প্রকৃতিতে সুখের ঘ্রাণ!



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
আমের মুকুল/ছবি: বার্তা২৪.কম

আমের মুকুল/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা/ ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে/ মামার বাড়ি যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে/ আম কুড়াতে সুখ, পাকা আমের মধুর রসে/রঙিন করি মুখ...।’

পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার পংক্তিগুলো বাস্তব রূপ পেতে বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। সবুজে ভরা প্রকৃতিতে সুখের ঘ্রাণ বইতে শুরু করেছে।

মধু মাসের স্বাদ বাড়াবে রসালো কাঁঠাল

শহরে-গ্রামে আম গাছে দুলছে মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। আমের মুকুল আর মৌ মৌ গন্ধে চারিদিকে যেন রোমাঞ্চকর আবেশ। মাতাল গন্ধ মনকে বিমোহিত করছে। কাছে টানছে ডানা মেলা পাখিকেও।

থোকায় থোকায় হাসছে লিচুর মুকুল

আমের মতো মুকুল এসেছে রসালো লিচুর গাছেতেও। থোকায় থোকায় মুকুলের জটলার আভাসে শোনা যাচ্ছে মধু মাসের আগমনী বার্তা। আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু, পেয়ারাসহ নানান ফলের ফুল আসছে গাছে গাছে। বিশেষ করে আম ও লিচুর মুকুল আর কাঁঠালের কুঁড়ি নজর কাড়ছে সবার।

গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে সবখানে এবার মুকুল হাসছে। মুকুল ভাসছে। ছোট বড় সব আম ও লিচু গাছ ভর্তি মুকুল নিয়ে চাষিদের আনন্দের সঙ্গে আছে শঙ্কাও। প্রকৃতির বিরূপ আচরণ শুরু হলে ঝরে যেতে পারে এসব মুকুল।

আম গাছের ডালপালা জুড়ে মুকুলের ছড়াছড়ি

রংপুর জেলার পীরগঞ্জ পৌরসভা এলাকার আরাজী গঙ্গারামপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ। বাড়ির পাশে ছোট্ট পরিসরে হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান করেছেন। তার বাগানের গাছে গাছে এখন মৌমাছি নেচে গেয়ে সুখে মেতেছে। মুকুলের মাতাল করা গন্ধে আনন্দিত আজাদ জানান, বাগানের প্রত্যেকটা গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে। এখন শুধু ভয় হচ্ছে আবহাওয়া নিয়ে।

অন্যদিকে পীরগাছার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মণীকুন্ডা বগুড়াপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন জানালেন, তার বাড়ির সবকটা লিচু গাছ মুকুলে ভরে গেছে। আম গাছের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রচুর পরিমাণে ফল পাওয়া যাবে।

মুকুল এসেছে জামরুল গাছে

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, গতবারের চেয়ে তুলনামূলক গাছে বেশি মুকুল এসেছে। বিশেষ করে আম আর লিচু গাছে ভালো মুকুল দেখা গেছে। অবশ্য আগাম ঝড় বৃষ্টিতে মুকুল ঝরে না গেলে ফলের উৎপাদন আশানুরূপ হবে।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বার্তা২৪.কম বলেন, ঝড় বৃষ্টিতে মুকুল ঝরে পড়া রোধসহ ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে বাগান মালিক ও চাষিদের নিয়মিত স্প্রে, কীটনাশক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত ফল উৎপাদন চাহিদা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে মুকুলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এবার রংপুর অঞ্চলের ফল বাগানের মালিক ও চাষিরা লাভবান হবেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

 

   

রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ৬ হাজার কেজি আম বিনষ্ট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৬ মেট্রিক টন আম জব্দের পর গাড়ির চাকায় বিনষ্ট করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১০ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকার।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতীশ সরকার বলেন, দেবহাটা থেকে ১ ট্রাক অপরিপক্ব আম বিষাক্ত কেমিক্যালের সাহায্যে পাকিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করছে বলে জানতে পারি। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন ও উপসহকারী ইয়াসির আরাফাত সঙ্গে নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলিপুর চেকপোস্ট থেকে আমের গাড়ি জব্দ অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে কৃত্রিমভাবে পাকানো ৬ মেট্রিক টন অপরিপক্ব আম জব্দ করা হয় যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা। তবে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে পালিয়ে যান অসাধু ব্যবসায়ী। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমগুলো গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে বিনষ্ট করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

;

বৃষ্টির আশায় ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাঙের বিয়ে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় ঠাকুরগাঁওয়ে জমকালো ভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে জেলার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মুথরাপুর বটতলা গ্রামে এ বিয়ের আয়োজন করেন এলাকাবাসী৷

বিয়েতে ছেলে ব্যাঙের নাম দেওয়া হয় আকাশ ও মেয়ে ব্যাঙের নাম দেওয়া হয় বৃষ্টি। বিয়েতে মোহরানা নির্ধারণ করা হয় ৪৯ হাজার টাকা। ছেলে পক্ষ হিসেবে বটতলী গ্রামের আন্তিল ও মেয়ে পক্ষ হিসেবে একই গ্রামের মুসলিমের বাড়িতে এই আয়োজন করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আয়োজন করা হয় রাতের খাবারের৷

স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।


বিয়ে দেখতে আসা স্কুলছাত্র ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি জীবনে এরকম বিয়ে দেখিনি। আজকে প্রথমবারের মত নিজ চোখে দেখার সুযোগ হল। যেভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হয় সেভাবেই আয়োজন করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ আলী বলেন, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। অধিকতর তাপপ্রবাহ থেকে পরিত্রাণ ও বৃষ্টির আশায় এমন ব্যতিক্রমী বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।

বিয়ের গীত গাওয়া হিরা আক্তার বলেন, মাঠে-ঘাটে কোথাও কাজ করা যাচ্ছেনা। রুম থেকে বের হলে শরীর পুড়ে যাওয়ার অবস্থা। আগের আমলে বাপ-দাদারা ব্যাঙের বিয়ে দিতেন বৃষ্টির আশায়। সে কারণে আজকে আমরা এই বিয়ের আয়োজন করেছি যাতে তাপ কমে আর বৃষ্টি আসে।

;

শ্যামনগরে তীব্র তাপদাহে মরছে ঘেরের চিংড়ি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বিভিন্ন এলাকার ঘেরের বাগদা চিংড়ি মাছ মারা যাচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে অনেক ঘেরে এভাবে মাছ মরে গেছে। এতে এখানকার চিংড়ি চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, প্রচণ্ড তাপদাহ, পর্যাপ্ত পানির অভাব, অতিরিক্ত লবণাক্ততা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানাবিধ কারণে ঘেরের বাগদা চিংড়ি মরে যাচ্ছে।

শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বাগদা ও ১১০ হেক্টর জমিতে গলদা চাষ হয়। তাতে ছোট-বড় মিলিয়ে বাগদা চিংড়ির ঘেরের সংখ্যা ১৬ হাজার ৩২৮ ও গলদা চাষের ঘের আছে ১ হাজার ৪১০টি।

উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের আড়পাঙ্গাসিয়া এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মাহাবুব আলম জানান, বছরের শুরুতে ঘেরে পোনা মাছ ছাড়া হয়। এরপর গত দুই সপ্তাহ আগে থেকে ঘেরে মাছ মরে ভেসে উঠছে। আর যেসব জীবিত মাছ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর শরীরও দুর্বল। মাছ লালচে হয়ে যাচ্ছে।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পোড়াকাটলা গ্রামের চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী সন্তোষ মণ্ডল ও একই এলাকার জয়ন্ত মন্ডল জানান, ৫০ বিঘা জমি ইজারা নিয়ে এবার বাগদা চাষের জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকা লোন করেছেন। এবারের চলতি মৌসুমের মাঝামাঝি এ ঘের থেকে যে পরিমাণ মাছ পাওয়ার আশা ছিল, তাতে লোন করা টাকার অধিকাংশই উঠে আসার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ মাছ মরার কারণে তিনি এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকার বেশি মাছ পাননি।

ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের গুমানতলী এলাকার চিংড়ি চাষি ইব্রাহিম খলিল বলেন, ২০১২ সাল থেকে তিনি ঘের করছেন। এবারও ১০ বিঘা জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ করেছেন। ঘেরে ৪৫ হাজার বাগদার পোনা ছেড়েছেন। এখন প্রতিটি ৪০ গ্রাম করে ওজন হয়েছে। কিন্তু তীব্র এই গরমে পানি বিষিয়ে ওঠার কারণে মাছ মারা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তার ঘেরে পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। তাছাড়া নিয়মিত পরিচর্যাও করা হয়। তবে রৌদ্রের কারণে কোন হিসাব নিকাশ মিলছে না।

একই এলাকার চিংড়ি চাষি রাজু আহমেদ বলেন, তিনি এবার নিজের এবং অন্যের জমি ইজারা মিলিয়ে ২০০ বিঘা জমিতে চিংড়ি চাষ করেছেন। প্রথম কোটার অবমুক্ত করা বাগদা মাছ মরে গেছে। এতে তার প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তার এলাকার ঘেরগুলোতে পর্যাপ্ত পানি নেই বলে জানান তিনি। তার ওপর প্রচণ্ড রৌদ্রের জন্য পানি লালচে হয়ে উঠছে।

এছাড়াও কয়েকজন চিংড়ি চাষি জানান, এ পর্যন্ত কোনো ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি ঘেরে গিয়ে কী কারণে মাছ মারা যাচ্ছে বা তাদের কী করা উচিত সে বিষয়ে কেউ পরামর্শ দেয়নি। তাই একমাত্র জীবিকা চিংড়ি চাষ নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর এখানে চিংড়ির উৎপাদন হয়েছে ৭ হাজার ৬৯৯ টন। আর এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও গত বছরের মত বলে জানান। তবে বর্তমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবার চিংড়ি উৎপাদন গতবারের তুলনায় অনেক কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

চিংড়ির আড়তদাররা জানান, এবার মাছ মরে যাওয়ার কারণে মাছের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কম। গতবারের তুলনায় শ্যামনগরের আড়তগুলোতে মাছের আনাগোনা প্রায় অর্ধেক।

শ্যামনগর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার বলেন, বিভিন্ন কারণে বাগদা চিংড়ি মারা যায়। তবে এবারে প্রচণ্ড তাপদাহ, পর্যাপ্ত পানি না থাকা ও অতিরিক্ত লবণের কারণে বেশি মাছ মারা যাচ্ছে। এ ছাড়া মৌসুমের শুরুতে ঘের প্রস্তুত করার সময় চাষিরা ঘেরের মাটির সঠিক পরিচর্যা করেনি। জমির ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য যে পরিমাণ চুন ব্যবহার করার দরকার তাও ঠিকমতো করেনি।

তবে তিনি প্রতি মৌসুমে এমন অবস্থা থেকে রেহাই পেতে মৎস্য চাষিদের উদ্দেশ্যে বলেন, মৌসুমের শুরুতে ঘের প্রস্তুত করার সময় চাষিদের ঘেরের মাটি কেটে ঘেরের গভীররতা বৃদ্ধি করার জরুরী।

;

রাঙামাটিতে '১১তম এনডিএফ বিডি ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং ক্যাম্প



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
রাঙামাটিতে '১১তম এনডিএফ বিডি ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং ক্যাম্প

রাঙামাটিতে '১১তম এনডিএফ বিডি ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশিপ ট্রেনিং ক্যাম্প

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ বিতর্ক সংগঠন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ (এনডিএফ বিডি)'র '১১তম এনডিএফ বিডি ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ১ ও ২ মে ২০২৪ইং তারিখে রাঙামাটির বার্গি লেক ভ্যালি ও পলওয়েল পার্কে অনুষ্ঠিত হবে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

সারাদেশ ৬৪ জেলার সবচেয়ে মেধাবী সংগঠক ও তার্কিকদের বিতর্ক অঙ্গনের লিডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই লিডারশীপ ক্যাম্পের আয়োজন। পাশাপাশি থাকছে চমকপ্রদ ও রোমাঞ্চকর বিভিন্ন ইভেন্ট ও টাস্ক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই আয়োজনে বিতার্কিকদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং সার্বিক উন্নয়নের জন্য যুগোপযোগী সেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে 'লিডারশীপ কি ও কেন?, 'লিডারশীপ ক্যাম্পের গুরুত্ব ও তাৎপর্য', 'এনডিএফ বিডি'র বাৎসরিক পরিকল্পনা', 'লিডারশীপ ও নৈতিকতা' এবং 'প্রতিযোগিতাপূর্ণ পৃথিবীতে সর্বক্ষেত্রে নিজেকে উপস্থাপনের কৌশল: এম আলমগীর'স ইম্প্রোভাইজেশন মেথড' শীর্ষক বিশেষ সেশন থাকবে এ দুদিনের আয়োজনে।

১লা মে দুপুর সাড়ে ১২টায় রাঙামাটির বার্গি লেক ভ্যালিতে '১১তম এনডিএফ বিডি ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্প এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম (বার)।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, ডেইলি স্টার মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক, এনডিএফ বিডি'র চেয়ারম্যান উপদেষ্টা এবং গ্লোভাল ভিলেজ রাঙামাটি'র সাবেক সভাপতি ফজলে এলাহী এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)'র পরিচালক এবং এনডিএফ বিডি'র সাবেক মহাপরিচালক মোঃ আনিসুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন এবং এই ক্যাম্পের চীফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এনডিএফ বিডি'র চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ব্লু অ্যাওয়ার্ড'প্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন, বহুজাতিক কোম্পানী নিউস্টার হাই-লন-এর সিইও একেএম শোয়েব।

এই ক্যাম্পে লিডারশীপের উপর একটি বিশেষ সেশন নিবেন তুখোড় বিতার্কিক এবং রাঙামাটি জেলার নানিয়াচর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিমুল এহসান খান।

এনডিএফ বিডি'র চেয়ারম্যান একেএম শোয়েব জানান, এই ক্যাম্পের উল্লেখযোগ্য সেগমেন্টের মধ্যে থাকছে হাইকিং, ট্রেজার হান্ট, অ্যাডভেঞ্চার টাস্ক, সারভাইবাল টাস্ক, টিম প্রেজেন্টেশন, জোনাল প্রেজেন্টেশন, ক্যাম্প ফায়ার, টিম কালচারাল টাস্ক, সারপ্রাইজ সেশন, ফ্রেন্ডশীপ এন্ড ফেলোশীপ আড্ডা, নৌভ্রমন, এন্টারটেইনমেন্ট টাস্ক, প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ, রাঙামাটির ঐতিহ্যকে ধারণ করা ইত্যাদি।

এনডিএফ বিডি'র ৯টি জোনের লিডারদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিতব্য এই ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানে থাকবেন এনডিএফ বিডি'র মহাসচিব আশিকুর রহমান আকাশ, ক্যাম্প কনভেনরের দায়িত্ব পালন করবেন এনডিএফ বিডি'র কো-চেয়ারম্যান তাহসিন রিয়াজ, ক্যাম্প কো-ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকবেন এনডিএফ বিডি'র যুগ্ম মহাসচিব তুষার ধর, ক্যাম্প কো-অর্ডিনেটরের ভূমিকায় থাকবেন এনডিএফ বিডি'র কো-চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান এবং এনডিএফ বিডি'র সাংগঠনিক সম্পাদক লুভনা আক্তার।

১১তম এনডিএফ বিডি ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ ট্রেনিং ক্যাম্প ২০২৪ইং-এর ক্যাম্প ডিরেক্টর ও সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করবেন দেশবরেণ্য উপস্থাপক, প্রশিক্ষক ও বক্তা, এনডিএফ বিডি'র
মহাপরিচালক ও রেক্টর (স্কুলিং) লায়ন এম আলমগীর।

;