পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী এড়াতে ব্যাংককে জিএম কাদের!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠান এড়াতে বিদেশ সফরে গেছেন বলে দলীয় একাধিক সূত্র দাবি করেছেন। দেশে থাকলে নানা রকম প্রশ্ন উঠতে পারে তাই এই কৌশল বলে অনেকে মনে করছেন।

তারা মনে করছেন, জিএম কাদের আর সরকারের সঙ্গে মাখামাখা সম্পর্ক দেখাতে চান না। আবার এই মুহূর্তে পুরোপুরি বয়কট করতেও সিনিয়র নেতাদের সমর্থন পাচ্ছেন না।

দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে দেখার জন্যই এই সফর। তবে পার্টির এই বক্তব্য ধোপে ঠিকছে না। কারণ সোমবার (২৭ জুন) দেশে ফিরতে যাচ্ছেন রওশন এরশাদ। দুই দিন পর যিনি দেশে ফিরছেন তাকে দেখতে যাওয়া হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। গত নভেম্বরে মুমূর্ষ অবস্থায় রওশন এরশাদকে চিকিৎসার জন্য বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এতদিন দেখতে না গিয়ে যখন সুস্থ হয়ে দেশের ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন তখন দেখতে যাওয়াকে লোক দেখানো বলে মনে করছেন অনেকেই।

দলীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রকাশ্য কোন ঘোষণা না দিলেও গোপনে স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান না করার জন্য। এমনকি পদ্মা সেতুর প্রস্তুতি সভায় যোগদান থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলের বরিশাল থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য রত্না আমিন হাওলাদারকে। আওয়ামী লীগ নেতা আবু হাসনাত আব্দুল্যাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে বসেছিলেন বরিশাল অঞ্চলের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে।বরিশাল-৬ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির এমপি রতনা আমিন হাওলাদকেও সেই সভায় ডাকা হয়। জাপার ওই এমপি ফোনে জিএম কাদের’র পরামর্শ ও যোগদানের অনুমতি চেয়েছিলেন। জিএম কাদের তাকে সাফ জানিয়ে দেন, কোনভাবেই অংশ নেওয়া যাবে না। এক পর্যায়ে সাফ জানিয়ে দেন, আবু হাসনাত আব্দুল্যাহ’র ডাকা সভায় যোগ দিলে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। পরে ওই সভায় যোগদান থেকে বিরত থাকেন রতনা আমিন হাওলাদার।

শুধু তাই নয়, বিদেশ সফরের আগে ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ৭ দিনের জন্য স্থগিত করার মধ্যেও কেউ কেউ কৌশল হিসেবে দেখছেন। জিএম কাদের ২৩ জুন থাইল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে ঢাকা, সিলেট ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে যান। নির্দেশনায় বলা হয়েছে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের জন্য ৭ দিনের জন্য এই সিদ্ধান্ত। এখানেও কেউ কেউ ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুজে পাচ্ছেন। তারা বলছেন সিলেট ও রংপুর বিভাগে বন্যা থাকলেও ঢাকা বিভাগের বিষয়টি রহস্যবৃত।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূলত সেতুর দুই প্রান্তে থাকা ঢাকা বিভাগের লোকজন অংশ নেওয়ার কথা। যাতে ঢাকা বিভাগের নেতারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতে না পারেন। সে জন্যেই এই অবস্থান বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা বিভাগে কয়েকজন সংসদ সদস্য রয়েছেন যারা আওয়ামী ঘেষা বলে পরিচিত। তারা অতীতে আওয়ামী লীগের অনেক অনুষ্ঠানে মিছিল নিয়ে জমায়েত হয়েছেন। এমনও হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করে কেউ কেউ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের ঠেকাতে জিএম কাদের’র বিশেষ কৌশল বলে মনে করেন খোদ দলের লোকজনেই।

জাতীয় পার্টির দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বার্তা২৪.কম-কে জানিয়েছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করা বা না করার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। পার্টির চেয়ার‌ম্যান, মহাসচিব দেশের বাইরে রয়েছেন। সে কারণে তারা অংশ নিতে পারছেন না। দলীয় সংসদ সদস্যরা চিঠি পেয়েছেন, তারা চাইলে অংশ নিতে পারবেন।

কেউ অংশ নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই মুহূর্তে আমার জানা নেই।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি যতটুকু জানি দলীয় সংসদ সদস্যসহ যারা আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন তারা অনেকেই অংশ নিয়েছেন।

   

বগুড়ায় জামায়াতের বিক্ষোভ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় জামায়াতের বিক্ষোভ

বগুড়ায় জামায়াতের বিক্ষোভ

  • Font increase
  • Font Decrease

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শহরের নুরানী মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে চারমাথা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

বগুড়া শহর জামায়াতের আমির আবিদুর রহমান সোহেলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক রফিকুল আলম, উপ-শহর থানা আমির আব্দুল হামিদ বেগসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহন করেন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল বলেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি , জুলুম-নিপীড়নের ফলে গোটা জাতি আজ বিক্ষুব্ধ। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে এক মুহুর্তও ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই অবিলম্বে সরকার পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ইসলাম এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর। সরকার বিনা কারণে জামায়াত নেতা ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ারসহ জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। অবিলম্বে আমিরে জামায়াতসহ সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয় সমাবেশ থেকে।

;

সিলেট বিএনপির ২ নেতা বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় নেতাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করায় সিলেটে দুই বিএনপি নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- মহানগরীর ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির ৪৯ নং নির্বাহী সদস্য সালেহ আহমদ খসরু এবং ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির ৪২ নং নির্বাহী সদস্য দিনার খান হাসু।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভৈরব থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চের শেষ জনসভা ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় রোডমার্চের দল নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠ পরিদর্শনকালে জেলা ও মহানগর বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মাঠ পরিদর্শন শেষে কোন কারণ ছাড়া দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তারা অশোভন আচরণ করেন। যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এতে প্রতীয়মান হয় যে ২১ তারিখের আলিয়া মাদরাসা মাঠের জনসভার আয়োজনটি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের।

এমন কার্যকলাপে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে সকল পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে কেন তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন করা হবে না তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিজেদের সপক্ষের বক্তব্য থাকলে নিম্ন স্বাক্ষরকারী মহানগর বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবরে প্রেরণ করার অনুরোধ করা হয়।

;

আজ কোথায় কখন কোন দলের সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। এমন অবস্থায় দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আজ ঢাকায় কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। সবমিলিয়ে ঢাকা আজ সমাবেশের নগরী।

রাজধানীর চারটি স্থানে পৃথক সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি। বিকেলে রাজধানীর উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, ধোলাইখাল ও আমিনবাজারে এসব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি জানিয়েছে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের ধোলাইখালে বেলা তিনটায় সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। তাদের এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই দাবিতে বেলা আড়াইটা থেকে আমিনবাজার চিশতি ফিলিং স্টেশন–সংলগ্ন এলাকায় সমাবেশ করবে ঢাকা জেলা বিএনপি।

অন্যদিকে বেলা দুইটায় রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এখানে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সরণিতে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

;

'ওবায়দুল কাদের পারলে খালেদা জিয়া কেন সিঙ্গাপুর যেতে পারবে না'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেছেন, বেগম খালেদো জিয়া বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। যিনি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন। তিনি কখনো কারো সাথে আপোষ করেননি। সবাই তাকে দেশের গণতন্ত্রের মা হিসেবে চিহিৃত করেছে। ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনা এরশাদের সঙ্গে লং ড্রাইভে গিয়েছিল। অথচ বলে বেড়ান তিনি নাকি আন্দোলন করেছেন। ওবায়দুল কাদের যদি প্রতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুর যেতে পারে, বেগম খালেদা জিয়া কেন যেতে পারবে না। ম্যাডামের কিছু হলে সারা বাংলাদেশে আগুন জ্বলবে। সরকার বুঝতে পারছেন না? আপনারা বুঝবেন না। কারণ বিভিন্ন বাহিনী নিয়ে আছেন। আরে আন্দোলনের জোয়ারে এই বাহিনী এক মিনিটের মধ্যে কোথায় চলে যাবে টেরও পাবেন না। 

রোববার (২৪ সেপ্টম্বর) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে বিএন‌পি চেয়ারপার্সন বেগম খা‌লেদা জিয়ার মু‌ক্তির দা‌বি‌তে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির কেন্দ্র ঘোষিত বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। 

মীর নাছির বলেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ আমাকে বলেছিল, আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম সব বাহিনীর প্রধানরা বলেছিল, আমার পাশে থাকবে। কিন্তু বিপদ যখন আসল, দেখি, আমি ছাড়া পাশে আর কেউ নেই। পুলিশ বাহিনীকে বলতে চাই, বেশি বাড়বাড়ি করবেন না। জোয়ার শুরু হলে কিছু করতে পারবেন না। আমাদের নেতাদের যেদিন নির্দেশ দিব সেদিন আপনাদের কোনো অস্ত্রই কাজে আসবে না। আমরা আন্দোলন করে এই পর্যায়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। আওয়ামী লীগের সাথে কোন আপোষ নাই। বেগম খালেদা জিয়াকে যে অত্যাচার করেছে তাদেরকে ক্ষমা করা যায় না।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবু্বর রহমান শামীম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আজকে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসার অভাবে বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়, তাহলে এই সরকারের পরিণতি হবে ভয়াবহ। আওয়ামীলীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। শেখ হাসিনা জনগণের শক্তিতে নয়, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বন্দুকের নলে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা আবারো বিগত নির্বাচনের মত আরেকটি নির্বাচনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেব না। সারা বিশ্ব আজকে বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ কর্মসূচিতে সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে যেখানে বাধা, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, খেলা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগকে বিদায় নিতেই হবে। বোরখা যদি কিনে না নেন ওই নারায়ণগঞ্জের নেতার কাছ থেকে তাড়াতাড়ি কিনে ফেলুন। দেশত্যাগের জন্য গোপনে প্রস্তুতি নিন। জনগণ কিন্তু আপনাদের ক্ষমা করবে না। জনগণ প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে স্বৈরাচারী এরশাদ বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছিল। আজকে বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসা পাওয়া তাঁর মৌলিক অধিকার। কিন্তু জটিল চিকিৎসার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি বাংলাদেশে নেই। কো্নো সরকার যদি মানুষের মৌলিক অধিকার দিতে না পারে তাহলে তাঁর ক্ষমতায় থাকার কোনো প্রয়োজন থাকে না। কিন্তু এ সরকার বেহায়া নির্লজ্জ সরকার। এ সরকারের দিন শেষ হয়ে গেছে। চুরিচামারি করে আর ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ বারবার রক্ত দিয়ে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে একদফার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে। 

 

;