কিসের সামাজিক দূরত্ব! কিসের কী! চিরচেনা ছন্দেই ফিরেছে সাভার!



জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই কর্মস্থলে ফিরছেন অনেকে, ছবি: বার্তা২৪.কম

গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই কর্মস্থলে ফিরছেন অনেকে, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সকাল না হতেই আফরোজা বেগম খাবারের বাটি নিয়ে বেরিয়েছিলেন কর্মস্থলের উদ্দেশে। টেলিভিশনে দেখেছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা। ছুটির সময়টায় বাসাতেও সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন বারবার হাত ধুয়ে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে। যথাসম্ভব সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখতে চেষ্টা করেছেন প্রতিবেশীদের সঙ্গে।

তবে রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হতেই খটকা লাগে আফরোজার। গা বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। গিজগিজে মানুষের ভিড়ে গায়ে গায়ে ধাক্কা লেগেছে অনেকের সাথে। বাসেও গাদাগাদি করে পুরনো অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যেতে হয়েছে কর্মস্থলে।

গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই কর্মস্থলে ফিরছেন অনেকে, ছবি: বার্তা২৪.কম

কেবল আফরোজা বেগম একা নন, তার মতো অনেককেই এ দৃশ্য দেখতে হয়েছে সাভারে। রোববার সকালে শহরের চেহারাটাই ছিল চিরচেনা। মনে হয়েছে কার্যত অঘোষিত লকডাউন ছেড়ে মুক্ত হয়েছে সাভার। পুরনো ছন্দে চলছিল যানবাহন। সড়কে গিজগিজে ভিড় ছিল তৈরি পোশাক শ্রমিকদের।

যে কারণে নোভেল করানোভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্যেই সাভার ও আশুলিয়ায় ভেঙে পড়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থাপনা।

রোববার পূর্ব ঘোষণা দিয়ে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা তাদের কারখানা খুলে দেয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত অধিকাংশ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত দিলেও সাভারে কীভাবে পোশাক কারখানা চালু হলো, সে ব্যাপারেও কোনো হিসেব মেলাতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।

কারখানায় ঢুকছেন শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

এভাবে হাজার হাজার শ্রমিক একযোগে ঘর থেকে বেরিয়ে আসায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডক্টর আনোয়ারুল কাদির নাজিম নামের একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

তার মতে এমন পরিস্থিতি “বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর” মতো এতদিন কোনো মতে বজায় রাখা প্রচেষ্টাকে বিনষ্ট করে দিয়েছে।

যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কার নির্দেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো আবার খুলে দেয়া হলো সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি শিল্প মালিকরা।

সকাল থেকেই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে হাজার হাজার মানুষের বিচরণ দেখা যায়।

এদের অধিকাংশ ছিলেন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক।

কারখানায় ঢুকছেন শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

হাজার হাজার শ্রমিকের পদচারণার কারণে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে দেখা যায় সাভার ও আশুলিয়ার নগর জীবনে।

ব্যস্ততম ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দেখা গেছে অসংখ্য যানবাহন।

এসব যানবাহনে গাদাগাদি করে শ্রমিকরা কারখানা অভিমুখে রওনা হওয়ায় জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ঘরে থাকা মানুষদের মাঝে। কেউবা গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটেই কর্মস্থলের পথ ধরেছেন। সেখানেও দেখা গেছে গিজগিজে মানুষের ভিড়।

করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে বিভিন্ন পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়ায় শ্রমিকদের বাড়ি থেকে বের করার ফলে রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে
এবং মানুষকে ঘরে থাকার সরকারি আহ্বান কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

যে কারণে সকাল থেকেই সাভার এবং আশুলিয়ায় আইন অমান্য করার ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।

সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ৪ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হলেও অধিকাংশ শিল্প কারখানা খুলে দেয়ায় অঘোষিত লকডাউন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

যোগাযোগ করা হলে শিল্প-পুলিশের একজন পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শিল্প মালিকরা কারখানা খোলা রেখেছেন। হাজার হাজার শ্রমিক কারখানার উদ্দেশে পথে নেমেছেন। এখানে আমাদের করার কিছুই নেই।

এদিকে সমগ্র বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে নাগরিকদের অনেককে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থাপনা আরও কঠোর করতে সাভারে সকাল ৭টা থেকে ১০টার পর নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

যে যেভাবে পারছেন কর্মস্থলে ফিরছেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

অত সকালে কি দোকান খোলে? পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বিক্রেতারা বাজার নিয়ে এসে তা সাজাতে সাজাতে বেজে যায় ১০টা।

এ সময়সীমা ঘোষণায় নাগরিক বিড়ম্বনা যেখানে চরমে উঠেছে সেখানে তৈরি পোশাক কারখানার হাজার হাজার শ্রমিকের ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়াকে এক রকম প্রহসন বলেই মনে করছেন সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলা সাধারণ নাগরিকরা।

গাড়ির অপেক্ষায় অনেকে, ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকারি সব আইন কি তাহলে আমাদের সাধারণ নাগরিকদের জন্য- এমন প্রশ্ন তুলে ফেসবুকে জামাল উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, কোন সাহসে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেয়া হলো? এভাবে জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়ার দায় কে নেবে?

জানি এর কোনো উত্তর নেই।

   

উপজেলা ভোট: নারী ভোটারদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারী ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে তার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ দলকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসি নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

ইসির নির্দেশনায় জানানো হয়, সকল প্রকার ভোটারদের বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। এই উদ্দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে গৃহীত কার্যকলাপ সম্পর্কে যেন সকল শ্রেণির ভোটার পূর্ব হতে নিশ্চিত হতে পারেন তা উপযুক্ত প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করতে হবে।

আরও জানায়, ভোটদানের জন্য ভোটারগণ যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বচ্ছন্দে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারেন সে উদ্দেশে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ দল নিবিড় টহলদানের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনসহ চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রসমূহে বেশি সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এবং ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

সারাদেশের মোট ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চারটি ধাপে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অবশিষ্ট ১৯টি উপজেলা পরিষদের মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হবে।

প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৬ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

জয়পুরহাটে ২১ বছর পর হত্যা মামলার ১৯ আসামির যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান হত্যা মামলার প্রায় ২১ বছর পর ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে জেলা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় ১৯ আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
বিস্তারিত আসছে...

;

তীব্র তাপদাহে কর্মব্যস্ত দিনেও ফাঁকা ফেনী শহর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র খরতাপে পুড়ছে সারা দেশ, জারি রয়েছে হিট অ্যালার্ট। রোদের প্রখরতা এতই প্রখর যে বাইরে গরমের মধ্যে টেকা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। গরমে হাসফাঁস অবস্থা সকল বয়সী মানুষের। গরম থেকে রক্ষা পেতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে স্কুল কলেজ। সপ্তাহের ২য় কর্মব্যস্ততার দিনেও শহরে নেই তেমন কোন কোলাহল। ফেনী শহরের বিভিন্ন সড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশ কম লোকসমাগম দেখা গেছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ফেনী শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কে মানুষের আনাগোনা নেই। চায়ের দোকানে ভিড় নেই, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও কম। পথচারীরাও তেমন প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় যাচ্ছেন না। অন্যদিকে স্কুল কলেজ খুললেও অন্যান্য দিনের মতো শ্রেণিকক্ষে তেমন একটা উপস্থিতি ছিলনা ।

শহরের নাজির রোডের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, এই রোদে বেশিক্ষণ বাইরে থাকা যায় না। একটা কাজ ছিল তাই বের হয়েছি, শেষ করেই বাসায় চলে যাব।
আব্দুর রহিম নামে একজন বলেন, তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। এ রোদের মধ্যে টিকে থাকা মুশকিল। শহরের মানুষের চলাচল কম। দরকার ছাড়া কেউ তেমন বের হয়নি।

বাইরে লোকজন কম বের হওয়ায় বেচাবিক্রি কমেছে এলাকাভিত্তিক দোকানগুলোতে। ট্রাংক রোডের চা বিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, এই গরমে কেউ চা খেতে আসে না। দু-একজন আসে নাস্তা করে। যারা আসে বেশিরভাগই ঠান্ডা পানি বা কোক খায়।

মুদি দোকানিরা বলছেন, ভরদুপুরে ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। মূলত সন্ধ্যার পর ক্রেতাদের সমাগম বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

বড় বাজারের রমনী সাহা স্টোরের সত্ত্বাধিকারী হিরা লাল বলেন, প্রচণ্ড রোদে মানুষজন বা কাস্টমাররা খুব একটা বের হয় না। আগে এ সময়ে যে বিক্রিটা হতো, সেটি কমে গেছে। তবে, সন্ধ্যার পর বেচাবিক্রি কিছুটা বাড়ে।

গরমের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে পরিবহনেও। সড়কে অন্যান্য সময়ের তুলনায় দিনের বেলা গাড়ির পরিমাণও কম দেখা যায়। গাড়িতে সাধারণত যাত্রীর আধিক্য দেখা যায়। তবে দুপুরের দিকে বেশিরভাগ গাড়ি প্রায় ফাঁকা দেখা গেছে। শহরের রিকশার পরিমাণ ও কম ছিল।

যাত্রীরা বলছেন, গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই বিকল্প উপায়ে বা রোদ চড়া হওয়ার আগেই গন্তব্যে পৌঁছান। দুপুরের সময় প্র‍য়োজন ব্যতীত কেউ বের হচ্ছেন না।

শহরের টাউন সার্ভিসের চালক শামসুল বলেন, গরমে অনেক যাত্রী বাসে উঠতে চায়না। গরমের কারণেই বাসে যাত্রীর পরিমাণ কমে গেছে। ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই বাসে না চড়ে সিএনজি বা মোটরসাইকেলে চড়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। ফলে যাত্রীর সংখ্যা কম। এতে আমাদের আয় রোজগারেও প্রভাব পড়েছে।

শহরের রিকশা চালক মতিন মিয়া বলেন, গরমে বের হওয়া অনেক কষ্টকর। তাই অনেক চালক রাতে বের হয়। তবে আমাদের পেটের দায়ে বের হতে হয়। নাইলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তবে এ গরমে সহ্য হয়না।

গরমে কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ভালো উপস্থিতি দেখা গেলেও বেশ কয়েকটি স্কুলের অধিকাংশ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে।

নাদিরা আঞ্জুম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, তীব্র গরমে অবস্থা নাজেহাল। প্রাইভেট পড়ে স্কুলের কয়েকটি ক্লাস করে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি। এ গরমে ক্লাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নাথ বলেন, স্কুল অনেকদিন পর খুলেছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি মোটামুটি ভালো ছিল। শিক্ষার্থীদের বেশি করে পানি পান করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে যাতে করে গরমে তাদের কোন অসুবিধা না হয়।

এদিকে চলমান দাবদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান আবহাওয়া অফিস। ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চমান পর্যবেক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, ফেনীতে ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৫০ শতাংশেত মধ্যে । আরও কয়েকদিন তাপপ্রবাহ স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

;

থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশে ফিরেছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

এর আগে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উভয় সফরের অংশ হিসেবে ব্যাংকক যান শেখ হাসিনা। 

গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে তিনি ব্যাংকক পৌঁছান। তখন তাকে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাল গালিচায় উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনি ও গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা এই সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি দুই দেশের জন্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতিকে আরও নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা যোগাবে।

;