বাংলাদেশের জাল পাসপোর্টে সৌদিতে ভারতের ‘জঙ্গি’ হাফিজ!



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী নগরীর বাসিন্দা পরিচয়ে জাল পাসপোর্ট নেওয়া ভারতীয় নাগরিক হাফিজ আহমেদ-এর প্রকৃত পরিচয় উদঘাটনে এখন হন্যে হয়ে ঘুরছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ‘হাফিজ আহমেদ’ নামে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে পাসপোর্ট করে বাংলাদেশি সেজে দুই বছর আগে সৌদি পাড়ি দেন তিনি।

ভারতের বিভিন্ন থানায় দায়েরকৃত একাধিক চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি তিনি। তবে তার আসল নাম কী বা ভারতে ঠিক কী ধরনের মামলার আসামি ছিলেন তা প্রকাশ করছে না বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে গোয়েন্দা সূত্র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতের একটি সংস্থা হাফিজকে দুর্ধর্ষ আসামি হিসেবে উল্লেখ করেছে।

ভারতীয় সংস্থা পরিষ্কার করে না জানালেও এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেটুকু তথ্য পেয়েছে, তাতে হাফিজ নামধারী ব্যক্তি জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাকে শীর্ষ মাদক কারবারি হিসেবেও কাজ করার কিছু ক্লু পেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুদকের কর্মকর্তারা সবকিছুর আগে দুটি বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন। প্রথমত হাফিজ আহমেদ নামে জাল পাসপোর্ট করা ওই ব্যক্তির আসল নাম ও পরিচয়। দ্বিতীয়ত- রাজশাহীতে অবস্থানকালে এবং ঢাকায় গিয়ে সৌদি পাড়ি দেওয়ার আগ পর্যন্ত কাদের সহযোগিতা নিয়েছেন তিনি। সেই তথ্যের সন্ধানে ঢাকা-রাজশাহীর কর্মকর্তারা এখন তৎপর।

জানা গেছে, জাল পাসপোর্ট বানাতে সহায়তাকারীদের নামে এরইমধ্যে মামলা দায়ের করেছে দুদক। পাসপোর্টটি রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে সম্পন্ন এবং রিলিজ হওয়ায় মামলাটি দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দায়ের করা হয়। তবে তা তদন্ত করছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘হাফিজ আহমেদ পরিচয়ধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতে দুই থেকে তিনটি মামলা রয়েছে। মামলাগুলো নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা অর্থাৎ জঙ্গি কার্যক্রম কিংবা মাদকসংশ্লিষ্ট। দুটি বিষয়েই ওই ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। সেটা এখনও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেটি উদঘাটনে কাজ করছে।’

দুদক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, ‘তার প্রকৃত নাম কী, তিনি রাজশাহীতে এসে কার আশ্রয়ে ছিলেন বা কারা তাকে সহযোগিতা করেছিল সেটা এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করা হচ্ছে। দ্রুত রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে আশা করি।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রাজশাহীর দুইজন শীর্ষ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ভারতীয় নাগরিককে জাল পাসপোর্ট দেয়ার বিষয়টি নিয়ে তথ্য পাওয়া যায়। জাল পাসপোর্ট ইস্যু করাতে সহায়তা করার ক্ষেত্রে মূল সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে সেসময়ে তিনি কোনোভাবে মুখ খুলছিলেন না। ফলে বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি এগোনো সম্ভব হয়নি। পরে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে ভারতীয় সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হয়। ধাপে ধাপে কিছু তথ্য মেলে। সেগুলো নিয়ে এখনও তদন্ত কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা।

 রঞ্জুলাল সরকার ও আবজাউল আলম

 

দুদক’র মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৬ জন রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন ভারতীয় নাগরিক হাফিজ আহমেদ। আবেদনে নিজেকে রাজশাহীর ছোটবন গ্রামের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করেন তিনি। মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করেই সম্পন্ন হয় প্রি-এনরোলমেন্ট। পরে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে সেই আবেদনটি নিজ জিম্মায় রাখেন পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী রঞ্জুলাল সরকার।

বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে ওই বছরের ১২ জুলাই পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য অন্য ৪৩টি পাসপোর্ট আবেদনের সঙ্গে হাফিজ আহমেদেরও প্রয়োজনীয় তথ্যও পাঠানো হয় রাজশাহী মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখায়। পরে ৩১ জুলাই পুলিশের পক্ষ থেকে হাফিজ আহমেদকে ভারতীয় নাগরিক বলে প্রতিবেদন পাঠানো হয় পাসপোর্ট অফিসে।

কিন্তু পুলিশের ওই প্রতিবেদনের তথ্য গোপন করে ফেলেন পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে ওই বছরের ১৬ আগস্ট পাসপোর্টটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুমোদনের জন্য মডিউলে চলে যায়। এরপর একই বছরের ৩০ আগস্ট পাসপোর্টটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭ সেপ্টেম্বর পাসপোর্টটি গ্রহণ করেন হাফিজ আহমেদ। পাসপোর্ট রিলিজের পরপরই হাফিজের সকল আবেদন ও নথিপত্র পাসপোর্ট অফিস থেকে গায়েব করে ফেলেন কর্মচারী-কর্মকর্তারা।

আর পাসপোর্ট পেয়েই ভিসা আবেদন করেন হাফিজ আহমেদ। তা হাতে পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০০৩৫ ফ্লাইটযোগে সৌদি আরবের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। এরপর তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি।

সম্প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে গোপনে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। তবে হাফিজ আহমেদ ও তার বাংলাদেশে থাকা কোনো ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে ঠিকই ধরা পড়েছেন জালিয়াতি করে পাসপোর্ট দেয়া রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

তাদের বিরুদ্ধে দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবজাউল আলম, রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী রঞ্জুলাল সরকার, হুমায়ুন কবির, দেলোয়ার হোসেন, আলমাস উদ্দিন, ইব্রাহিম হোসেন, আবদুল ওয়াদুদ এবং ভারতীয় নাগরিক হাফিজ আহমেদ।

এর মধ্যে আবজাউল আলম বর্তমানে বগুড়া পাসপোর্ট অফিসে একই পদে কর্মরত। তবে যে বছর আবজাউল আলম ভারতীয় নাগরিককে জেনেশুনে জাল পাসপোর্ট দেন, সেই ২০১৭ সালে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর তাকে শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। পাসপোর্ট কার্যালয় দালালমুক্ত করে সেবাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, সেবা সহজীকরণ, নতুন উদ্ভাবনী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, দক্ষ অফিস ব্যবস্থাপনার জন্যই তাকে পুরস্কৃত করা হয়।

   

সিলেটে কমছে নদ-নদীর পানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে টানা কয়েকদিন সিলেট অঞ্চলে হয়েছে বৃষ্টিপাত। এরমধ্যে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

তবে, একদিনের ব্যবধানে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা ও সারিসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার(৩ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত তা কমেছে । একইভাবে পানি কমেছে কুশিয়ারার আমলশীদ পয়েন্টে ও সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃষ্টিপাত হলে নদ-নদীর পানি একটু বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে তার স্থায়ীত্ব বেশিক্ষণ হবে না।

এদিকে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সিলেটের কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, শুক্রবার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ১০ দশমিক ৯০সেন্টিমিটার, সিলেটে সকাল ৬টায় ৮দশমিক ২৫সেন্টিমিটার, দুপুরে ৮দশমিক ১২সেন্টিমিটার, সুনামগঞ্জে সকাল ৬টায় ৪ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার, দুপুরে ৪ দশমিক ৬৪ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে সকাল নয়টায় ১২দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার, সারি নদীর পান সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৬টায় ৯ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার ও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিলো ৯ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার। প্রতিটি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুনামগঞ্জের দিকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ ব্যাপারে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র বৈদ্য জানান, গতকাল সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। রাত থেকে দুপুর অবধি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তাছাড়া নিম্নাঞ্চলগুলোতে খুব বেশি পানির চাপ না থাকায় দ্রুত সরে যাচ্ছে।

;

৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারিদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।

শুক্রবার (৩ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উপস্থাপন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক ওয়ারেছ আলী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সময়ের সাথে সংগতি রেখে বাড়ি ভাড়া, রেশনিং পদ্ধতি চালু, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা, যাতায়াত ভাতা ও টিফিন ভাতাদি প্রদানের দাবিতে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে আমাদের সংগঠনের ব্যানারে ২০১৯ সাল থেকে সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, বিভাগীয় সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছি। সর্বশেষ গত বছরের ২৬ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে সময়ে বেতন বৃদ্ধি ও ভাতাদির অসংগতি দূর করার আশ্বাসমূলক আলোচনা হয়। সে আশ্বাসের প্রেক্ষিতে মহাসমাবেশে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু আমাদের বেতন-ভাতাদি বৃদ্ধির সকল আশাকে নিরাশায় পরিণত করে সরকার মাত্র ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা প্রদান করে। সরকারের এ ঘোষণায় প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারিরা চরমভাবে হতাশ ও ক্ষুদ্ধ হয়। সরকার কর্তৃক এ ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা বর্তমান বাজার ব্যবস্থার সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয় ।

তিনি আরও বলেন, তাছাড়াও আমাদের সংগঠনের দাবি ছিল কর্মচারি অঙ্গণে বৈষম্য দূর করা। কিন্তু তা না হয়ে ৫ ভাগ বিশেষ সুবিধায় ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারিদের বৈষম্য আরও বৃদ্ধি হয়েছে। ১১-২০ গ্রেডের অধিকাংশ কর্মচারিদের মূল বেতন ২০ টাকার নিচে, তাদের আগামী ৪/৫ বছরেও বিশেষ সুবিধা সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে উঠবে না। অথচ ১-৯ গ্রেডের কর্মচারিদের এ সুবিধা চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আমরা এ ধরণের বিশেষ সুবিধা চাইনি। আমরা চেয়েছি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারিদের মূল বেতন বৃদ্ধি করা। যাতে কর্মচারিরা পরবর্তীতে এর সুবিধা পেতে পারে ।

তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, ৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা পুনঃবিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বর্তমান সময়ের মুদ্রাস্ফীতির সাথে সংগতি রেখে তা মূল বেতনের সাথে সংযোজন ও সকল ভাতাদি যুগোপযোগী করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসাথে যথাশীঘ্র বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নেরও দাবি জানাচ্ছি । কেননা দ্রব্য-মূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার প্রাপ্ত বেতনের অর্থ দিয়ে মাসের ১৫ দিনও চলা সম্ভব হয় না।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হল:-

১। পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে।

২। রেশনিং পদ্ধতি চালুসহ ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

৩। সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদনাম পরিবর্তনসহ ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।

৪। টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পূর্ণবহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পূনঃবহল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৫। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ ও অধঃস্তন আদালতের কর্মচারিদের বিচার বিভাগীয় সহায়ক কর্মচারি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।

৬। প্রাথমিক শিক্ষার দপ্তরী কাম প্রহরীসহ আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর বেতন ফেলের উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।

৭। বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি মো.আনোয়ারুল ইসলাম তোতা বলেন, আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যাতে করে আমাদের দাবিগুলা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে আমরা সামনের দিনগুলোতে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

;

১০ টাকার টিকিটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাধারণ রোগীদের মতোই ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চোখের পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন তিনি। পরে নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করান।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সারওয়ার ই আলম সরকার তা নিশ্চিত করেছেন।

সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

 

;

জামালপুরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে জামালপুরে "মফস্বল সাংবাদিকতা নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান।

এসময় আজকের জামালপুর পত্রিকার সম্পাদক এম এ জলিল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুভ্র মেহেদীসহ আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, সবার নজর যেখানে পৌঁছেনা সাংবাদিকরা সেখান থেকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, তাদের সংবাদের মাধ্যমে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিতে পারি। তাই বর্তমান সরকার যেমন দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, তেমনি সাংবাদিকদের আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে আরও স্মার্ট হতে হবে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মাধ্যমেই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব যার সুফল জনগণ সরাসরি ভোগ করতে পারে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৫০ জন সাংবাদিক ও ক্যামেরাপার্সন দিনব্যাপী অভিজ্ঞতা বিনিময় ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

;