পদ্মাসেতুর আরও ৪ পিলারের নকশা চূড়ান্ত, বাকি ৭



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু। ছবি:বার্তা২৪

নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু। ছবি:বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঢাকা: পদ্মাসেতুতে জটিলতা তৈরি হওয়া ১১টি পিলারের মধ্যে ৪ টি পিলারের চূড়ান্ত নকশা পাওয়া গেছে। বনানী সেতু ভবনে নকশা অনুমোদন শেষে পদ্মায় এটি পৌঁছানো হয়েছে। আর বাকি থাকলো মাত্র ৭ টি পিলারের চূড়ান্ত নকশা। যা আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষদিকে পাওয়া যাবে।

সোমবার (২০ আগস্ট) সেতু ভবনের একটি সূত্র বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পদ্মাসেতু প্রকল্প পরিচালক ২৯ থেকে ৩২ নম্বার পিলার পর্যন্ত ডিজাইন অনুমোদন করে অসমাপ্ত কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।

৪২ টি পিলারে ওপর দাঁড়াবে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। এর মধ্যে মূল নদীতে পড়েছে ৪০ টি পিলার। এই ৪০ টি পিলারের মধ্যে ২৬টির ডিজাইন শুরুতেই পাওয়া গিয়েছিল। পরে পাওয়া আরও ৩ টিসহ ডিজাইন চূড়ান্ত ছিল ২৯টি পিলার। বাকি ছিল ১১ টি পিলার। এরমধ্যে এখন পাওয়া গেল আরও ৪ টি। সবশেষ বাকি থাকলো ৭ টি পিলারের চূড়ান্ত ডিজাইন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/20/1534762257286.gif

মাটির গঠনগত বৈচিত্র ও গভীরতার তারতম্যের কারণে পদ্মাসেতুর মাঝনদী ও মাওয়া প্রান্তের এসব পিলার নিয়ে বেশ জটিলতায় পড়ে এ প্রকল্প। প্রায় এক বছর ঝুলেছিল এই পাইলগুলোর কাজ।

সেতু প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী, নদীতে ৪০ টি পিলারে ২৬২ টি পাইল ড্রাইভ করতে হচ্ছে পদ্মাসেতুতে। এখন পর্যন্ত পাইল ড্রাইভ শেষ হয়েছে ১৬৫টি। ১১টি পিলারে পাইল বাকি ছিলো ৯৭টি। ৪ টি পিলারে আরও ২৭টি পাইলের চূড়ান্ত ডিজাইন পাওয়ার পর এখন ৭০টি পাইল ড্রাইভ বাকি থাকলো। এসব পাইলের ড্রাইভ সম্পন্ন হলে সেতুতে স্প্যান তোলা হবে। স্প্যানে গাডার বসিয়ে সড়ক নির্মাণ করলেই পূর্ণাঙ্গ হবে পদ্মা সেতু।

সেতু প্রকল্পের একজন উর্ধ্বতন কর্মকতা জানান, ‘বলা যায় জটিলতা আর থাকলো না পদ্মাসেতুর কাজে। আগামী মাসের শেষদিকে আরও ৭টি পিলারের নকশা পাওয়া যাবে। ওই ৭টির একটি টেস্ট বাকি থাকায় সেগুলো এখনই পাওয়া যায়নি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/20/1534762288493.gif

কিছুদিন আগে বিদেশি পরামর্শক দল ডিজাইনগুলো চুড়ান্ত করে প্রকল্প পরিচালকের কাছে দিয়েছিলো। এগুলো অনুমোদন করে এখন কাজের জন্য পদ্মায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দৃশ্যমান অগ্রগতি হিসেবে দেখা যাচ্ছে, পদ্মাসেতুর জাজিরা পাড়ের ৬ টি খুঁটিতে ৫ টি স্প্যান বসানো হয়েছে। যা পৌনে এক কিলোমিটার নদীর ওপর।

প্রকল্পের মূলসেতুর দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা জানান, সেতুর ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর পিলার স্প্যানের অপেক্ষায় আছে। এ দুটি স্প্যান এখনও চীনে রয়েছে।

তিন বছর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা বহুমুখী সেতুর কাজ শুরু হয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। ২০১৯-এ এটি চালু করা যাবে বলে জানিয়েছেন সেতুর প্রকল্প শফিকুল ইসলাম। প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চলছে সেতুর নির্মাণকাজ ।

   

১৫ বছরে দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যানের আয় বেড়েছে ১১৯ গুণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে চতুর্থবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতন। এর আগে তিনি প্রথমবার ২০০৯ সালে দাগনভুঞা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে টানা ৩ মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এরমধ্যে গত ১৫ বছরে তার আয় বেড়েছে ১১৯ দশমিক ৪০ গুণ। ২০০৯ সালে বার্ষিক আয় ১ লাখ ২৬ টাকা থাকলেও ২০২৪ সালে এসে বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৬ টাকায়। এই সময়ে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩২ দশমিক ২০ গুণ। ২০০৯ এবং ২০২৪ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

২০০৯ সালে দাখিল করা হলফনামায় তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৮ টাকা। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৪ টাকায়। সেই হিসেবে, গত ১৫ বছরে মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩২ দশমিক ২০ গুণ।

হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দিদারুল কবির রতন ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় বার্ষিক আয় ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন। সেই সময় হলফনামায় নিজেকে ব্যবসায়ী দেখালেও ব্যবসার ধরনের কথা উল্লেখ ছিল না। ছিল না শেয়ার সঞ্চয়পত্র থেকে কোনো আয়। কৃষি থেকে ৬০ হাজার টাকা, বাড়ি-দোকান ভাড়া ৩৬ হাজার টাকা এবং ব্যবসা হতে ৬০ হাজার টাকা আয় দেখানো হয়েছিল।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় দেখা গেছে, তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৬ টাকা। আয়ের খাত হিসেবে তিনি কৃষি খাতে ২৫ হাজার ৭৮০ টাকা, বাড়ি-দোকান ভাড়া বাবদ ১ লাখ ৬৭ হাজার ২১৬ টাকা, মৌসুমী মাল বিক্রি বাবদ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা, ঠিকাদারি হতে ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা, জনশক্তি রপ্তানি করে ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র এক কোটি টাকা, পেশা খাত হতে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং মৎস চাষ করে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৭৫০ টাকা আয় দেখিয়েছেন।

২০০৯ সালের হলফনামা অনুযায়ী দিদারের যৌথ মালিকানাধীন ৪ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ থাকলেও ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, স্থাবর সম্পদের মধ্যে দিদারুল কবির রতনের (অর্জনকালীন সময়ের আর্থিক মূল্য) ২ লাখ টাকার কৃষি জমি, ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার অকৃষি জমি, ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৬ টাকা মূল্যের একটি ভবন, ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বাড়ি এবং ১১ লাখ ৭২ হাজার ৭৫০ টাকা সমমূল্যের চা-রাবার বাগান ও মাছের খামার রয়েছে।

এবারের হলফনামা অনুযায়ী, দিদারের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩০ টাকা, বীমা ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৮ টাকা, ডিপিএস ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৮০ টাকা, একটি মোটরকার ৩০ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এক লাখ টাকা, আসবাবপত্র এক লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। তার রয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার পিস্তল, শর্টগান, কার্তুজ ও বুলেট।

২০০৯ সালে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৫১ হাজার ৫৮৮ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ৯০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছিল। একই হলফনামায় দিদারুল কবির রতনের ১০ লাখ টাকার ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। ১৫ বছর পর এবারের হলফনামায় স্বর্ণালংকারের পরিমাণ ১০ ভরি কমিয়ে ৩০ ভরির দাম দেখানো হয়েছে ৬০ হাজার টাকা।

দিদারুল কবির রতন ২০০৯ সালে প্রথমবারের মত দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন তিনি।

দিদারুল কবির রতন ১৯৯০ সালে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আতাতুর্ক মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়ার পরেই দাগনভূঞা ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। পরবর্তী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি থেকে পর্যায়ক্রমে ২০০৩ সালে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। দিদার ২০১১ সালে জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ও ২০১৬ সালে জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন।

;

কুকি-চিন আর্মির নারী শাখার প্রধান সমন্বয়ক আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুকি-চিন আর্মির সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বান্দরবান সদর ও রোয়াংছড়ি জোনের নারী শাখার অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক আকিম বম কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে সংক্ষিপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, লাইমী পাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫।

তবে এবিষয়ে বান্দরবান জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র‍্যাবের মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী।

;

২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, সুস্থ ১১



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের। এদিন নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ২২৩ জন।

শুক্রবার (১৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৬৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৭টি।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার চার দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

;

জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ফুলপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাজ্জাত হোসেন কামাল (৫৫) নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন জাকারিয়া (৩৫), মহিবুল্লাহ (১৮) ও তার মা (৫০)।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বওলা ইউনিয়নের পুরাননগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত সাজ্জাত হোসেন কামাল ওই এলাকার ছালাম ফকিরের ছেলে। সে ধোবাউড়া উপজেলার গোয়তলা রঘুরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন ।

ফুলপুর থানার ইনচার্জ ওসি মাহাবুবুর রহমান ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে নিহত সাজ্জাত হোসেন কামালের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে চাচা আবুল খায়ের ও চাচাতো ভাইদের সাথে বিরোধ চলছিল। তীব্র তাপদাহে ফসলের জমি শুকিয়ে যাওয়ায় শুক্রবার সকালে সেচ পাম্প দিয়ে নিজ পুকুর থেকে জমিতে পানি নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এসময় চাচাতো ভাই ও ভাতিজা ও ভাইয়ের স্ত্রী বাধা দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাত হোসেন কামালের শরীরে আঘাত করেন তারা। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ সময় তার গলাটিপে ধরা হয়।

পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খরব পেয়ে ফুলপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাচাতো ভাই, ভাতিজা ও চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীকে আটক করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছালাম ফকির বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ফুলপুর থানা ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহত শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;