বগুড়ায় কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। শহরের বিভিন্ন সড়ক ছাড়াও পাড়া মহল্লায় এবং মহাসড়কে সেনা ও পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। ফলে ঘরের বাহিরে আসা লোকজনের সংখ্যা গত কয়েক দিনের তুলনায় কমে এসেছে।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে ওষুধের দোকান ব্যতীত সকল দোকান পাট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

সকাল থেকেই সেনা ও পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে গত কয়েক দিনের তুলনায়। বগুড়ার পুলিশ কর্মকর্তা আলী আশরাফ ভুঞা বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় পায়ে হেটে মানুষকে ঘরে থাকার আহবান জানান। সেই সাথে ৫ টার মধ্যে কাঁচা বাজার ও মুদী দোকান বন্ধ করতে নির্দেশ দেন।

এছাড়াও শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথগুলোতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। শহরে প্রবেশকারীদেরকে জেরা করছেন সেনা ও পুলিশ সদস্যরা। র‍্যাব ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরে টহল দিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকায় মানুষ সরকারী ঘোষণা মানতে বাধ্য হচ্ছে।

ফুটপাত তাদের আপন ঠিকানা



মেহেদী হাছান মাহীম, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: ঠিকানা না থাকায় ফুটপাতকেই আশ্রয় করে নিয়েছেন তারা/বার্তা২৪.কম

ছবি: ঠিকানা না থাকায় ফুটপাতকেই আশ্রয় করে নিয়েছেন তারা/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ১৫ বছর ধরে রাজধানী খিলগাঁও এলাকার ফুটপাতে বসবাস করে আসছেন পঞ্চাশোর্ধ মনোয়ারা বেগম। দুর্ঘটনায় পঙ্গু স্বামী হযরত আলীর ভরণপোষণ ও নিজের জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। নিজের থাকার ঠিকানা না থাকায় ফুটপাতকেই আশ্রয় করে নিয়েছেন এই অসহায় নারী।

মনোয়ারার মতো এক টুকরো আপন ঠিকানার খোঁজে ঘুরতে ঘুরতে এই ফুটপাতে ঠাই হয়েছে মো. ফাহিমের। ছোটবেলায় বাবা-মা হারিয়ে এখন একা বসবাস করছে সে।

মনোয়ারা এবং ফাহিমের মতো প্রায় ৫৩টি পরিবার বাস করছে খিলগাঁও এলাকার আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তর সংলগ্ন এ ফুটপাতে। তবে বসবাসের স্থান পেলেও সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুযোগ সুবিধা মেলে না এসব পরিবারের সদস্যদের। জীর্ণশীর্ণ স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বসবাস তাদের। অভাব অনটন আর দারিদ্রে একপ্রকার এক ঘরে অবস্থা সেখানকার দুই শতাধিক মানুষের।

ফুটপাতে গড়ে ওঠা এই বস্তির উপার্জনক্ষম ব্যক্তিরা আয় করেন ভ্যান ও রিকশা চালিয়ে। নারীরা করেন অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ। ফলে একদিকে যেমন তিন বেলা খাবার ঠিকমতো মেলে না তাদের, অন্যদিকে কেউ অসুস্থ হলে মেলে না পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা। এতে নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সেখানকার বাসিন্দারা।

দীর্ঘদিনে ধরে এখানে বসবাস করলেও ঢাকার ভোটার না হওয়ায় সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা। শিশুরাও আছে নানা ঝুঁকিতে, পুষ্টিহীনতার পাশাপাশি শিক্ষার আলো থেকেও বঞ্চিত তারা। বাবা-মায়ের টানাপড়েনের সংসারের হাল ধরতে কম বয়সেই বিভিন্ন কর্মে যুক্ত হচ্ছে অনেকেই।

নির্দিষ্ট স্থানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে এখানকার বাসিন্দারা বলেন, "আমরা গরিব মানুষ, ফ্ল্যাট-বাসায় থাকার মতো টাকা আমাদের নেই। খুব কষ্টে দিন পার করতেছি। দিন এনে দিন খাচ্ছি। একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের এই ভাঙাচোরা ঘরে পানি ঢুকে যায়। এতে করে থাকতে অনেক অসুবিধা হয়। তাই সরকার যদি আমাদেরকে নির্দিষ্ট একটি স্থানে থাকার ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে অনেক ভালো হবে।

তারা আরও বলেন, আমরা দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে এখানে বসবাস করে আসছি। ঢাকার ভোটার না হওয়ার কারণে আমরা ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাই না। আমরা পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই সন্তানদেরকে পড়াশোনার পরিবর্তে বিভিন্ন কাজে দিয়ে দিতে হচ্ছে। সন্তানরা অসুস্থ হলে ভালো চিকিৎসাও করাতে পারছে না বলে জানান তারা।

ফুটপাতে বসবাস করা বাসিন্দাদেরকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা হয় কিনা এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুবুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাতে এরা বসবাস করে আসছে। আমরা বিভিন্নসময় এদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছি। করোনার সময়ও এখানকার বাসিন্দাদেরকে সাহায্য করেছি।

ফুটপাতে বসবাস করা বাসিন্দাদেরকে পুনর্বাসনের বিষয়ে সিটি করপোরেশনের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে এই কাউন্সিলর বলেন, সিটি করপোরেশনের ১নম্বর ওয়ার্ড গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। সেজন্য এদেরকে সিটি করপোরেশন চাইলেও পুনর্বাসন করতে পারবে না। যদি পুনর্বাসন করতে হয় তাহলে সেটা গণপূর্ত মন্ত্রণালয় করতে পারবে।

এবিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি এবং নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সিটি করপোরেশনের ২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার যে আইন রয়েছে সেখানে সিটি করপোরেশন চাইলে যেকোনো ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগ নিতে পারবে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন সরকারের অন্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করে নিতে পারবে। গণপূর্ত সরকারেরই অংশ। সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে যদি পুরো বিষয়টা নিয়ে যদি তাদের সাথে কথা বলে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে সেটি করা সম্ভব।

তিনি বলেন, আবাসন হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার। আমাদের সংবিধানে যতগুলো মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে আবাসনও একটি। আবাসনের দায়িত্ব সরকার যদিও পুরোপুরি ভাবে নেয় না। কিন্তু, যারা সুবিধাবঞ্চিত তাদের দায়িত্ব সরকারের ওপরেই থাকে। সেজন্য সরকারের উচিত যারা সুবিধাবঞ্চিত তাদের জন্য আবাসন তৈরি করা।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে ফুটপাতে যারা বসবাস করছে তারা সুবিধাবঞ্চিত। এসব সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা উচিত। ফুটপাতে বসবাস করা পরিবারগুলোর মধ্যে যে শিশুরা রয়েছে তারা আবাসনে বসবাস করতে পারলে উন্নত জাতির অংশ হবে। তাদের আবাসন করতে গেলে সরকারের যে ধরনের প্ল্যান দরকার সেটির পরিমাণ খুবই কম। অল্প কয়েকদিন আগে সরকার গ্রামীণ এলাকাগুলোতে আবাসনের প্রকল্প নিয়েছে। তবে ঢাকা শহরসহ অন্যান্য শহরের ফুটপাতে যেসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষ বাস করে তাদের জন্য এরকম আবাসনের প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।

এই নগর পরিকল্পনাবিদ বলেন, সরকারের কমফোর্টেবল প্ল্যানে প্রায় ৫০টার মতো লোকেশন চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এগুলোকে প্রকল্প আকারে নিয়ে এখন থেকে কাজ করা উচিত। সরকারের প্রয়োজনে প্রাইভেট সেক্টরদের সাথে নিয়ে আবাসনের জন্য কাজ করা উচিত। আবাসন না হলে ডেভেলপমেন্ট কখনোই হবে না।

তিনি বলেন, শিক্ষার আগে প্রথমে আবাসন আসে। এজন্য সরকারের উচিত নগরে যে সকল সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্র লোক বাস করে তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা। তাদের জন্য পার্মানেন্ট এবং অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সরকার যদি প্রায়োরিটি দেয় তাহলে করা সম্ভব।

;

‘উন্নয়ন রুখতে স্বাধীনতাবিরোধীরা শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ

পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়নের অগ্রযাত্রা’কে রুখতে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোমলমতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে বলে বিবৃতি দিয়েছে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ।

শনিবার (২৭ জুলাই) পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), পিইঞ্জ. কর্তৃক স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা বলে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে রুখতে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রীমহল যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোমলমতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পদ্মা সেতু এবং যমুনা সেতু বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সেতু ভবন, প্রতিদিন লক্ষাধিক যাত্রী বহনকারী মেট্রোরেল, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বহনকারী বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হানিফ ফ্লাইওভার, দূর্যোগ ভবন, অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি যানবাহনসহ সারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশের হাজার-হাজার কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করেছে।

বিবৃতিতে অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন দেশের এই পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবী নাগরিকবৃন্দ।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, এটর্নি জেনারেল এডভোকেট আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এস. এম মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কাজী খালেকুজ্জামান আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি এডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম. রুহুল হক, সাংবাদিক সফিকুর রহমান এমপি, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আইইবি’র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর এমপি, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি ও ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ'র সভাপতি ও শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মো.শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, আইইবি’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. শামীম জেড বসুনীয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, আইইবি’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নূরুল হুদা, আইইবি’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. কবির আহমেদ ভূঁইয়া, আইইবি’র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, ডাঃ রোকেয়া সুলতানা এমপি, ডাঃ বদিউজ্জামান ডাব্লু, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক কুদ্দুস আফ্রাদ, অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক ওমর ফারুক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারাকাত, বাংলাদেশের কলেজ-শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এ.কে.এম. আসাদুল হক, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. খাবিরুজ্জামান,পিইঞ্জ, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রহমান হাওলাদার, ঢাবির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ মনজুরুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মহাসচিব কৃষিবিদ খাইরুল আলম প্রিন্স, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)'র সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. মনজুরুল হক মঞ্জু, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আক্তার হোসেন, বিএফজেইউ এর মহাসচিব সাংবাদিক দীপ আজাদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুজ্জামান, অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, বাংলাদেশের কলেজ-শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কৃষিবিদ সাইদুর রহমান সেলিম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আনোয়ার শাহাদাত শাওন, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান মজুমদার, অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মো. সামাদ, অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক সিতেশ চন্দ্র, অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ, অধ্যাপক ড. ফাজরিন হুদা, অধ্যাপক ড. রেজওয়ান, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান লিটু, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান, অধ্যাপক আব্দুর রহিম, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট মো. রমজান আলী শিকদার, অ্যাডভোকেট ড. আবু উবায়েদ হোসেন সেতু, অ্যাডভোকেট মো. নূরুল হুদা আনসারী, অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির, ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, অ্যাডভোকেট এস এম মনির, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আবু, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিক রেজোয়ানুল হক রাজা, সাংবাদিক আইয়ুব ভূঁইয়া, সাংবাদিক মো. আশরাফ আলী, সাংবাদিক শাহেদ আলী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ, অধ্যাপক ডা. পুরবী দেবনাথ, ডা. বেলাল হোসেন সরকার, ডা. আফজানুল হক রানা, ডা. মো. জাবেদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রকৌশলী কাজী আনোয়ার হোসেন, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু তালেব (দোলন), প্রকৌশলী মোল্লা মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ খান্নুন ফরাজী, প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মেজর প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র, কৃষিবিদ এম এম মিজানুর রহমান, কৃষিবিদ মো. আরিফুর রহমান তরফদার, কৃষিবিদ মো. মাহবুব আলম ফারুক, কৃষিবিদ মো. মোফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের ডা. এম. নজরুল ইসলাম, ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, ডা. মো. তারিক মেহেদী পারভেজ, ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ, ড. মো. মাহবুবুর রহমান বাবু, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূর, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাশার, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. আবুল কালাম হাজারী, ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী, পিইঞ্জ., ইঞ্জিনিয়ার মো. রনক আহসান, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের ড. কৃষিবিদ নিতিশ চন্দ্র দেবনাথ, কৃষিবিদ মো. মাকসুদ আলম খান মুকুট, ড. কৃষিবিদ আরিফ আজাদ, কৃষিবিদ ড. মো. তাসদিকুর রহমান সনেট, কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মো. সেকেন্দার আলী, কৃষিবিদ মো. মুজিবুর রহমান মুজিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংবাদিক আবু জাফর সূর্য্য, সাংবাদিক ওম্মুল ওয়ারা সুইটি, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, সাংবাদিক সলিমউল্লাহ সেলিম, সাংবাদিক শাহনাজ পারভিন এলিচ, সাংবাদিক শাকিলা পারভিন, সাংবাদিক রিমন মাহফুজ, সাংবাদিক দুলাল খান, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অধ্যাপক হান্নানা বেগম, মো. মোস্তাফিজুর রহমান সরদার, অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান, ড. মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ এফসিএ, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির অধ্যক্ষ শেখ জুলহাস উদ্দিন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আলমাস আলী খান প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তাদির, প্রফেসর মোহাম্মদ সোবহান খন্দকার, বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান মজুমদার, অধ্যাপক সাবিহা সালেহ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, জনাব মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট শেখ হেমায়েত হোসেন, অ্যাডভোকেট মো. সাইদুর রহমান মানিক, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মামুন, অ্যাডভোকেট খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জুবায়ের, অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার দুলাল, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ডাক্তার মাহবুব ইকবাল, কৃষিবিদ ড. মো. নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মো. আতাউল মাহমুদ, অধ্যাপক ড. স্থপতি মো. মাসুম ইকবাল, ইঞ্জিনিয়ার হাবিব আহমেদ হালিম (মুরাদ), ইঞ্জিনিয়ার শেখ মাসুম কামাল, ইঞ্জিনিয়ার মো. মনিরুজ্জামান এবং ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুল হাসান প্রমুখ।

;

শ্রাবণেও পুড়ছে সিলেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,সিলেট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকলেও শ্রাবণেও খরতাপে পুড়ছে সিলেট। সকাল থেকেই কড়া রোদ আর মৃদু তাপপ্রবাহ জনজীবনে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যে মেঘের আড়ালে সূর্য ঢাকা পড়লেও তেজ কমেনি একটুও।

শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় সিলেটের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, গত কয়েকদিনের অসহ্য গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রাস্তায় বের হওয়া মানুষের। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। একান্ত জরুরী কাজ ছাড়া ঘর থেকে রাস্তায় বের হওয়া যাচ্ছে না। চোখে-মুখে যেন আগুনের তাপ লাগছে।

সরেজমিনে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমের কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল কম। যারা রাস্তায় চলাচল করছেন তারা ছাতা নিয়ে বের হয়েছেন। গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন শ্রমজীবী রিকশা চালকরা। কিছু সময় পর পর তারা ছায়ার জন্য গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন। এছাড়াও অনেকেই সড়কের পাশে বিক্রি করা ডাব ও লেবুর শরবত কিনে পান করতে দেখা যায়।

সাধারণত দেশে মার্চ-জুন মাসে গরম বেশি থাকে। তবে এবার সিলেটে ফেব্রুয়ারি থেকে তাপ ছড়াতে শুরু করে সূর্য। মে মাসে সিলেটে এক দশকের রেকর্ড ভঙ্গ করেছিল তাপমাত্রা। ২৫ মে বিকাল ৩টায় সিলেটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা চলতি বছরের- এমনকি ১০ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। এর আগে সিলেটে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রের্কড হয়েছিল।

এদিকে, সিলেটসহ দেশের ৮ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুর ১টার মধ্যে এই ৮ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের দেওয়া দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

;

সহজলভ্য ও স্বচ্ছ জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।

তহবিলগুলোর বরাদ্দ ও বন্টনে আরও স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, সেগুলো যাতে উদ্দিষ্ট জলবায়ু কার্যক্রমগুলোকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) আজারবাইজানের শামাখিতে অনুষ্ঠানরত দুই দিনের হেড অব ডেলিগেশন রিট্রিট প্রোগ্রামের প্রথম দিনে এই কথা বলেন সাবের হোসেন চৌধুরী ।

সাবের হোসেন চৌধুরী নতুন সম্মিলিত পরিমাণগত লক্ষ্য জলবায়ু অর্থায়ন প্রণয়নে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি এবং ছোট দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের এসআইডিএস) জরুরি প্রয়োজনের বিষয়টি বিবেচনা করার ওপর জোর দেন।

তিনি একটি স্পষ্ট জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন। যাতে এটি ব্যাপকভাবে অভিযোজন, প্রশমন এবং লস এন্ড ড্যামেজের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করে।

হেড অব ডেলিগেশন রিট্রিট প্রোগ্রামটি সম্মিলিত পরিমাণগত লক্ষ্য জলবায়ু অর্থায়ন বিষয়ে গভীর আলোচনার সাথে শুরু হয়, যা ২০২৫ সালের পরে উন্নত দেশগুলোর দ্বারা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বর্তমান ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্যকে প্রতিস্থাপন করতে প্রস্তুত।

এই রিট্রিটের আলোচনা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ভবিষ্যতকে কাঠামোবদ্ধ করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুর্বল দেশগুলোর জন্য আরও ন্যায়সঙ্গত এবং কার্যকর সমর্থন প্রদান করবে।

;