম হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দিয়ে। তারা এখনো এ রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে। তারা কখনো চায় না দেশের মানুষ ভালো থাকুক। তারা শুধু চায় যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় যেতে। তাদের এখন দেশে-বিদেশে সবখানে ষড়যন্ত্র করে। তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের নেতারা সব সময় মিথ্যাচার নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ছিলো ৫ সেপ্টেম্বর। তিনি হঠাৎ করে ১৫ আগস্ট কেক কাটা শুরু করলেন। এর কারণ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী। গোটা জাতির শোকের ও বেদনার দিন এরা আনন্দ করে, কারণ বঙ্গবন্ধু এ দেশকে স্বাধীন করেছেন আর খালেদা জিয়া পাকিস্তানের পক্ষের শক্তি। সে স্বাধীনতা চায়নি। ১৯৮৪ সালে যখন খালেদা জিয়া বিএনপির নেত্রী হন তখন তার পিতা তৎকালীন পত্রিকা ‘নিপুন’ এ সাক্ষাৎকারে বলেছেন ১৯৪৫ সালে যখন ২য় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হলো ৫ সেপ্টেম্বর সেদিন খালেদা জিয়া জন্মগ্রহণ করেছিলো। কতটা খারাপ মন মানসিকতার হলে এভাবে কারো শাহাদাত বার্ষিকীতে মানুষ আনন্দ উল্লাস করতে পারে।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মহাসচিব কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম প্রিন্সের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব কৃষিবিদ এম. আমিনুল ইসলাম। সভাপতির বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের সহ-সভাপতি কৃষিবিদ প্রফেসর এ. কে. এম. সাইদুল হক চৌধুরী।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ সভাপতি কৃষিবিদ ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব কৃষিবিদ মো. মোবারক আলী, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মসিউর রহমান হুমায়ূন প্রমুখ।

   

‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন ৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন গত ৫ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে এখন তার পরিবারকে আদালতে যাওয়ার কথা বলা সরকার সময়ক্ষেপণ ছাড়া কিছু নয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিমকোর্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আবেদনের পরও খালেদা জিয়ার পরিবারকে আদালতে যাওয়ার কথা বলা জাতিকে বিভ্রান্ত করার কৈৗশল বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কেন্দার একটি আবেদন করেছেন। সেই আবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক গৃহীত হয়েছে সে মর্মে একটি সিল দেওয়া আছে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সেই আবেদনে স্পষ্টভাবে লেখা আছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের অনুরোধ সেই আবেদনে উল্লেখ করা আছে।

এর আগে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর আবেদন আগেই করা আছে; নতুন করে আবেদন চাওয়াটা অমানবিক।

তিনি বলেন, চিকিৎসকরা এবং মেডিকেল বোর্ড বলেছেন খালেদা জিয়ার যে সমস্যায় ভুগছেন তার চিকিৎসা দেশে সম্ভব না। অতএব খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশের বাইরে করাতে হবে এটা আবেদন করার ওপর নির্ভর করছে না। এটা এখন সময় এবং জনগণের দাবি। তার জীবন রক্ষার জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

এর আগে শুক্রবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। আবেদন করলে খালেদা জিয়ার বিষয়টি দেখা যাবে বলেও জানান তিনি।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

;

বগুড়ায় জামায়াতের বিক্ষোভ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় জামায়াতের বিক্ষোভ

বগুড়ায় জামায়াতের বিক্ষোভ

  • Font increase
  • Font Decrease

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শহরের নুরানী মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে চারমাথা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

বগুড়া শহর জামায়াতের আমির আবিদুর রহমান সোহেলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক রফিকুল আলম, উপ-শহর থানা আমির আব্দুল হামিদ বেগসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহন করেন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল বলেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি , জুলুম-নিপীড়নের ফলে গোটা জাতি আজ বিক্ষুব্ধ। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে এক মুহুর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই অবিলম্বে সরকার পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ইসলাম এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর। সরকার বিনা কারণে জামায়াত নেতা ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ারসহ জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। অবিলম্বে আমিরে জামায়াতসহ সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয় সমাবেশ থেকে।

;

সিলেট বিএনপির ২ নেতা বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় নেতাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় সিলেটে দুই বিএনপি নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- মহানগরীর ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির ৪৯ নং নির্বাহী সদস্য সালেহ আহমদ খসরু এবং ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির ৪২ নং নির্বাহী সদস্য দিনার খান হাসু।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভৈরব থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চের শেষ জনসভা ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় রোডমার্চের দল নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠ পরিদর্শনকালে জেলা ও মহানগর বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মাঠ পরিদর্শন শেষে কোন কারণ ছাড়া দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তারা অশোভন আচরণ করেন। যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এতে প্রতীয়মান হয় যে ২১ তারিখের আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসভার আয়োজনটি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের।

এমন কার্যকলাপে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে সকল পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে কেন তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন করা হবে না তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিজেদের সপক্ষের বক্তব্য থাকলে নিম্ন স্বাক্ষরকারী মহানগর বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবরে প্রেরণ করার অনুরোধ করা হয়।

;

আজ কোথায় কখন কোন দলের সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। এমন অবস্থায় দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আজ ঢাকায় কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। সবমিলিয়ে ঢাকা আজ সমাবেশের নগরী।

রাজধানীর চারটি স্থানে পৃথক সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। বিকেলে রাজধানীর উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, ধোলাইখাল ও আমিনবাজারে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি জানিয়েছে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের ধোলাইখালে বেলা তিনটায় সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। তাদের এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই দাবিতে বেলা আড়াইটা থেকে আমিনবাজার চিশতি ফিলিং স্টেশন–সংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ করবে ঢাকা জেলা বিএনপি।

অন্যদিকে বেলা দুইটায় রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এখানে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সরণিতে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

;