বিকেএসপি বিল উত্থাপিত



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সংসদ অধিবেশন | ফাইল ছবি

সংসদ অধিবেশন | ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিসহ নিবিড় প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) অধ্যাদেশ রহিত করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিল ২০১৯ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিলটি উত্থাপন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

   

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে: সরকারি দল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদ

সংসদ

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট গণমুখী, কল্যাণকর, বিনিয়োগ ও নারীবান্ধব। এ বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশ আরও উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে। দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে। এ বাজেট জনবান্ধব।

মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ওই আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, নূর মোহম্মদ, হাবিবুন নাহার, নিলুফার আনজুম, মো. তৌহিদুজ্জামান, এসএম কামাল হোসেন, নাইমুন জামান ভূঁইয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাঈনুল হোসাইন নিখিল, আশরাফুন্নেসা, মাহবুবুর রহমান, মোস্তাফা আলম, নিলুফার অনজুম, এইচ এম ইব্রাহীম, নাদিয়া বিনতে আমিন এবং স্বতন্ত্র সদস্য হামিদুল হক খন্দকার।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নূর মোহম্মদ বলেন, দেশে বর্তমানে শেয়ারবাজারের খারাপ অবস্থা, শুয়ে পড়েছে। এই খাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখতে পারেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে। অতীতেও এমন সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কোনো ইতিবাচক ফলাফল দেখিনি। এবার ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সরকার কর ফাঁকিবাজদের বিশেষ সুবিধা দিলেও সৎ করদাতাদের সঙ্গে বৈষম্য করতে পারেন না। বৈধ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হচ্ছে। এটা বৈষম্যমূলকই নয়, অনৈতিকও।

দল ও সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি শব্দটি এখন সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এমন সব ব্যক্তির নাম আসছে, যা সামগ্রিকভাবে আমাদের জন্য বিব্রতকর। বাংলাদেশের কিছু লোক দ্রুত ধনী হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতির করে কিছু রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থের মালিক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। যে কোনো মূল্যে আমরা বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি উচ্ছেদ করতে চাই।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বলেন, যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা দিচ্ছে না, ওই টাকা পাচার করে দিচ্ছে তাদের তালিকা করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা ট্যাক্স দেয় না, তাদেরকে ট্যাক্সের আওতায় এনে বাজেট বাস্তবায়ন করা দরকার।

সাবেক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, খুলনা, সাতক্ষীরা বাগেরহাটসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ের তাণ্ডবে বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। মাছের ঘের ভেসে গেছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সংসদ সদস্য মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানও দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ তারা সমালোচনা করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করেছে। আর আজ প্রধানমন্ত্রী দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন বলেন, এবারের বাজেট দেশের আরও উন্নয়নে সহায়ক হবে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী আছেন বলেই পদ্মা সেতু হয়েছে, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল হয়েছে। আর তাকেই হত্যা করতে অনেকবার চেষ্টা করেছে। গ্রেনেড হামলা হয়েছে, কিন্তু আল্লাহ যাকে রাখে তাকে মারে কে?

;

সংসদে সম্পূরক বাজেট পাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদ

সংসদ

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৩৭ হাজার ৮১৭ কোটি ৪০ লাখ ৫৭ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ তাদের মূল বরাদ্দের চেয়ে বেশি ব্যয় করেছে, তার অনুমোদন দেওয়া হয়।

সোমবার (১০ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২৪’ সংসদে তোলেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সংশোধিত বাজেটে ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে ৩৭ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। ৪০টির বাজেট অপরিবর্তিত রয়েছে বা হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে সংশোধিত বাজেট হয়েছে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা।

সম্পূরক বাজেটে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ১৫৭ কোটি ৭৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা পেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সম্পূরক বাজেটে ২০টি দাবির বিপরীতে ৬৬টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন চারজন সংসদ সদস্য। এর মধ্যে দুটি মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনা হয়, সেগুলো হলো অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন।

;

কালো টাকায় ১৫ শতাংশ কর বেশি লাগছে এমপি সোহরাবের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার যে সুযোগ সরকার দিয়েছে, সেই কর আরও কমানোর দাবি তুলেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন।

রোববার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব দাবি করেন কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এই এমপি।

তিনি বলেন, অর্থ পাচারের কারণে ডলার সংকট হচ্ছে। অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া না হলে অর্থ পাচার বন্ধ হবে না। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। আসলে এটা ভুল তথ্য। কালো টাকা সাদা করা নয়, বৈধ অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কর ৫ শতাংশ করলেও অসুবিধা নেই। কর যত কমানো হবে, তত বেশি টাকা প্রদর্শিত হবে।

সোহরাব উদ্দিন বলেন, ১৫ শতাংশ কর অনেক বেশি। এই হারে অনেকে অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শন করবে না। ১৫ শতাংশ কর দিতে হলে অপ্রদর্শিত আয় কমাতে হবে। তাহলে অপ্রদর্শিত আয়ের প্রদর্শন বেশি হবে। রাষ্ট্রের ট্যাক্স আসবে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়বে। এ ক্ষেত্রে আরও সুযোগ দেওয়া যায়। আগে এটি ছিল। ইন্ডাস্ট্রি করতে জমি, মেশিনারিজ কেনার ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে। সরকার বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমে যায়। এতে শিল্প বাণিজ্যের অগ্রগতি বিঘ্নিত হয়। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না। তিনি বলেন, ২০১৭–১৮ সালে ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকার নিয়েছিল ১১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। চলতি অর্থবছরে এই ঋণ ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। এদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া দরকার। সরকারের উচিত ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ কম নিয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ বাড়তে দেওয়া।

সরকারি দলের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দারিদ্র্য অনেক কমেছে। কিন্তু কোভিড–১৯, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বৈশ্বিক কারণে এখন মধ্যবিত্তের অনেকের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে টিসিবির ট্রাকে বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রি করা হয়। মধ্যবিত্তদের অনেকে এখানে দাঁড়াতেও লজ্জা বোধ করেন। মধ্যবিত্তের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা করা গেলে ভালো হতো।

;

দেশে এমপিওবিহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪৬১৩টি: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৬১৩টি এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

রোববার (৯ জুন) সংসদের বাজেট অধিবেশনে সরকারদলীয় সদস্য এম আব্দুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে সভাপতিত্ব করেন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর আলোকে কাম্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাসের হার, প্রাপ্যতা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে।

‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এমপিওভুক্ত করার কাজটি বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অটোমেশনের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশে এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। চলতি অর্থবছরের আর এক মাসেরও কম সময় অবশিষ্ট রয়েছে। এই স্বল্প সময়ে নতুন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই।

সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর অপর এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা ও কল্যাণভাতা প্রাপ্তিতে বিলম্বের সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিক। এ খাতে পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট হতে অবসর উত্তরকালে শিক্ষকদের প্রাপ্য অর্থ যেন দ্রুততম সময়ে পেতে পারেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সমস্যা সমাধানে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং গঠিত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে।

;