‘বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা বলার ভালো একটা আর্ট আছে’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে কারা ছিল? আমরা তো কেবল সরকার গঠন করেছি। এটা কোনোদিনই যুক্তিযুক্ত না, যে আমরা সরকার গঠন করেই এমন একটা ঘটনা ঘটাবো, দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবো। কাজেই যারা তখন ক্ষমতায় আসতে পারে নাই তারাই এটা করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা বলার ভালো একটা আর্ট আছে।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে সাহার খাতুন ও ইসরাফিল আলমের ওপর আনিত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা একথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন সাহারা খাতুন। তার সাহসী ভূমিকা দেখেছি বিডিআর বিদ্রোহের সময়। আমরা সরকার গঠনের মাত্র ৫২ দিনের মধ্যে বিডিআরের এ ঘটনা ঘটল। বিডিআরের ওই ঘটনায় যে সেনা অফিসাররা মারা যায় তাদের মধ্যে ৩৩ জন আওয়ামী লীগ পরিবারের। এমনকি বিডিআর ডিজি এই পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য লুৎফর হাই সাচ্চুর আপন চাচাতো ভাই ছিলেন। দেখা গেছে আমাদের আওয়ামী পরিবারের এমনকি আব্দুল মালেক উকিল সাহেবের নাতি অনেকেই সেখানে মৃত্যুবরণ করে। সেসময় ঘটনা ঘটার সাথে সাথে আমাদের চেষ্টা ছিল এটাকে থামানো। আমাদের যারা অফিসার আছে তাদের রক্ষা করা তাদের পরিবারগুলো রক্ষা করা। আমরা যখন সেখানে সেনাবাহিনী নিয়োগ করলাম সেনাবাহিনী নামার সাথে সাথে তাদের গুলিতে কয়েকজন সেনা সদস্য মারা গেল।

তিনি বলেন, বিডিআরের ঘটনাটি ছিল একটা অস্বাভাবিক ঘটনা। আগের দিন গেলাম একটা ভালো পরিবেশ, পরের দিন সেখানে এধরনের একটা ঘটনা ঘটল। এর পেছনে কারা আছে? আমরা তো কেবল সরকার গঠন করেছি। এটা কোনো দিনই যুক্তিযুক্ত না যে আমরা সরকার গঠন করেই এমন একটা ঘটনা ঘটাবো, দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক। কাজেই যারা তখন ক্ষমতায় আসতে পারে নাই তারাই তখন তাদের পেছনে ছিল এবং তাদের সঙ্গে ওই ১/১১ যারা সৃষ্টি করেছিল তাদের ধারণা ছিল নির্বাচনটা একটা আনপার্লামেন্ট হবে কিন্তু যখন দেখল আওয়ামী লীগ মেজরিটি নিয়ে চলে আসল তখন সবকিছু নস্যাৎ করবার অপচেষ্টা যাদের ভেতর ছিল তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। একদিন না একদিন এর সত্যতা বের হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যা বলার ভালো একটা আর্ট আছে। যেমন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তাদের দলের লোক বললো আমি নিজেই নাকি গ্রেনেড নিয়ে নিজেই গ্রেনেড মেরেছি এবং তা ব্যাপকভাবে প্রচার করে ফেলল। ঠিক বিডিআরের ঘটনা যখন ঘটল তখন তারা ওইভাবেই অপপ্রচার শুরু করল। কিন্তু এটা কোনদিনই কেউ এর যুক্তি খুঁজে পাবে না। সাহারা আপাকে দেখেছি সাহসে ভর করে সেখানে গেছে। বিডিআরদের অস্ত্র সমর্পণ করতে বলেছে, রাতের বেলায় অনেক সাহস করে সেখানে গিয়ে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলেন এবং তারা করেন। সেদিন অনেক আর্মি পরিবারকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে। উদ্ধার করে আনতে গিয়ে জীবনের ওপর হুমকি বয়ে এসেছে। আমি তখন যমুনায় থাকি তখন বলল নেত্রী কোনো মতো জীবনটা নিয়ে বেঁচে এসেছি। তার ওপরেও হামলা করতে গিয়েছিল ওরা। এই অবস্থায় দুঃসাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন সাহারা আপা।

সাহারা খাতুনের কর্মদক্ষতা নিয়ে তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সততার সাথে তিনি কাজ করেছিলেন, যার জন্য বিএনপির আমলে বাংলা ভাই সৃষ্টি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি এক সাথে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এরকম যেখানে অরাজকতা। তারপর আসল ১/১১ সে সময় আর একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই অবস্থার মধ্যে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নিয়ে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে নিয়ে আসেন। মানুষের জীবন যাত্রাটাকে স্বাভাবিক করা এবং মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো কঠিন সময়ে দায়িত্ব পালন করে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন সাহারা আপা। তিনি নিবেদিত প্রাণ ছিলেন, তার কোনো চাওয়া-পাওয়া ছিল না। তিনি সব কিছু নেতা-কর্মীদের বিলিয়ে দিয়েছেন। সারাক্ষণ দেশের জন্যই কাজ করেছেন। অত্যন্ত সাহসী একজন মানুষ এবং আমাদের সংগঠনের প্রতি নিবেদিত প্রাণ দেশপ্রেমিক। তার সঙ্গে আমার ছাত্রজীবন থেকেই পরিচয় ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে।

সাহারা খাতুনের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৬ দফার আন্দোলনের সময় এবং ৭০ এর নির্বাচনের সময় সাবেক মন্ত্রী বদরুন্নেছা আহমেদ তারই নেত্রীত্বে তিনি আমাদের বিভিন্ন এলাকায় পাঠাতেন নির্বাচনী প্রচার করার জন্য। সে সময় ওয়ান ম্যান ওয়ান ভোট, একজনের একটা ভোট এবং ভোট গণনার পদ্ধতি শেখানো হতো। সেখানে সাহারা আপা এবং প্রয়াত আইভী রহমানসহ ৭০ এর নির্বাচনে জাতির পিতা যে আসনে প্রার্থী ছিলেন সেখানে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতাম। এরপর ১৯৮১ সালে যখন আমি ফিরে আসি, ফিরে আসার পর থেকে সাহারা আপাকে সব সময় পাশে পেয়েছি। যারা সব সময় আমার পাশে ছিলেন তাদের মধ্যে তিনি একজন। একে একে সবই চলে যাচ্ছে এটাই হচ্ছে দুঃখ।

তিনি বলেন, প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সাহারা খাতুন ভূমিকা রাখতেন, কোনো ভয়ভীতি তার ছিল না। তার ওপর যে অত্যাচার জুলুম হয়েছে এরশাদ যখন ক্ষমতায় তখনও তার ওপর লাঠির বারি, অত্যাচার নির্যাতন এমনকি পিটিয়ে ডাস্টবিনের মধ্যে ফেলে দিয়েছে পা ভেঙে। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় আসল তখনও তার ওপর সীমাহীন অত্যাচার। একদিকে পুলিশ বাহিনী আরেক দিকে ছাত্রদলের ক্যাডার বাহিনী। কারণ এটা তো তিনি নিজেই বলতেন ছাত্রদল দিয়েই নাকি আওয়ামী লীগকে সোজা করে দেবেন।

আইনজীবী হিসেবে ২০০৭ সালে যখন আমাকে গ্রেফতার করে একের পর এক মামলা দেওয়া হয়। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আমার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দেওয়া হয়, আর তত্ত্ববধায়ক সরকারের আসার পর আরও ৫-৬টা মামলা দেওয়া হয়। তাদের একটা প্রচেষ্টা ছিল যতদ্রুত মামলাগুলো করে একটা শাস্তি দিয়ে দেবে। বলতে গেলে একদিন পর পর আমাকে কোর্টে হাজির করত। এই মামলাগুলো সাহারা আপা সর্বক্ষণ উপস্থিত থাকতেন। তার সাহসী ভূমিকা দেখেছি।

আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরাফিল আলম এতো অল্প বয়সে চলে যাবে বুঝতেই পারি নাই। তার করোনা হয়েছিল আবার তা ভালো হয়েছিল কিন্তু আসলে তার কিডনির সমস্যা ছিল। সে কিছু মানেনি। যখন সে একটু সুস্থ হয়ে বাড়ি গেল তারপর চলে গেল এলাকায় আবার অসুস্থ হলেন আর ফিরে আসল না। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মী হারিয়েছি করোনায়। কারণ তারা রিলিফ দিতে গেছে বন্যার সময় ত্রাণ দিতে গিয়েছে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে জীবন দিতে হয়েছে। ঠিক ইসরাফিলের ব্যাপারেও তাই। অত্যন্ত মেধাবী ছিল আমার খুব ইচ্ছে ছিল ভবিষ্যতে সে একজন ভাল পার্লামেন্টারিয়ান হবে। এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো পজিশনে সে যেতে পারত কিন্তু সেই সুযোগটা আর হল না। আমরা ভবিষ্যতের একজন ভালো পার্লামেন্টারিয়ান হারালাম।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;