সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে বৃত্ত এঁকে দিল পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে বৃত্ত এঁকে দিল পুলিশ

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে বৃত্ত এঁকে দিল পুলিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রথম প্রতিরোধ হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। কিন্তু প্রতিদিনকার প্রয়োজনের তাগিদে সেটি সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। প্রয়োজনে ওষুধ কিংবা মুদি দোকানে গেলে মানুষের সংস্পর্শে আসতেই হয় এবং তৈরি হয় করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। সেই চিন্তা করে দোকানে সাদা রঙের বৃত্ত এঁকে দিচ্ছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুরে নগরের দুর্গাবাড়ি রোড ও চরপাড়া এলাকায় ওষুধের দোকানগুলোর সামনে এ গোল বৃত্ত এঁকে দেওয়া হয়। জেলা পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামানের নির্দেশে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল-আমীন এ কাজ তদারক করেন।

আল-আমীন বলেন, ‘ওই দুই এলাকার শতাধিক ওষুধের দোকানের সামনে তিন ফুট দূরত্ব রেখে বৃত্ত এঁকে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে ক্রেতারা এসে দোকানের সামনে গোল বৃত্তের মধ্যে থাকবেন এবং একটি বৃত্ত ফাঁকা হলে আরেকজন খালি বৃত্তের মধ্যে দাঁড়াবেন। এতে করে সবার ক্ষেত্রেই করোনা ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।’

দুর্গাবাড়ি এলাকার পণ্ডিত ফার্মেসির মালিক সুন্দন চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ‘এটি খুবই ভাল উদ্যোগ। আমাদের সবার মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমাদের বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। তাই এ উদ্যোগের ফলে ক্রেতারা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে ঢুকতে পারবেন।’

পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ও দোকানে আসা ক্রেতারাও। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা আরও বাড়বে বলেও মনে করেন তারা। মাহমুদ হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আমি আমার মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে এসে এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে প্রথমে অবাক হলেও পরে গোলাকার বৃত্তের ভেতর দাঁড়িয়ে কিনতে পেরে ভাল লাগছে। এভাবে দূরত্ব তৈরি করে দেয়ায় লোকজনের মাঝে করোনা সংক্রমণের শঙ্কা কম থাকবে।’

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এ ধরনের সামাজিক নিরাপদ দূরত্বে এভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহতা হতে ক্রেতা ও বিক্রেতারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। প্রথম দিনে ওষুধের দোকানগুলোর সামনে বৃত্ত আঁকা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকার জরুরি পণ্যের দোকানগুলোর সামনেও বৃত্তাকার স্থান চিহ্নিত করা হবে। তাহলে দোকানের সামনে অযথা ভিড় হবে না। সেইসাথে সকল উপজেলাতে এটি করতে নির্দেশনা দেয়া হবে।’

   

চেয়ারম্যান প্রার্থীর বেয়াইয়ের বাড়িতে ভোটারদের লম্বা লাইন, টাকা বিতরণের অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা নির্বাচনে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর বেয়াইয়ের বাড়িতে ভোটারদের লম্বা লাইনে দাঁড় করিয়ে টাকা বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সত্যতা পেয়ে প্রার্থীর বেয়াইকে অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (৬ মে) সকালে উপজেলার ৪নং ধুম ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় নুরুল আলমের বাড়িতে এ অভিযান চালান মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আতাউর রহমানের পক্ষে বেয়াই নুরুল আলমের বাড়িতে সকালে শতাধিক নারী-পুরুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে টাকা বিতরণ করছিলেন। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে যান।

পরে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬-এর ৩২ ধারা অনুযায়ী নুরুল আলমকে জরিমানা করা হয়। তবে টাকা বিতরণের বিষয়টি অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ আতাউর রহমান।

মীরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, শান্তিরহাট এলাকার একটি বাড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেখানে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। এটা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন। অভিযুক্ত নুরুল আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

;

নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে উচ্চবিত্তদের দাঁড়ানোর আহ্বান মেয়র আতিকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের উচ্চবিত্তদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (০৬ এপ্রিল) খিলক্ষেত ফ্লাইওভার সংলগ্ন লেকের পাশে রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণ পরবর্তী সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় এ আহ্বান জানান তিনি।

তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচাতে ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা ও খাবার স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নেয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এই কার্যক্রম। ইতিমধ্যে, ঢাকা উত্তর সিটির বিভিন্ন স্থানে রিকশাচালকদের মাঝে একটি করে ছাতা ও ১২টি খাবার স্যালাইন ও একটি করে পানির পট বিতরণ করেন মেয়র আতিক। তারই ধারাবাহিকতায় আজ খিলক্ষেত ফ্লাইওভার সংলগ্ন লেকের পাশে রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেন মেয়র তিনি।

রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমে মেয়র আতিক বলেন, তাপদাহ যতই তীব্র হোক খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা বিশেষ করে রিকশাচালকরা ঘরে বসে থাকতে পারবে না। ঘরে থাকলে খাবার জুটবে না। তীব্র এই তাপদাহ তারা যে কষ্ট করছে তা অসহনীয়। আমরা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের এই কষ্ট কিছুটা লাঘব করার চেষ্টা করছি।

চীনা অ্যাম্বেসি রিকশাচালকদের জন্য ১৫০০ ছাতা ডিএনসিসিকে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নিবন্ধিত রিকশা আছে ৩০ হাজার। অন্যান্য মিলিয়ে আমরা মাত্র ৩৫ হাজার রিকশাচালকদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি। শহরে আরও হাজার হাজার রিকশাচালক রয়েছে যারা একই কষ্ট করছে। সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে সবার পাশে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু সমাজের উচ্চবিত্তরা চাইলেই সম্ভব। তাই আমি উচ্চবিত্তদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, খেটে খাওয়া এই নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে আপনারা এগিয়ে আসুন।


মেয়রের কাছ থেকে উপহার পাওয়া একজন রিকশাচালক মো. শামিম। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কে কি কইবো জানি না, কিন্তু মেয়র সাহেব যে আমগো লাইগা চিন্তা করছে এইটাই অনেক। যেই রোইদ পরে শইলডা জ্বলে। এই ছাতা দিয়াতো আর রিকশা চালাতে পারুম না। যাত্রী নামাইয়া দিয়া অন্তত ছাতার নিচে একটু খাড়াইতে পারুম। এইডাই আলহামদুলিল্লাহ।’

রিকশাচালক আবু সাঈদ বলেন, ‘এমন তাপে কোনো জায়গায় যে একটু ছায়ায় খারামু ওই অবস্থাও নাই। শহরে কোনো গাছ আছে, মাইনষের দোকানপাটেও বেশিক্ষণ খারান যায় না। অনেকক্ষণ গাড়ি চালাইয়া হেই রোইদের মধ্যেই জিরাইতে হয়। ছাতাটা কামে লাগবো।’

ছাতা, খাবার স্যালাইন ও পানির পট পেয়ে খুশি অন্যান্য রিকশাচালকরাও।

রিকশা চালকদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় মেয়রের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

;

চুয়াডাঙ্গায় ৭ বছরের মেয়েকে হত্যার দায়ে মা গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নিজের ৭ বছর বয়সী মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মা পপি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পপি খাতুন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। গত রোববার (৫ মে) সকালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশু মাইশার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করেন তার মা পপি খাতুন ও স্বজনরা। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ওই শিশুর মৃত্যু বিদ্যুতস্পৃষ্টে নয়, বরং শ্বাসরোধে হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান। পরে ওই শিশুর মাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজের মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে শিশু মাইশা খাতুন (৭) তার নানার বাড়িতে মোবাইল চার্জারের তার গলায় জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়েছে, এমন ইতিহাস নিয়ে ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সকাল ১০টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃত কন্যাসন্তানের মা পপি খাতুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এমন তথ্যসম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ করলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওই দিন রাতে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেন। অতঃপর অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল রানা কর্তৃক এই কন্যাশিশু সন্তানের মৃত্যু বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে নানা ধরণের নেতিবাচক তথ্য পান।

মেয়েটির দুর্ঘটনামূলক মৃত্যু নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে, তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এরই মাঝে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুপারের মৌখিক নির্দেশে ওই কন্যাশিশু সন্তানের মৃত্যুটি হত্যাজনিত না দুর্ঘটনামূলক, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক সুনির্দিষ্ট মতামত গ্রহণের জন্য ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে সুনির্দিষ্ট মতামত প্রদান করেন। অতঃপর ওই শিশুর নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আলমডাঙ্গা থানায় গত ৩ মে একটি খুন মামলা রুজু হয়।

রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান ওই শিশুর বাড়ি পরিদর্শন করেন। এসময় মৃত শিশু মাইশার মা পপি খাতুনের কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলো? তার কোনো সহযোগী ছিল কিনা?- এসব প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন যে, তিনি নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ওই শিশুর মা পপি খাতুনের পূর্বাপর পারিবারিক ব্যক্তি জীবন, বৈবাহিক জীবন অতঃপর বিবাহ বিচ্ছেদ এবং বিবাহ বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি পাওয়া গেছে যা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলে এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার বলেন, এই মামলায় পপি খাতুন বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, ডিআও-১ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খানসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।

;

বিদেশি প্রভুদের কথায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিদেশি প্রভুদের কথায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে৷ তাদের উদ্দেশ্য একটাই অগণতান্ত্রিক পন্থায় তারা ক্ষমতায় আসতে চায়৷ পেছনের দরজা দিয়ে বিকল্প রাস্তায় তারা ক্ষমতায় আসতে চায়৷

সোমবার (৬ মে) প্রেসক্লাবে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টারের ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে 'গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না৷ গুম, খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন৷ তারাই বলে এই দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই৷

তিনি বলেন, বিএনপি এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা বুঝতে পেরেছিল যে গাজীপুরে তাদের অবস্থা দিন দিন খুবই নাজুক হয়ে যাচ্ছে৷ এজন্যই আহসান্ উল্লাহ্ মাস্টারকে একটা ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগে সম্মেলন থেকে হত্যা করা হয়েছিল৷ আর আজকে হত্যাকারীরা বলে এই দেশে গণতন্ত্র নেই৷ আমাদের নেতাদের প্রকাশ্যে হত্যা করেছে তারা৷

তিনি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের একটাই দোষ ছিল যে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করেছেন৷ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন৷ সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় রাজপথে তাকে পেটানো হয়েছিল৷ এর ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল৷

শহীদ আহসান্ উল্লাহ্ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মো. আতাউর রহমানের সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
 
;