পাঠাও-তে হাজারতম রাইডের পর সাইফুলের যে অভিজ্ঞতা



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: সাইফুল ইসলামের পেশা এবং নেশা রাইড শেয়ারিং। উবারের পর পাঠাও এখন তাকে ‘মডেল চালক’ হিসেবে তুলে ধরছে। এরমধ্যে সাইফুল প্রাইভেট কার রাইড শেয়ারিং সেবায় একজন ‘আইকনিক’ ড্রাইভার হিসেবে ঢাকায় পরিচিত পেয়েছেন।

মাত্র চার মাসে পাঠাও অ্যাপে তিনি এক হাজার রাইড দিয়েছেন। সম্প্রতি তার হাজারতম রাইডের সঙ্গে ছিলেন বার্তা২৪.কম এর সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সাব্বির আহমেদ। কথা বলেছেন রাইড শেয়ারিং সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে।

সাইফুল বলেন, ‘গাড়ির মালিককে টাকা দেওয়া এবং মেইনটেনেন্স খরচ বাদে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয়ের লক্ষ্য থাকে আমার। কোনো কোনো দিন ৮ থেকে ১০টি ট্রিপ, আবার রাস্তা ফ্রি থাকলে দিনে সর্বোচ্চ আমি ২০ ট্রিপ দিয়েছি।’

দৈনিক কখনো ১২শ, ১৫শ, ২ হাজার, ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করেছেন সাইফুল। গত ঈদে রাস্তা ফাঁকা থাকায় একদিনে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন তিনি।

 

সাইফুল মনে করেন, ঢাকায় এখন ৫০ থেকে ৬০ হাজার প্রাইভেট কার রাইড শেয়ারিং সেবা দেয়। এরমধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার গাড়ি শুধু উবারের। বাকিটা পাঠাওসহ অন্য কোম্পানির। তবে উবার-পাঠাও ছাড়া অন্যদের পরিচিতি ও ব্যবহারকারী একেবারে কম।

রাইড শেয়ারিং-এ এসে আবার অনেক চালক ফিরে গেছেন আগের রেন্ট এ কার বা কোম্পানির গাড়ি চালাতে। এটা কেন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বোনাস এবং ট্রিপ বোনাস যে আছে এটা অনেক চালক বুঝেন না। ট্রিপ সংখ্যা বা টার্গেট পূরণ করতে পারলে ট্রিপ বোনাস পাওয়া যায়। দেখা যায় গাড়ি না চালিয়েও কিন্তু আমি বোনাস পাচ্ছি। যারা এগুলো বুঝতে পারছে না তারা রাইড শেয়ারিং থেকে বেরিয়ে আবার প্রাইভেট কার চালাচ্ছে।’

যারা রেন্টে-এ কার আগে চালিয়েছেন তারা দিনে ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা বা তার বেশিও আয় করেছেন। আর রাইড শেয়ারিংয়ে ৫০ টাকা, ১০০ টাকা ৩০০ টাকা বা ৪০০ থেকে ৫০০ পাচ্ছেন একটা ট্রিপে। এই ছোট ছোট ট্রিপ দিতে অনেকের পছন্দ হয় না- জানালেন পাঠাও চালক সাইফুল।

তার মতো নেশা এবং পেশা হিসেবে যারা এটা নিয়েছেন তারাই ভালো করছেন জানিয়ে সাইফুল বলেন, এখানে যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশিও আয় করার সুযোগ আছে। স্বাধীনতা পান চালকরা।

ভাড়ার বিভ্রান্তি কেন তৈরি হয় পাঠাও-এ তার জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকেই একটি গন্তব্যে যেতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে যায়। অতিরিক্ত ঘুরে যাওয়ার পর পাঠাও অ্যাপসে বিল কিন্তু অতিরিক্ত আসেনা। শুধু সময়ের বিলটা আসে। আবার জিপিএস সমস্যার কারণে অনেকের ভাড়া বেশি আসে।’

এ ধরনের ক্ষেত্রে অ্যাপসের ভেতরে অভিযোগ করা যায়। এখানে যাত্রী যেমন অভিযোগ দিতে পারে, তিনিও একই ভাবে অভিযোগ দিতে পারেন বলে জানালেন সাইফুল ইসলাম।

ঢাকায় যাত্রীরা রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে গেছেন বলেও যোগ করেন সাইফুল। এক্ষেত্রে তিনি বন্ধুত্বমূলক মানসিকতার মাধ্যমে সেবা দিয়ে থাকেন যাত্রীদের।

সাইফুল বলেন, ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলো তাদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। যে কারণে ব্যবহারকারীরা সুবিধা পাচ্ছে। আর চালকদের ট্রিপ বোনাস দিচ্ছে। বিভিন্ন ভাবে একেকজন একেক ভাবে ট্রিপ বোনাস পাচ্ছে। যে যেরকম ট্রিপ টার্গেট ফিলাপ করবে সে সেরকম ট্রিপ বোনাস পাবে। আমি পাঠাও থেকে এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত ট্রিপ বোনাস পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘শুরুতে উবারে ছিলাম। গত ৮ মাস ধরে উবার চালাই না। উবার সার্ভিসও ভালো। তাদের পাশাপাশি আছে পাঠাও। এরপর যেগুলো আসছে তারা র্মাকেটে প্রভাব ফেলতে বা পরিচিত হতে পারেনি। তাদের গাড়ি সংখ্যাও সীমিত।’

পাঠাও পে ব্যবহারের সুবিধা জানিয়ে তিনি জানান, পাঠাও অ্যাপের পে একাউন্টে রিচার্জ করে রাখলে যখন রাইড শেষ হয়, তখন অটোমেটিকভাবে এমাউন্টটা পিন নাম্বার দিয়ে পে করা যায়। এমনও যাত্রী আছে ৮০ থেকে ৯০ টাকার ভাড়া আসে, অথচ ১০০০ টাকার নোট দেয়। তখন বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। পাঠাও পে থাকলে এ সমস্যা একদম হয় না। আবার যেকোনো ড্রাইভারের মোবাইল থেকেও রিচাজ করে নেয়া যায়।

তবে অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ পাওয়া এমনটা যে- ভুল করে পাঠাও অ্যাকাউন্টে পেমেন্টের পরিবর্তে এয়ারটাইম হিসেবে রিচার্জ করার পর পাঠাও সে টাকা ফেরত দেয়নি।

আবার ড্রাইভাররা পাঠাও পে-এর টাকা দেরিতে পেয়ে থাকে। যেমন পাঠাও পে-এর টাকা উত্তোলন করতে গেলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা লাগে- নিজেও স্বীকার করলেন সাইফুল।

এক হাজার রাইড দিয়েও রেটিংয়ে সেরা অবস্থান ধরে রেখেছেন উবারের সাবেক ফাইভ স্টার চালক এই সাইফুল ইসলাম। তার রেটিং এখন ৯৭ ভাগ। এতো যাত্রী কীভাবে সন্তুষ্ট করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যখন রিকোয়েস্ট আসে তখন আমি কলব্যাক করে যাত্রীকে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করি। যাত্রীও বুঝতে পারে একজন ভালো মানুষের সঙ্গে রাইড হচ্ছে। গাড়িতে উঠার পরে যদি শিশু থাকে তাহলে তাদের আমি চকলেট দেই। একটি বক্সে চকলেট রাখা আছে। এছাড়া যাত্রীদের আমি বোতলজাত ফ্রেশ পানি দেই। অনেকের বমির সমস্যা থাকে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত পলিথিন রেখেছি। আছে এন্ড্রয়েড ও আইফোনের আলাদা মোবাইলের চার্জার এবং পাওয়ার ব্যাংক।’

তিনি বলেন, ‘গাড়িটি পরিষ্কার রাখি সব সময়। এয়ার ফ্রেশনার দিয়ে রাখি। পেছনে টিস্যু রাখা আছে, যাতে যাত্রীরা তাদের প্রয়োজনে এগুলো ব্যবহার করেন। আর এসব কারণেই যাত্রীরা আমাকে পছন্দ করেন, সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট হন।’

ঢাকায় প্রাইভেট কার চালকদের মধ্যে রাইড শেয়ারিং কী কোনো পরিবর্তন এনেছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আগে চালকরা বিভিন্ন বাসা বাড়ি এবং কোম্পানির গাড়ি চালাতেন। রাইড শেয়ারিং কোম্পানি হচ্ছে স্বাধীন পেশা। একজন মালিকের গাড়ি কন্ট্রাকে নিয়ে আরও স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারেন চালক।

আগে যে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন এখন রাইড শেয়ারিং অ্যাপে সে আয়টা অনেক বেড়েছে। এমনও চালক আছেন যারা মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়মিত আয় করছে। এর মাধ্যমে একটা স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির চালক বের হচ্ছে। চালকদের বেতন বাড়ছে, জীবনযাত্রার মান বাড়ছে- জানালেন পাঠাও আইকনিক ড্রাইভার সাইফুল।

   

ঢাকায় বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’, শীর্ষে দিল্লি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বায়ুদূষণের সাথে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ।

রোববার (১৯ মে) সকাল সোয়া ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৭০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ সময় বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩৫২ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। এছাড়া ২৮১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। আর ১৬৭ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চীনের উহান শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসের স্কোর ১৫৯।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

;

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
বাবর আলী

বাবর আলী

  • Font increase
  • Font Decrease

পেশায় চিকিৎসক, নেশায় পর্বতারোহণ। সেই নেশায় চট্টগ্রামের সন্তান বাবর আলীকে নিয়ে গেল এভারেস্টের চূড়ায়। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এভারেস্ট জয় করেছেন। 

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়েছেন ৩৩ বছরের এই তরুণ।

বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।

বাবর আলীর প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে আপডেট তথ্য দেওয়া 'ভারটিক্যাল ড্রিমার্স' পেজেও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, 'অবশেষে! পৃথিবীর শীর্ষ এভারেস্ট ছুঁয়েছি আমরা! ১১ বছর প্রতীক্ষার পর আজ তৃতীয় মেরুতে উড়েছে লাল-সবুজ! ঠিক শুনছেন। আমাদের স্বপ্ন সারথি বাবর আলী আজ (রোববার) সকাল স্থানীয় সময় ৮টা ৩০ (বাংলাদেশের সময় ৮টা ৪৫ মিনিটে) আকাশ ছুঁয়েছে। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবং লাখো শুভাকাঙ্ক্ষীদের দোয়ায় প্রকৃতি মাতা বাবরকে ক্ষণিকের জন্য স্থান দিয়েছেন নিজের চূড়ায়। খানিক আগে বেসক্যাম্প ম্যানেজার এবং আউটফিট মালিক আমাদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।'

এখন বাবর আছেন ক্যাম্প-৪ এ নামার পথে। ওই ডেথ জোনে যোগাযোগ সম্ভব নয়। তাই এভারেস্ট ছোঁয়ার ছবি এখনো পাওয়া যায়নি।

অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান জানান, মাউন্ট এভারেস্টে অভিযান নিঃসন্দেহে দুরূহ একটা কাজ। আজ সেটি সম্পন্ন করে বাবর ২৭ হাজার ৯৪০ ফুট উচ্চতার মাউন্ট লোৎসে আরোহণে যাত্রা করবেন। বাংলাদেশ থেকে আগে এভারেস্ট আরোহণ হলেও একই অভিযানে এভারেস্ট এবং লোৎসে আরোহণের চেষ্টা হয়নি পূর্বে। সেই চ্যালেঞ্জই নিয়েছেন গত বেশ কয়েক বছর ধরে নিজেকে হিমালয়ের নানান চূড়ায় অভিযানের জন্য প্রস্তুত করা বাবর।

এই অভিযানে মোট খরচ হচ্ছে ৪৫ লাখ টাকা। যাতে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছেন ভিজ্যুয়াল নীটওয়্যার লিমিটেড। এছাড়া সহ-পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ঢাকা ডাইর্ভাস ক্লাব, বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ব্লু জে, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনী, গিরি, ভারটিক্যাল ড্রিমার্স।

এছাড়াও অভিযানের জন্য গণ তহবিল সংগ্রহে অংশ নিয়েছেন দেশ-বিদেশের নানা সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠন এবং অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী। অভিযানের সার্বিক সমন্বয় করেছে ডা. বাবর আলীর নিজের ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বুডিশ্বচরে জন্ম নেওয়া এই তরুণ পেশায় একজন চিকিৎসক। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সঙ্গে নানা স্বেচ্ছাসেবী কাজে যোগ দেন। করোনায় তার ভূমিকাও বেশ প্রশংসার ছিল। সব কিছুকে পিছনে রেখে পাহাড়-প্রেমী হিসেবেই নিজেকে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন এই তরুণ।

২০১৪ সালেই ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত নেপালে এক হিমালয় অভিযানে বাবর সামিট করেন এক পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতার পর্বত। সেই তার হিমালয়ে পথচলা শুরু। এরপর পর্বতারোহণের বিশুদ্ধতম ধরণ বলে পরিচিত আল্পাইন স্টাইলে ২০১৬ সালে ক্লাব থেকে সামিট হয় ভারতের মাউন্ট ইয়ানাম, যা ছিল বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার কোন ২০ হাজার ফুট উচ্চতার পর্বত সামিট এবং সেই দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

পর্বতারোহণকে ধ্যানজ্ঞান মেনে তিনি বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স করেন ভারতের নেহেরু ইন্সটিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং থেকে। ২০১৪ সাল থেকে প্রায় প্রতিবছর করেছেন এক বা একাধিক হিমালয় অভিযান। এছাড়াও নিজেকে উপযুক্ত করে তুলতে বাবর নিয়মিত দৌঁড়ান, করেছেন ক্রস কান্ট্রি সাইক্লিং, করেন কায়াকিং, পায়ে হেঁটে টানা ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছেন সিঙ্গেল ইজার প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে।

গত বছরের ১৩ এপ্রিল কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে সাইকেলযাত্রা শুরু করেছিলেন বাংলাদেশি পর্বতারোহী বাবর আলী। এক মাসের চেষ্টায় প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারি গিয়ে থেমেছিলেন তিনি। পথে যেতে যেতে ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। এর আগে ২০১৯ সালে পরিবেশ রক্ষার ব্রত নিয়ে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা হেঁটে পার করেন তিনি। হেঁটে বাংলাদেশ ও সাইকেলে ভারতবর্ষ পাড়ি দেওয়া বাবর আলী এবার লিখলেন নতুন গল্প। এই গল্প শুধু নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার নয়, দেশকে গর্বিত করারও। গল্পটা যে-এভারেস্ট-জয়!

;

ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল বাস্তবসম্মত নয়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রতিবন্ধী স্কুল করা বাস্তবসম্মত নয়। প্রতিবন্ধীদের জন্য আমাদের চেষ্টা হলো মূলধারার বিদ্যালয় গুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা। যারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বা অটিজম বা যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের মধ্যে যাদের সাধারণ স্কুলে যাওয়ার নুন্যতম সক্ষমতা আছে, তাদেরকে সেখানেই দিয়ে দেওয়া। সেই স্কুলের শিক্ষকদেরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেন তারা একসাথে পড়াতে পারেন। এতে সাধারণ শিশুরাও সহমর্মী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর যাদের পক্ষে কোনভাবেই সাধারণ স্কুলে যাওয়া সম্ভব না, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ স্কুল শুধুমাত্র তাদের জন্য। সেজন্য শিক্ষক তৈরি করা বা কেয়ারগিভার তৈরি করা কিন্তু খুব সহজ কাজ নয়। কাজেই প্রতি ইউনিয়নে এরকম একটি করে স্কুল তৈরি করা খুব দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার হবে।

শনিবার(১৮ মে) বিকেলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি কুড়িগ্রাম সদরের উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

দীপু মনি এব্যাপারে আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের কিছু বিশেষ স্কুল আছে। আমরা হুজুকে জাতি। একটা কিছু করা শুরু হলে আমরা সবাই মিলে সেটা করা শুরু করি। সারাদেশে এমন অনেক স্কুল গজিয়ে যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে যে সবগুলোই খুব ভালো বা শিশুদের জন্য বিশেষ স্কুল তা নয়। আমরা সেটারও একটা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যেগুলো প্রকৃত অর্থেই বিশেষ স্কুল সেগুলোকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা আমরা নিশ্চয়ই দেব। কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকতে হবে সাধারণ বিদ্যালয়ে যতদূর সম্ভব বিশেষ শিশুদেরকে আমরা যেন নিয়ে যেতে পারি।

সামনের অর্থবছরের জন্য আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় থাকা নাগরিকদের ভাতার অর্থ বৃদ্ধি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে না। ভাতার পরিমাণটা আসলে কোনও ভাতাভোগীর জন্য একমাত্র অবলম্বন নয়। অনেকগুলো কারণে ভাতা দেওয়া হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো তিনি (সুবিধাভোগী) যেন নিজেকে অসহায় মনে না করেন। যেন ভাবেন, সরকার তার পাশে আছে।’ অবশ্যই দেশ ও সরকারের সক্ষমতা বাড়ার সাপেক্ষে ভবিষ্যতে ভাতার পরিমাণ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্য নিয়ে লুকোচুরি ও বিভিন্ন অনিয়মের ব্যাপারে সাংবাদিকদের অভিযোগের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘অবশ্যই এ ধরনের অভিযোগ গুরুতর। বিষয়টি নিয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।’ তবে ভাতাভোগীদের তালিকা প্রকাশ কিংবা তথ্যের সহজলভ্যতার বিষয়ে অধস্তন কার্যালয়কে তাৎক্ষণিক স্পষ্ট কোনও নির্দেশনা দেননি মন্ত্রী।

উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী জাদুঘরে রক্ষিত ১৯৭৩ সালে কুড়িগ্রামে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের লিখিত প্রতিলিপি দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন। এরপর তিনি শেখ রাসেল পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত কুড়িগ্রামের কৃতিসন্তান অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকনকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। পরে রাত ৯ টার দিকে মন্ত্রী কুড়িগ্রাম সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করেন।

;

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;