ওষুধসহ খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে ‌‌‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ওষুধসহ খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে ‌‌‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’, ছবি: বার্তা২৪.কম

ওষুধসহ খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে ‌‌‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মহামারি করোনার প্রভাবে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটানো অসহায় দুস্থদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘চলো স্বপ্ন ছুঁই’। রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক পরিবারকে ওষুধ ও ফেস মাস্কসহ খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে সংগঠনটি।

বুধবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরী সাতটি গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা। পরিবার প্রতি একেকটি প্যাকেটে সাত থেকে দশ দিনের খাবার দেয়া হয়।

সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে চাল, আলু, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, আয়োডিনযুক্ত লবণ, জীবাণুনাশক সাবান ও প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং উন্নতমানের সার্জিক্যাল ফেস মাস্ক রয়েছে। এসব সামগ্রী নগরীর ইসলামবাগ, আশরতপুর, খলিফাপাড়া, দর্শনা, সিওবাজার, পাগলাপীর ও মিঠাপুকুর এলাকাতে বিতরণ করা হয়।

নিজেদের সামর্থ্য থেকে সমাজের অসহায়, দুস্থ, কর্মহীন দিনমজুরদের পাশে থাকার প্রত্যয়ে এই সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথা জানান চলো স্বপ্ন ছুঁই এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহতাসিম আবশাদ জিসান।

বার্তা২৪.কম-কে এই স্বেচ্ছাসেবী জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতেও শুধুমাত্র পেটের দায়ে ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই রাস্তায় বের হচ্ছেন। এমন কিছু মানুষের জন্য চলো স্বপ্ন ছুঁই কাজ করছে। নিজেদের সামর্থ্য থেকে অসহায়, দুস্থদের খাদ্য সহায়তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ, মাস্ক ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছে।

এই সংগঠনটি মানবতার দেয়ালের মাধ্যমে কাপড় সহায়তা কার্যক্রম ছাড়াও করোনা দুর্যোগে পাড়া-মহল্লায় জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো, অস্থায়ী হ্যান্ড ওয়াশ কর্নার স্থাপন করেছে বলেও জানান মুহতাসিম আবশাদ জিসান।

চলো স্বপ্ন ছুঁই এর স্বেচ্ছাসেবীরা নিজেদেরকে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্বে রেখে নিরাপদে থেকে সেবামূলক এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজের বিত্তবানদেরও কর্মহীন, অসহায় দুস্থদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা।

   

শ্রমিক দিবস কী, জানেন না শ্রমিকরা

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শ্রমিক দিবস কী, জানেন না শ্রমিকরা

শ্রমিক দিবস কী, জানেন না শ্রমিকরা

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা মে আন্তর্জাতিকভাবে মহান শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে বিশ্বব্যাপী দিবসটিকে পালন করা হয়। গত ১৩৮ বছর ধরে দিবসটি পালন হয়ে আসলেও এনিয়ে কতটা জানেন শ্রমিকেরা, নিজেদের অধিকার নিয়েই বা কতটা সচেতন তারা?

রাজধানীর মিরপুরে রিকশা চালান ইলিয়াস মিয়া। এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে থাকেন বাগানবাড়ি বস্তিতে। রিকশা চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে কোন রকম ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারলেও ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করানোর সামর্থ্য নেই। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বাড়তি খরচের লাগাম টানতে বন্ধ করেছেন ছেলের স্কুল। বয়স কম হলেও মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।


মে দিবস কী জানেন না ইলিয়াস। এদিন নিয়ে জানতে চাইলে তার সরল উত্তর—'এইসব দিবস-টিবস দিয়া কী হইবো মামা। কাম করি, এতে যা টাহা পাই, এই দিয়া কোন রহম চলি। আজকে কামে না নামলে খাইতে পারুম না। আমাগো আর কি এসব দিয়া কোন কাম আছে? নিজের পেট, নিজের পরিবার নিজেরেই পালন লাগবো। কাম না করলে তো আর কেউ টাহা দিবো না, খাওন দিবো না।'

রিকশা চালানোও একটি কর্ম, সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার কাজের মাধ্যমে কি সঠিক মূল্যায়ন পান এমন প্রশ্নের জবাবে বার্তা২৪.কমের এ প্রতিবেদককে ইলিয়াস বলেন, 'আমাগো লগে তো কেউ ভালা কইরা কথাও কয় না। এই যে গরমের মধ্যে রিকশা চালাই তাতেও কেউ বাড়তি টাহা দিবো না। ছোড-বড় সবাই তুই-তোহারি করে। কিন্তু পরিবার আছে, খাওন লাগবো এইজন্য কামও করা লাগবো। যে যা ব্যবহার করুক, কাম করা ছাড়া তো উপায় নাই।'

মিরপুর শাহ আলী প্লাজার সামনে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন শ্যামল দাস। আগে অন্য কাজ করলেও জুতা সেলাইয়ের কাজে আসছেন ছয় মাস আগে। জুতা সেলাইয়ের কাজে কেমন যাচ্ছে জীবন জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, 'সারা দিনে কাম যা অয় তাতে কোন রকম চলে যায়। আয় খারাপ না, কিন্তু জিনিসপত্রের দামও সব বাড়তাছে। এই জন্য একটু তো সমস্যা অয়, তারপরেও ভগবানের দয়ায় ভালই আছি।

মে দিবস সম্পর্কে কোন কিছু জানেন কিনা জানতে চাইলে মাথা নাড়িয়ে 'না' সূচক উত্তর দেন। জুতা সেলাইয়ের কাজ করে নিজের প্রাপ্য মর্যাদা পান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে চেহারায় নেমে আসে এক রহস্যময় নীরবতা, মুখে যেন বিদ্রূপের হাসি। সে হাসিই যেন বলে দিচ্ছে কতটা সম্মান প্রাপ্য আর কতটা তিনি পান।


দেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এমন অগ্নিতাপে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনের। তবে এই শ্রমিকদের একটু থেমে স্বস্তিবোধের সময়টুকুও যেন নেই। তাই হিট অ্যালার্টকে এক পাশে সরিয়ে রেখে প্রতিদিন কর্মের তাগিদে বেরুচ্ছেন রাস্তায়। পরের দিনের আহার জোগাড়ে নামছেন কাজে। এর অন্যথা হলে যে পরের বেলা অনাহারে কাটবে পরিবারের।

শেওড়াপাড়ায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন সুফিয়া খাতুন। বাবা-মার আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় বিয়ে দিয়েছেন অল্প বয়সে। বিয়ের পর গার্মেন্টসকর্মী স্বামীর একা আয়ে সংসার না চলায় কাজে যোগ দিয়েছেন নিজেও। দুজনের আয়ে কোনোরকমে সংসার চলে।

সুফিয়া খাতুনের কাছে মে দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আজকে শ্রম দিবস শুনছি। এই জন্য আজকে কারখানা ছুটি। এই দিবস নিয়ে কিছু জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর বেশি কিছু জানি না।

গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে আপনার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন কি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পেট চালাইতে হলে কাজ করতে হবে। এছাড়া তো আর কোন উপায় নাই। কেউ তো আর বাসায় এনে খাবার দিয়ে যাবে না। তবে যে পরিশ্রম সে তুলনায় টাকা পাই না। যদি ঠিকমতো বাসা ভাড়া দিয়ে খেয়ে থাকতে না পারি, তাহলে প্রাপ্য মজুরি হলো কি করে? এর আগে আরেকটা গার্মেন্টসে কাজ করতাম হঠাৎ করে কোন বেতন না দিয়েই বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আবার এখানে ঢুকছি। এইভাবেই কোন রকম চলতেছে।

রাজধানীজুড়ে এমন প্রায় ১৮-২০ জন শ্রমিকের সাথে কথা বলেন বার্তা২৪.কমের এ প্রতিবেদক। তবে তাদের অধিকাংশই বলতে পারেননি শ্রম দিবস কী, এই দিনটি কেন পালন করা হয়। তবে কেউ কেউ শ্রম দিবসের কথা শুনলেও এর চেয়ে বেশি কিছু জানেন না বলে জানান।

মে দিবসে এই দিনেও তপ্ত রোদ মাথায় নিয়ে এই শহরের শ্রমজীবী মানুষ বের হয়েছেন কাজে। কাজ শেষে সন্ধ্যা বা রাতে সওদা নিয়ে বাসায় ফিরলে তবেই জ্বলবে চুলায় আগুন। তাই তাদের কাছে কোন দিবস নয়, বরং মাথার উপর টিনের চালা আর পেটে ভাত এই যেন প্রতিদিনের, প্রতিবেলার কামনা। তাই তো শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা যাই হোক, কখনোই থামে না তাদের ছুটে চলা।

;

বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ

বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে মৎস্য শিকারের সময় অভিযান চালিয়ে ৯ জেলেকে আটক এবং জাল-ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। মৎস্য দপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও নৌ পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

বুধবার (১ মে) সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, একটি চর ঘেরা জাল ও একটি ট্রলার জব্দ এবং ৯ জেলেকে আটক করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করার পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৯ জেলের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জব্দকৃত ট্রলার ৭০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেক। এসময় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আলী আজম উপস্থিত ছিলেন।

;

সিলেটে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট আদালতের বিচারপ্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন তিনি।

এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, দেশের বিচার বিভাগের সব ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়ন করা হবে। উচ্চ আদালতে এরই মধ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় বলেও এ সময় উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

উদ্বোধনের সময় সিলেটে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দীনসহ সিলেটের বিভিন্ন আদালতের বিভিন্ন স্থরের বিচারক, আইন কর্মকর্তা, আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

;

৬ ঘণ্টা পরিশ্রমে মেলে ৬০ টাকা

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বামীর একা রোজগার দিয়ে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয় তাই এখানে এসে কাজ করছি। আমরা এখানে সকাল ৬টায় আসি আর বাসায় যাই দুপুর ১২ টায়। এর বিনিময়ে আমাদেরকে দেওয়া হয় মাত্র ৬০ টাকা। এতো কম টাকায় সংসার চালানো কঠিন। এসব নিয়ে কেউ কথা বললেই তাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাই বাধ্য হয়েই পেটের টানে এসব করতে হচ্ছে’- আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁর নিয়ামতপুরে চুল বাছাইয়ের কাজ করা নারী শ্রমিক মীনারা বেগম।

শুধু মীনারা বেগমই নয়, তার মতো এমন শত শত নারী বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য মজুরি থেকে। আর স্বল্প বেতনে কাজ করিয়ে নিয়ে লাভবান হচ্ছেন কারখানার মালিকরা।

সরেজমিনে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে নারীদের চুল বাছাই আর পরিষ্কারের কাজ করতে দেখা  যায়। এসব শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই গৃহবধূ ও কিশোরী। মেয়েদের মাথার ঝরে পড়া চুল বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে প্রথমে চলে প্রাথমিক বাছাইয়ের কাজ। তারপর চুলে থাকা নানা রকম ময়লা একটি সুঁচের মাধ্যমে সরিয়ে সেগুলোকে রাখা হয় আলাদা জায়গায়। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে চুল বাছাইয়ের কাজ।

৬ ঘণ্টা পরিশ্রমে মেলে ৬০ টাকা

কাজ করা নারী শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, টানা ৬ ঘণ্টা কাজ করার বিনিময়ে দেওয়া হয় মাত্র ৬০ টাকা। আবার কেউ যদি সময়ের আগে বাসায় চলে যায় তাহলে সেদিনের বেতন থেকে টাকা কাটা হয়।

শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের গৃহবধূ নূরেকা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা ভোর ৬টায় এখানে আসি আর যাই দুপুর ১২টায়। প্রতি ঘণ্টায় ১০ টাকা করে ৬ ঘণ্টায় ৬০ টাকা দেওয়া হয়। এই বেতনে আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। এ নিয়ে যদি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে আমরা ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজার হোসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, নওগাঁর বিভিন্ন স্থান থেকে হকাররা চুলগুলো সংগ্রহ করে আমাদের কাছে বিক্রি করে। প্রতিকেজি চুলের মূল্য ১২ হাজার টাকা আবার প্রকারভেদে ৯ হাজার টাকাও হয়। কেনার পরে প্রতিটি গ্রামে চুল ভাগ করে দেয়া হয়। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টায় নিদিষ্ট পরিমানে চুল তাদেরকে বাছাইয়ের জন্য দেওয়া হয়। এতে তারা মজুরি পায় ৬০ টাকা।

তিনি আরো বলেন, আশেপাশের সবাই এই টাকাই নারী শ্রমিকদের বেতন দেয়। যদি সবাই বাড়িয়ে তাইলে আমরাও বাড়িয়ে দিব।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি অবশ্যই পাওয়া উচিত। আমি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতাম না। আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কী করা যায়।

;