‘গোটা জাতিকে এতিম করার সকল প্রচেষ্টা নিয়েছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলব হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্থাৎ সাংবাদিকরা অবরুদ্ধ থাকুক, কথা বলো না। বেঁচে থাকলেও তুমি জীবন্ত লাশ। গোটা জাতিকে এতিম করার সকল প্রচেষ্টা নিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। তিনি ক্রমাগত ভাবে সেটাই করছেন।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আজকে টেকনোলজির কারণে অনেক কিছুর সংবাদ চলে আসছে। সংবাদ চলে আসছে বলেই অনেক কিছুর খবর চলে আসে। আজকে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় সম্পদ পাচার করছেন। তাদেরকে সরকার কিন্তু কোন টার্গেট করছেন না, তাদেরকে ধরেন না। আজকে সাংবাদিকরা কয় টাকা বেতন পান? আজকে বাংলাদেশ ব্যাংককে দিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এদের অনেককে আমরা চিনি। অনেকের মাস গেলে খাওয়ার পয়সা থাকে না। এদের অ্যাকাউন্ট চেক করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার মানে সামনে নির্বাচন আসছে এই নির্বাচনে যত ধরনের অনাচার, যত ধরনের অপ প্রক্রিয়া আছে এটা সরকার করবে এবং এর বিরুদ্ধে যেন কোন সাংবাদিক যাতে না লিখে এবং তার পত্রিকায় কোন ধরনের প্রচার না দেয়। এই কারণেই এটা রাষ্ট্রীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আইনই যেখানে নেই সেখানে আইন দিয়ে কি করবেন? এতে আপনাদের উদ্দেশ্যটা বোঝা যায়। প্রধান নির্বাচন কমিশন এমন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যে, নির্বাচন কমিশন নিজেই একটি স্বাধীন সত্তা। সেই স্বাধীন সত্তার যে ক্ষমতা নিজেই স্বেচ্ছামূলক আত্মসমর্পণ করতে চান তিনি কে এম নূরুল হুদা। এই ধরনের ব্যক্তিকে খুঁজে আনতে চান আপনারা (আওয়ামী লীগ)। কেএম নূরুল হুদা অত্যন্ত জরুরি আপনাদের কাছে। কারণ নিশিরাতে নির্বাচন জায়েয করবে কে? প্রতিদ্বন্দ্বিহীন নির্বাচন জায়েজ করবে কে? এখন স্বতন্ত্র কেউ নির্বাচন করতে চায় না। তারা যানে যে নির্বাচনের দিন শেষে সরকারি দলের যে থাকবে তাকে নির্বাচিত করা হবে।

বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আর হাসান মাহমুদ সাহেব কেএম নূরুল হুদার মতো লোক খোঁজার জন্য যত ধরনের কাজ করা দরকার সেই কাজগুলোই তারা করছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ সুতরাং তাদের খুঁজে বের করতে হবে কেএম নূরুল হুদার মতো একজন লোক খুঁজে পাওয়া যায় কিনা। কারণ আগামী নির্বাচন নিয়ে তাদের আরেকটি পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী নির্বাচনে কেএম নূরুল হুদার মতো সিল মারবে বৈধতা দেবে তাদের এমন একটা লোক প্রয়োজন। এজন্য সংবিধান বহির্ভূত আইন বহির্ভূত কথাবার্তা বলছেন তারা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাঝে মধ্যে কিছু কিছু ডায়লগ দেন। জাস্ট একটা জাদুর পরিস্থিতি তৈরি করেন। যে মানুষ এই জাদু দেখে বিমোহিত হতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা ভাবে যে, বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত বেকুব।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের মানুষের একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। মানুষ ভোট দিতে যাবে দেখবে যে তার ভোট আগেই হয়ে গেছে, অথবা সে ভোট দিতে যাবে না, অথবা সে জানবে যে তার ভোটটা রাতেই দেওয়া হয়ে গেছে। এই নির্বাচন কমিশন যেই পদ্ধতিগুলো শুরু করেছে এই পদ্ধতি আমরা চাই না। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে এবং যারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিশ্বাস করে তাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি আজকে প্রবল বেগে রাস্তায় নামতে হবে। তার কোন বিকল্প নেই। আর নির্বাচন কমিশন স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবে কাজ করবে তখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ সরকার যখন প্রতিষ্ঠিত হবে। এর কোন বিকল্প নেই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারে যারা আছেন তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চান। তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান, তারা বিরোধীদল শূন্য দেশ কায়েম করতে চান। সেখানে তো বিকল্প ব্যবস্থা থাকতে হবে। তাদের কথায় কোথাও গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। ইতিহাসকে পদদলিত করে মাটিচাপা দিয়ে তারা তাদের মতো ইতিহাস রচনা করেন। সেই দেশে আপনি যাকে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন সে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না যদি একটি নির্দলীয় সরকার না হয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন, মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ওলামাদলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তবিবুর রহমান সাগর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

   

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে বুধবার (১ মে) রাতে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে ২-১ দিন হাসপাতালে থাকতে হবে।

এর আগে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক জরুরি কিছু পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা সাতটার অল্প সময় পর হাসপাতালে পৌঁছান বেগম জিয়া।

সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। দুইদিন সিসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় ফেরেন।

অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন গত কয়েক বছর ধরে। এজন্য তাকে বিভিন্ন সময়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্টসহ নানা রোগে ভুগছেন।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।

;

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। 

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়িটি গুলশানের বাসভবন থেকে রওয়ানা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি।

;

‘শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মানুষ আবারও জেগে উঠেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দেশের মানুষ আবারও জেগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শুধু ডান আর বাম নয় সব পন্থির মানুষই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ আজ দানবের কবলে পড়ে তছনছ হয়ে গেছে। যা বুঝেও না বুঝার ভান করে সরকার। শুধু ডান বা বাম নয় সব পন্থির মানুষ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের অপরাধ, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দেশটাকে তামাশায় পরিণত করেছে। তারা গণতন্ত্রের লেবাস পরে। শুধু বিএনপি নয়, সব গণতান্ত্রিক মানুষ আবারও জেগে উঠছে। তারা আন্দোলনের বিপ্লব করবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।

;

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা (বিএনপি) নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে।

বুধবার (০১ মে) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সম্পর্কে ভিতরের অনেক কথা শোনা যায়। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও মিল নাই। যাকে পছন হয় না তাকে বলে সরকারের এজেন্ট। নেতায় নেতায় ঝগড়া করে একে অন্যকে দোষ দেয়। বিএনপিকে আমরা ধ্বংস করতে চায় না, বিএনপির ভাঙন আমরা চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এতো শত্রু, বিএনপির ধ্বংসের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না।

বিএনপি নেতাদের লজ্জা শরম নাই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, একসময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। আজ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, আর বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, কার কাছে নালিশ করবেন? যাদের কাছে নালিশ করতেন তাদেরও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকায় আরব বসন্ত। ৪০টা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। পিছনের দরজা দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেছে কয়দিন আগে, সে সময় সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করলো আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এতো প্রতিবাদ? তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এটা গণতন্ত্রের অংশ। প্রফেসরকে লাঠিপেটা, কি নির্যাতন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, কি যে বর্বরতা। তখন ভাবতে অবাক লাগে, এই দেশ নাকি গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মানবাধিকারের কথা বলে।

শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আদমজীর মত জোট মিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজকে শ্রমিকের ওপর কোন নির্যাতন নাই। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন, শ্রমিকের আন্দোলন করেছেন। নুরু মিয়ার রক্ত ৬ দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিণত করেছে।

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলবো আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছে ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।

;