ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মহীন মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী চলে যাবে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মহীন মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী চলে যাবে

ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মহীন মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী চলে যাবে

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। গত কয়েকদিন ধরে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ডিএসসিসির কাউন্সিলরদের মাধ্যমে হতদরিদ্র, দিনমজুর, কর্মহীন রিকশা ও ভ্যান চালক এবং অসহায় মানুষদের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে।

এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নগর ভবনে করপোরেশনের ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের হাতে হতদরিদ্র এসব দিনমজুরদের মধ্যে বিতরণের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী তুলে দেন।

প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য ৫০০টি করে প্যাকেট হিসেবে ১০টি ওয়ার্ডের জন্য ৫০০০ প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় । ওয়ার্ড সমূহ হল- ৮, ৯, ১০, ১২, ১৩, ২২, ২৩, ২৪, ২৫ এবং ২৬। কাউন্সিলরগণ তালিকা অনুযায়ী এসব খাদ্যসামগ্রী শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) থেকেই বিতরণ করা শুরু করবেন।

বিতরণকালে মেয়র বলেন, পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের হাতে এ খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হবে। এর আগে বংশাল চৌরাস্তা এলাকায় প্রায় এক হাজার রিকশা ও ভ্যানচালকদের মাঝেও মেয়র সাঈদ খোকন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী তুলে দেন। তিনি নাগরিকদের ঘরে থাকা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন আপনাদের নির্বাচিত মেয়র আপনাদের পাশে আছে।

এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।

   

ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে উজ্জল মিয়া (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার( ২মে) বিকালে কেল্লাবাড়ি বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক নয়ানখাল দোলাপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,নিহত যুবক তার ছোট ভাইয়ের বিয়ের বাজার করার উদ্দেশ্য তারাগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। সেসময় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক্টরের সামনে ছিটকে পড়ে গিয়ে ট্রাক্টরের চাকা তার উপর দিয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে এবং আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

;

নদীর বালু থেকে বাদামের সোনা, পদ্মার চরে কৃষি বিপ্লব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নদীর বালু থেকে বাদামের সোনা, পদ্মার চরে কৃষি বিপ্লব

নদীর বালু থেকে বাদামের সোনা, পদ্মার চরে কৃষি বিপ্লব

  • Font increase
  • Font Decrease

পদ্মা নদীর অসীম বালুচর যেন নতুন কৃষি বিপ্লবের আখড়া। এখানে প্রকৃতির কোলে উৎপন্ন হচ্ছে বাদামের সোনা, যা চাষিদের জীবনে নিয়ে আসছে সমৃদ্ধির নতুন সূর্যোদয়। এই চরের মাটি একসময় শুধুমাত্র বালুকাবেলায় পরিণত হতো। আর আজ বাদাম চাষের উর্বর ক্ষেত্র। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরের এই চাষিদের হাত ধরে উঠে আসছে সেই ফসল, যা অর্থনীতিকে দিচ্ছে নতুন মাত্রা।

বাদাম চাষিরা এখন পদ্মার বালুচরকে বলছেন তাদের 'স্বপ্নের মাঠ'। প্রতিটি বাদামের গাছ যেন তাদের আশার অংকুর। প্রাকৃতিক বালু যেখানে অন্যান্য ফসল চাষে অনুপযুক্ত, সেখানে বাদাম চাষ করে কৃষকরা প্রমাণ করেছে, উপযুক্ত পদ্ধতি ও পরিকল্পনায় এই মাটি হতে পারে অত্যন্ত লাভজনক।

চাষের নতুন এই পদ্ধতি নিয়ে এসেছে কৃষি বিপ্লবের হাওয়া। চাষিরা এখন আর মৌসুমি বন্যার ভয়ে বিপর্যস্ত নন, বরং তারা জানেন কিভাবে প্রকৃতির সাথে মিতালি গড়ে তুলতে হয়। এই চাষ শুধু তাদের জীবনমান উন্নত করেছে এমন নয়, বরং এসেছে এক আত্মবিশ্বাস, যা তাদের করেছে আরো সংগ্রামী। পদ্মার চরে উঠছে বাদামের ফসল, আর চাষিদের মুখে ফুটছে প্রশান্তির হাসি। এই বাদাম চাষ আজ প্রমাণ করেছে, কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনায় পদ্মার বালুচর পরিণত হতে পারে সোনালী ফসলের খনি।

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয় ও দুটি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের শুধু বালু চরে বাদাম চাষ হচ্ছে। এ বছর ২৬০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এর চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ২.১৭ মে. টন। উপজেলার পদ্মার চরের বালুতে ব্যাপকভাবে বাদাম চাষ হয়েছে। পদ্মার চর এখন আর বালুকাময় নয়, পরিণত হয়েছে শস্যভূমিতে। আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন রকমের দানাজাতীয় শস্য।

সরেজমিনে পদ্মার চরের গোকুলপুর, পলাশি ফতেপুর, করারি নওশারা, কালিদাশখালি, চকরাজাপুর, দাদপুর ও টিকটিকিপাড়া এলাকায় অসংখ্য কৃষক বাদামের চাষ করেছেন। অনেকেই জমি বর্গা নিয়ে বাদাম চাষ করেছেন । ফসল ঘরে ওঠা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা বহুগুনে ছাড়িয়ে যাবে।

পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর চরের বাদাম চাষিরা জানান, বিগত যে কোন বছরের তুলনায় এবার পদ্মার চরে বাদাম চাষ বেশি হয়েছে। গত বছর বাজারে বাদামের দাম ভাল পাওয়ায় এবার অধিকাংশ কৃষক বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন সদস্য ফজলুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। উপযুক্ত পরিচর্যা করায় বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। এতে পুরোদমে সহযোগিতা পেয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগের। অন্যান্য বছরের চেয়ে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান জানান, বাদাম পরিচর্যায় খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। গত বছর বাদামের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় কৃষকরা এবার আগাম বাদাম চাষ করেছেন। একই সাথে ফলন ভালো হওয়ায় চিনা জাতের বাদামের পাশাপাশি অনেকে ত্রি-দানা জাতের বাদামের আবাদও করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষে বাদামের বীজ বপন, পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়।

;

কুয়াকাটার সমুদ্র তীরে দেখা মিলল ডলফিনের মৃত বাচ্চা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগর কন্যা কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতের তীরে ফের দেখা মিলল ৪ ফুট লম্বা ইরাবতী ডলফিনের একটি মৃত বাচ্চা। ডলফিনটির মাথা ও পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে ডলফিনটি দেখতে পান কুয়াকাটা ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সদস্য আ: জলিল। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি সৈকতে আরও একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছিল।

ডলফিনের বাচ্চাটিকে দেখতে পাওয়া ট্যুর গাইডের সদস্য আ. জলিল বার্তা২৪.কমকে জানান, আমি আমার বাইক নিয়ে সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বিভিন্ন স্পট ঘুড়িয়ে থাকি। সকালে জোয়ারের পরে ঝাউবন যাওয়ার পথে ডলফিনটিকে পড়ে থাকতে দেখি। ওর শরীরের উপরে চামড়া সম্পূর্ণ উঠানো। পরে ডলফিন রক্ষা কমিটিকে খবর দেই।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির তথ্যমতে, চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মত এবং এর আগে ২০২৩ সালে মৃত ১৫টি ডলফিন কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে এসেছে।

সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, বাচ্চাটির মাথার কাছে আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। রক্তক্ষরণের কারণেই ওর মৃত্যু হতে পারে। কেন প্রতিবছর এমন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে আমদের গবেষণা চলছে।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সহায়তায় ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করা হয়।

;

কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণে ডিএসসিসি'র অনাপত্তিপত্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে প্রথম অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচরের অধিবাসী মো. নেয়ামতুল্লাহর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে করপোরেশন থেকে এই অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নগর ভবনের মেয়রের দপ্তরে আবেদনকারী মো. নেয়ামতুল্লাহর কাছে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই অনাপত্তিপত্র হস্তান্তর করেন।

উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ভবন নির্মাণের জন্য অনাপত্তিপত্র চেয়ে হাফেজ্জী হুজুরের দৌহিত্র জনৈক মো. নেয়ামতুলাহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর আবেদন করেন, যা গত ২৮ এপ্রিল ডিএসসিসি মেয়রের দপ্তরে পৌঁছায়। পরবর্তীতে ডিএসসিসি মেয়রের নির্দেশে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্মকর্তারা আবেদনটি যাচাই-বাছাই করেন। সবশেষে, করপোরেশনের মেয়র বৃহস্পতিবার দুপুরে আবেদনকারীকে অনাপত্তিপত্র হস্তান্তর করেন।অনাপত্তিপত্র হস্তান্তরকালে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;