‘একটা লাউ ৫ কেজি চাল, ত্রাণের নামে তামাশা!’



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
বীরগঞ্জ উপজেলায় সরকারি ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১টি লাউ ও পাঁচ কেজি চাল

বীরগঞ্জ উপজেলায় সরকারি ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১টি লাউ ও পাঁচ কেজি চাল

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ কেজি চালের সঙ্গে একটি পাকা লাউ— সরকারি ত্রাণ! ত্রাণসামগ্রীর এমন শ্রী দেখে হতভম্ব হয়ে খালি হাতেই ফিরে গেছেন অসহায় দুস্থ অনেক মানুষ। অনেকে আবার ক্ষোভ সামাল দিয়ে বাধ্য হয়ে নিয়েছেন সেই ত্রাণসামগ্রী।

সরকারি ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে চালের সাথে লাউ বিতরণের এ ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায়।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে সরকারি এই ত্রাণ সহায়তা অসহায় দুস্থদের মাঝে বিতরণ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

ত্রাণসামগ্রী হাতে পেয়ে ভুক্তভোগীদের অনেকেই হতভম্ব হয়ে গেছেন। কেউ কেউ রাগে-ক্ষোভে ত্রাণ না নিয়েই বাড়ি ফিরে গেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দাবি— জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এভাবেই প্রতিটি ইউনিয়নে ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছে।

ত্রাণসামগ্রীতে দেওয়া লাউ

গ্রামের রাস্তায় গরুকে ত্রাণের লাউ খেতে দিয়ে চালের ছোট প্যাকেটটা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন অনেকেই। তাদের কয়েকজন জানান, এই দুর্যোগের সময় সরকারের পক্ষ থেকে এমন ত্রাণ পেয়ে কিছু বলার ভাষা নেই! শুধু পাঁচ কেজি চাল আর একটা লাউ দিয়ে কী হবে? এগুলো দিয়ে কতদিন সংসার চলবে? এটা যদি সরকারের ত্রাণ হয় তাহলে ঘরে থেকে লাভ কী?

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শতগ্রাম ইউনিয়নের এক ব্যক্তি বলেন, পাঁচ কেজি চালের সাথে যে লাউ দিছে সেটা খাবার জো নাই। রান্না করার জন্য কেটে দেখি নষ্ট। লাউ বাত্তি হওয়ায় গরুকে খেতে দিয়েছি। এগুলা বলাও যায় না। নাম প্রকাশ হয়ে গেলে পরে আর অনুদান পাব না।

মোহনপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম এমন ত্রাণসামগ্রী দেখে হু হু কাঁদতে কাঁদতে চলে যান। তবে তার প্রতিবেশী ফরজ আলী ত্রাণ নিয়ে হাসতে হাসতে বলেন, একটা লাউ, পাঁচ কেজি চাল, এটা কেমন ত্রাণ? ত্রাণের নামে তামাশা!

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বীরগঞ্জের শতগ্রাম, মোহনপুর ও পাল্টাপুরসহ দশটি ইউনিয়নে শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) চালের সাথে সবজি হিসেবে কোথাও লাউ, কোথাও আলু আবার কোথাও মিষ্টি কুমড়া বিতরণ করা হয়েছে। এই বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাব্বির নামে এক বাসিন্দা বলেন, কত আশা নিয়ে গেলাম। ভাবলাম চাল-ডাল-তেল দেবে। কিন্তু হাতে দিল পাঁচ কেজি চালের সাথে সবজি। সেই চালের প্যাকেটে আবার ওজনে ৩০০ গ্রাম কম। বাসায় এসে চালের প্যাকেট ওজন দিয়ে দেখি এমন কাণ্ড!

এব্যাপারে জানতে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল ওয়েটিংয়ে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এদিকে বীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া প্রতিজনকে পাঁচ কেজি চালের সাথে সবজি দিতে বলা হয়েছে। সেই আলোকে প্রতিটি ইউনিয়নে তালিকা করে হতদরিদ্র ও কর্মহীন অসহায়দের এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এর আগেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে চাল, ডাল, তেল ও সাবানসহ বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়।

   

বহিষ্কৃত মেয়রের স্ত্রী মিতুই কাটাখালীর নতুন মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাজশাহী
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন রাবেয়া সুলতানা মিতু। তিনি ওই পৌরসভার বহিষ্কৃত মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী। অন্যদিকে, পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে কাটাখালী পৌরসভা উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

আর পুঠিয়া ইউপি নির্বাচনের ভোট নেওয়া হয় ব্যালট পেপারে। নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় ভোটারদের দেওয়া তথ্য মতে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাটাখালী পৌরসভা উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল।

তিনি জানান, ৬৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। হ্যাঙ্গার প্রতীকের প্রার্থী রাবেয়া সুলতানা মিতু ৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাবগাছ প্রতীকের আবু সামা পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট।

এদিকে, পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন দুই জন। বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফ খান ঝন্টু ঘোড়া প্রতীকে ও পুঠিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল আনারস প্রতীকে লড়াই করেন।

৫ হাজার ৩৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন জাহাঙ্গীর আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঝন্টু পান ৪ হাজার ৮৭ ভোট।

;

বগুড়ায় পটকা তৈরীর কারখানায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ ৪ জন দগ্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম বগুড়া
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া শহরের মালতিনগরে পটকা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ ৪ জন গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিস্ফোরণে ওই বাড়ির দেয়ালগুলো ধসে যায় এবং টিনের চালা উড়ে যায়। বাড়ির মালিক দাবি করেছেন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বগুড়া শহরের মালতিনগর শ্মশান রোডের একটি বাড়িতে বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরনে আহত ৪ জন হলেন- বাড়ির মালিক রেজাউল করিমের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা(৪০), মেয়ে সুমাইয়া আকতার(১৫), রেজাউলের ভাই রাশেদুল ইসলামের মেয়ে জিম আক্তার(১৬) ও তাদের প্রতিবেশী আলী হোসেনের মেয়ে তাসনিম বুশরা(১৪)।

৪ জনের মধ্যে রেবেকা ছাড়া ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বুশরার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, রবিবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে মালতিনগর এলাকায় বিকট শব্দে আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকট বিস্ফোরণের শব্দে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে দেখেন ওই বসভবনের দেয়াল ধসে গেছে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

বাসার মালিক রেজাউল করিম জানান, তিনি ও তার ভাই রাশেদুল একই বাড়িতে থাকেন। তাদের দুই ভাইয়ের মেয়ের সাথে প্রতিবেশী মেয়েটির ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় তারা একই সঙ্গে গল্প করছিলো। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে তারা ৩ জন এবং তার স্ত্রী আহত হন।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পটকা তৈরির কাঁচামাল থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, ওই বাসভবনে থাকা তিনটি গ্যাস সিলিন্ডারই তারা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পটকা তৈরী করা হচ্ছিল। বাড়িটি পটকা তৈরীর কারখানা হিসেবে পরিচিত।

বাড়িটি পরিদর্শনে যাওয়া বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক ( এসআই) জাকির হোসেন তাৎক্ষণিক ঘটনা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তিনি বলেন পুরো ঘটনা তদন্ত শেষে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম দিনাজপুর
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার চৌরঙ্গীবাজার এলাকায় সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ ও চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী (৬৫)। তার বাড়ি উপজেলার সিঙ্গুল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। নির্বাচনে বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী (টিউবওয়েল) জোবায়দুর রহমানের চাচা মোহাম্মদ আলী।

পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, ভোট গণনায় আজিমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন জোবায়দুর রহমান। এর পর পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলামের সমর্থকরা ফলাফল না মেনে জোরপূর্বক ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে প্রথমে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এর পর ওই প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালাতে থাকলে ৬০ থেকে ৭০ রাউন্ড শটগান থেকে গুলি ছোড়ে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন ঘটনাস্থলে পড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানে আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রবিবার বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ, বিরল ও আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ছিল। সকাল ৮টায় ব্যালটে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়।

;

প্রকল্প বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর ও ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প এখনও বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এত বছরেও এই দুটি প্রকল্প বসবাসের উপযোগী না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে জুলাই মাসে সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন কমিটির সদস্যরা।

এছাড়াও তারা ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পরিত্যক্ত জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে।

রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমতি হিসাব সম্পর্কিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম।

বৈঠকে জানানো হয়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। কাজ শুরুর পর প্রকল্পের মেয়াদ এখনও পর্যন্ত সাত বার বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ প্রকল্পের মেয়াদ দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া কেরানীগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে ঝিলমিল আবাসিক এলাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১৯৯৭ সালে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি বলেন, পূর্বাচল ও ঝিলমিল প্রকল্প দুটো যাতে দ্রুত বসবাসের উপযোগী করা হয়, মন্ত্রণালয়কে সেই পরামর্শ দিয়েছি। শুধু রাস্তা করলেই হবে না। সেখানে ওয়াসার সুযোগ-সুবিধা লাগবে, বিদ্যুৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লাগবে। এগুলো হলেই মানুষ বাড়িঘর করে সেখানে থাকবে। তা না হলে কেউ থাকবে না।

বৈঠকে বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং চলমান প্রকল্পগুলো সমাপ্ত না করে নতুন প্রকল্প গ্রহণ না করার জন্য সুপারিশ করে কমিটি। এছাড়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত এবং গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ বর্ষাকালের পরিবর্তে শীতকালে করার জন্য সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তরের টেন্ডার আহ্বান করার কার্যক্ষমতা ও বিধিবিধান রয়েছে কি না তার তথ্য-উপাত্ত আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাহবুবউল আলম হানিফ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রাণ গোপাল দত্ত, অপরাজিতা হক, শাহরিয়ার আলম এবং খাদিজাতুল আনোয়ার।

;