৩০ লাখ শহীদকে চিহ্নিত করার পরিকল্পনা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত গণকবর সংরক্ষণ করার বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

এ প্রকল্পের আওতায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও পরবর্তী সময়ে পরলোকগত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ হাজার সমাধিস্থল সংরক্ষণ করা হবে। তবে ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারাদেশে ৩০ লাখ গণশহীদদের চিহ্নিত করা এখনও সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এ তথ্য জানান।

এর আগে বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত বলে জানান স্পিকার।

টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সংসদ নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সংগ্রহ করে ডাটাবেইজ প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত তালিকার বাইরে যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা থেকে থাকেন তা চিহ্নিত করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে। ওই তালিকার অংশ হিসেবে বর্তমানে ৫ হাজার ৭৯৫ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, ঠিকানা সম্বলিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেসামরিক শহীদ ২ হাজার ৯২২ জন, গেজেটভুক্ত সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ ১ হাজার ৬২৮ জন, গেজেটভুক্ত বিজিবি’র শহীদ ৮৩২ জন এবং গেজেটভুক্ত শহীদ পুলিশ ৪১৩ জন।

সংসদ নেতা বলেন, ১৯৭১ সালের ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে সারাদেশে ৩০ লাখ গণশহীদদের চিহ্নিত করা এখনও সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এ লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

   

বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি পেয়েছেন ৫০৪ জন: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশে ৫০৪ জনকে নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযুদ্ধের সহায়তাকারী সব নারীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কার্যক্রম চলমান আছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের আলোকে এরইমধ্যে নারী মুক্তিযোদ্ধা (বীরাঙ্গনা) হিসেবে ৫০৪ জনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাদের নাম গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা যাদের নাম এমআইএস এবং সমন্বিত তালিকায় রয়েছে, তাদের অনুকূলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক লাখ ৯৩ হাজার ৭৮০টি ডিজিটাল সনদ এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক লাখ ৮০৫টি স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রবাসে অবস্থানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাও রয়েছেন। তবে এমআইএস ও সমন্বিত তালিকায় যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে, কিন্তু অদ্যাবধি ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড পাননি, তাদের অনুকূলে ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত ও প্রদানের কার্যক্রম চলমান আছে।

;

‘বিমানের সিট ফাঁকা থাকলেও টিকিট পাওয়া যায় না, অভিযোগ সত্য নয়’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমানে সিট ফাঁকা থাকলেও টিকিট পাওয়া যায় না, বেশির ভাগ সময় সিট ফাঁকা রেখে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে থাকে- এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

বিমানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট যাত্রীরা বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, জিডিএস, মোবাইল অ্যাপ, কল সেন্টার এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র ছাড়াও যে কোনো অনুমোদিত দেশি-বিদেশি ট্র্যাভেল এজেন্ট থেকে ক্রয় করতে পারেন। বিমানের কোনও টিকিট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করা সম্ভব নয়। ফলে কারোর পক্ষে একসঙ্গে অনেক টিকিট যাত্রীর তথ্য ছাড়া বুকিং করে রাখার কোনও সুযোগ নেই। কোনও এজেন্সি চাইলেই যাত্রীর তথ্য ছাড়া কোনও টিকিট বুকিং করতে পারবে না। সেই সাথে কোন এজেন্সি মিথ্যা বা ভুয়া তথ্য দিয়ে বুকিং করলে সেটি ধরে জরিমানাসহ অন্যান্য পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও প্রতিটি টিকিট বুকিং সময়সীমা দেওয়া থাকে, যার মাঝে টিকিট ক্রয় সম্পন্ন না হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যায়।

মন্ত্রী জানান, যেকোনো এয়ারলাইন্স ব্যবসায় ভরা মৌসুম ও মন্দা মৌসুম থাকে। যখন ফ্লাইটে চাপ কম থাকবে, তখন কিছু সিট খালি থাকতে পারে যা সারা বছরের চিত্র নয়। আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই, এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একটা ঢালাও অভিযোগ। এছাড়াও যাত্রীরা কনফার্ম টিকিট করেও যথাসময়ে এয়ারপোর্টে উপস্থিত হতে না পারা, যাত্রীদের অনেকের ভুয়া ভিসা এবং ডকুমেন্টস থাকায় এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইনি জটিলতার কারণেও অনেক সময় আসন ফাঁকা থাকে।

প্রসঙ্গত. কিছু রুটে লোড পেনাল্টি থাকায় কিছু সংখ্যক সিট অবিক্রিত রাখা হয় বিধায় সিট ফাঁকা থাকে। সুতরাং সিট ফাঁকা থাকলেও বিমানের টিকিট পাওয়া যায় না; বেশির ভাগ সময় সিট ফাঁকা রেখে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে থাকে’ উক্ত কথাটি সত্য নয় মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে।

এমপি এ বি এম আনিছুজ্জামানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রুট বা গন্তব্য ভেদে টিকিট মূল্য বিভিন্ন হয় থাকে। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সসমূহ তাদের বিদ্যমান যোগান ও চাহিদা, প্রতিযোগিতামূলক বাজার, ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ নীতি, পরিষেবা প্রদান প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে টিকিট মূল্য নির্ধারণ করে থাকে।

এমপি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের আকাশপথ ব্যবহারকারী বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজগুলো বাংলাদেশকে সঠিক পরিমাণ রাজস্ব প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের আকাশ পথ ব্যবহাকারী বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজ বিমানবন্দরের এরিয়া কন্ট্রোল সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রম করে থাকে। ফলে এরিয়া কন্ট্রোল সেন্টার হতে দাবিকৃত বিল অনুসারে সব এয়ারলাইন্সের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়ে থাকে।

;

দেশে আবাদযোগ্য জমি প্রায় ৮৮ লাখ হেক্টর: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে মোট আবাদযোগ্য জমি ৮৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৫ হেক্টর আছে বলে সংসদে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী এই তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

কৃষিমন্ত্রী জানান, অকৃষি কাজে কৃষি জমির ব্যবহার সীমিত রাখা এবং যত্রতত্র স্থাপনা না করার বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখপূর্বক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, ভূমি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়কে পত্র দেওয়া হয়েছে । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণকে বিষয়টি নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

কৃষি জমি রক্ষার্থে 'কৃষি জমি সুরক্ষা ও ব্যবহার আইন' নামে একটি আইন পাসের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

এমপি আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আব্দুস শহীদ বলেন, জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে মাটি পরীক্ষা করে সার প্রদান করা হয়। সুষম মাত্রায় রসায়নিক সার ব্যবহারের জন্য পরামর্শ প্রদান এবং জৈব সার হিসেবে কম্পোস্ট, ভার্মি কম্পোস্ট, সবুজ সার, খামারজাত সার উৎপাদন ও ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করা হয়। সেই সাথে প্রয়োজনীয় সেচের ব্যবস্থা।

;

কারাগারে ৩৬৩ বিদেশি, বেশি ভারতের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে বাংলাদেশের কারাগারে ৩৬৩ জন বিদেশি নাগরিক আটক আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বুধবার (১২ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেগম ফরিদা ইয়াসমিন লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই তথ্য জানান। সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আটকের তালিকায় রয়েছে ভারতের ২১২ নাগরিক, মিয়ানমারের ১১৪ নাগরিক, পাকিস্তানের রয়েছে ৭ জন, নাইজেরিয়ার ৬ জন, মালশিয়ার ৬ জন এবং আমেরিকার একজন ও চীনের ৪ জন।

চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্যের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার এলাকায় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী হত্যা ও অস্ত্র মামলায় ৯৯৪ জন মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা) গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসাথে ক্যাম্প এলাকায় জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে নজরদারি করা হচ্ছে এবং সন্ত্রাসীদের দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

;