বাড়িতে সঙ্গরোধ মানছেন না সিলেটের প্রবাসীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নভেল করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার পরও বাড়িতে সঙ্গরোধ মানছেন না সিলেটে বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা। ঘুরে বেড়াচ্ছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রামগঞ্জে। অংশ নিচ্ছেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।

প্রশাসনে পক্ষ থেকে অভিযান ও জরিমানা সত্ত্বেও বাড়িতে সঙ্গরোধে রাখা যাচ্ছে না তাদের। গত দেড় মাসে সিলেটে যে পরিমাণ প্রবাসী দেশে ফিরেছেন তার ক্ষুদ্র অংশই রয়েছেন সঙ্গরোধের আওতায়। ফলে সিলেটে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, গত দেড় মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সিলেটে বিভাগের চার জেলায় ফিরেছেন প্রায় ২৭ হাজার প্রবাসী। এর মধ্যে শনিবার (২১ মার্চ) পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৪৪৪ জন বাড়িতে সঙ্গেরোধে রয়েছেন। যদিও তাদের অনেকে সঙ্গরোধ মানছেন না।

শনিবার বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের বাড়িতে সঙ্গরোধ নিশ্চিতে সিলেটে মাঠে নামে জেলা প্রশাসনের সাতটি মনিটরিং টিম। পৃথক পৃথক মনিটরিং টিমের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলি কর, মেজবাহ উদ্দিন, সজিব আহমদ, ফারহানা হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল জাবেদ, বিশ্বজিত দেব ও সানজিদা চৌধুরী। তারা নগরের বিভিন্ন এলাকার ৪৮টি বাসা পর্যবেক্ষণ করেন। এসব বাসায় ৮৭ জন প্রবাসী থাকার কথা থাকলেও বাসায় ছিলেন ৫২ জন। বাকি ৩৫ জনকে বাসায় পাওয়া যায়নি। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকা। আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশ নিচ্ছেন।

সার্বিক বিষয়ে সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া সেল) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা জেলা সিভিল সার্জন থেকে পাঠানো তালিকা ধরে প্রবাসীদের বাড়িতে গিয়েছি। তবে অনেক প্রবাসীকে পাওয়া যায়নি। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমরা কড়া ভাষায় তাদের পরিবারের সদস্যদের সতর্ক করেছি। সামনের অভিযানে জরিমানাও করা হবে।’

   

জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন।

১১২টি দেশ এই রেজুলেশনটিতে কো-স্পন্সর করেছে।

এ বছর আলোচ্য রেজুলেশনটি একটি বিশেষ তাৎপর্য্য বহন করে। কেননা এ বছরে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা ও এ বিষয়ক কর্মসূচি ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে সরকার পরিচালনার সময় ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি গৃহীত হয়।

এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে, যা শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতিকে উন্নীত করার জন্য ৮টি বিশেষ ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহনের জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে।

এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।

প্রস্তাবটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে, সমতা ও সব মানুষের সমমর্যাদার চেতনাকে সমুন্নত করতে হবে এবং সর্বোপরি যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে অনেক বেশি লাভজনক করে তুলতে হবে।

এবারের রেজুলেশনটিতে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচির ২৫তম বার্ষিকী যথাযথভাবে পালন ও উদযাপনের জন্য সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে দিনব্যাপী একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এছাড়া এ রেজুলেশনে সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মিডিয়াসহ অন্যান্য অংশীজনদের শিক্ষা ও জনসচেতনতা সম্প্রসারণসহ অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথভাবে এই বার্ষিকীটি পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, ‘জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।’

রেজুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির উপর সাধারণ পরিষদে একটি সাধারণ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহুসংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তারা শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা এবং এ বিষয়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে।

প্রতিনিধি দলগুলো জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

১১২টি দেশ এবছর বাংলাদেশের এই রেজুলেশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহণ করে।

সূত্র- ইউএনবি

;

গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-জয়দেবপুর রেল সড়কের গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. সফিকুল ইসলাম এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

শুক্রবার (৩ মে) দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল ফাতেহ মো. সফিকুল ইসলাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসক জানান, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মতিউর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরে তেলবাহী ও যাত্রী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

;

হবিগঞ্জে এক পরিবারের ৪ সদস্যের দাফন সম্পন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪ জন নিহত হয়েছিল। শুক্রবার (৩ মে) নিহতদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার সকাল সোয়া ১০ টায় ১ম নামাজে জানাযায় পুলিশ তিনজন। পরে সাড়ে ১০ টায় কামরুন নাহারের নামাজের জানাযা তাদের নিজ বাড়ির উঠানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা পরিচালনা করেন বাড়ির মসজিদের ইমাম, হাফেজ মো. রবিউল হুসাইন, নামাজে পরিবার পরিজনসহ প্রায় ২ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। জানাযা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি কবরে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে সকাল ৬ টা নাগাদ নিহতদের মরদেহ পটুয়াখালীর গলাচিপার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে তাদের নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়।  

নিহতরা হলেন, মৌজালী মৃধার মেঝো ছেলে মোঃ জামাল হোসাইন (৪২), ছোট ছেলে এনামুল হক খোকন (৩৫), নিহত জামাল মৃধার স্ত্রী কামরুন নাহার (৩০) ও ছেলে কাওসার হোসাইন অনন্ত (১২)। এছাড়াও তাদের সাথে ড্রাইভারও মারা গেছেন।

মো. জামাল হোসাইন (৪২) ঢাকার সাভারে অবস্থিত পাইয়োনিয়ার গ্রুপের (pioneer group) মেক্স কম ইন্টারন্যাশনাল বিডি লিমিটেড এর ইলেকট্রিশান ইনচার্জ পদে কর্মরত ছিলেন। ছোট ভাই এনামুল হক খোকন (৩৫) একই এলাকার বেবিলন গ্রুপের অবনী ফ্যাশনের সিনিয়র সুইং অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন।  

নিহত জামালের খালাতো ভাই মো. ফেরদৌস বলেন, ‘জামাল ভাই তার ছেলে কাওসারের মানত পালনে ৩০ এপ্রিল রাতে হজরত শাহজালাল (রাঃ) মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে সিলেটে জান। সাথে ভাবি ও খোকন ভাইও ছিল। ১লা মে তারিখ সারাদিন সিলেট থাকেন এবং রাতে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। তাদের সাথে ১০ টার পরে সর্বশেষ কথা হয়। আমরা রাত দুইটার দিকে দুর্ঘটনার খবর পাই।’  

নিহত জামাল ও খোকনের মামা মো. সোনা মিয়া বলেন, আমার ভাগিনা জামাল ও খোকন ঢাকার সাভারে চাকরি করতো। তারা খুবই ভদ্র ও শান্ত সভাবের ছিলো। ওদের মৃত্যু আমার বোন স্বাভাবিক ভাবে মানতে পারে নাই। এই পরিবারে বর্তমানে তেমন কোনো উপার্জনক্ষম কোনো বেক্তি না থাকায় অসহায় হয়ে পরেছেন। তাই আমরা সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করছি৷ 

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান, নিহতদের মরদেহ আজ সকালে গলাচিপা উপজেলায় এসে পৌঁছেছে  ইতিমধ্যে জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের পরিবারের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।

;

সিলেটে কমছে নদ-নদীর পানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে টানা কয়েকদিন সিলেট অঞ্চলে হয়েছে বৃষ্টিপাত। এরমধ্যে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

তবে, একদিনের ব্যবধানে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারিসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার(৩ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত তা কমেছে । একইভাবে পানি কমেছে কুশিয়ারার আমলশীদ পয়েন্টে ও সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃষ্টিপাত হলে নদ-নদীর পানি একটু বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে তার স্থায়ীত্ব বেশিক্ষণ হবে না।

এদিকে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সিলেটের কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, শুক্রবার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ১০ দশমিক ৯০সেন্টিমিটার, সিলেটে সকাল ৬টায় ৮দশমিক ২৫সেন্টিমিটার, দুপুরে ৮দশমিক ১২সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জে সকাল ৬টায় ৪ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার, দুপুরে ৪ দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে সকাল নয়টায় ১২দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার, সারি নদীর পান সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ৯ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিলো ৯ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার। প্রতিটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুনামগঞ্জের দিকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ব্যাপারে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র বৈদ্য জানান, গতকাল সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। রাত থেকে দুপুর অবধি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তাছাড়া নিম্নাঞ্চলগুলোতে খুব বেশি পানির চাপ না থাকায় দ্রুত সরে যাচ্ছে।

;