'শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি'



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কবিগুরু শরৎ প্রেমে মুগ্ধ হয়ে লিখেছেন,  'শরৎ, তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি, ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি। শরৎ, তোমার শিশির-ধোয়া কুন্তলে বনের-পথে-লুটিয়ে ।' ভাদ্র মাস দিয়ে সেই শরতে সূচনা হলো বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) প্রত্যুষে।

শরৎ বাংলাদেশের কোমল, স্নিগ্ধ, স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল এক ঋতু। মূলত বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুই ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন রূপের পসরা দিয়ে সজ্জিত। তবে গ্রীষ্ম ও শীতের মাঝখানে শরৎ অনন্য ও অনুপম।

বৈচিত্রময় বাংলাদেশে এক-একটি ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন ফুলে ও ফলে, ফসলে ও সৌন্দর্যে সেজে ওঠে প্রকৃতি। পৃথিবীর আর কোনও দেশের প্রকৃতিতে ঋতুবৈচিত্র্যর এমন সম্ভার বিরল। ঋতুবৈচিত্রে বাংলাদেশ এক অপার সৌন্দর্যভূমি।

ঋতু পরিক্রমায় বর্ষা অশ্রুসজল চোখে বিদায় নেয় শ্রাবণে। তারপর ভাদ্রের চোখে সূর্য মিষ্টি আলোর স্পর্শ নিয়ে প্রকৃতি ঘোষণা করে শরতের আগমন বার্তা। থেমে যায় বর্ষামেঘের কাজল-কালো বুকের ভেতর দুঃখজলের বর্ষণ। আসে ঝকঝকে নীল আকাশে শুভ্র মেঘ, ফুলের শোভা আর শস্যের শ্যামলতা।

আলোয়, রঙে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে শরৎ। প্রকৃতির কন্ঠে কন্ঠে মিলিয়ে কবিকণ্ঠ ঘোষণা করে: ‘আজি ধানের খেতে রৌদ্র ছায়ায়/ লুকোচুরির খেলা/ নীল আকাশে কে ভাসালে/ সাদা মেঘের ভেলা ’

ভাদ্র-আশ্বিন এ দুই মাস বাংলাদেশে শরৎকাল। ঋতুবৈশিষ্ট্যে শতের সৌন্দর্য বাংলার প্রকৃতিকে করে রূপময়। গাছপালার পত্রপল্লবে প্রদোষকালীন গুচ্ছ গুচ্ছ অন্ধকার ফিকে হয়ে আসতেই পাখপাখালির দল মহাকলরবে মাতায়। প্রভাতে আবার ডানা মেলে উড়ে যায় নীল আকাশে। আকাশের উজ্জ্বল নীলিমা শরতের বিশেষ উপহার, সে দিগন্তময় আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে মালার মত উড়ে যায় পাখির ঝাঁক।

আকাশে শরতে শিমুল তুলোর মতো ভেসে চলে বৃষ্টিহীন সাদা মেঘের খেয়া। চারদিকে সজীব গাছপালার ওপর বয়ে যায় শেফালিফুলের মদির গন্ধভরা ফূরফুরে মিষ্টি হাওয়া। শিউলি তলায় হালকা শিশিরে ভেজা দূর্বাঘাসের ওপর চাদরের মত বিছিয়ে থাকে সাদা আর জাফরন রং মেশানো রাশি রাশি শিউলিফুল। শরতের ভোরের এই সুরভিত বাতাস মনে জাগায় আনন্দের বন্যা। জীবনে জাগে উষ্ণ ও শীতলতার মাঝামাঝি রোমাঞ্চকর আমেজ।

শরতের সূর্য ওঠে স্বর্ণপ্রভায়। তসপহীন নির্মল আলোয় ভরে যায় চরাচর। গ্রাম-বাংলার মাঠে মাঠে উচ্ছ্বসিত ধানের সবুজ চারার ওপর ঢেউ খেলে যায় উদাসী হাওয়া।বআদিগন্ত সবুজের সমারোহে দেখা পাওয়া যায় প্রকৃত রূপসী বাংলার। । কাশবনের সাদা কাশফুল শারদীয় হাতছানিতে ডাকে: ‘পুচ্ছ তোলা পাখির মতো/কাশবনে এক কন্যে/তুলছে কাশের মযূর-চূড়া/কালো খোঁপার জন্যে।’

চিরায়ত সুন্দর শরতে নদীর বুকে রঙিন পাল তুলে মালবোঝাই নৌকা চলে।  মাঝি হয়তো গেয়ে ওঠে ভাটিয়ালি গান। পুকুরপাড়ে আমগাছের ডালে মাছরাঙা ধ্যান করে। স্বচ্ছ জলে পুঁটি, চান্দা বা খলসে মাছের রূপালি শরীর ভেসে উঠলে সে ছোঁ মেরে তুলে নেবে তার লম্বা ঠোঁটে। নদীর চরে চখাচখি, পানকৌড়ি, বালিহাঁস বা খঞ্জনা পাখির ঝাঁক খেলা করে। কলসি কাঁথে মেঠো পথে হেঁটে চলে গাঁয়ের বধূ। ছবির মতো মনে হয় রূপসী শরতকে।

শরতের এক বিশেষ ছবি দেখা যায় বিলের জলে। নক্ষত্রের মতো ফুটে থাকে সাদা ও লাল শাপলা। সকালের হালকা কুয়াশায় সেই শাপলা এক স্বপ্নিল দৃশ্যের দ্যোতনা জাগায়।

শরতের স্নিগ্ধ মনোরম প্রকৃতি তাপিত মানবজীবনেও আনে প্রশান্তির আমেজ। শহরের মানুষও অবকাশ নিয়ে শরতের মনোরম প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য গ্রামের বাড়িতে ছুটে যায়। নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা আর নদী তীরের সাদা কাশফূল আর ভোরের হালকা শিশির ভেজা শিউলি ফুলে অমলি শরৎ যেন শুভ্রতার ঋতু।

শরৎকালে রাতের বেলায় জ্যোৎস্নার রূপ অনিন্দ্য প্রভায় ঝিকমিক করে। মেঘমুক্ত আকাশে মনে হয় কল্পকথার পরীরা ডানা মেলে নেমে আসে নশ্বর পৃথিবীতে। শরতের জ্যোৎস্নার মোহিত রূপ নিজ চোখে না দেখলে বোঝা যায় না ।

শরৎ বাংলার ঋতু পরিক্রমায় সবচেয়ে মোহনীয় ঋতু । নরম, কোমল, মায়াবী স্পর্শে দোলা দেয় শরৎ। অরুণ আলোর অঞ্জলিতে ভরে সমগ্র প্রকৃতি ও মানুষের অন্তর-বাহির।

   

চট্টগ্রামে এক হাজার লিটার মদ জব্দসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থেকে এক হাজার লিটার চোলাই মদসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, পার্তব্য জেলা খাগড়াছড়ির পাহাড়ি এলাকা থেকে এসব মদ সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম শহরে এনে বিক্রি করতেন তারা।

আটকরা হলেন- খাগড়াছড়ি জেলার কামাল হোসেন (২৭) ও আনোয়ার হোসেন (২৮)। কাজের সুবাদে তারা দু’জন বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় থাকতেন।

শনিবার (১ জুন) রাতে বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন বেপারী পাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে পুলিশ অক্সিজেন এলাকায় চেকপোস্ট বসায়। চোলাই মদ বহন করা ট্রাকটিকে থামালে আনোয়ার ও গাড়িচালক কামাল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করে এক হাজার লিটার চোলাই মদ ও ট্রাকটি জব্দ করে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আনোয়ার খাগড়াছড়ির সাধন ত্রিপুরা নামে একজনের কাছ থেকে এসব চোলাই মদ সংগ্রহ করেছেন। সাধনের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি এলাকার চোলাই মদ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে কম মূল্যে এসব মদ কিনে আনোয়ারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরে সরবরাহ করতেন। এ মদ নিয়ে তারা ফৌজদারহাটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে কার কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি তারা।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, রোববার দুইজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট শেষ, মিলছে পূর্বাঞ্চলের টিকিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল আজহার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ১২ জুনের ঈদের অগ্রিম এ টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

রোববার ( ২ জুন) সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি। তবে অনলাইনে চাপ এড়াতে পূর্বাঞ্চলের টিকিট দুপুর দুইটা থেকে বিক্রি শুরু হয়।

পশ্চিমাঞ্চলে সকাল আটটায় শুরু হওয়ার প্রথম চার ঘণ্টাতেই ১৪ হাজার ১৫৭টি টিকেটের মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। প্রথম আধা ঘণ্টায় ৬০ লাখ হিট হয়েছে।

তবে পশ্চিমাঞ্চলের অন্য দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনাতে সামান্য কিছু টিকিট অবিক্রীত রয়েছে।

অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টা পরেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮১১টি টিকিটের মধ্যে মাত্র ৮ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে প্রথম আধা ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলের মাত্র ২৮ লাখ হিট হয়েছে।

বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের টিকিট অবিক্রীত রয়েছে। এ রুটে চলাচলকারী ননস্টপ সোনার বাংলা ও সূবর্ণ এক্সপ্রেসের অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে। তবে তূর্ণা, মহানগর এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী ও চট্টলা এক্সপ্লেসের তিনভাগের একভাগ টিকিট অবিক্রীত রয়েছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিক্রির শুরুতেই উত্তরবঙ্গের টিকিটের অনেক চাহিদা ছিলো। এ এলাকার সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। প্রথম তিন ঘণ্টায় যাত্রীদের টিকিট কাটতে প্রায় ৭০ লাখ হিট পড়েছে।

রেলওয়ের কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১২ জুনের আসন বিক্রি হবে ২ জুন; ১৩ জুনের আসন বিক্রি ৩ জুন; ১৪ জুনের আসন বিক্রি ৪ জুন; ১৫ জুনের আসন বিক্রি ৫ জুন; ১৬ জুনের আসন বিক্রি ৬ জুন। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে নন-এসি কোচের ২৫ শতাংশ আসন যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।

;

নারীর প্রতি বৈষম্যরোধে নারী সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা চান স্পিকার



ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য, নির্যাতন ও অত্যাচার দূরীকরণে যুথবদ্ধ হয়ে নারী সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রবিবার (২ জুন) ‘নারী পুরুষের সমতা অর্জনে কলম হোক হাতিয়ার’ শীর্ষক বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ৪র্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রাজধানীর রমনাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে আয়োজিত এবারের সম্মেলনে সারাদেশ আসা কেন্দ্রের শতাধিক সদস্য অংশ নেন। স্পিকার বলেন, গত কোভিডের সময় নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে নারীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন। বিশেষ করে চাকরি চলে যাওয়া, আর্থিক সংকটসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হন নারী সাংবাদিকরা। ওই সময়কার দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে নারী সাংবাদিকদের জন্য জীবনবীমা ব্যবস্থা চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সারা দেশের নারী সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে গ্রহণ করে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনারা দেশ ও জাতির কল্যাণে যেসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছেন এটা নারী হিসেবে আমাদের অনেক গর্বের ও সম্মানের। আমি আশা করছি নারী সাংবাদিক কেন্দ্র আগামীতে আরও সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।  

জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেন, নারী সাংবাদিকরা দেশের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে লেখালেখি করেন। কিন্তু নিজেদের যত সমস্যা ও চ্যালেঞ্জে রয়েছে সেগুলো নিয়ে লেখা ও বলার সুযোগ তাদের হয় না।  যেকোনো সমস্যা সাংগঠনিক ভাবে একত্রিত হয়ে যথার্থ কর্তৃপক্ষকে জানালে সে সমস্যার সমাধান সহজ হয়। তিনি আরও বলেন, শুধু সাংবাদিকতা নয় সব পেশাতেই নারীকে নানা প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। কাজেই দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেশাগত প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানেও নারীর দক্ষতা জরুরি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের  সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা। শোক প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রের কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক। 

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। তখন থেকেই সদস্যরা দেশের নারীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ  নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সদস্য সংখ্যা প্রায় চারশত। যাদের মধ্যে অনেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিকূলতার মধ্যেও সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন। নারী সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ কর্মক্ষেত্র সুরক্ষা বৈষম্য দূর করার জন্য কেন্দ্র প্রায় ২৪ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। নারী সাংবাদিক কেন্দ্র স্বল্পপরিসরে নারী সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ফান্ড গঠন করেছে।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের  সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা বলেন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র একটি স্বচ্ছ ও সৎ সংগঠন। সদস্যদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে সংগঠনটি দীর্ঘ ২৪ বছর নানা রকমের বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়েও সদস্যদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। গুণগত মান বজায় রেখে সাংবাদিকতায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। নীতি নির্ধারণী পদগুলোতে নারীর সংখ্যা খুবই কম। সাংবাদিকতাকে এখনো নারীর পেশা মনে করা হয় না। যোগ্যাতার ভিত্তিতে নারীদের কর্মস্থলে পদোন্নতির দাবি জানান তিনি।

নতুন নেতৃত্বে এলেন যাঁরা

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কেন্দ্র নাসিমুন আর হক আরা হক মিনুকে সভাপতি ও শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা (বাসস)-কে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

১৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পারভীন সুলতানা ঝুমা, সহ-সভাপতি মুনিমা সুলতানা ( ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস), সহ- সম্পাদক নাজনীন নাহার (টেকওয়ালর্ড বাংলাদেশ), লতিফা আনসারী রুনা (দীপ্ত টিভি), মাশরেখা মনা (বিটিভি), কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক (সিনিয়র সাংবাদিক), সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন এলিস (দৈনিক খবরের কাগজ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দিলরুবা খানম (ইত্তেফাক), দপ্তর সম্পাদক আহমেদ মুশফিক নাজনীন (একুশে টিভি), প্রশিক্ষণ সম্পাদক নাসরিন শওকত (ফ্রিল্যান্সার)। 

কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন- ডেইজি মউদুদ ( দৈনিক বাংলা), অদিতি রহমান ( সিনিয়র সাংবাদিক), বিলকিস সুমি ( জিটিভি), ইয়াসমিন রিমা ( ডেইলি সান), লাইলী ইয়াসমিন ( বৈশাখী টিভি), জাহিদা পারভেজ ছন্দা ( সংবাদ) ও রুপম আক্তার ( টাইম ওয়াচ)।

;

পাঁচ বছরে রসুনের দাম বেড়েছে ৩১০ শতাংশ, আদা ২০৫



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে মোট ৩৪টি নিত্যপণ্যের মধ্যে গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি ৩১০ শতাংশ বেড়েছে রসুনের দাম। একই সময়ে আদার দাম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০৫ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম ১৬৭ শতাংশ ও চিনির দাম ১৫২ শতাংশ বেড়েছে।

এর বাইরে পামওয়েল, শুকনা মরিচ ও মসুর ডালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম পাঁচ বছরে শতভাগ বেড়েছে বলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

রোববার (২ জুন) সিপিডির কার্যালয়ে ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই পর্যালোচনাটি তুলে ধরেন সংস্থার গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে মাছের দাম মাত্র ১০ শতাংশ কমেছে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির এই হার আলোচনায় থাকা ৩৪ পণ্যের মধ্যে সর্বনিম্ন। স্থিতিশীল থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে চালের দাম পাঁচ বছরে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

এ সময় মোয়াজ্জেম বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা, ব্যবসায়ীদের মুনাফালোভী প্রবণতা ও প্রতিযোগিতার অভাবে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির কারণে বেশ কিছু নিত্যপণ্য বিলাসী পণ্যে পরিণত হয়েছে।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি দেশি রসুনের দাম মে মাসে ২০৫ টাকায় উঠেছে। এ সময়ে প্রতি কেজি রসুনের দাম ১৫৫ টাকা বা ৩১০ শতাংশ বেড়েছে।

একই সময়ে আমদানি করা রসুনের দাম ৭০ টাকা থেকে ২১১ শতাংশ বেড়ে ২২৫ টাকায় উঠেছে বলে জানান মোয়াজ্জেম।

মে মাসে প্রতি কেজি আদার দাম ৩৩৫ টাকায় উঠেছে জানিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর আগে পণ্যটির দাম ছিল কেজিপ্রতি ১১০ টাকা। এ হিসাবে আদার দাম কেজিতে ২২৫ টাকা বা ২০৫ শতাংশ বেড়েছে।

আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়। আর দেশি পেয়াঁজের দাম ২৭ দশমিক ৫ টাকা থেকে একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৫ টাকায়। মানভেদে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৬৪ থেকে ১৬৭ শতাংশ।

৫২ টাকা কেজি দরের চিনি ১৫২ শতাংশ বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠেছে বলে জানিয়েছে সিপিডি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম মাত্র ৩৯ টাকা। বিশ্বাজার (৫০ টাকা) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের (৯০ টাকা) তুলনায়ও বাংলাদেশে চিনির দাম অনেক বেশি।

৬৩ টাকা লিটারের খোলা পাম তেলের দাম ১০৬ শতাংশ বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠেছে বলে প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে। ৬৮ টাকার পাম সুপার তেলের দাম একই হারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকায়।

২০১৯ সালে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শুকনা মরিচের দাম ১০৫ শতাংশ বেড়ে ৪১০ টাকায় উঠেছে বলে জানিয়েছে সিপিডি। এ সময়ে মোটা দানার মসুর ডালের দাম ৫৫ টাকা থেকে ৯৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে কেজি ১০৮ টাকায়।

পাঁচ বছরে গুড়ো দুধের দাম ব্র্যান্ডভেদে ৪৩ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সিপিডি। এর মধ্যে ডানো ব্র্যান্ডের দুধের দাম ৫৬৫ টাকা থেকে ৪৩ শতাংশ বেড়ে কেজি দাঁড়িয়েছে ৮১০ টাকায়। আর ফ্রেশ ব্র্যান্ডের দুধের দাম ৪৪০ টাকা থেকে ৮০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯০ টাকা।

এর বাইরে হলুদ গুড়ার দাম পাঁচ বছরে ৭০ শতাংশ, ময়দার দাম ৬০ শতাংশ, বয়লার মুরগির দাম ৫৯ শতাংশ, গরুর মাংসের দাম ৫৮ শতাংশ ও বোতলজাত সয়াবিনের দাম ৫৬ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সিপিডি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী পাঁচ বছরে সবচেয়ে কম বেড়েছে রুই মাছের দাম। ২০১৯ সালে ৩১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পণ্যটি এখন বাজারে পাওয়া যায় ৩৪০ টাকা কেজি দরে। এ হিসেবে রুই মাছের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে পাঁচ বছরে।

তালিকায় নিচের দিকে থাকা পাইজাম চালের দাম ১৫ শতাংশ, মিনিকেট চালের দাম ১৭ শতাংশ এবং মোটা চাল ও লবণের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে পাঁচ বছরে।

;