রাজপথে সমাগম হচ্ছে, পরিবর্তন আসবেই: হাফিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশদিন আর এই স্বৈর সরকারের আয়ু নাই উল্লেখ করে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে এখন অনেক বেশি লোক রাজপথে সমাগম হচ্ছে, সাধারণ মানুষরাও আসছে। পরিবর্তন আসবেই।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) এক আলোচনা সভায় দেশের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধবংস করে দেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। এরকম দুঃসহ অবস্থায় একটি অনির্বাচিত সরকার চেপে বসেছে। তবে হ্যা ভাই ও বোনেরা, আমরা টানেলের শেষে আলোর রেখা দেখতে পারছি।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, এই যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে দেখেন আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হচ্ছে, নৌকার ভরাডুবি হচ্ছে। স্বতন্ত্র ও বিরোধী প্রার্থীরা বিজয়ী হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এতো কারচুপির পরও তারা জিততে পারছে না। জনগণ তাদের ঘৃণা করে। আওয়ামী লীগের চেহারা কেমন? এই এক মুরাদ হাসানের মাধ্যমে আমরা দেখতে পেলাম। এরকম অসংখ্য মুরাদ হাসান আরো রয়েছে। মুরাদ হাসান হলো টিপ অফ আইস বাক। অধিকাংশ মুরাদ হাসানরা পানির নিচে আছে, এগুলো চেহারা এখনও দেখা যাচ্ছে না। যখন সরকার পরিবর্তন হবে অসংখ্য মুরাদ হাসনদের পাবেন তখন দেখতে। সেই দিন বেশি দূরে নয়। অপেক্ষা করুন।

তিনি বলেন, আগামী দিনে আর তারা (সরকার) নিশি রাতে নির্বিাচন করতে পারবে না। যেহেতু বিশ্বের পরাশক্তির দৃষ্টি আকষিত হচ্ছে, একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ হচ্ছে, আরও অনেক আসবে। যদিও এটি আমাদের জন্য লজ্জাকর। এখন বাংলাদেশের জনগণের উচিত বিএনপির নেতৃত্বে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বে রাজপথে নেমে এই সরকারকে বিদায় করা। ইনশাল্লাহ সেই দিন বেশি দূরে নয়, এই সরকারেরে পতন ঘটবেই।

সরকার প্রতিহিংসামূলকভাবে অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দি করে কষ্ট দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন হাফিজ।

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে ‘৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে আগ্রাসী বিরোধী এই কনভেনশন হয়। এতে মানবাধিকার সংরক্ষন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামেরে নাগেশ্বরী থানার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয় ফেলানী খাতুন নামে এক কিশোরী। যার মরদেহ পাঁচ ঘন্টা কাটা তারে ঝুলে ছিল। এই নির্মম ঘটনা প্রতিবাদ জানাতে প্রতিবছর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এই দিবসটি পালন করে।

হাফিজ বলেন, আমরা চাই না আর কোন ফেলানী কাটাতারে ঝুলে থাকুক, সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকের মৃত্যু আমরা আর দেখতে চাই না। পাকিস্তানের সাথে তো ভারতের দীর্ঘদিনের সংষর্ষ চলছে। কোথায় সেখানে তো একটা লোকও হত্যা হয় না। আমাদের কেনো ১৪‘শ বা দেড় হাজার লোক নিহত হবে?

বিএনপি এই নেতা বলেন, আমাদেরকে শক্তি অর্জন করতে হবে। আমাদের দরকার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয়তাবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে আমরা এই ফেলানীদেরকে আগামী দিনে রক্ষা করবো। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অক্ষুন্ন রাখবো এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির অর্পনা রায়, অ্যালবার্ট পি কস্তা, মুক্তিযোদ্ধা দলের শহীদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফারুক রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মোসলেহ উদ্দিন, রামকৃষ্ণ সাহা, আবদুর রহমান খোকন, হুমায়ুন কবীর প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

   

সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ওমরাহ পালন করতে সৌদি আররের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার একান্ত সহকারী ইউনুস আলী বলেন, পবিত্র ওমরাহ পালন করতে ম্যাডামসহ স্যার সৌদি আরব গেছেন। প্রথমে তারা সরাসরি মদিনায় যাচ্ছেন। সেখানে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন এবং মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করবেন। এরপর মদিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র ওমরাহ পালনের আনুষ্ঠানিক শুরু করবেন তারা। কাবা শরিফ তাওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি করবেন, মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করবেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ মে বিএনপির মহাসচিব দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

;

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানার উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।

তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি।

দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।

পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

;

চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরছেন খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে একদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় নেওয়া হচ্ছে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ম্যাডামকে আজকে বাসায় আনার কথা রয়েছে। তবে এখনও সময় নির্ধারণ হয়নি।

এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে তার শরীরের বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।

;

সস্ত্রীক ওমরা পালনে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সস্ত্রীক পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন।

বৃহষ্পতিবার (২ মে) বিকেল সোয়া ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বেলা সাড়ে ৩টার ফ্লাইটে মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম পবিত্র ওমরা পালন করতে সৌদি আরব যাবেন।

পবিত্র ওমরা পালন করতে যাওয়ার আগে গতকাল বুধবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাক্ষাৎতে নিজের ও স্ত্রীর জন্য খালেদা জিয়ার কাছে দোয়া চান মির্জা ফখরুল। আর খালেদা জিয়াও তার নিজেরে শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া করতে বলেছেন।

;