বিদেশ ফেরতদের সঙ্গরোধ শেষ ১৩ এপ্রিল



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আশকোনা হজ ক্যাম্পে সঙ্গরোধে রাখা হয় অনেক প্রবাসীকে,ছবি: সংগৃহীত

আশকোনা হজ ক্যাম্পে সঙ্গরোধে রাখা হয় অনেক প্রবাসীকে,ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম নোভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে ঘোষণা দেয় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন ইতালি ফেরত ও আরকেজন তাদের সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্য। এরপর থেকে নিয়মিত বিশ্বের বিভিন্ন করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে প্রবাসীরা দেশে ফেরেন। যাদের সংস্পর্শে এসে দেশে একে এক বাড়তে থাকে ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা।

আইইডিসিআর’র মতে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে ৫৪ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশ বিদেশ ফেরত। আর বাকিরা তাদের সংস্পর্শে আসা লোকজন। ফলে বিদেশ ফেরত শতাধিক প্রবাসীকে প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে (কোয়ারেন্টাইন) নিতে বাধ্য হয় আইইডিসিআর। যাদের মধ্যে অধিকাংশ সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরেছেন।

এছাড়া ১৪ হাজারেরও বেশি বিদেশ ফেরতদের বাড়িতেই সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) থাকার নির্দেশ দেয় সংস্থাটি।

আইইডিসিআর বলছে, আক্রান্ত দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের মাধ্যমে দেশে করোনা ছড়িয়েছে।
তবে এখনো দেশে সামাজিকভাবে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায়নি। তাই বিদেশ ফেরতদের সঙ্গরোধ নিশ্চিত করতে পারলে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যাবে করোনার ওপর।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে দেশের। ফলে করোনায় আক্রান্ত দেশ থেকে প্রবাসীদের আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আর এতে করে নতুন করে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের সংখ্যা কমে গেছে। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে প্রাতিষ্ঠানিক ও বাড়িতে সঙ্গরোধে থাকা প্রবাসীদের সংখ্যা। কারণ এরই মধ্যে অনেকের সঙ্গরোধ শেষ হয়েছে, বাকিদের শেষ হওয়ার পথে।

আইইডিসিআর'র পরিসংখ্যান বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত ৫৪ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সঙ্গরোধে আছেন ৩৮ জন প্রবাসী ও আইসোলেশনে আছেন ৭৫ জন।

আইইডিসিআর'র সূত্রে জানা যায়, সদ্য বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের ১৪ দিন বাড়িতে বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সঙ্গরোধে থাকা বাধ্যতামূলক। এ পর্যন্ত যারা দেশে ফিরেছেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ও বাড়িতে সঙ্গরোধ সম্পূর্ণ হচ্ছে আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে। নতুন করে প্রবাসীরা না এলে ও দেশে সামাজিক সংক্রমণ না হলে আর কাউকে প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে নাও নেওয়া হতে পারে।

সর্বশেষ প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে থাকা ব্যক্তিদের সংখ্যার বিষয়ে আইইডিসিআর ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার সিটি থেকে সর্বশেষ ৬০ জন প্রবাসীর একটি দল দেশে এসেছেন। যাদের মধ্যে ১৩ জনকে আশকোনা হজ ক্যাম্পে প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে রাখা হয়েছে। আর বিভিন্ন সময় বিদেশ ফেরত ২৫ জনকে জনকে গাজীপুর ও পূবাইলে প্রাতিষ্ঠানিক ও বাড়িতে সঙ্গরোধে রাখা হয়েছে।

সঙ্গরোধ শেষ হওয়ার বিষয়ে আইইডিসিআর বলছে, গত ৩০ মার্চ ম্যানচেস্টার থেকে আসা ১৩ জনের প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৩ এপ্রিল। আর প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে থাকা বাকি ২৫ জন ও বাড়িতে সঙ্গরোধে থাকাদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১০-১৩ এপ্রিলের মধ্যে। সর্বশেষ যে ৩৪ জন সঙ্গরোধে রয়েছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই শরীরে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ ক্ষীণ। তবে তাদের মধ্যে যদি নতুন করে কেউ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন, তাহলে বাকিদের সঙ্গরোধে থাকার মেয়াদ বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধে রয়েছেন ৩৮ জন। তাদের মধ্যে সর্বশেষ ১৪ জন গত ৩১ মার্চ ম্যানচেস্টার থেকে এসেছেন। সর্বশেষ ১৩ জনসহ মোট ৩৮ জনের প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গরোধের মেয়াদ শেষ হবে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে। এছাড়া যেসব প্রবাসী বাড়িতে সঙ্গরোধে আছেন, তাদের সঙ্গরোধের মেয়াদও শেষ হবে একই সময়ের মধ্যে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখনো ভাইরাসটির সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়নি, আমাদের সামনের সময়গুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া সরকারের বর্ণিত স্বাস্থ্য নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে। তাহলে করোনাকে রোধ করা সম্ভব হবে।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু আইইডিসিআর বার বার বলেছে, দেশে এখনো করোনার সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়নি, তাই আগামী ১৩ এপ্রিলের পর আক্রান্তদের সংখ্যা কমতে পারে।

অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস রোধে দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। যত দিন এগোচ্ছে সামাজিক দূরত্বের বজায় রাখা নিশ্চিত করতে কঠোর হচ্ছে সরকার।

এরই মধ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ দেশের বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ লক্ষ্যে এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত করোনার কোনো প্রতিষেধক বা ওষুধ তৈরি হয়নি। যেহেতু ভাইরাসটি সংক্রামক তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে এ মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার কার্যকর উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য সরকার আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে দেশে।

এ বিষয়ে আইএসপিআর’র পক্ষ থেকে বুধবার (১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) থেকে সেনাবাহিনী দেশের সব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বাড়িতে সঙ্গরোধ কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে। সরকার প্রদত্ত নির্দেশনাবলী অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

   

মালয়েশিয়ায় প্রতারিত হওয়া শ্রমিকরা পাচ্ছেন আড়াই কোটি টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ ইস্ট এশিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে প্রতারিত হওয়া ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে তাদের পাওনা বেতন বাবদ আড়াই কোটি টাকার বেশি প্রদান করা হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে জোহরবারুতে ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের খোঁজ মেলে। তাদেরকে প্রায় ৪ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করানো হচ্ছিল এবং প্রতিশ্রুত কাজও দেয়া হয়নি। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জোহর শ্রম অধিদফতর এই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার জন্য ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।

শ্রম বিভাগ জানিয়েছে মোট অপরিশোধিত বেতনের পরিমাণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৭ বাথ। যা বাংলাদেশি অর্থে আড়াই কোটি টাকারও বেশি।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ এর ধারা ৬৯(৪) এর অধীনে জোহর শ্রম অধিদফতর এখন নিয়োগকর্তাকে দায়রা আদালতে এনে শ্রম আদালতের জারি করা আদেশ কার্যকর করবে।

মালিকপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হলে, কোম্পানি প্রতিটি অপরাধের জন্য ৫০ হাজার রিঙ্গিত বা ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে এবং শ্রমিকদের পাওনা মজুরি নিষ্পত্তি করতে হবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে চলা মোট ১০টি তদন্তের মধ্যে ৪টিতে মামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাকি ৬টি অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও কোম্পানিটিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং নিয়োগকর্তাকে নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, একটি বিশেষ ‘নিয়োগকর্তা পরিবর্তন প্রক্রিয়া’ (পিটিএম) এর মাধ্যমে মোট ৬৯২ জন ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি কর্মীকে এরই মধ্যে নতুন কর্মস্থলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কিছুদিন বৃষ্টিপাতের পর গত ২-৩ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সিলেট বিভাগে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়, সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যায় দেয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩, নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ২, বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় রংপুরেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। 

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। 

;

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে চট্টগ্রামের ওমরগণি এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) নগরীর জিইসি মোড় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে এম.ই.এস কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে ফিরে আসে তখন থেকে বাঙালি স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করে বাঙালির সেই স্বপ্নকে নষ্ট করতে চেয়েছিল খুনিরা। কিন্তু শত বাধা,ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।

'আজকে শেখ হাসিনা মানেই উন্নত বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই তারুণ্যের চোখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন। ১৯৮১ সালে আজকের দিনে বিদেশের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বদেশে এসে খুনি, স্বৈরাচার জিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঘোষণা করেন, আমার হারানোর কিছুই নাই, এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য আমি লড়াই করবো।'

তারা আরও বলেন, আজ বাংলার মানুষ ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র জয় থেকে মহাকাশ জয় শুধু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাহসিকতার জন্য সম্ভব হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমরা এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ ধন্য।

শোভাযাত্রায় কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইমাম উদ্দীন নয়ন, রাকিব হায়দার, নুরুন নবী সাহেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাজ্জাদ হোসেন, রবিউল ইসলাম খুকু, আব্দুর রাজ্জাক, সাজ্জাদ আলম, নুর মোহাম্মাদ সানি, আওরাজ ভূইয়া রওনক, নুরুজ্জামান বাবু, তৌফিক চৌধুরী প্রমুখ।

;

লালমনিরহাটে নির্মিত হলো দেশীয় প্রযুক্তির প্রথম টার্ন টেবিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট রেল বিভাগে ব্রিটিশ আমলের প্রযুক্তি সরিয়ে দেশেই তৈরি হলো প্রথম টার্ন টেবিল। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা লালমনিরহাটে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ ঘোরানোর টার্ন টেবিলটি প্রায় তিন দশক আগে বিকল হলে তা ব্যবহার বন্ধ করে রেল বিভাগ। তাই ইঞ্জিন বা কোচ ঘোরানোর জন্য ঢাকায় যেতে হত। লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সিক লাইন এলাকায় প্রস্তুত দেশে তৈরি এ টার্ন টেবিলটি উদ্বোধন হলে সময় ও অর্থ দু'টোই সাশ্রয় হবে রেলওয়ের।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে দফতর জানায়, রেলের কোচ বা ইঞ্জিনকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টার্ন টেবিলের ওপর রেখে ঘোরানো হয়। এতে বাঁ দিকের চাকা ডান দিকে, ডান দিকের চাকা বাঁ দিকে চলে যায়। ফলে দুই পাশের চাকা সমানভাবে ক্ষয় হয়। এতে চাকার স্থায়িত্ব বাড়ে ও দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমে। ব্রিটিশ আমলে তখনকার কর্মকর্তারা যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে লালমনিরহাটে টার্ন টেবিল প্রস্তুত করেন। যা ১৯৯৩ সালে বিকল হয়ে পড়লে ব্যবহার বন্ধ করে রেলওয়ে দফতর।

'এরপর থেকে লালমনিরহাট বিভাগের কোচ ও ইঞ্জিন ঘোরানোর জন্য কোচ ও ইঞ্জিনগুলো কয়েক মাস পর পর ঢাকায় নেয়া হত। যাতে সময় ও অর্থ অপচয় হত। তাই দেশেই টার্ন টেবিল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। লালমনিরহাটে সিক লাইন এলাকায় এটি নির্মাণের জন্য ৯শতক জমি নেয়া হয়। নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া ২৫ লাখ টাকা। বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) নকশা ও প্রযুক্তিতে এ টার্ন টেবিলটি তৈরি হয়েছে। নির্মাণকাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে আর শেষ হয়েছে গত মার্চ মাসে। খুব শীঘ্রই এটি উদ্বোধন করা হবে।

বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) বলেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এ টার্ন টেবিলের কার্যকারিতা সফলভাবে যাচাই করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম টার্ন টেবিল। ৩৫০ টন ওজনের ভার বহনে সক্ষম এ টার্ন টেবিলে ১৪ টন ওজনের একটি ব্রিজ রয়েছে। এটি এই যন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর ওপরে ইঞ্জিন ও কোচ তুলে ঘোরানো হয়। স্থাপনাটির তিন ধাপে পাকা দেয়াল রয়েছে, যা সীমানা প্রাচীর, সুরক্ষা প্রাচীর ও লাইন দেয়াল নামে পরিচিত। এর মেঝে আরসিসি ঢালাই দেওয়া। এতে পানি জমলে পানির পাম্প দিয়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টার্ন টেবিলটি নির্মাণে ৩৫০ টন ভার বহনে সক্ষম একটি রোলার থ্রাস্ট বিয়ারিং, আটটি এক্সেল বিয়ারিং, ব্রিজ নির্মাণের জন্য এমএস লোহার তৈরি এইচবিম, অব্যবহৃত রেললাইন, ট্রেনের অব্যবহৃত চারটি চাকা, এমএস টপ প্লেট, চেকার প্লেট, বলস্টার প্লেট, এমএস অ্যাঙ্গেল ও জিআই পাইপের রেলিং ব্যবহার করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবদুস সালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সম্পূর্ণ দেশি প্রযুক্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্প টাকা ব্যয়ে টার্ন টেবিলটি নির্মিত হয়েছে। এতে অব্যবহৃত লাইন, চাকাসহ অন্য লৌহজাত নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। রেলের কর্মকর্তারা সব সময় নিজেদের মেধা দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। এটি তার উদাহরণ।

;