সাজেকে সাড়ে ১১ হাজার শিশুকে দেয়া হচ্ছে হাম-রুবেলার টিকা
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
জাতীয়
পাহাড়ে হাম রোগের মহামারি ঠেকাতে জরুরি টিকাদান ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে রাঙামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সাজেক ইউনিয়নের সবগুলো গ্রামের ৬ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সাড়ে ১১ হাজার শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা প্রদান করা হবে।
সকালে এই টিকাদান কর্মসূচি সরেজমিনে দেখতে সাজেকে যান রাঙামাটির সহকারী সিভিল সার্জন ডা. নীতিশ চাকমা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসক ডা. জয়ধন চাকমা।
সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, এই হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় মঙ্গলবার প্রথমদিনে সাজেকে চারটি টিম গেছে। আরও চারটি টিমের সদস্যদেরকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পাঠানো হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার আহম্মেদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে তিনটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সাজেকের সাড়ে ১১ হাজার শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। কোনো শিশু যাতে টিকা গ্রহণ থেকে বাদ না পড়ে সে ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ নজরদারি করছি।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পেইনের আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে দ্রুত ভ্যাকসিন পৌঁছাতে হেলিক্যাপ্টারসহ সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করবে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও উপজেলা প্রশাসন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব জিতু জানিয়েছেন, সাজেকে হাম পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ৭ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়েছে। এই লক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে সম্ভব না হলেও ইউনিয়ন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক টিম থাকবে যাতে কোনো কিছু হাম-রুবেলা টিকা থেকে বঞ্চিত না হয়।
কুয়াকাটার সমুদ্র তীরে দেখা মিলল ডলফিনের মৃত বাচ্চা
উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
জাতীয়
সাগর কন্যা কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতের তীরে ফের দেখা মিলল ৪ ফুট লম্বা ইরাবতী ডলফিনের একটি মৃত বাচ্চা। ডলফিনটির মাথা ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে ডলফিনটি দেখতে পান কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সদস্য আ: জলিল। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি সৈকতে আরও একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল।
ডলফিনের বাচ্চাটিকে দেখতে পাওয়া ট্যুর গাইডের সদস্য আ. জলিল বার্তা২৪.কমকে জানান, আমি আমার বাইক নিয়ে সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বিভিন্ন স্পট ঘুড়িয়ে থাকি। সকালে জোয়ারের পরে ঝাউবন যাওয়ার পথে ডলফিনটিকে পড়ে থাকতে দেখি। ওর শরীরের উপরে চামড়া সম্পূর্ণ উঠানো। পরে ডলফিন রক্ষা কমিটিকে খবর দেই।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির তথ্যমতে, চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মত এবং এর আগে ২০২৩ সালে মৃত ১৫টি ডলফিন কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে এসেছে।
সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, বাচ্চাটির মাথার কাছে আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। রক্তক্ষরণের কারণেই ওর মৃত্যু হতে পারে। কেন প্রতিবছর এমন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে আমদের গবেষণা চলছে।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সহায়তায় ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করা হয়।
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণে ডিএসসিসি'র অনাপত্তিপত্র
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয়
রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে প্রথম অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে।
কামরাঙ্গীরচরের অধিবাসী মো. নেয়ামতুল্লাহর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে করপোরেশন থেকে এই অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২ মে) নগর ভবনের মেয়রের দপ্তরে আবেদনকারী মো. নেয়ামতুল্লাহর কাছে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই অনাপত্তিপত্র হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ভবন নির্মাণের জন্য অনাপত্তিপত্র চেয়ে হাফেজ্জী হুজুরের দৌহিত্র জনৈক মো. নেয়ামতুলাহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর আবেদন করেন, যা গত ২৮ এপ্রিল ডিএসসিসি মেয়রের দপ্তরে পৌঁছায়। পরবর্তীতে ডিএসসিসি মেয়রের নির্দেশে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্মকর্তারা আবেদনটি যাচাই-বাছাই করেন। সবশেষে, করপোরেশনের মেয়র বৃহস্পতিবার দুপুরে আবেদনকারীকে অনাপত্তিপত্র হস্তান্তর করেন।অনাপত্তিপত্র হস্তান্তরকালে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নেত্রকোণার মদনে তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকে আব্দুস সাত্তার (৭২) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার দেওয়ান বাজারে কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে মদন বাজার মুক্তিযোদ্ধা মোড়ে অটোরিকশার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আব্দুস সাত্তার উপজেলার পরশখিলা ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুস সাত্তার উপজেলার দেওয়ান বাজার সাপ্তাহিক হাটে পারিবারিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার জন্য আসেন। কেনাকাটা শেষে অটোরিকশা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে মদন বাজার মুক্তিযোদ্ধা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় আসার পর প্রচণ্ড তাপদাহে জ্ঞান হারিয়ে অটো রিকশা থেকে পড়ে যান।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুস সাত্তারের ভাতিজা স্কুল শিক্ষক মোঃ ওয়াদুদ মিয়া বলেন, আমার চাচা সকালে বাড়ি থেকে দেওয়ান বাজারে পারিবারিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে বাজারে যান। বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন।
চুরির টাকায় বান্ধবীকে ফোন উপহার অতঃপর বিপুল স্বর্ণসহ গ্রেফতার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
জাতীয়
রাজধানীর ওয়ারি থানার অভয়দাস লেন এলাকার একটি বাড়ি থেকে ৩৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও বিদেশি ডলার চুরি করেন চোর মোবারক ওরফে মগা ও তার সহযোগীরা। এরপর সেগুলো বিক্রি করেন পুরান ঢাকার তাঁতিবাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে। আর স্বর্ণ বিক্রির টাকায় মোবারক তার বান্ধবীকে কিনে দেন দামি মোবাইল, বন্ধুদের নিয়ে যান কক্সবাজারে। সেখানে মাদকের ধোঁয়ায় ওড়ান সেই টাকা।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি একে একে গ্রেফতার করা হয় চোর চক্রের চার সদস্য ও চোরাই স্বর্ণকেনা ব্যবসায়ীকে। এছাড়াও রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় চুরির ঘটনা তদন্তে নেমে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিবি বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সিঁদেল চুরির ঘটনা তদন্তের অভিযানে ৬১ ভরি স্বর্ণ এবং প্রায় ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা করা হয়। ডিএমপির ১০টি বিভাগ তাদের বিভিন্ন সময় তাদের গ্রেফতার করে।
ওয়ারি ও রমনার ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোবারক ওরফে মগা (১৯), রাকিব মিয়া (১৮), শেখ ফরিদ, মো. ডালিম (৩৬) ও সাদ্দাম হোসেন বনি (৩৪)। অপর এক অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলো- গিয়াস উদ্দিন (৩৫)।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, রাজধানীর ওয়ারি থানার অভয়দাস লেন এলাকার একটি বাড়ির বেড রুমের গ্রিল কেটে ৩৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩০০ ডলার চুরির ঘটনায় একটি মামলার তদন্তে নেমে চোর চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী মোবারক ওরফে মগাকে (১৯) কে বাগেরহাট জেলার মংলা থানার পশুর নদী এলাকা থেকে চোরাইকৃত স্বর্ণ বিক্রির ৫০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাকিব মিয়া (১৮) কে নেত্রকোনা ৪০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজনেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়।
আদালতে আসামিরা জানায়, হেস্কো ব্লেড দিয়ে বাসার বেডরুমের পিছনের গ্রীল কেটে প্রবেশ করেন। এরপর বাসার আলমারিতে থাকা স্বর্ণলংকার ও ডলার চুরি করে। চোরাই স্বর্ণ মোবারক ওরফে মগা ও রাকিব পুরান ঢাকার তাতি বাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদের কাছে নগদ পাঁচ লাখ ৬৭ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এই টাকা দিয়ে মো. মোবারক ওরফে মগা ও রাকিব তাদের ৮ বন্ধুকে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে যায়। সেখানে মাদক গ্রহণ করে। এছাড়া মোবারক তার প্রেমিকাকে একটি মোবাইল ফোন গিফট করে।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন আর বলেন, তাতিবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ ব্যাবসার আড়ালে চোরাই স্বর্ণ কেনা-বেচার করে আসছিলেন। গ্রেফতার ফরিদকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ডিবি পুলিশকে জানায়, যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা এলাকায় তার বাসায় গলিত ২০ ভরি ওজনের স্বর্ণের পাত রয়েছে। পরে সেটি উদ্ধার করা হয়। একই মামলা তদন্তে নেমে মো. ডালিম (৩৬) ও সাদ্দাম হোসেন বনি (৩৪) আরও দুইজন পেশাদার চোরকে চুরির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসহ গ্রেফতার কার হয়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলাসহ মাদক মামলা রয়েছে।
অপর দিকে ধানমন্ডি থানার ১১ নম্বর রোড এলাকায় একইভাবে বন্ধ বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে বেড রুমের জানালার গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। বাসার আলমারির ড্রয়ার ভেঙ্গে ৪১ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৩৭ লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলার তদন্তে নামে ডিবির রমনা বিভাগ। তদন্তে নেমে সিসিটিভির ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চোরদের শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার চরপলাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গিয়াস উদ্দিনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেখানো মতে গিয়াসের বাড়িতে মাটির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় ৪১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ সাত লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চোরাই কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।