বিকেলে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হবে খালেদাকে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএসএমএমইউতে নিতে খালেদা জিয়ার জন্য প্রস্তুত গাড়ি/ছবি: মেহেদী হাসান

বিএসএমএমইউতে নিতে খালেদা জিয়ার জন্য প্রস্তুত গাড়ি/ছবি: মেহেদী হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন।

শনিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে কারা ফটকে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

তিনি জানান, বিকেল ৩ টার পর খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

এদিকে কারাগার সূত্রে জানা যায়, কারাগারে থেকে হাসপাতালের যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। খুব সম্ভব ৩ টার দিকে তাকে বের করা হবে। এরেই মধ্যে তার জন্য কারাগারের ফটকে গাড়ি প্রস্তুত করাও হয়েছে। এজন্য সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেছেন। 

বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দিনের দ্বিতীয় ভাগের যেকোনো সময়ে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাসপাতালে আনা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে।

   

‘ইউএস স্যাংশন না দিলে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করার নিদর্শন দেখিনি’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আমলাতন্ত্রের আধিপত্যের যে দ্বন্ধ তা নিরসনে বৃহত্তর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রশ্নগুলো সমাধান জরুরি বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। এসব প্রশ্ন জিইয়ে রেখে আমলাতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ বেশ কঠিন হবে বলেও মত তাঁর।

বাংলাদেশের সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক পদক্ষেপের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকেও অন্যতম কারণ মনে করেন এই তরুণ রাজনীতিক। তিনি বলেন, ‘ইউএস স্যাংশন না দিলে সরকার আভ্যন্তরীণভাবে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারতো বা করতো এমনটার কোন নিদর্শন আমরা দেখিনি।’

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অবঃ) আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎপরতা ও সম্পত্তি জব্দ করা নিয়ে বার্তা২৪.কম এর সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম

বার্তা২৪.কম: সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদকে নিয়ে চলমান বিতর্ককে রাজনীতিবিদ হিসাবে কিভাবে দেখছেন?

শামীম হায়দার পাটোয়ারী: কিছুটা বিতর্কিত নির্বাচন হওয়ার কারণে যারা দেশ চালাচ্ছেন, তারা অনেক ক্ষেত্রেই আমলাতন্ত্র-পুলিশতন্ত্রের কাছে কিছুটা সমঝোতার ভিত্তিতে দেশ চালাচ্ছেন। এই সমঝোতার একটি ভিত্তি হচ্ছে বিরোধী দলের আন্দোলনকে দমন করা, সরকারকে টিকিয়ে রাখা এবং এর বিনিময়ে হয়ত কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অন্যায়ের ক্ষেত্রে এক ধরণের প্রশ্রয় পেয়ে থাকবেন। যে কারণে অনেকেই ভেবেছিল তারা আইনের উর্ধ্বে, দায়বদ্ধতার উর্ধ্বে; ভেবেছিল তাদের কোনই সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে না এবং একটা পর্যায়ে দুর্নীতি নীতিতে পরিণত হয়েছিল। কোন সিদ্ধান্ত না থাকার কারণে অনেকে বল্গাহীন ভাবে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেছেন। সেটা হ্রাস করার জন্য আজিজ-বেনজীরের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপের উদাহরণগুলো খারাপ না। কিন্তু সার্বিক দুর্নীতির চিত্র দেখলে আসলে... বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনায় এই সমস্যার সমাধান আদৌ সম্ভব নয়। প্রথমতঃ সৎ, নির্ভীক রাজনীতিবিদদের ক্ষমতায়িত করতে হবে। রাজনীতির অধীনে আমলাতন্ত্রকে আনতে হবে। কারণ রাজনীতিবিদরা জনগণের প্রতিনিধি। তাদের মাধ্যমেই জনস্বার্থ-সুশাসন সুরক্ষিত হবে-এটাই গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড। তবে এখানে অবশ্যই একটি ডিভাইডিং লাইন করতে হবে। কোন জায়গাগুলোতে আমলাতন্ত্র এককভাবে কাজ করবেন, কোন জায়গায় রাজনীতিবিদরা এককভাবে কাজ করবেন এবং কোন জায়গায় যৌথভাবে কাজ করবেন-সেটা চিহ্নিত করতে হবে। এবং সংসদকে যদি প্রাণবন্ত করা যায়, সংসদে যদি প্রশ্নোত্তর, ৭১-বিধি, পয়েন্ট অব অর্ডার-সবকিছুর মাধ্যমে মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীদের দায়বদ্ধ করা যায়-তখন যোগ্য মন্ত্রী তাঁর মন্ত্রণালয়কে দায়বদ্ধ করতে পারবেন ও সুশাসনও নিশ্চিত হবে। 

বার্তা২৪.কম: অনেক সংসদ সদস্যগণ সংসদে দেওয়া বক্তৃতাতেও আমলাতন্ত্র নিয়ে তাদের অসহায়ত্বের কথা বলেছেন। এই অচলায়তন থেকে বেরিয়ে আসাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন?

শামীম হায়দার পাটোয়ারী: আমি মনেকরি, আমলাতন্ত্রের মধ্যেও কিছু অসাধারণ দেশপ্রেমিক, সৎ ও যোগ্য-দক্ষ কর্মকর্তা আছেন; যাঁরা হয়ত সুযোগ পেলে সেই সততার ভিত্তিতেই আমলাতন্ত্রকে সাজাবেন, সৎভাবে কাজ করবেন। এখন দেশের বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রশ্নগুলো যদি সমাধান হয়ে যায়-তখন আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করা; আমলাতন্ত্রের এই সমস্যা সমাধান করা কোন কঠিন কাজ হবে না। কিন্তু বৃহত্তর প্রশ্নগুলো জিইয়ে রেখে আমলাতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ বেশ কঠিন হয়ে যাবে।

বার্তা২৪.কম: দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে অনেকে ‘আইওয়াশ’ হিসাবে বর্ণনা করছেন। আপনি কিভাবে দেখেন...

শামীম হায়দার পাটোয়ারী: ব্যাপরটা হচ্ছে-এই বিষয়গুলো নিয়ে মিডিয়া সরব ছিল সব সময়ই। দুইজনই খুব ক্ষমতাধর এবং দুটি মহান বাহিনীর প্রধান হিসাবে কাজ করেছেন। তাদের ব্যাপারে কথা বলতে গেলেও আমাদের খুব সাবধানে কথা বলতে হবে; যাতে বাহিনীগুলোর মর্যাদা যাবে কোনভাবেই হানি না হয়। এটি অস্বীকার করা যাবে না যে যুক্তরাষ্ট্র সম্পৃক্ত হয়ে স্যাংশন দেওয়ার কারণেই ব্যাপারটি একটি পর্যায়ে আসছে। ইউএস স্যাংশন না দিলে সরকার অভ্যন্তরীণভাবে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারতো বা করতো এমনটার কোন নিদর্শন আমরা দেখিনি। এখানে ঘোড়া গাড়ি চালাবে নাকি গাড়ি ঘোড়া চালাবে সেটাই বড় প্রশ্ন। ২০১৪ সালের পর দেখতে পাচ্ছি, গাড়ি ঘোড়াকে চালাচ্ছে। পলিটিক্যাল সরকারকে ব্যুরোক্রেসি চালাচ্ছে, অথচ হওয়ার কথা ছিল ব্যুরোক্রেসিকে সরকার চালাবে। আমরা শুনেছি, একসময় রাজনীতিবিদরা দুর্নীতি করতো, আমলাতন্ত্র বাধা দিত, সাইন করতো না। এটা নিয়ে টানাপোড়েন হতো। সৎ আমলাদের সঙ্গে এ নিয়ে প্রায়ই দ্বন্ধ লেগে যেত। এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে কোন কোন জায়গায় আমলাতন্ত্র-রাজনীতিবিদ একসঙ্গে দুর্নীতি করছেন। কোন ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্র দুর্নীতি করলেও রাজনীতিবিদরা সেটা নিয়ে কথা বলার সাহস দেখাতে পারছে না। এটা তো অবশ্যই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল ভিত্তিতে কুঠারাঘাত। যাঁরা ব্যুরোক্রেসির লোকজন তারা ট্রেইন্ট-প্রফেশনাল। আইনকানুন, নীতি-অডিট, ফাইন্যান্সিয়াল রুলস-এগুলো তারা খুব ভালো জানেন। রাজনীতিবিদরা ভুল করলেও তারা সতর্ক করবে। তারা কারেক্ট করবে, এটাই স্ট্রাকচারাললি হওয়ার কথা ছিল। এটা যখন উল্টো হয়ে যাচ্ছে, তখন ব্যাপারটির রক্ষাকবচ থাকছে না।

বার্তা২৪.কম: দায়িত্বরত অবস্থায় থেকে এত বিশাল বিত্ত-বৈভবের মালিক একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে যান, তখন দুদক এর মতো রাষ্ট্রের সংস্থাগুলোর ভূমিকাকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন...

শামীম হায়দার পাটোয়ারী: দুদকের ক্ষেত্রেও মনে হচ্ছে যে, দুদক অনেক সময় স্বপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ কম নিচ্ছে। রিপোর্ট ও স্যাংশন হওয়ার পর, প্রচুর ম্যাস আউট ক্রাই হওয়ার পর-তখন তারা কোন ক্ষেত্র স্টেপ নিচ্ছে। আর একটা বিষয় হচ্ছে যে, যদি কোন ব্যক্তি মনে করে যে, আমি সরকারের অত্যন্ত আস্থাভাজন, সরকার আমার ওপর নির্ভরশীল এবং এই সরকার সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবে- তখন তাঁর মধ্যে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার আধিপত্য করার প্রবণতা সৃষ্টি হয়। আমলাতন্ত্র পরিবর্তন হতে পারে, সরকারি দল পরিবর্তন হতে পারে-এটা হচ্ছে মূল ভিত্তি -দায়বদ্ধতার। যারা সারাজীবন থেকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি মনে করে তখনই আসলে দুর্নীতিটা বল্গাহীন হয়ে যায়।

বার্তা২৪.কম: এই বল্গাহীন দুর্নীতি যারা করছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এক্ষেত্রে কি ভূমিকা রাখতে পারছে?

শামীম হায়দার পাটোয়ারী: দেখুন আমার সঙ্গে এই বিষয়টিতে অনেকেই একমত হবেন না হয়ত, কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বিএনপি যদি ২০১৪ সালে ভোটে আসতো, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে ভোটে আসতো তাহলে সংসদে বিরোধী দলের একটা রিপ্রেজেন্টশন থাকতো। বিএনপির এমপিরা সংসদীয় কমিটিতে থাকতেন, টকশোতে যেতেন-কথা বলতেন। মন্ত্রীদের প্রশ্ন করতেন, এবং এর মাধ্যমে একটা দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হতো। রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডার নাই, অনুপস্থিত; এজন্য বল্গাহীন এই দুর্নীতির সুযোগ পাচ্ছে। দায়বদ্ধতাহীন ও জবাবদিহিতাহীন একটা ব্যবস্থার মধ্যে দেশটা চলে গেছে। এজন্য সরকারি দল অবশ্যই দায়ী, তবে বার বার নির্বাচন বয়কট করে সরকারকে সেই সুযোগটাও করে দিচ্ছে বিরোধী দল বিএনপি। প্রতিদ্বন্ধিতা সৃষ্টি করা একটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব, আমি যদি মাঠ ছেড়ে চলে যাই, এবং একপক্ষ যদি এক তরফা গোল দিতে থাকে তাহলে এটা তো পলিটিক্যাল মডেল হতে পারে না।

বার্তা২৪.কম: এই অচলায়তন ভাঙতে আপনার দল কি ভূমিকা রাখছে? 

শামীম হায়দার পাটোয়ারী: জাতীয় পার্টি একটি নির্বাচনমূখী দল এবং সব সময় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেই পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছে, একবার ছাড়া। জাতীয় পার্টি নির্বাচন করে সংসদে ধারণা অনুযায়ী অনেক আসন পেলে, আমরা দায়বদ্ধতার স্বাক্ষরটা আরও ভালো করে রাখতে পারতাম। কিন্তু কতিপয় এমপি নির্বাচিত হওয়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই জাতীয় পার্টি তার আশানুরূপ ভূমিকা সংসদে রাখতে পারছে না। সে কারণে আমরা কিছুটা সংকটে আছি। তবে আমার বিশ্বাস এই সংকট কেটে যাবে। জাতীয় পার্টি আবার ঘুরে দাঁড়াবে, আবার অনেকগুলো আসন পাবে এবং সংসদে-সংসদের বাইরে সর্বত্র জাতীয় পার্টি স্পষ্ট অবস্থান দেখাবে।

;

প্লাটিনাম জয়ন্তীতে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৩ জুন —‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ পালন করতে যাচ্ছে দেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এদিন দলটি ৭৫ বছরে পা রাখবে। তাই দিবসটি ঘিরে ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছে দলটি।

শনিবার (১ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষের ভালোবাসা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারন করেই আওয়ামী লীগ পথ চলেছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ ধরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। এদেশের মানুষের যা কিছু মহৎ অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সাফল্য-সংগ্রামের পথ ধরে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ঘোষিত ১০ দফা কর্মসূচি

১. ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ।

২. দলের সব সাংগঠনিক শাখায় বছরব্যাপী উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ। তৃণমূলের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ।

৩. রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আনন্দ র‌্যালির আয়োজন। একইসঙ্গে সকল দলীয় কার্যালয় ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা, আনন্দ র‌্যালি, সভা-সমাবেশ, সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজন।

৪. সারাদেশে এতিমখানা ও হাসপাতালে এবং কর্মজীবী, গরীব, অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।।

৫. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন।

৬. ক্রোড়পত্র, বিশেষ স্মরণিকা ও গ্রন্থ প্রকাশ এবং পোস্টার, ব্যানার ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বিশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপযোগী পোস্টার, ব্যানার ও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট প্রচার

৭. বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন।

৮. ডকুমেন্টারি ও চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ।

৯. দলের সর্বস্তরের প্রবীণ নেতাদের সম্মাননা প্রদান।

১০. প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ‘সবুজ ধরিত্রী’ কর্মসূচি গ্রহণ।

বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডসহ সকল শাখাসমূহে কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন ওবায়দুল কাদের।

;

মালয়েশিয়ায় কর্মীদের পাঠাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিসা পেয়েও ৩১ মে’র মধ্যে প্রায় ৩১ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (১ জুন) এক বিবৃতিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বানের পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বিবৃতিতে বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দেশটি ২০২২ সালে ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ জন কর্মী নিতে রাজী হয়েছে। ৩১ মে’র মধ্যে ওই কর্মী পাঠানোর কথা ছিলো। সে অনুযায়ী গেলো প্রায় ২ বছর যাবত এজেন্সির পেছনে ঘুরে ঘুরে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করেও নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়াতে যেতে পেরেছেন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ১০২ জন। বাকি ৩০ হাজার ৮৪৪ জন সর্বস্ব হারিয়েও মালয়েশিয়াতে যেতে পারেনি। এর চেয়ে কষ্টদায়ক ঘটনা আর হতে পারেনা।

তিনি বলেন, এজেন্সিগুলোর চাহিদামত টাকা পরিশোধ করে, ৪ থেকে ৫ রাত বিমানবন্দরের মেঝেতে ঘুমিয়েও মালয়েশিয়াতে যেতে না পারাটা মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। কাদের গাফিলতির জন্য শ্রমবাজারে এতবড় বিপর্যয় হলো তা বের করতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। একই সাথে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা মালয়েশিয়াতে যেতে পারেনি তাদের পাঠাতে কুটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

;

বেনজীরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ লোক দেখানো: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ লোক দেখানো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, আজিজ-বেনজীরের বিষয়ে তদন্ত চলছে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাহলে কীভাবে বেনজীর সপরিবারে দেশ ছাড়লেন? বাংলাদেশের মানুষকে কী তারা আহম্মক ভাবছেন? আওয়ামী লীগ যেভাবে প্রতারণার মাধ্যমে দেশে শাসন করছে, সেভাবে আবার প্রতারণা করছে দেশের মানুষের সাথে।

তিনি আরও বলেন, শুধু এক আজিজ-বেনজীর নয়, অসংখ্য আজিজ-বেনজীর তৈরি করেছে ক্ষমতাসীনরা। বাংলাদেশকে লুটপাট আর বর্গিদের দেশে রূপান্তর করেছে সরকার। আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে ৭৪-এ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। তখন লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন। সে সময় দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের কারণে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সাধারণ লড়াই নয়, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে বিএনপিকে। অস্ত্র-গুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, অনেকে বলছেন, লড়াই করেও সাফল্য আসছে না বিএনপির, এক দিনে সাফল্য আসে না। কেন বেগম জিয়াকে বের করতে পারিনি, সেটাও দেখতে হবে। লড়াই চলছে, লড়াই চলবে দাবি আদায়ের আগে পর্যন্ত।

;