সরকারি নির্দেশ অমান্য করে রাজশাহীতে এনজিও’র কিস্তি আদায়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে রাজশাহীতে এনজিও’র কিস্তি আদায়/ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে রাজশাহীতে এনজিও’র কিস্তি আদায়/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজশাহীতে টাকা আদায় অব্যাহত রেখেছে কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে নগরী এবং গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনজিও’র মাঠকর্মীরা জোর-জবরদস্তি করে কিস্তির টাকা আদায় করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে ঋণগ্রহীতারা বলছেন, ‘সরকারি ঘোষণার পরও এনজিও কর্মীরা জোর করে তাদের থেকে কিস্তি আদায় করছেন।’ তবে এনজিও’র কর্মকর্তাদের দাবি- ‘তারা জোর করে কারও থেকে কিস্তি আদায় করেন নি। যারা স্বেচ্ছায় দিচ্ছেন, তাদেরকে থেকে কেবল টাকা নিয়েছেন।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের অন্যান্য জেলার মতো রাজশাহী জেলা প্রশাসনও বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওগুলোকে কিস্তির টাকা আদায় বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়। সোমবার (২৩ মার্চ) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা সম্বলিত চিঠিও পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়- আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২০ তারিখ পর্যন্ত রাজশাহী জেলার সকল ব্যাংক ও এনজিওগুলোর ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হলো।

তবে প্রশাসনের ঘোষণার পরদিন মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার, মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজার, কাপড়পট্টি, জামাল সুপার মার্কেট এবং গ্রাম পর্যায়ে কিস্তি আদায়ে ঠিকই মাঠে নামে ‘দি ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক’, ‘উত্তরা ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম সোসাইটি’সহ বেশ কয়েকটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। তারা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কিস্তি বন্ধ হয়নি জানিয়ে টাকা আদায় করেন। এসময় এনজিও কর্মীদের সাথে বাক-বিতন্ডায়ও জড়িয়ে পড়েন অনেক ঋণগ্রহীতারা।

নগরীর সেঞ্চুরি সুপার মার্কেটের ‘জোহরা ম্যাচিং’ এর মালিক মো. ওলিউজ্জামান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে কিছুদিন যাবত দোকানে কোনো বেচাবিক্রি নেই। গতকাল (সোমবার, ২৩ মার্চ) শুনলাম কিস্তি আদায় বন্ধ। অথচ সকালে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের লোকজন কিস্তি নিতে এসেছেন। সরকার কিস্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে- বিষয়টি জানালেও তিনি জোর করেই টাকা নিয়ে গেছেন।’

উত্তরা ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ঋণগ্রহীতা মাহমুদা জান্নাত বলেন, ‘সরকার বলার পরও তারা টাকা আদায় করছে। টাকা না দিলে ঝামেলা বাধবে, মানুষ খারাপ বলবে। তাই বেশি কথা না বাড়িয়ে যা টাকা ছিল দিয়ে দিয়েছি। আয়-রোজগার নেই, দেশের যা পরিস্থিতি চাল-ডাল কিনে রাখার টাকাটাও থাকলো না।’

জানতে চাইলে মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের রাজশাহী ব্রাঞ্চের ব্যবস্থাপক এসএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা পেয়েছি, তবে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ ছাড়া তো আমরা বন্ধ করতে পারি না। তবে আমরা কারও থেকে জোর করে কিস্তির টাকা নেয়নি। যারা স্বেচ্ছায় দিচ্ছে, তাদেরকে থেকে নিচ্ছি।’

উত্তরা ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের রাজশাহীর বোয়ালিয়া শাখার ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের অফিসে কেউ আসেও নাই, আমরা বন্ধও করি নাই। রাজশাহীর যে মেয়র বা ডিসি তো আমাদের কিছু বলেনি এখনও, বললে কিস্তির টাকা তোলা বন্ধ করে দেবো।’

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, ‘এনজিওগুলোকে চিঠি দিয়ে এরই মধ্যে কিস্তি আদায় বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমেও বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। তারপরও যারা একগুঁয়েমি করে কিস্তি আদায় অব্যাহত রেখেছেন, তাদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

   

গাজীপুরে ট্রেন সংঘর্ষ, ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাজীপাড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উদ্ধার সহায়তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি সদর দপ্তর।

শুক্রবার (৩ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কারণ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।

স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি জয়দেবপুর রেল স্টেশন পার হলে কাজীপাড়ায় আউটার সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়। 

এতে ট্রেনের কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া যাত্রঅবাহী ট্রেনটির ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করছে। আহতদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংঘর্ষের এই ঘটনায় উদ্ধার সহায়তা নিশ্চিত করতে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

;

বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা তীব্র দাবদাহের পর রাজধানীতে বৃষ্টির পরও বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) সকাল ৯টা ৩৩ মিনিটে ১৫৮ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ।

১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু ও পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ৩১৮, ১৯৭ ও ১৯৩ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

;

জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন।

১১২টি দেশ এই রেজুলেশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে।

এ বছর আলোচ্য রেজুলেশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা ও এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়।

এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য ৮টি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।

প্রস্তাবটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।

এবারের রেজুলেশনটিতে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদযাপনের জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়া এ রেজুলেশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।’

রেজুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির উপর সাধারণ পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে।

প্রতিনিধি দলগুলো জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

১১২টি দেশ এবছর বাংলাদেশের এই রেজুলেশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহণ করে।

সূত্র- ইউএনবি

;

গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-জয়দেবপুর রেল সড়কের গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. সফিকুল ইসলাম এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

শুক্রবার (৩ মে) দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল ফাতেহ মো. সফিকুল ইসলাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসক জানান, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরে তেলবাহী ও যাত্রী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

;