আমলা নির্ভর প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনপ্রতিনিধিদের আপত্তি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা ওয়াসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো আমলা নির্ভর প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ। তাদের মতে আমলা নির্ভর এরকম প্রতিষ্ঠান না করে সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভায় জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন করা হোক। তাতে জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে। কেউ কেউ বলেছেন, রাজউকের ইট পর্যন্ত টাকা চায়, বিল্ডিংয়ের বালু পর্যন্ত টাকা চায়, ওয়াসায় টাকা ছাড়া কাজ হয় না। সেখানে নতুন করে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়া আরও সমন্বয়হীনতা বাড়বে।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নামে একটি বিল পাসের আগে জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব উত্থাপন করে এসব কথা বলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যগণ। তারা সকলেই জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বিল তো পাস হবে, পাস হলে তাতে কি হবে? আমরা কি সুন্দর নগরী পাব? অথবা আধুনিক সুসজ্জিত, কিন্তু তা তো আমরা পাব না। বিল পাস হওয়ার পর দেখা যাবে যে যেভাবে পারে ইচ্ছামতো কাজ করছে। এখানে দেখার তো কেউ থাকবে না। আমরা শুধু দিয়েই যাচ্ছি, কিন্তু দেখার তো কেউ নাই। গাজীপুরের অন্তবর্তী যে ভাওয়াল গড় আছে যেখানে শালবন কেটে কেটে পর্যটন নগরী করা হচ্ছে দেখার তো কেউ নেই। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে নগর উন্নয়নের নামে যা করা হবে তাতে সাধারণ নাগরিক সুবিধা পাবে না। রাজউক আছে, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতেও আছে সেখানে কিন্তু নগর উন্নয়নের নামে যা হচ্ছে তা ভালো নয়।

ফখরুল ইমাম বলেন, সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রশাসনিক সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে সেই সুযোগ নাই। এখানে একজন চেয়ারম্যান নিয়োগ করবেন। এর অভিজ্ঞতা তো ভালো না। তাই এটার দরকার আছে বলে মনে করি না।

মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, এই আইনে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান যিনি হবেন তিনি একজন আমলা অথবা নিয়োগপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি। নির্বাচিত প্রতিনিধি না। সিটি করপোরেশনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখতে পাই বাংলাদেশের সিটি করপোরেশনের মেয়ররা অসহায়, কারণ তারা কাজ করতে পারেন না। দেখা যায় তারা রাস্তা করার পর সেখানে পানির লাইনের কাজ হচ্ছে নয়তো ড্রেন করছে, দেখা যায় বিদ্যুতের লাইন, গ্যাসের লাইন করছে সমন্বয়ের অভাব।

তিনি বলেন, রাজউকের দিকে তাকালে দেখা যায় যে রাজউকে গেলে বিল্ডিংয়ের ইট পর্যন্ত টাকা চায়। রাজউকের যে বালু সেটা পর্যন্ত টাকা চায়। ওয়াসাতে গেলে টাকা ছাড়া কাজ হয় না। যে রাজউকে ৯৬ সালে প্রকল্প নিয়েছিল পূর্বাচলে। যারা প্লট পেয়েছিলেন তারা মৃত্যু পথযাত্রী। তাদের ছেলে মেয়েরা বাড়ি করতে পারবেন কিনা জানি না। এই হল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অবস্থা। এখন গাজীপুর যদি একই উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হয় রাজউকের তাতে লাভ কি? আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল, আপনারা সিটি করপোরেশনের মেয়রদের ক্ষমতা জোরদার করে দায়িত্ব দেন।

পীর ফজলুর রহমান বলেন, এতদিন গাজীপুরের মূল উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব ছিল সিটি করপোরেশনের। বিল পাস হওয়ার পর আর একটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব নিয়ে আসা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন যে উন্নয়ন পরিকল্পনা নিচ্ছে সেই পরিকল্পনার সাথে এই কর্তৃপক্ষের অনেক ক্ষেত্রেই একটি সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হবে। সমন্বয়হীনতার কারণে প্রায়ই দেখি নগর উন্নয়নের নামে একই রাস্তা একটি বিভাগ খনন বা নির্মাণ করে যাচ্ছে এদের কাজ শেষ হওয়ার পরেই আর একটি বিভাগ এসে কাজ শুরু করছে। এভাবে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে।

শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যে কাজগুলো করবে সেই কাজগুলো এই কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রশাসনের প্রতিটি পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকবে এবং জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে। সেখানে সিটি করপোরেশন আছে, সেখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আছে। এই আইনে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে আবার ভূমি বন্দোবস্তরও ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে দেখা যাবে এই কর্তৃপক্ষ একটি লিজিং কোম্পানি অথবা একটা ডেভেলপার কোম্পানির মতো হয়ে যাবে। জায়গা অধিগ্রহণ করবে আবার জনগণের কাছে জায়গাগুলো বিক্রি করবে।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, প্রতিনিয়ত জণকল্যাণের জন্য সংসদে বিভিন্ন বিল পাস হচ্ছে। কর্মগুলো যারা বাস্তবায়ন করবে তারা কি নিরাপদ? কিছুদিন পূর্বে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রাজশাহীতে গণপূর্তের একজন ইঞ্জিনিয়ার তার দফতরে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত, হয়েছে রক্তাক্ত। নির্বাহী বিভাগের একজন অন্যতম কর্মকর্তা ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও এখনো আইসিইউতে আছে। সে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে। এই কাজ বাস্তবায়নের পূর্বে তাদের নিরাপত্তা দরকার। গাজীপুর সিটি করপোরেশন রয়েছে আসলে দরকার সমন্বিত পরিকল্পনা। আলাদা আইন দরকার নাই।

রুমিন ফারহানা বলেন, সংবিধান স্থানীয় সরকারের হাতে প্রায় সকল ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটাই গণতন্ত্রের চেতনা। কারণ গণতন্ত্র চায় সকল পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে জনগণের সেবা নিশ্চিত করা হোক। অথচ রাষ্ট্রে যা করা হচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ উল্টা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা সংকুচিত করে আমলা নির্ভর প্রতিষ্ঠান সংখ্যায় এবং ক্ষমতায় বাড়ছে। সিটি করপোরেশনগুলো সঠিক সেবা দিতে পারে না তার কারণ সব দেবার ক্ষমতা দূরেই থাকুক সিটি করপোরেশনের হাতে ক্ষমতা একেবারেই নূন্যতম। গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আদৌ কোনো প্রয়োজন নাই, প্রয়োজন নাই রাজউক বা অন্যান্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেরও।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;