ইলিশের সরবরাহ কম, দামও বাড়তি



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বর্ষাকাল হলো ইলিশ ধরার মৌসুম। এসময় সাগর থেকে দল বেধে নদীতে আসতে থাকে ছোট বড় মাঝারি ইলিশ। ঝাঁকে ঝাঁকে উঠে আসে জেলেদের জালে। এসেছে বর্ষা, শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা। তবে এখনো উৎসবমুখর হয়ে ওঠেনি ইলিশ শিকারিদের কাছে। সারাদেশের মতো রাজধানীর বাজারেও ইলিশের সরবরাহ অনেক কম। তাই দামও বেশ বাড়তি, বলা চলে অধিকাংশ মানুষের নাগালের বাইরে।

বার্তা২৪.কম’র সঙ্গে কথা হয় হাতিয়ার জেলে রাকিবুদ্দিনের সঙ্গে। যিনি ট্রলার নিয়ে নদীতে ইলিশ শিকার করেন। তার দাবি, ‘নদীতে এখনও ইলিশের বিচরণ শুরু হয়নি। ইলিশ এখন সাগরে অবস্থান করছে। আসছে ভাদ্র-আশ্বিন মাসে সাগরের ইলিশ নদীতে চলে আসবে। ওই সময়টাই ইলিশের ভরা মৌসুম। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরতে আমাদের আরও কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/2018-Aug-03_16_26_42_news_post.jpg

গত বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের পাইকারী মৎস আড়ত ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ বিক্রেতাদের ঘিরে অনেকে ভিড় জামিয়ে আছেন। কাছে যেতেই দেখা গেল, ইলিশের ডালা ঘিরে যারা দাঁড়িয়ে আছেন তাদের অধিকাংশই ইলিশ দেখছেন, দরদাম করছেন। অপরদিকে, বিক্রেতা দর হাকাচ্ছেন। ইলিশ বিক্রেতাদের দাবি খুব স্বল্প পরিমাণে ইলিশ বাজারে এসেছে, তাই দামও একটু বাড়তি।

পাইকারী এই আড়তে খুচরা বিক্রেতা ও হোটেল ব্যবসায়ীদের দেখা গেলো দরকষাকষি করে ইলিশ কিনছেন। সাধারণ ক্রেতারা দরদাম করছেন, কিন্তু অধিকাংশই ইলিশ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। কথা বলে জানা গেল, ইলিশের দাম নাগালের বাইরে।

গত বৃহস্পতিবার বার্তা২৪.কম’র এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় কারওয়ানবাজারের ইলিশের খুচরা বিক্রেতা আরমান আলীর সঙ্গে। তিনি আড়তের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ইলিশ কিনে সেখানেই খুচরা বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, ‘বাজারে ইলিশ নেই, যেগুলো আছে সেগুলোর বাড়তি দাম অনেক। তাই ক্রেতারা দাম জিজ্ঞাসা করে কিন্তু ইলিশ না কিনে চলে যায়।’একই কথা বললেন, পাশের খুচরা ইলিশ বিক্রেতা শাজাহান মিয়া।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/2018-Aug-03_16_25_28_news_post.jpg

বাজারে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ইলিশের দরদাম করে ফিরে যাচ্ছেন পান্থপথ এলাকার বাসিন্দা বাবুল। তিনিও বাড়তি দামের কথা জানালেন এই প্রতিবেদককে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে ইলিশের দাম কমবেশি। জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ছয়শ টাকা, নয়শ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার দুই শত টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার চারশ থেকে এক হাজার ছয়শ টাকা, এক কেজি চারশ থেকে এক কেজি সাতশ গ্রাম ওজনের ইলিশ এক হাজার আটশ থেকে দুই হাজার টাকা, দুই কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম হাকানো হচ্ছে দুই হাজার চারশ থেকে দুই হাজার ছয়শ টাকা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/03/2018-Aug-03_16_25_51_news_post.jpg

বাজারে ঘুরতে ঘুরতে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় এক সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি পরিবারের জন্য ইলিশ কিনতে কারওয়ানবাজারে এসেছেন। তার সন্তানদের পছন্দ বড় ইলিশ। এক পর্যায়ে তিনি দুই কেজি সাতশ গ্রাম ওজনের একটি মাছ পছন্দ করলেন। কিন্তু ইলিশ বিক্রেতা দাম হাকালেন দুই হাজার ছয়শ টাকা কেজি। দাম শুনে ওই কর্মকর্তা একটু বিস্মিতই হলেন। পরে এতো বাড়তি দামে ইলিশ না কিনে তিনি ফিরে যাচ্ছিলেন।  এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বাজারে নাকি অনেক ইলিশ এসেছে। পত্রিকায় এমন সংবাদ দেখে সন্তানদের জন্য ইলিশ কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু বড় ইলিশের দাম শুনে আমি অত্যন্ত হতাশ। বাজারে ইলিশ নেই বললে চলে। যা আছে তার দাম আকাশচুম্বি। আমি বোনাসের টাকা তুলে মনে করেছিলাম বড় ইলিশ কিনবো। কিন্তু যে দাম তাতে মনে হয় এ বছরে ইলিশ খাওয়া হবে না।’

কারওয়ান বাজারের এক আড়তের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘ইলিশ কম আসায় দাম একটু বাড়তি। কয়েক সপ্তাহ পর ইলিশের দাম কমতে পারে। কেননা কয়েক সপ্তাহ পর ইলিশের সরাবরাহ বাড়বে। তখন জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।

   

মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগ, আলোর মুখ দেখেছেন কৃষকরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগ করলে ধানের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। কৃষিকাজে নানা প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার সমাধান দেয় সেসব গবেষণায় উপকৃত হন কৃষকরা। তেমনি গবেষণা প্রকল্পের অর্থায়নে মাটি পরীক্ষা করে ধানের আবাদ করে লাভবান হয়েছেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমাড়া ইউনিয়নের জয়নাতলী গ্রামের কৃষক মো. সাইফুল ইসলাম।

সুষম মাত্রায় সারের প্রায়োগিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ধানের আবাদে তাঁর ফলন বেড়েছে ২৫ ভাগ। তাঁকে দেখে অন্য কৃষকেরাও মাটি পরীক্ষা করে সার প্রয়োগ করার প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। এতে যেমন সারের অপচয় রোধ হবে, বাড়বে ফলনও।

জানা যায়, মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে মধুপুর উপজেলার মহিষমাড়া জয়নাতলী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলামের ৩০ শতাংশ জমিতে ব্রি ধান-৮৯ জাতের ধান আবাদ করা হয়। সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করা সেই জমির ধান কর্তন এবং মাড়াই শেষে পরিমাপ করে দেখা যায়, ফলন বেশি হয়েছে অন্তত ২৫ ভাগ। দেখা যাচ্ছে, যাঁরা নিজেদের মতো করে জমিতে সার দিয়েছেন, তাঁদের জমিতে ফলন হয়েছে অনেক কম। এ ছাড়া হেক্টরপ্রতি ফলন বাড়ে অন্তত এক মেট্রিক টন।

কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি ৩০ শতাংশ জমিতে মাটি পরীক্ষা করে আবাদ করেছি। জমিতে আগের তুলনায় এবছর সারে খরচ কম হয়েছে। ফলনও বৃদ্ধি পেয়েছে। জমিতে বিষের পরিমাণও কম পড়েছে। জমিতে ২০ থেকে ২৫ ভাগ ফলন বেশি হয়েছে।

কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা কৃষক, আমরা ফসল উৎপাদন করি। আমরা মাটির গুনাগুন না জেনে ফসল উৎপাদন করি। এখন আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা এসে মাটির গুনাগুণ পরীক্ষা করে দেখছে, মাটির পরীক্ষার পরে জমিতে আবাদ করে দেখছি আমাদের খরচ কম হয়েছে। আর মাটি পরীক্ষা ছাড়া আমাদের খরচ বেশি হয়েছে। মাটি পরীক্ষা করে আবাদ করলে ফলন বৃদ্ধি পাই। আমরা যারা কৃষক আছি মাটি পরীক্ষা করে আবাদ করা ভালো। মাটির পরীক্ষা না করলে জমিতে সারের প্রয়োগটা বেশি হয়ে যায়। পোকার আক্রমণ বেশি করে। আর মাটি পরীক্ষা করে আবাদ করে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ ফলন বেশি পেয়েছি।

টাঙ্গাইল মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. উৎপল কুমার বলেন, মধুপুর উপজেলার মহিষমাড়া জয়নাতলী গ্রামে একজন কৃষকের ৩০ শতাংশ জমিতে মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ করেছি। পাশাপাশি আরেকটি জমিতে কৃষক তার নিজস্ব জায়গায় আবাদ করেছে। আমরা যেটা দেখছি মাটি পরীক্ষা করে যে আবাদ করেছি এখানে প্রায় ১৫ থেকে ২৫ ভাগ সার কম লেগেছে। সারের অপচয় কম হয়েছে। অন্যদিকে ফলন প্রায় ২০ থেকে ৩০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জমিতে ব্রি ধান-৮৯ আবাদ করা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান হয়েছে। পাশাপাশি আমার যে প্রেসক্রিপশন সিস্টেমে যাই, এটা আমরা স্মার্ট প্রেসক্রিপশন বলছি যেখানে আমরা মাটি পরীক্ষা করে সার দিচ্ছি। অন্যদিকে আমরা রোগ পোকামাকড়ের জন্য যে প্রেসক্রিপশন দরকার সেটা তাদের করে দিচ্ছি। এর ফলে হচ্ছে কি ১৫ থেকে ২০ ভাগ সারের অপচয় কম হচ্ছে। অন্যদিকে বালাইনাশক অর্ধেকে নেমে এসেছে। যদি সারা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে বছরে প্রায় সার ও কীটনাশক বাবদ ২০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারবো। এখন যে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় তার চেয়ে প্রায় ১ কোটি মেট্রিক টন বেশি খাদ্যশস্য সারা বাংলাদেশে বেশি উৎপাদন হবে।

;

২৫ মে বঙ্গবাজার বিপণি-বিতান নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবাজার নগর পাইকারি বিপণি বিতান নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ মে) সকাল ১১টায় এটি উদ্বোধন করবেন তিনি।

শনিবার (১৯ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেদিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গৃহিত পোস্তাগোলা হতে রায়ের বাজার স্লুইস গেট পর্যন্ত '৮ সারির ইনার সার্কুলার রোড' এবং ধানমন্ডি হ্রদের পাড়ে 'নজরুল সরোবর' নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন ।

উল্লেখ যে, গত বছরের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে সংগঠিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নতুন করে বঙ্গবাজার পাইকারি নগর বিপনী বিতান নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

এছাড়াও পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের ফলে দক্ষিণ বঙ্গের ২১টি জেলা এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলা হতে আগত উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলোকে যেন আর ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না হয়, সেজন্য পোস্তাগোলা ব্রিজ হতে রায়ের বাজার স্লুইচ গেট পর্যন্ত ৮ সারির ইনার সার্কুলার রোড প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। উদ্যোগের অংশ হিসেবে ১ম পর্যায়ে কামরাঙ্গীরচরের লোহার পুল থেকে রায়ের বাজার স্লুইচ গেট পর্যন্ত ৮ সারির সড়ক নির্মাণ করা হবে। এই সড়কের মাঝের দুই-দুই চার সারি এক্সপ্রেসওয়ে এবং দুই পাশে দুই-দুই চার সারি সার্ভিস লেন হিসেবে রাখা হয়েছে।

পাশাপাশি নগরীতে পর্যাপ্ত গণপরিসর সৃষ্টির উদ্দেশে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার রোড নম্বর ১৩/এ ও ৮/এ সংলগ্ন ধানমন্ডি হ্রদের পাড়ে নজরুল সরোবর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

;

শিক্ষার্থী-কিরগিজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে ১৭ মে রাতে সহিংসতার পর দেশটির কর্মকর্তা ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

রোববার (১৯ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ১৭ মে রাতে সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এ ছাড়া উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রে স্বীকৃত দূতাবাস হিসেবে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ও কিরগিজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি ছাত্রদের কোনো গুরুতর আহত বা হতাহতের খবর নেই। দূতাবাস ইতোমধ্যে অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বর শেয়ার করেছে, যাতে এ বিষয়ে যে কোনো সমস্যার জন্য শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করতে পারেন।

দূতাবাসের মাধ্যমে সরকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ সমন্বয় করছে।

সরকার ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তাসখন্দে অবস্থানরত রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুস্থতা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে শিগগিরই বিশকেক সফরে যেতে বলা হয়েছে।

;

মেরিন ড্রাইভে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের-টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ ২ আরোহী নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) দুপুরের দিকে কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন বাহারছড়া বড়ডেইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হরিখোলা গ্রামের লাতাইঅং চাকমার ছেলে বারিক্কা (প্রকাশ) কিরন চাকমা (৪০) ও ঢাকা ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার মাযহারুলের ছেলে জিহাদ (৩০)। নিহত কিরন চাকমা হোয়াইক্যং ইউনিয়ন যুবলীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ (পরিদর্শক) মো. সামিউদ্দিন।

তিনি বলেন, রবিবার দুপুরের দিকে কক্সবাজার- টেকনাফের বাহারছড়া বড়ডেইল এলাকায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দু'জন নিহত হয়।

নিহতের মধ্যে বারিক্কা (প্রকাশ) কিরন চাকমা (৪০) টেকনাফের হোয়াইক্যং হরিখোলা গ্রামের ও মো. জিহাদ (৩০)ঢাকা ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা।

জানা গেছে, নবদম্পতি জিহাদ ও তার স্ত্রী পরিবার নিয়ে গত পরশু দিন কক্সবাজার এসেছে। তারা তারকামানের হোটেল ওশান প্যারাডাইসে উঠেছে। সকালে বাইক ভাড়া নিয়ে মেরিনড্রাইভে ঘুরতে গিয়ে শামলাপুরে দুর্ঘটনার শিকার হয়। সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জিহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। আইনি কার্যক্রম শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

;