করোনা রোগীদের সেবায় অ্যাম্বুলেন্স দিলেন ব্যবসায়ী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস আক্রান্তদের হাসপাতালে আনা-নেয়ার সুবিধার্থে রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে (রাসিক) একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জানে আলম জনি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করবে সিটি করপোরেশন।

বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজশাহী নগর ভবনে সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের হাতে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি তুলে দেন তিনি।

করোনা ভাইরাসের সংকটকালে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় ব্যবসায়ী জানে আলম জনিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

জানতে চাইলে ব্যবসায়ী জানে আলম জনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্তদের পরিবহণ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানতে পারছি। অ্যাম্বুলেন্স চালকরা করেনা আক্রান্ত কিংবা উপসর্গ আছে, এমন ব্যক্তিদের আনা-নেওয়া করতে অপরাগতা জানাচ্ছেন। সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমি সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয়ের নিকট আমার অ্যাম্বুলেন্সটি হস্তান্তর করেছি। যাতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সহজে পরিবহণ সুবিধা দেয়া যায়।’

এসময় ব্যবসায়ী জানে আলম জনি সমাজের সকল বিত্তবানদের সহযোগিতার হাতি বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।

   

নওগাঁয় দেয়ালচাপায় প্রাণ গেল রাজমিস্ত্রির



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর সাপাহারে মাটির দেয়াল চাপা পড়ে আব্দুল জলিল (৩৫) নামের এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে উপজেলার ভাগপাড়ল গ্রামের সাত্তার আলির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল জলিল গোপালপুর ময়নাকুড়ি গ্রামের সেন্টু রহমানের ছেলে।

জানা যায়, পাকা করার জন্য ঘরের দেয়ালের নিচে মাটি কেটে সরানোর হচ্ছিল। এসময় কিছু বুঝে উঠার আগেই দেয়াল ভেঙে জলিলের উপরে পড়ে। এতে চাপা পড়েন রাজমিস্ত্রি আব্দুল জলিল। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোফাজ্জল হোসেন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

যশোরে পরকিয়ার জেরে খুন, বিদেশে বসে হয় হত্যার পরিকল্পনা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের মণিরামপুরে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া পাবনার মেসকাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তার পরকীয়া প্রেমিকা সৌদি প্রবাসী নাজমা। আর সেজন্য নাজমা বিদেশে বসেই মেসকাতকে হত্যা করতে রিক্তা বেগমের সাথে দুই লাখ টাকা চুক্তি করে। আর রিক্তা ঠিক করে ভাড়াটিয়া কিলার যশোর শহরের শংকরপুরের শাহীন ড্রাইভারকে। এরপর শাহীন ড্রাইভার কৌশলে মেসকাতকে মণিরামপুরে এনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে চলে যায়। ডিবি পুলিশের অভিযানে আটকের পর এ হত্যায় জড়িত অন্যতম আসামি সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের রিক্তা এসব তথ্য জানান।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজমার বাবা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নিজাম সরদারকেও আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মেসকাতের মোবাইল ফোন। নিহত মেসকাত পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের নিজাম প্রামানিকের ছেলে।

শনিবার (৪ মে) ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ডিবির একটি টিম সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের ২টি মোবাইল ফোন ও হত্যা কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার জব্দ করে।

ডিবি কর্মকর্তা আরো জানান, প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে জানা যায়, মেসকাত যশোর সদর উপজেলার পদ্মবিলায় ইলা অটো রাইস মিলের শ্রমিক ছিলেন। মিলের আরেক কর্মচারী সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নিজাম সরদারের মেয়ে নাজমার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক হয়। স্বামী পরিত্যক্তা নাজমা বর্তমানে সৌদি প্রবাসী। মেসকাতের স্ত্রী জুলেখা পরকীয়া প্রেমিকা নাজমাকে মোবাইলে গালমন্দ করাকে কেন্দ্র করে নাজমা বিদেশ থেকে গ্রেফতারকৃত আসামী রিক্তা পারভীনের সাথে ২ লাখ টাকায় মেসকাতকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পরে রিক্তার তার সহযোগী শাহীন ড্রইভারের মাধ্যমে কৌশলে সাতক্ষীরার আশাশুনি বুধহাটায় ডেকে নিয়ে পথিমধ্যে চেতনা নাশক খাইয়ে তাকে হত্যা করে লাশ মনিরামপুরের একটি ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। আটককৃত আসামীদের যশোর কতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

সুন্দরবনে ভয়াবহ আগুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
সুন্দরবনে ভয়াবহ আগুন

সুন্দরবনে ভয়াবহ আগুন

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের শরণখোলায় পূর্ব সুন্দরবনের গহীনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ও গুলশাখালীর মাঝামাঝি এলাকায় আগুনের সূত্রপাত।

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বনের ভিতর মধু সংগ্রহে মৌওয়ালের আগুনে এই আগুনের সূত্রপাত বলেও জানান তিনি।

বনকর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ বনবিভাগের চারটি ফাঁড়ির বনরক্ষীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু তাহের মিয়া জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই কিলোমিটার জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে এরই মধ্যে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে।

;

শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতন বাড়ানোর বিষয়টি কাজ করছে সরকার বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শনিবার (৪ মে) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রীর বরাতে ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পার করেছে, তারা যেন মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত আসতে পারে এবং তারা যেন ঝরে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।

ওই পোস্টে শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। রিয়াজ রহমান নামে এক অভিভাবক মন্তব্য করেছেন, পঞ্চম শ্রেণির পরে কেউ ঝরে পড়ে না। ঝরে পড়ে স্কুল থেকে কলেজে ওঠার সময়। আর কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়।

দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার। প্রায় ছয় লাখের মতো শিক্ষক ও কর্মচারী যারা মান্থলি পে-অর্ডার বা মাসিক বেতন আদেশের মাধ্যমে সরকারের নিকট থেকে বেতন পান। একজন সাধারণ শিক্ষক স্কুল বা মাদরাসায় যোগদান করার শুরুতে বেতন পান ১২ হাজার ৭৫০ টাকা। বিএড থাকলে আরও কয়েক হাজার টাকা বেশি পান। প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি পায়। একজন সাধারণ শিক্ষকের অবসরের সময় বেতন দাঁড়ায় প্রায় ২৮ হাজার টাকা। সরকারি স্কেল অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক বেতন পায় ৩৩ খেকে ৩৪ হাজার টাকা। ঈদ উৎসব ভাতা শিক্ষকদের জন্য বেতনের ২৫ শতাংশ। কর্মচারীদের জন্য বেতনের ৫০ শতাংশ। পহেলা বৈশাখে ২০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন।

;