মেগা প্রকল্পের অর্থ দিয়ে সরকারকে টিকা কেনার আহ্বান বিএনপির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মেগা প্রকল্পের অর্থ দিয়ে সরকারকে টিকা কিনতে বললেন বিএনপি

মেগা প্রকল্পের অর্থ দিয়ে সরকারকে টিকা কিনতে বললেন বিএনপি

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রতিরোধে মেগা প্রকল্পসমূহের বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে অতিদ্রুত সরকারকে টিকা কেনার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।

সোমবার (৫ জুলাই) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ‘করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহ-বিতরণ-পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কমিটি’র আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকারকে এই পরামর্শ দেন।

বিএনপির ‘করোনার ভাকসিন সংগ্রহ-বিতরণ-পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কমিটির উদ্যোগে সারাদেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় টেউ মোকাবিলায় সরকারের কার্যক্রম বিষয়ে তুলে ধরতে এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন হয়।

মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব হচ্ছে, করোনা সংক্রমণ সংকটকে জাতীয় পর্যায়ে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। টিকা ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ অন্য খাত থেকে বিশেষ করে মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দকৃত অর্থ ডাইভার্ট করে টিকা ক্রয় করা অতি জরুরি। পৃথিবীর বিভিন্ন যে সোর্স আছে ঔষধ কোম্পানিগুলো থেকে টিকা সংগ্রহ করা দরকার। অতি শিগগির এক লাখ, দুই লাখ, পাঁচ লাখ নয়, কোটি কোটি টিকা আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে করোনা ৪/৬ মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, টিকা ক্রয় আমরা বিরোধী দল করতে পারবো না, এটা সরকারকেই করতে হবে। যদি সরকার না পারে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। সেই দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করে সরকারকে প্রয়োজনে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা পারবে তারা এদেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসবে।

তিনি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি, টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে অনিশ্চিয়তা, স্বেচ্ছাচারিতা এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা এবং তাদের উদাসীনতায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। করোনা মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা, টিকা সংগ্রহের রোডম্যাপ এবং টিকাদান কর্মসূচির ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সম্পর্কে সকল তথ্য জনগণের সামনে উপস্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।

বিএনপি বিশ্বাস করে দেশের জনসংখ্যার ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মানুষকে অতি শিগগিরই টিকা প্রদানের মাধ্যমেই একমাত্র করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এই লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে সরকারকে পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং জনগণকে তা অবহিত করতে হবে।

আমরা বলব, অতিদ্রুত টিকা সংগ্রহ এবং টিকাদান কর্মসূচিকে স্বচ্ছ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। আমরা আগেও বলেছি এজন্য জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে এদেশের দলমত নির্বিশেষে সকল জনগণকে এই একটি কাজে একত্রিত করে অগ্রসর হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নাই বলে আমরা মনে করি। আজকে পত্র-পত্রিকায় দেখবেন করোনা সংক্রমণের ব্যাপারে যে খবরা-খবর সবই হতাশার খবর। আমরা আশার খবর শুনতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা সকলে কাজ করতে চাই। সরকারকেও সেইভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

বাজেট অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যত টিকা লাগে কেনা হবে। কিন্তু কোথা থেকে ক্রয় করা হবে, কবে নাগাদ ক্রয় করা হবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখেন নাই। কোভিড-১৯ অতিমারির শুরু থেকে সরকারের রাখঢাক, সমন্বয়হীনতা, অতিকথন ও দুর্নীতি জনগণকে হতাশ করেছে, ক্ষুব্ধ করেছে, সরকার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থাহীনতার সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার ও তার মন্ত্রীরা জনগণের সাথে প্রতারণা করেছেন প্রথম থেকে। তারা বলেছেন, করোনা সংক্রমিত হবে না। কিন্তু হয়েছে। তারপরে বলেছেন, সব চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। দেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার যে, সরকার তাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে।

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এবং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর হটলাইনে চিকিৎসা সেবা, বিভিন্ন হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান, সীমান্তবর্তী জেলাসমূহে হাসপাতালে রোগীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সরবারহ, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করার কার্যক্রম তুলে ধরেন খন্দকার মোশাররফ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম এবং ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক আবদুস সালামও বক্তব্য রাখেন।

   

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। বহিষ্কৃতরা হলেণ, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম ও ফলসী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম রহমান।

শনিবার (৪ মে) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দলটি সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে আমিরুল ইসলাম ও গোলাম রহমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তাদের প্রচার চালাচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (খুলনা বিভাগ) সহসাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। এছাড়াও ঝিনাইদহ বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কারণ দর্শানোর নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার উত্তর দিতে বলা হয়েছিল।

;

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৪ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের অসংলগ্ন ও লাগামহীন বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতৃবৃন্দ ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার কথা বলেছেন! বন্দুকের নলের মুখে জোরপূর্বক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী একজন গণধিকৃত ব্যক্তিকে বিএনপি গণনায়কে রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা করছে। বিএনপির এই অপচেষ্টা জনগণ কখনো গ্রহণ করেনি। জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার প্রশ্নই আসে না।

তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী এবং গণতন্ত্র হত্যাকারী একজন স্বৈরশাসক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে। জিয়াউর রহমান বাঙালি জাতির কাছে একজন সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবেই অভিহিত হবেন। আওয়ামী লীগ কখনো ইতিহাস বিকৃতিতে বিশ্বাস করে না।

জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান জোরপূর্বক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছে। বিএনপির শাসনামলে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস প্রচার করা হয়েছে। এমনকি ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পর্যন্ত বাজাতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক যে কোনো বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি, প্রথা, বিধি-বিধান ও নির্বাচন তাদের কাছে ফাঁদ বলে মনে হয়। সে কারণে তারা চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে হালকা হিসেবে জনগণের সামনে তুলে ধরার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির লক্ষ্যই হলো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে নস্যাৎ করা। সেজন্য তারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও গুজব সৃষ্টি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপরাজনীতি করে। বিএনপিকে এদেশের মানুষ ভালো করেই চেনে। বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন এবং তাদের নেতাদের হাক-ডাকে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। 

;

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংহতি ছাত্রলীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (৪ মে) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরে করা এক বিবৃতিতে এ সংহতি প্রকাশ করে ছাত্রলীগ।

বিবৃতিতে বলেন, ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন ছাত্রলীগ।

বিবৃতে দলটি জানায়, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগে শোষক শ্রেণি, আরেক ভাগে শোষিত। আমি শোষিতের দলে। চলার পথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দৃঢ় ঘোষণাকে সদা ধারণ করে আমরা বিশ্বব্যাপী চলমান এই ন্যায্যতার আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করি।

এতে আরও বলা হয়, নিরীহ-নিরাপরাধ ফিলিস্তিন নাগরিকদের সাথে পরিচালিত জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন পরিচালনা করছে, আন্দোলন-প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাঁধা-নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে তা গভীরভাবে অনুধাবন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে নানা সময় আন্দোলন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং এর নেতাকর্মীরা একই রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছিলো। কেবলমাত্র স্বাধীনতা সংগ্রামেই ছাত্রলীগের সাড়ে ১৭ হাজার নেতাকর্মীকে নিজেদের প্রাণ বিসর্জন করতে হয়েছিলো।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অবিকল্প সারথি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সাথে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন, তা অতুলনীয়-অভাবনীয়। তাঁদের পদাঙ্কন অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সামাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন।

ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচি-

আগামী সোমবার (৬ মে) সকাল এগারোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন হতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে দলটি।

একইসাথে, ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসাথে একইসময়ে এই কর্মসূচি পালন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

;

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ: বিএনপির ৬১ নেতাকর্মী বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৬১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শনিবার (৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়া ৬১ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন লড়ছেন।

;