জন্মশতবর্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠিক ১০০ বছর আগে এমনই এক বসন্ত দিনে, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত ৮টায়, তাঁর মহাজন্ম বৃহত্তর ফরিদপুরের গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। রাতের জন্মক্ষণকে আলোকিত করে খোকা নামের সেই নবজাতক শোষিত-বঞ্চিত-পরাধীন বাংলাদেশে প্রজ্বলিত করেন স্বাধীনতা ও মুক্তির আলোক মশাল। বাঙালি জাতির হৃদয়ের মণিকোঠায় অভিসিক্ত হন তিনি মহাকালের মহানায়ক স্বরূপে। শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়, কৃতজ্ঞতায় সারা বাংলাদেশ ও সমগ্র বাঙালি জাতি তাঁর নাম দিয়েছে বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশের স্থপতি তিনি, তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের সুমহান রূপকার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির পরাধীন জীবনে এনেছে মুক্তির আলোকিত ভোর। দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক উত্থানের জন্যই তাঁর জন্ম হয়েছিল। তাঁর জন্ম ও আগমনকে চিত্রিত করা যায় মহাকবির ভাষায়: ‘ওই মহামানব আসে। দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে। সুরলোকে বেজে ওঠে শঙ্খ। নরলোকে বাজে জয়ডঙ্ক। এল মহাজন্মের লগ্ন।’ মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জাতির জনকের জন্ম শতবর্ষের মহালগ্ন।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও আবির্ভাব বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে নিঃসন্দেহে একটি অনন্য ঘটনা। ত্যাগে, সংগ্রামে, প্রজ্ঞায়, দক্ষতায়, সুযোগ্য-গতিশীল নেতৃত্বে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন এবং জাতিসত্তা নির্মাণ করেছেন। তিনি কেবল বাঙালির স্বার্থের সাথেই নয়, তাদের স্বপ্নের সাথেও নিজেকে একাত্ম করেছেন। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূর্ত প্রতীক, যা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা এবং বাঙালি জাতির অধিকার, আত্মমর্যাাদা ও পরিচিতি নির্মাণ করেছে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও সাংগঠনিক শক্তি সমগ্র জাতিকে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের নাগপাশ থেকে মুক্ত করে অধিকার প্রতিষ্ঠায় দীপ্ত শপথে বলীয়ান করেছে। ব্যক্তির পরিচয় পেরিয়ে তিনি পরিণত হয়েছিলেন জাতীয় ব্যক্তিত্বে এবং নিজেকে বিলীন করে দিয়েছেন রাষ্ট্র ও জাতিসত্তার অস্তিত্বের সঙ্গে।

চব্বিশ বছরের পাকিস্তানি দুঃশাসনে বঙ্গবন্ধু নয়বার কারারুদ্ধ হয়েছেন, এগারোটি মামলায় জর্জরিত হয়েছেন, দুইবার ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে এসেছেন এবং পরিশেষে পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও বাঙালি জাতির স্বপ্ন ও বাস্তবতার প্রতীক-পুরুষে।

জীবনের শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধুর মধ্যে গড়ে ওঠে নেতৃত্বসুলভ মনোভাব। রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের উপায় হিসেবে তিনি সর্বদাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আইনানুগ-গণতান্ত্রিক পথ ও পন্থা বেছে নিয়েছেন। শোষণ, বঞ্চনা, স্বৈর ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অবিচল পাহাড়ের মতো রুখে দাঁড়িয়েছেন। বাঙালির প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠিত করে গড়ে তুলেছেন। নদীমাতৃক বাংলাদেশের বাঙালি জাতির প্রিয় প্রতীকে পরিণত করেছেন নৌকাকে আর বাঙালির জাতীয় ধ্বনি ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে উজ্জীবিত করেছেন পদ্মা, মেঘনা, যমুনা অববাহিকার শাশ্বত বাঙালি জাতিসত্তার প্রতিটি নারী ও পুরুষকে।

বহু ত্যাগ, তিতিক্ষা, সংগ্রাম ও সাধনার পথে তিনি পরিণত হয়েছেন বাঙালি জাতির মহামুক্তির মহাপুরুষে। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও অধিকার আদায়ের প্রতিটি পর্যায়ে মিশে আছেন তিনি। ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬ দফা, সামরিক শাসনের বিরোধিতা, ভোটের অধিকার আদায় ইত্যাদি আন্দোলন-সংগ্রামে সম্মোহনী নেতৃত্ব দিয়ে পুরো জাতিকে তিনি নিয়ে আসেন স্বাধীনতা অর্জনের মোহনায়। ১৯৭০ সালে অবিস্মরণীয় নির্বাচনী বিজয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি বাঙালি জাতির সর্বাত্মক আস্থা, বিশ্বাস ও সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ, যার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে।

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের প্রতিটি পর্যায় বিজয়ের গৌরবে উদ্ভাসিত। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ বাঙালি জাতির অধিকার আদায় ও মুক্তির জন্য নিবেদিত। অব্যাহত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি বাঙালি জাতির মহান নেতার আসনে অভিসিক্ত। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি রূপে তিনি প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ের অলিন্দে সমাসীন।

বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে বঙ্গবন্ধু উৎসর্গ করেন তাঁর সমগ্র জীবন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে তিনি তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ব্যয় করেন। সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত বাংলাদেশের জন্য লড়াই করতে করতে বঙ্গবন্ধু জীবন বিলিয়ে দেন। দেশবিরোধী, প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করতে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও তাঁর অম্লান স্বপ্নকে নিহত করা যায় নি। বাঙালি জাতির কল্যাণ ও বাংলাদেশের সমৃদ্ধির যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন এবং সমগ্র জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন, তা অমর ও অক্ষয় ভাবমূর্তিতে প্রতিটি বাঙালির মিলিত স্বপ্নে পরিণত হয়েছে তাঁর স্বপ্নের সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশে। দেশ ও জাতির প্রতিটি পদক্ষেপে, অর্জনে, গৌরবে বাঙালি জনতা সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুকে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন প্রতিটি বাঙালির হৃদয় ছোঁয়া ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছায় সিক্ত। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ হল এমনই এক মাহেন্দ্রক্ষণ, যা স্বাধীন বাংলাদেশের সমুন্নত বাঙালি জাতির দীপ্ত পদভারে বঙ্গবন্ধুকন্যা, জননেত্রী-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে সর্বাত্মক উন্নতি ও অগ্রগতির পথ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে চলার প্রেরণা।

বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির প্রাণপুরুষ, বাংলার ইতিহাসের মহাকালের মহানেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম শতবর্ষের মহালগ্নে বাংলার, বাঙালির সংবাদ সারথি বার্তা২৪.কম জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি নিবেদন করছে অসীম শ্রদ্ধা, গভীর কৃতজ্ঞতা ও প্রাণঢালা অভিবাদন।

   

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৬

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৬

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৬ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (৩মে) সকাল ছয়টা থেকে শনিবার (৪মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩০০ পিস ইয়াবা, ৬২ গ্রাম হেরোইন ও ২ কেজি ৯০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

আরও দু’দিন তাপপ্রবাহ থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তাপপ্রবাহ আরও দু’দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

যদিও বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ দেশের কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু জেলায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার (৪ মে) দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। গতকালের মতোই দিনের তাপমাত্রা উষ্ণ থাকতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কিছু জেলায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হবে না।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী দুই দিন অন্তত তাপপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাবে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, যশোরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় প্রচণ্ড গরমের কষ্ট আবারও ফিরে এসেছে। দিনের বেলায় তাপপ্রবাহ থাকছেই, রাতের বেলায় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

শুক্রবার (৩ মে) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

;

মুন্সিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। শুক্রবার (৩ মে) মধ্যরাতে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের হোসেন আলী বেপারীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৫৮), তার ছোট ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৭), তার মামী রাহেলা বেগম (৫৫)। আহতরা হলেন, আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০) ও প্রাইভেটকার চালক ইব্রাহিম খলিল সুজন (৩৩)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আলমগীর হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় কাদরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মামী রাহেলা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে ঢাকাতে নিয়ে আসছিলেন তিনি।

পথে রাত দেড়টার দিকে তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীসহ প্রাইভেটকারটি রাস্তার পাশের খাদে পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলমগীর হোসেনসহ মোট তিনজন। চালকসহ আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, ‘রাত ১টা ৫০ মিনিটে আমরা দুর্ঘটনার খবর পাই। খবর পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। হতাহত সবাইকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।’

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে আমাদের হাসপাতালে ৫ জন রোগী নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করি। আহত নজরুল ও সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মরদেহগুলো বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। ঘাতক কাভার্ডভ্যানটিকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’

;

গাজীপুরে পিকআপ-ট্রাক সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই পিকআপে থাকা আরও ১১ জন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জে আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫) ও তার জামাতা আবু সুফিয়ান (২৫)।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল আহমেদ বলেন, একটি পিকআপে চড়ে মিক্সার মেশিন নিয়ে ১৩ জন শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজে শ্রীপুর থেকে মাওনা অভিমুখে যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী পিকআপটি শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের ভাংনাহাটি কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে পৌঁছানো মাত্রই পেছন থেকে একটি ড্রাম্প ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে পিকআপ উল্টে শ্রমিকরা মিক্সার মেশিনের নিচে চাপা পড়েন। এর ফলে ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত হন। ১২ জনকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সুফিয়ানকেও মৃত ঘোষণা করেন। 

শ্রীপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কুদ্দুস বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



;