করোনা: ময়মনসিংহ নগরের কাঁচাবাজার স্থানান্তর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ নগরের কাঁচাবাজার স্থানান্তর

ময়মনসিংহ নগরের কাঁচাবাজার স্থানান্তর

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা থেকে নাগরিকদের নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে ময়মনসিংহ নগরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার সাময়িকভাবে মেছুয়া বাজার থেকে কাচারিঘাটে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে সকল সবজি ও তরি-তরকারির দোকান অস্থায়ীভাবে আগামী শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে প্রতিদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত বাজারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বুধবার (৮ এপ্রিল) রাতে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু বার্তা২৪.কম-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ এড়াতে সতর্ক থাকা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই। সেজন্য সামাজিক দূরত্ব রজায় রাখতে কাঁচাবাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা একটি দোকান থেকে আরেকটি দোকান ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থে বাঁশ দিয়ে দূরত্ব তৈরি করে দেব। নগরবাসীকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে সাময়িক এ কষ্ট মেনে নিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, বিকেলে মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান, র‍্যাব-১৪’র অধিনায়ক লে. কর্নেল ইফতেখার উদ্দিন, চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি শংকর সাহাসহ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা ও সবজি বিক্রেতা সমিতির নেতারা নির্ধরিত স্থান পরিদর্শন করার পর এ সিদ্ধান্ত সমূহ গ্রহণ করা হয়।

   

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: এক এক করে সরানো হচ্ছে রেলের বগি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুর জাংশনের কাজী পাড়া এলাকায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া রেলের লাইনচ্যুত বগি এক এক করে সরিয়ে নিচ্ছে উদ্ধারকারী দল।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উদ্ধারকারী একটি ক্রেনসহ ঘটনাস্থলে পৌছায় দলটি। পরে বিকেল ৪ টা থেকে তারা উদ্ধার কাজে তৎপরতা চালানো হয়।

এর আগে গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের কাজী বাড়ি এলাকায় তেলবাহী একটি ট্রেনের সাথে টাঙ্গাইল কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চালকসহ কয়েকজন আহত হলেও নিহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনার পরপরই গাজীপুর জেলা প্রশাসক পুলিশ, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

জয়দেবপুর রেলওয়ে জাংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত দুটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি গুলো এক এক করে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তবে তেলবাহী ট্রেনের বগিগুলোতে তেল থাকায় উদ্ধার কাজে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার ৩ ঘন্টা পর থেকে অপর পাশের রেল সড়ক দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে ট্রেন চলাচল করছে।

;

জমিতে পল্লী বিদ্যুতের ছেঁড়া তার, প্রাণ গেল বৃদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জমিতে ছিঁড়ে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে সাবা খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে উপজেলার ফটিকছড়ি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড ডাক্তার কাশেমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাবা খাতুন ওই এলাকার মোহাম্মদ কালুর স্ত্রী।

নিহতের স্বজনরা জানায়, সাবা খাতুন বিকেলে গরুর জন্য জমিতে ঘাস কাটতে যান। এরপর সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে গেলে জমিতে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মৃত অবস্থায় পায়।

এদিন বিকেল চারটার দিকে পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি থেকে ওই তারটি ছিঁড়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে একাধিকবার জানালেও তারা তা ঠিক করতে আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। স্থানীরা এই মৃত্যুর জন্য পল্লী বিদ্যুতের অবহেলাকে দায়ী করছেন।

মো. সরওয়ার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ওই মহিলাটি মারা যাওয়ার আগে অর্থাৎ দিনে তার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে দেখে আমি বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করে অভিযোগ দিয়েছি। তারা আসতেছি বলে আর আসেনি। তখন আসলে হয়ত এই মহিলাটি মারা যেত না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আবুল হাসেম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ওই এলাকায় জমিতে বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে যাওয়া একটি তার ছিঁড়ে পড়েছিল। বিষয়টি স্থানীয়রা বিদ্যুত অফিসকে জানালেও কোনো লোক আসেনি। এদিকে বিকেলে জমিতে ওই মহিলা জমিতে ঘাস কাটতে যায়। মহিলাটি তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। সন্ধ্যায় বিল থেকে ঘরে না ফেরায় খুঁজতে গিয়ে পরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। আমি বিষয়টি মেয়রকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ডিজিএম (ফটিকছড়ি জোনাল অফিস) আব্দুস ছালামকে ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

;

নাম ফলকে বাংলা লেখার অনুরোধ ডিএসসিসির, নইলে ব্যবস্থা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) সকল চিহ্ন ফলক, বিজ্ঞাপন ফলক, ঝুলন্ত বিজ্ঞাপন, রাস্তার নাম, সকল সরকারি দপ্তরের নাম ফলক (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) বাংলায় লেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এই নির্দেশনা না মানলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুক্রবার (৩ মে) সম্প্রতি এক গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিষয়টি জানিয়েছে ডিএসসিসি। সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ওই গণ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় সকল প্রতিষ্ঠানের নাম ফলক, চিহ্ন ফলক বাংলা ভাষা ব্যবহারের বিষয়ে দায়েরকৃত রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগ, সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী সকল চিহ্ন ফলক, বিজ্ঞাপন ফলক, ঝুলন্ত বিজ্ঞাপন, সকল সরকারি দপ্তরের নাম ফলক (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এই অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় সকল চিহ্ন ফলক, বিজ্ঞাপন ফলক, ঝুলন্ত বিজ্ঞাপন, রাস্তার নাম, সকল সরকারি দপ্তরের নাম ফলক বাংলায় লেখার জন্য অনুরোধ করা হলো। এর ব্যত্যয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

১০ বছর ধরে রাস্তার পাশে মা, ছেলে নেয় না খোঁজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের বেলা হামার ব্যাটা হামাকি বাড়িত থ্যাকে বার করে দিছে, কছে এই বাড়িত যান না ফিরি। হামি আমার ব্যাটা আর ব্যাটার বোউ এর কাছে বোঝা। ১০ বছরের বেশি হলো, হামি রাস্তাত থাকি, কেউ খোঁজ ল্যায় না।

এভাবেই আক্ষেপের স্পঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন মিরজান ওরফে মীরো (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা মা। ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে, ১০ বছর ধরে খেয়ে-না খেয়ে অতি কষ্টে দিনযাপন করছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায় নওগাঁর মান্দা উপজেলার ৩ নং পরানপুর ইউনিয়নের, চককেসব গ্রামে রাস্তার পাশের ঝুপড়ি ঘরে ঝাড়ু বানিয়ে ও গ্রামের মানুষদের ঝাড়ু বেঁধে দিয়ে যা আয় হয় সেই সামান্য টাকা দিয়ে চলছে তার সংসার। কোনোদিন বিক্রি না হলে না খেয়েও দিনযাপন করতে হয় তাকে। আপন বলতে দুনিয়াতে এখন আর কেউ নেই, স্বামীকে হারিয়েছেন অনেক আগেই, ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার পর ঘর ছাড়তে বাধ্য করে ছেলে আস্তান হোসেন। ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর বয়স্ক ভাতার টাকা জমিয়ে কিছু টিন কিনে রাস্তার পাশে কোনোভাবে বাড়ি বানিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।

বৃদ্ধা মীরজান ওরফে মীরো বলেন, আমার স্বামীকে নিয়ে আমার ছেলের বোউ খোটা দিয়ে বলে, মরা স্বামীর জায়গায় লজ্জাহীনের মতো কেন আছি, আমাকে ভাত দিত না, নানাভাবে অত্যাচার করতো, কিন্তু আমার ছেলে কোনো প্রতিবাদ করেনি। হঠাৎ একদিন রাতে ছেলে আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে বলে- তোমার যেখানে খুশি সেখানে চলে যাও, আমার বাড়িতে থাকতে পারবে না। তাই আমি বাধ্য হয়ে ঘর ছেড়ে এখানে এসে ১০ বছর ধরে আছি। আমার অনেক বয়স হয়েছে, এই বয়সে বাহিরে বের হতেও পারি না, তবুও পেটের দায়ে বের হই, ঝাড়ু নিয়ে পাড়ায় মহল্লায়। দিনশেষে ২০-৫০ টাকা আয় হয়, সেটা দিয়েই চালের খুদ (গুড়ো) কিনে এনে খাই। যেদিন বের হতে পারি না, সেদিন না খেয়ে থাকি। কেউ খোঁজ খবর নেয় না।

তিনি আরও বলেন, যে ছেলেকে এত কষ্ট করে লালনপালন করলাম, নিজে না খেয়ে তাকে খাওয়ালাম। ভেজা জায়গায় আমি শুয়ে তাকে শুকনো জায়গায় রাখলাম। জীবনের চরম কষ্টে আমার ছেলেকে ভালো রাখলাম, কিন্তু আজ সে বড় হয়ে সব ভুলে গেছে। আমার কষ্ট রাখার মত কোনো জায়গা নেই। একমাত্র চোখের পানিই আমার সম্বল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার মা, দয়া করে যদি থাকার মতো জায়গা করে দিতো আমার মা, তাহলে বাকি জীবনটা সেখানে থাকতে পারতাম। আমি খেয়ে না খেয়ে অতি কষ্টে আছিরে মা, আমার দিকে একটু তাকাও।

স্থানীয় বাসিন্দা ইলিয়াস হোসাইন বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই এই বৃদ্ধা মাকে এখানে থাকতে দেখি। মূলত আমরাই এখানে থাকার জায়গা দিয়েছি। তার জীবনে এতই কষ্ট যে আমাদের চোখে পানি চলে আসে। তার ছেলে এভাবে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে, এটা অবশ্যই অন্যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন যেন এই বৃদ্ধা মায়ের একটা ব্যবস্থা হয়।

পথচারী মো. কামাল বলেন, আমি রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সময় এই ছোট্ট বাড়িটি দেখি, খুব খারাপ লাগে। এই বয়সে তিনি এতো পরিমাণ কষ্ট সহ্য করে চলাফেরা করেন। বয়স বেশি হওয়ার কারণে ঠিকমত হাঁটাচলা করতেও পারেন না। বৃদ্ধা মায়ের দ্রুত ব্যবস্থা হওয়াটা জরুরি।

স্থানীয় বাসিন্দা মজিদা বেগম বলেন, আমাদের বাড়ির সামনেই এক ছোট্ট ঘর, মাঝেমধ্যে তাকে খাওয়াই, তবুও কষ্ট লাগে যে তার ছেলে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে বিষয়টা সত্যিই ন্যক্কারজনক। ছেলের বিচার হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানুকে দুইদিন ধরে একাধিকবার কল দিয়ে অবগত করলে তিনি এ বিষয় জানেন না বলে জানান, এবং প্রকাশিত ভিডিও নিউজের লিংক চান। কিছুক্ষণ পরে প্রকাশিত নিউজের লিংক দেওয়ার পরে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

পরেরদিন কল দিয়েও একই জানালে তিনি বলেন, প্রকাশিত ভিডিওটির আবার লিংক দিতে। ফেসবুক এবং ইউটিউব ভিডিওটির লিংক হোয়াটসঅ্যাপে দিলে তিনি বলেন, ওপেন হচ্ছে না; সার্চ দিয়ে দেখার সময় আমার নাই।

;