সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ও দুপুরে কোম্পানীগঞ্জে পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুর গোটাটিকর এলাকায় মোটরসাইকেলর ধাক্কায় মধু বাবু সিংহ (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। তিনি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ছয়শ্রী গ্রামের মৃত হাংকু সিংহের ছেলে। দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে শহীদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরতলীর গোটাটিকর এলাকা থেকে ত্রাণ আনার জন্য বাইসাইকেলে যাচ্ছিলেন মধু বাবু সিংহ। এ সময় একটি বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

এর আগে দুপুর ২টার দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের পিয়াইনগুল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় কামরুল ইসলাম (২০) নামে সিএনজি চালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হন। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিজয় পাড়ুয়া গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে সিলেটগামী একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে পাথরবাহী একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই কামরুল ইসলাম নামের অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই জন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

   

রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে বাঘাইছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের দুই টিলা এলাকায় পাহাড় ধসে সারাদেশের সাথে বাঘাইছড়ির যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) সকালে পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেছে।

৩ মে রাতে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের দুই টিলা এলাকায় পাহাড়ের বড় একটি অংশ সড়কের উপর ধসে পরে। এই ঘটনায় কোন ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও সকাল থেকে সকল ধরনের যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

সড়কের দুই পাশে আটকে পড়েছে বহু যানবাহন। পাহাড় ধসের সংবাদ পাওয়ার পরপরই ভোর থেকে মাটি সড়কের মাটি সরানোর কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সিক্স বেঙ্গল বাঘাইহাট জোন। বাঘাইহাট জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল খায়রুল আমিন পিএসসি, নিজেই মাটি সরানোর কাজ তদারকি করছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার পাহাড় ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়ার পরপরই সেনাবাহিনী ও সড়ক যোগাযোগ বিভাগের লোকজনকে মাটি সরানোর অনুরোধ করেছি। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে সড়ক ও জনপদের লোকজনও রওনা হয়েছে। তারা পৌছালে আমরা আশাবাদী ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে যানচলাচল স্বাভাবিক হবে।

এদিকে তীব্র তাপদাহের পর গতকাল দুপুরে বাঘাইছড়িতে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বজ্রপাতে এখন পর্যন্ত দুই নারী নিহত ও সাতজন পুরুষ আহত হয়েছে, মারা গেছে ৩ টি গবাদিপশু। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারকে ১০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

;

গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে একটি মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্তারিত আসছে...

;

কমেছে ব্রয়লারের দাম, শাক সবজিতে অস্বস্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমে অস্বস্তিতে থাকা নগরবাসীকে বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেও বাজারে এসে আবারও অস্বস্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। রোদ হোক বা বৃষ্টি ব্যবসায়ীদের সারাবছর অজুহাত লেগেই থাকে। সরবরাহের ঘাটতি না থাকলেও গরমের অজুহাতে দাম বেড়েছে প্রায় সব নিত্য পণ্যের বাজারে। তবে সুখের সংবাদ এই যে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে যে মুরগি বিক্রি হচ্ছিলো ২২০/২৩০ টাকা কেজি তা আজ বিক্রি হচ্ছে ১৯০/২০০ টাকা কেজি।

শুক্রবার (৩ মে ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। 


বাজার ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতার আনাগোনা কম থাকলেও গরুর মাংসের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০/৮০০ টাকায় বিক্রি করছে দোকানিরা। আর ছাগল বা ভেড়ার মাংস ৯৫০-১০০০ টাকা কেজি। এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি দরে। বেলজিয়াম জাতের হাস ৫০০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি কক ৩৭০ টাকা কেজি তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে ১৯০/ ২০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত রাতের সামান্য বৃষ্টিতে সরবরাহ কম হবার অজুহাত দেখিয়ে গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে শাক সবজির দাম। 

কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সুমন জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গরমের কারণে সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। এছাড়া গত কাল দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ায় রাতে পাইকারি সবজি ব্যাপারিরাও মাল নিয়ে তেমন আসতে পারেন নি। তাই চাহিদার তুলনায় কম সবজি থাকায় একটু দাম বেশি। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহ পরে মালের যোগান বৃদ্ধি পেলে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা তার। 

এদিকে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া কেটে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৬০ টাকা। এছাড়া লাউ প্রতি পিছ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, দেশি পটল ১২০ টাকা আর হাইব্রিড পটল ৬০ টাকা, গোল বেগুন ১০০ টাকা আর লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, লেবুর হালি ৪০ টাকা তবে বরাবরের মতো মুলার দাম ছিলো একটু কম ৪০ টাকা কেজি। 

এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় খুব একটা বাড়েনি মাছের দাম। বাজারে ঘুরে দেখা গেছে ছোট আইড় মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৭০০-৮০০ টাকা কেজি, এছাড়া বড় বাইম ১২০০-১৪০০ টাকা কেজি।


তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত এবং চাহিদার শীর্ষ থাকা মাছের দাম ছিলো অপরিবর্তিত। বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ আকারভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৫৫০ টাকা, একটু ছোট জাতের রুই মাছ ৩০০ টাকা আর বড় সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৫০ টাকা কেজি, সিলভার কার্প ২৪০ এবং মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি।

মগবাজারের বাসিন্দা হোসেন আলী সাপ্তাহিক বাজার করতে এসে বার্তা ২৪ কে বলেন, মাছের দাম আগের মতোই আছে মনে হচ্ছে। তবে শাক সবজির দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাসায় বউ প্রত্যেক তরকারিতে আলু দেয়। আমরা আলু খেতে পছন্দ করি সেই আলু এখন ৫০/৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। একটু আলু ভর্তা খামু তারও কোন উপায় নেই।

;

ময়মনসিংহে পুকুরের ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীগলদি গ্রামের মো. কামাল মিয়ার শিশু দুই ছেলে ওমর ফারুক (১০) ও আবু বক্কর (৭)।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৫টার দিকে নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শিমুল তলি মোড় নামক স্থানের একটি পুকুরে এই ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মো. কামাল সদর উপজেলার পরানগঞ্জ শ্রীগলদি গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু মো. কামাল মিয়া গত ১০/১২ বছর যাবত স্বপরিবারে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে গোদারাঘাট এলাকার বিল্লাল ডাক্তারের বাড়িতে বাসায় বসবাস করে আসছেন। কামাল মিয়া পেশায় ভ্যান চালক, তার স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করেন।

ঘটনার দিন সকালে কামাল ও তার স্ত্রী সন্তানদের বাসায় রেখে কাজ করতে চলে যায়। দুপুরের দিকে দুই শিশু খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে যায়। কিন্তু কখন ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে যায়, বিষয়টি বাড়ির অন্য কেউ টের পায়নি। এদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেও বাড়িতে না ফেরায় প্রতিবেশিরা তাদের দেখতে না পেরে খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায় শিমুলতলি মোড়ের একটি পুকুরে ছোট ছেলে আবু বকরকে ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আবু বকরকে উদ্ধারের আধাঘণ্টা পর একই পুকুর থেকে ওমর ফারুককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। এদিকে, আবু বকরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;