জেলেদের জন্য আরও ২৪ হাজার মে. টন চাল বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২০ জেলার জাটকা সম্পৃক্ত ৯৬ উপজেলায় জেলেদের জন্য আরও ২৪ হাজার ১০৩ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার।

জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থবছরে দ্বিতীয় ধাপে জাটকা আহরণে বিরত থাকা ৩ লাখ ১ হাজার ২৮৮টি জেলে পরিবারের জন্য এই চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি আদেশ দেওয়া হয়েছে।

ভিজিএফ চাল মে মাসের ৭ তারিখের মধ্যে যথানিয়মে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আওতায় এপ্রিল-মে দুই মাসে প্রতিটি নিবন্ধিত জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি হারে চাল দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ দুই মাস একই উপজেলাসমূহে ২,৮০,৯৬৩টি জেলে পরিবারকে ২২ হাজার ৪৭৭ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল দেওয়া হয়। চাল বিতরণের ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে খাদ্য সহায়তা না পাওয়া জেলেদের অগ্রাধিকার দিতে নতুন মঞ্জুরি আদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো— ঢাকা জেলার দোহার, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর, রাজবাড়ী জেলার সদর, পাংশা, কালুখালী ও গোয়ালন্দ, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়া ও গোসাইরহাট, মাদারীপুর জেলার সদর, কালকিনি ও শিবচর, ফরিদপুর জেলার সদর, মধুখালী, সদরপুর ও চরভদ্রাসন, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর, শ্রীনগর, লৌহজং, টংগিবাড়ী ও গজারিয়া, ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন ও মনপুরা, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, দুমকি, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ ও রাঙাবালি, বরিশাল জেলার সদর, মুলাদী, হিজলা, বানারীপাড়া, উজিরপুর, বাকেরগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, বাবুগঞ্জ ও গৌরনদী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়ীয়া, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী, নেছারাবাদ, কাউখালী ও নাজিরপুর, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, বামনা, বেতাগী ও তালতলি।

এছাড়াও ঝালকাঠি জেলার সদর, রাজাপুর, নলছিটি ও কাঠালিয়া, চাঁদপুর জেলার সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর, কমলনগর, রামগতি ও রায়পুর, ফেনী জেলার সোনাগাজী, নোয়াখালী জেলার সদর, হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম জেলার সদর, বাঁশখালী, সীতাকুন্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা ও মীরসরাই, বাগেরহাট জেলার সদর, মোরেলগঞ্জ, ফকিরহাট, মোংলা, কচুয়া, শরণখোলা ও রামপাল এবং সিরাজগঞ্জ জেলার সদর, কাজীপুর, চৌহালি, বেলকুচি ও শাহজাদপুর।

উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছর ০১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এছাড়া প্রতিবছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত চার মাস সরকার মৎস্যজীবীদের মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকে।

   

বহিষ্কৃত মেয়রের স্ত্রী মিতুই কাটাখালীর নতুন মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাজশাহী
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভায় মেয়র পদে উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন রাবেয়া সুলতানা মিতু। তিনি ওই পৌরসভার বহিষ্কৃত মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী। অন্যদিকে, পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে কাটাখালী পৌরসভা উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

আর পুঠিয়া ইউপি নির্বাচনের ভোট নেওয়া হয় ব্যালট পেপারে। নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় ভোটারদের দেওয়া তথ্য মতে নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাটাখালী পৌরসভা উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল।

তিনি জানান, ৬৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। হ্যাঙ্গার প্রতীকের প্রার্থী রাবেয়া সুলতানা মিতু ৬ হাজার ৩০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডাবগাছ প্রতীকের আবু সামা পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ ভোট।

এদিকে, পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন দুই জন। বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফ খান ঝন্টু ঘোড়া প্রতীকে ও পুঠিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল আনারস প্রতীকে লড়াই করেন।

৫ হাজার ৩৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন জাহাঙ্গীর আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঝন্টু পান ৪ হাজার ৮৭ ভোট।

;

বগুড়ায় পটকা তৈরীর কারখানায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ ৪ জন দগ্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম বগুড়া
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া শহরের মালতিনগরে পটকা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ ৪ জন গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিস্ফোরণে ওই বাড়ির দেয়ালগুলো ধসে যায় এবং টিনের চালা উড়ে যায়। বাড়ির মালিক দাবি করেছেন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বগুড়া শহরের মালতিনগর শ্মশান রোডের একটি বাড়িতে বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরনে আহত ৪ জন হলেন- বাড়ির মালিক রেজাউল করিমের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা(৪০), মেয়ে সুমাইয়া আকতার(১৫), রেজাউলের ভাই রাশেদুল ইসলামের মেয়ে জিম আক্তার(১৬) ও তাদের প্রতিবেশী আলী হোসেনের মেয়ে তাসনিম বুশরা(১৪)।

৪ জনের মধ্যে রেবেকা ছাড়া ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বুশরার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, রবিবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে মালতিনগর এলাকায় বিকট শব্দে আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকট বিস্ফোরণের শব্দে এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে দেখেন ওই বসভবনের দেয়াল ধসে গেছে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

বাসার মালিক রেজাউল করিম জানান, তিনি ও তার ভাই রাশেদুল একই বাড়িতে থাকেন। তাদের দুই ভাইয়ের মেয়ের সাথে প্রতিবেশী মেয়েটির ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় তারা একই সঙ্গে গল্প করছিলো। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে তারা ৩ জন এবং তার স্ত্রী আহত হন।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পটকা তৈরির কাঁচামাল থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, ওই বাসভবনে থাকা তিনটি গ্যাস সিলিন্ডারই তারা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন।

স্থানীয়রা আরো জানান, ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পটকা তৈরী করা হচ্ছিল। বাড়িটি পটকা তৈরীর কারখানা হিসেবে পরিচিত।

বাড়িটি পরিদর্শনে যাওয়া বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক ( এসআই) জাকির হোসেন তাৎক্ষণিক ঘটনা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তিনি বলেন পুরো ঘটনা তদন্ত শেষে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।

;

পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম দিনাজপুর
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার চৌরঙ্গীবাজার এলাকায় সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ ও চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলী (৬৫)। তার বাড়ি উপজেলার সিঙ্গুল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। নির্বাচনে বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী (টিউবওয়েল) জোবায়দুর রহমানের চাচা মোহাম্মদ আলী।

পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, ভোট গণনায় আজিমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন জোবায়দুর রহমান। এর পর পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলামের সমর্থকরা ফলাফল না মেনে জোরপূর্বক ভোটকেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে প্রথমে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এর পর ওই প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালাতে থাকলে ৬০ থেকে ৭০ রাউন্ড শটগান থেকে গুলি ছোড়ে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন ঘটনাস্থলে পড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানে আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রবিবার বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ, বিরল ও আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ছিল। সকাল ৮টায় ব্যালটে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়।

;

প্রকল্প বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর ও ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্প এখনও বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এত বছরেও এই দুটি প্রকল্প বসবাসের উপযোগী না হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখতে জুলাই মাসে সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন কমিটির সদস্যরা।

এছাড়াও তারা ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পরিত্যক্ত জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে।

রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমতি হিসাব সম্পর্কিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম।

বৈঠকে জানানো হয়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১৯৯৫ সালে। কাজ শুরুর পর প্রকল্পের মেয়াদ এখনও পর্যন্ত সাত বার বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ প্রকল্পের মেয়াদ দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া কেরানীগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে ঝিলমিল আবাসিক এলাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ১৯৯৭ সালে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি বলেন, পূর্বাচল ও ঝিলমিল প্রকল্প দুটো যাতে দ্রুত বসবাসের উপযোগী করা হয়, মন্ত্রণালয়কে সেই পরামর্শ দিয়েছি। শুধু রাস্তা করলেই হবে না। সেখানে ওয়াসার সুযোগ-সুবিধা লাগবে, বিদ্যুৎ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লাগবে। এগুলো হলেই মানুষ বাড়িঘর করে সেখানে থাকবে। তা না হলে কেউ থাকবে না।

বৈঠকে বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং চলমান প্রকল্পগুলো সমাপ্ত না করে নতুন প্রকল্প গ্রহণ না করার জন্য সুপারিশ করে কমিটি। এছাড়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত এবং গ্রামীণ মাটির রাস্তাগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ বর্ষাকালের পরিবর্তে শীতকালে করার জন্য সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তরের টেন্ডার আহ্বান করার কার্যক্ষমতা ও বিধিবিধান রয়েছে কি না তার তথ্য-উপাত্ত আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটির কাছে উপস্থাপনের জন্য সুপারিশ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মাহবুবউল আলম হানিফ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রাণ গোপাল দত্ত, অপরাজিতা হক, শাহরিয়ার আলম এবং খাদিজাতুল আনোয়ার।

;